![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান সময়ে আই এস বা জঙ্গী মুসলমানের সমার্থক শব্দ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে দেশে নাস্তিক বা ব্লগার হত্যাকান্ড এই ধর্মের দোহাই দিয়েই ঘটানো হচ্ছে। এসব হত্যাকান্ডের পর কিছু সুশীল বলে থাকেন- ইহা সহী ইসলাম নয়। ফলে সহি ইসলাম ক্রমেই জোক শব্দে পরিনত হয়ে গেছে। এখন যদি কোন অসহী প্রোডাক্ট ইউনিলিভারের নামে বিক্রি করে। তখন সেই প্রোডাক্ট কিনে ধোকা খাওয়া মানুষগুলোর থেকেও বেশি প্রতিবাদি ও প্রতিরোধি পদক্ষেপ নিবে ইউনিলিভার। কারন বিষয়টা তাদের ইমেজ ও স্বার্থের সাথে জড়িত। তখন ইউনিলিভার যদি শুধু এই বলে বিবৃতি দেয়- ইহা সহী ইউনিলিভারের প্রোডাক্ট নয়। তাহলে তারা ক্ষতিগ্রস্থই হবে। যেহেতু তারাই ক্ষতিগ্রস্থ ও অস্তিত্বের প্রশ্নে পরেছে তাই সেই গরজেই তারা গর্জে উঠবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা মুসলমানেরা আইএস বা জঙ্গী দল গুলোর বিরুদ্ধে কতখানি সোচ্চার? কতখানি প্রতিবাদি? কতখানি প্রতিরোধি? তারা যে সুস্পষ্ঠ ধর্ম লঙ্ঘন করেছে তা আমরা কতখানি প্রমানে আগ্রহী?
এই সব দায়িত্ব শুধু মাত্র, ইহা সহী নহে ; এই বলেই শেষ করা কি হাস্যকর নয়? সেই সাথে প্রশ্রয়ের আচরনও বটে।
একজন নাস্তিকের জন্য বা ইসলাম বিদ্বেষী লেখকের জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে আমরা কতখানি ইমেজ হারাই? কতখানি সুযোগ সুবিধা হারাই? কতখানি আক্রমনের মুখে পড়ি?
বলতে গেলে তসলিমা নাসরিন, আসিফদের জন্য আমরা সন্ত্রাসী খেতাব, মাইগ্রেশন সমস্যায় পড়িনি। পড়েছি ওই দাড়ি টুপিওয়ালা শয়তানদের জন্য। অথচ তসলিমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের তুলনায় আইএস এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কতখানি জোরালো? অথচ এমন হওয়া উচিত ছিল না। অনুচিত কাজেই আমরা পটু।
তাহলে তসলিমা, আসিফদের বিরোধিতা করার থেকেও আইএস ও জঙ্গী বিরোধিতা করা আমাদের জন্য ফরজ হয়ে গেছে। সমস্ত ইসলামি ওলামা ও সাধারনদের এইসব হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ও তীব্র বিরোধিতা করতেইইই হবে । মাঠে নামতে হবে। হাদিস ,কোরান দিয়ে তাদের ভুল অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে হবে আর তা প্রচার করতে হবে। কারন এরা মুসলমান ব্র্যন্ডের প্রধান ও বড় শত্রু। আমাদের শত্রুর মোকাবেলা আমাদেরি করতে হবে। নতুবা যেই সমস্যা গুলো খুব প্রকট হবে,
- সিরিয়া থেকে আগত মুসলিম শরনার্থীরা জার্মান, ফ্রান্স তথা ইউরোপে ক্রমেই ঘৃনার পাত্র হবে। তাদের শেষ আশ্রয় হারাবে।
- আন্তর্জাতিক ভাবে মুসলিমরা সন্ত্রাসের সমার্থক শব্দ হবে ও ইহুদিদের থেকেও বেশি ঘৃন্য হয়ে যাবে।
- উন্নত দেশ গুলোতে ভাগ্য পাল্টাতে যাওয়া মুসলিম ভাই বোনেরা বিপদে পড়বে।
- মুসলিম ছাত্ররা আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ গুলো নিয়ে বিদেশে পড়তে যাবার সুযোগ হারাবে।
- সন্ত্রাস দমনের নামে মুসলিম দেশ গুলো ইরাক হয়ে যাবে।
- বেচে থাকার তাগিদে হয়ত ধর্মান্তরিত হয়েও যাবে। মুসলমান অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে।
তাই এত বড় আঘাত মোকাবেলায় যদি ইহা সহি নহে বলাই যথেষ্ট মনে করি তাহলে তা ছাগলের ম্যা ম্যা ছাড়া কিছুই হবে না।
আইএস এর লক্ষ্য শুধুমাত্র ইসলামিক স্টেট নয়। তাঁদের উদ্দেশ্য অনেক জটিল যা আমার মতন বোকাদের বুঝা অসম্ভব।সিরিয়ানদের আশ্রয়দাতা দেশে এরাম হত্যাকান্ড ঘটিয়ে তারা সিরিয়ান রিফিউজিদের তেরটা বাজানোর রাস্তা ক্লিয়ার করেছে, এতেই বুঝা যায় তারা ছাগলের বেশ ধরা হায়েনা । এই হায়েনাদের রুখতে বর্তমান মুসলিম বিশ্ব একেবারেই অপ্রস্তুত।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১১
আম্মানসুরা বলেছেন: তারমানে মানছেন যে আমরা খেলনা মাত্র! যার যেভাবে ইচ্ছা খেলবে। আমাদের তরফ থেকে কিচ্ছুটি হবেনা। কোন অবিবাহিত প্রেগন্যন্ট মেয়ে যদি সব পুরুষের ইচ্ছা বলে দায় চাপায় তা কি মানবেন? তখন নিশ্চয়ই বলবেন- তুমি প্রশ্রয় দিলে কেন? প্রতিবাদ করোনি কেন?
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
আবু শাকিল বলেছেন: সন্ত্রাসীদের ধর্ম নাই।
সন্ত্রাসীদের সাথে ইসলামকে মিলিয়ে দিচ্ছেন।তছরিন এবং আচিপ রা।তারাই দেশকে জজ্ঞি রাষ্ট্র হিসেবে প্রমান করে মাইগ্রেশন ভিক্ষা নিছে।কিছুদিন আগে গন জাগরণ মঞ্চের আরেক শ্লোগান কন্যা" শ" । সেও দেশকে জজ্ঞি রাষ্ট্র প্রমান করে মাইগ্রেশন ভিক্ষা নিছে।
তারাই প্রমান করার চেষ্টা করে ইসলাম জজ্ঞি।
জজ্ঞি ছাড়াও দেশে অনিরাপদ আমরা সবাই। যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে ইসলাম কে জড়িয়ে যে কেউ টুইট,ফেসবুকিং এ করে দিচ্ছে।
সে সুযোগটা নিচ্ছে ইসলামকে নিয়ে যারা কুৎসা রটায়!
( আমার মন্তব্য ত এবং আ প্রসজ্ঞে। লেখায় আপনি তাদের সহী লোক হিসেবে প্রমান করার চেষ্টা করেছেন)
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩
আম্মানসুরা বলেছেন: আমি কিছুই প্রমান করতে চাইনি শুধু মতামত দিয়েছি। বিরোধিতাকারীর বিরোধিতার চেয়ে বন্ধু সেজে ক্ষতি করা লোকটিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত, এটাই বলতে চেয়েছি।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনি কি চান! একটা বিপ্লবের দরকার... বিশ্বব্যাপী!
তা না হলে দু'একজনের ওভার রিএকশনে কিছুটি হবে না...
আমরা আছি 'দেখি হালায় করে কী!' অবস্থায়
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৪
আম্মানসুরা বলেছেন: আমার নাম ব্যবহার করে কেও যদি আপনাকে আক্রমন করে তাহলে তাকে থামানো বা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আপনার আগে আমিই করব- এই কথাটাই বলতে চাই।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি ভালোই লিখেছেন কিছু বিষয়ে সহমতও। তবে আপনাকে যতটুকু চিনি তাতে আমার কাছে আপনার অবস্থান একজন কনফিউসড মুক্তমনা (বর্তমানে মুক্তমনাদের সে ডেফিনেশন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে) হিসেবে। ফলে আপনার বিশ্লেষনটা আরো চমৎকার হতে পারত যদি আপনি কনফিসউড না হয়ে আদর্শ মুক্তমনা হতেন। প্রকৃত মুক্তমনারা গভীরেই চিন্তা করে, ভাসা ভাসা না।
আপনার সাথে সহমত জানাই যে তসলিমার বিরুদ্ধে যেভাবে বাংলাদেশী মোল্লারা রাস্তায় নামে, সেভাবে আইএস এর বিরুদ্ধে নামে না। এটার কারন ইসলাম ধর্ম খারাপ নয়, এটার কারন হচ্ছে ধর্ম নিয়ে মোল্লা সম্প্রদায়ের পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব। আজকে যদি চাইনিজ ভাষায় ব্লগরুলস লিখিত থাকত আর আপনি যদি না বুঝে বা অল্প বুঝে কোন ভুল করতেন, তাহলে সেটার জন্য পুরো ব্লগকে খারাপ বলাটা হাস্যকর হতো, যেমনটা হচ্ছে ব্লগারদেরকে নাস্তিক বলার ব্যাপারটি। আমাদের মোল্লাদের ধর্ম জ্ঞান খুবই ভাসা ভাসা। বিশেষ করে কোরান সম্পর্কে তারা খুব একটা জানেন না। বেচারাদের জানারও তেমন উপায় নাই। তথ্য প্রযুক্তির যুগে তারা ফেসবুকে দুইচাইটা সত্য মিথ্যা হাদিস, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে রণহুংকার, চান্দে মান্দে পাবলিকের ছবি দেখা শেয়ার করেই খুশি। অথচ এই সব ফালতু কাজ করার চাইতে তারা চাইলে ধর্ম বিষয়ে আরো ভালো জানতে পারতেন। খুব সুন্দর অর্থ সহ কোরান পাওয়া যায় অনলাইনে, বাজারে। শিক্ষার এই আলো সম্পর্কে কেউ তাদেরকে জানায় নি, চেষ্টাও করে নি। যে বিদ্যা বা কৌশল আপনার জীবন জীবিকার উপায়, সেটাকে সহজ করলে আপনার মার্কেট কমে যাবে। ফলে ধর্ম নিয়ে মোল্লারাও একটা ধোঁয়াশা রেখে সাধারন মানুষের মধ্যে। তাদের নিজের অজ্ঞাতেই তারা নিজেরা পড়ে যাচ্ছেন ফাঁদে, ওয়াশ হয়ে যাচ্ছে তাদের ব্রেণ কিছু শিক্ষিত মানুষের হাতে। আর এই সুযোগে, মুক্তমনারা তাদেরকে গালি দিয়েছেন, আপনি আমি তাতে লাইক দিয়েছি। আপনি দাঁড়ি টুপিকে শয়তান হিসেবে জানছেন, আমিও অপছন্দ করছি। কিন্তু এই অধিকার আমাদের আছে? তারা শুধু ধর্মহীনতার পেছনেই পড়ে আছেন। ধর্মহীনতাই সকল সমস্যার সমাধান নয়, এটা কিছু পন্ডিতরা বুঝেন না।
বাংলাদেশের আসিফ বা তসলিমা আর্ন্তজাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ধুলা বালির কনা। তারা বাংলাদেশের ইমেজ বাড়ানোর মত কিছু করে নাই। তারা দেশের শান্তি নষ্ট কইরা বিদেশে পলাইয়া গেছে। তারা দেশের জন্য, জাতির জন্য, সমাজের জন্য ভালো কি পরিবর্তন করছে তার পরিসংখ্যান জানতে চাইলে সেটা বিব্রতকর হবে তাদের তথা মুক্তমনাদের জন্য।
মুসলিমরা অবশ্যই এই ঘটনার প্রতিবাদ করছে। কিন্তু তাদের প্রতিবাদ মিডিয়াতে আসছে কোথায়? যেখানে মানবতার পুরোটাই সংরক্ষিত পশ্চিমা বিশ্বের জন্য। সেখানে মানুষ হিসেবে যে মানবতার বিপর্যয়ের কথা বলব, তার সুযোগ কোথায়? দিন শেষে মানবতার কথা আমাদের জন্য গরীবের ঘোড়া রোগের মত।
সুতরাং দাঁড়ি টুপি থাকলেই কেউ শয়তান হয় না - এই তত্ব থেকে আপনাদের মত শিক্ষিত উন্নত চিন্তার মানুষরা যদি বের না হয়ে আসতে পারেন, তাহলে জাতির জন্য সত্যি অন্ধকার সময় অপেক্ষা করছে।
আইএস সমস্যা নির্মুলের জন্য বেশি কিছু লাগবে না। পশ্চিমা বিশ্ব যখন এত মানবতা, ন্যায় পরানতার কথা বলেন, তাদেরকে বলেন, প্যালেস্টাইনকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দিতে, কুর্দিদের মধ্যে যে সমস্যা আছে তা সমাধান করে দিতে বলেন। সিরিয়ার আসাদ বা অন্য বৈধ কাউকে সমর্থন করতে। আমেরিকাকে বলেন, নাটক না করে আইএসকে অস্ত্রের সাপ্লাই বন্ধ করতে।
যেখানে আমেরিকান কোন ব্যক্তি ২০/৩০ জনকে গুলি করে মারলে হয় সাইকো কিলার, সেখানে একই ঘটনা কোন মুসলিম করলে হয় টেরোরিস্ট। এই চেতনা থেকে বের হয়ে আসা দরকার সবার আগে। আইএস যা জীবনেও ইসলামের প্রতিচ্ছবি নয়, যার মধ্যে ধর্মের কোন ছিটে ফোঁটা নেই, সেটা বিলুপ্ত হবে একটা লজিক্যাল সিকোয়েন্স।
তার আগে, মুসলিম মানেই আইএস - এটা স্যাটায়ার হলো না - বিভ্রান্তি হলো।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫
আম্মানসুরা বলেছেন: আমার একটা সমস্যা আছে, আমি বুঝাতে পারিনা। আপনার কমেন্ট পড়ে এই ধারনা আর দৃঢ় হলো যে, আমি আসলেই বুঝাতে পারিনি। আমি ইসলাম ধর্ম নিয়ে কিছু বলতে চাইনি। মুসলমান ( তা নামে হই, কাজে হই, বুঝে হই বা না বুঝে হই) সম্প্রদায়ের আচরনের সমস্যাই বলতে চেয়েছি।
এটা ঠিক আমরা না জেনে বুঝেই ধার্মিক বা মহা ধার্মিক। এটা সমস্যা, গুরুতর সমস্যা। তবে এটা আমাদের ব্যর্থতা আর এর দায় ভার পশ্চিমা বিশ্বের নয়। আমি দাড়ি টুপিকে শয়তান বলেছি আইএসদের ক্ষেত্রে। ওরা এই বেশ ব্যবহার করছে। ওদের এই বেশটাকে শয়াতানি বলেছি।
রবি ঠাকুর এর মতে নিন্দুক সবচেয়ে উপকারি। আসিফ ,তসলিমা ধর্মের ঘা বা দুর্বলতা গুলো অনেক ক্ষেত্রেই সত্য ভাবে তুলে ধরেছে। আমাদের উচিত ছিল সেই পয়েন্ট গুলো নিয়ে কাজ করে শোধরানোর মাধ্যমে তাদের ভুল প্রমান করে দেয়া। আজ আমি যদি সামু ব্লগ ও মডু দের বিরুদ্ধে দশটা অভিযোগ করি যার পাচটাই সত্য তাহলে কিন্তু প্রজ্ঞাবান মডু হলে দুর্বলতা খুজে বের করার জন্য আমাকে ধন্যবাদ দিবে আর তাতেই আমি ভুল প্রমানিত হব। কিন্তু ব্লগ থেকে তাড়িয়ে দিলে আমার দশটা অভিযোগই সঠিক বলে প্রমান হয়ে যায়। তাই এই পয়েন্টে বিব্রত বোধ করার কিছু নাই।
মুসলিমরা প্রতিবাদ করেছে!!! কিভাবে? কারা? আমার আপনার মতন ইসলামের লেবাসহীন বা তথাকথিত মডারেট মুসলিমরা প্রতিবাদ করেছে। বড় বড় ইসলামী সংঘটন গুলো থেকে কতখানি প্রতিবাদ বা মানববন্ধন হয়েছে? কয়টা মসজিদে হুজুররা এই বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে? পশ্চিমা মিডিয়া বাদ দেন। ফেবু টাইমলাইনে তাকান। অনেক ছাগল ইতিমধ্যে ম্যা ম্যা শুরু করে দিয়েছে যে, এটা ফ্রান্স সরকার করেছে তাই আমাদের দুখ করার কিছু নাই। আর সবচেয়ে বড় কথা, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে এইটুকু প্রতিবাদ কে কি আপনি যথেষ্ট মনে করেন? একটা অনলাইন নিউজে দেখলাম, প্যরিসের লোকেরা সিরিয়ান রিফিউজিদের আশ্রয়কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে।
আপনাকে যদি আমি ফাদে ফেলতে চাই সেক্ষেত্রে আমাকে ফাদ সরাতে বলা হাস্যকর। ফাদ সরানোর উপায় আমাদের ভেবে বের করতে হবে। কিভাবে কোন পথে হাটলে ওদের রাজা চেকের কবলে পড়বে সেইভাবেই দাবার গুটি চালতে হবে। তাদের উপ্রে সব দোষ দিয়ে আত্নতৃপ্তি পাবেন কিন্তু আঘাত থেকে নিস্তার পাবেন না।
আইএস কে সৃস্টি করেছে? কেন করেছে? এসব প্রশ্ন করলে ধরা খাবেন কঠিন ভাবেই। তাহলে পাল্টা প্রশ্ন এভাবে করা যায়- প্রধান চার পাঁচটা ধর্ম বাদ দিয়ে ইসলামের পিছেই এরা এত ষড়যন্ত্র করে কেন? নাইজেরিয়ার মতন অভাবি দেশে কিসের লোভে ইহুদি নাসারারা বোকো হারাম দল পুষে? এদের ষড়যন্ত্রে মুসলমান কাহিল হয়ে কি নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিচ্ছে না? মুসলমানদের ধর্মকেই কেন বলির পাঠা বানানো যাচ্ছে? ১৪০০ বছর আগে কোন ইহুদি নাসারার ষড়যন্ত্রে তিন খলিফা সহ নবি বংশের নির্মম মৃত্যু ঘটে? এজিদ কার দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে আইএস মার্কা আচরন করেছিল?
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
বিদগ্ধ বলেছেন: আইএস কাদের সৃষ্টি? কি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য? তথ্য আছে? যা বলার পরিষ্কার করে এবং নিশ্চিত হয়ে বলুন। অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়বেন না।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫
আম্মানসুরা বলেছেন: তাহলে পাল্টা প্রশ্ন এভাবে করা যায়- প্রধান চার পাঁচটা ধর্ম বাদ দিয়ে ইসলামের পিছেই এরা এত ষড়যন্ত্র করে কেন? নাইজেরিয়ার মতন অভাবি দেশে কিসের লোভে ইহুদি নাসারারা বোকো হারাম দল পুষে? এদের ষড়যন্ত্রে মুসলমান কাহিল হয়ে কি নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিচ্ছে না? মুসলমানদের ধর্মকেই কেন বলির পাঠা বানানো যাচ্ছে? ১৪০০ বছর আগে কোন ইহুদি নাসারার ষড়যন্ত্রে তিন খলিফা সহ নবি বংশের নির্মম মৃত্যু ঘটে? এজিদ কার দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে আইএস মার্কা আচরন করেছিল?
তাদের উপ্রে সব দোষ দিয়ে আত্নতৃপ্তি পাবেন কিন্তু আঘাত থেকে নিস্তার পাবেন না।
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আইএস যারা সৃষ্টি করেছে তারাই একদিন আইএস এর হাতে ধ্বংস হবে, এটা নতুন কিছু নই।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭
আম্মানসুরা বলেছেন:
একটা অনলাইন নিউজে দেখলাম, প্যরিসের লোকেরা সিরিয়ান রিফিউজিদের আশ্রয়কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে।
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন? এসব বাদ দেন। সহজ ভাবে কথা বলুন। ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০
আম্মানসুরা বলেছেন: আপ্নের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছি
৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
জনাব মাহাবুব বলেছেন: পুরো বিশ্বের মুসমানরাই আই এসের বিরুদ্ধে। যেইসব দেশে আইএসের উপস্থিতি রয়েছে সেখানকার মুসলমানরা আইএসের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে, তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করছে কিন্তু আমেরিকা এবং ইসরাইলের অস্ত্রে বলিয়ান আইএস এর সাথে পেরে উঠছে না। পৃথিবীর প্রায় সকল মুসলিম দেশই আইএস বিরোধী। আমাদের বাংলাদেশের মুসলিমরাও আইএস বিরোধী। যাদের আপনি দাড়িওয়ালা টুপিওয়ালা বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন তারাও আইএস বিরোধী।
সকল মুসলমানদের আইএস বিরোধী অবস্থান আপনার চোখে পড়েনি। তাই উল্টাপাল্টা উপদেশ দিতে আসছেন।
মুসলমানদের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ দেখার মত চোখ থাকা লাগে, সেই চোখটি আপনি স্থাপন করে নিতে পারেন, তাহলে সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২
আম্মানসুরা বলেছেন: হা হা পে ফে গে (হাস্তে হাস্তে পেট ফেটে গেল)
আমি শুরুতেই একটা উদাহরন দিয়েছিলাম তা হয়ত আপনার চোখে পড়েনি।
৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
জেকলেট বলেছেন: আচ্ছা একটা শান্তিপূর্ন দেশ ইরাক বা সিরিয়া বা লিবিয়া ধ্বংস করার অধিকার কে দিয়েছিল উনাদের?? কোটির বেশি মানুষকে যেভাবে বাস্তুচ্চুত করা হলো তারা কি দোষ করেছিলো??? শুধুমাত্র গনতন্ত্র বা তথাকথিত সিভিলাইজেশনের নামে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে তাদের জন্য কোন জবাব দিহিতা কি আছে??? আপনার পক্ষে কোন সৈরাচার থাকলে সে যতবড় অপরাধ করুক তার কোন দোষ নাই (সৌদি আরব, মিশর) আর আপনার বিপক্ষে থাকলে জনপ্রিয় শাসক থাকলেও আপনি তাকে খুলা মনে গ্রহন করতে পারেন না (ইরান, কিউবা, রাশিয়া)। আপনাকে আরেকটা দেশে গিয়ে সিভিলাইজেশন সেখাতে কে বলেছে?? ফ্রান্সে আক্রমন অবশ্যই নিন্দনিয়। কিন্তু কথা হচ্ছে ফ্রান্স যে সিরয়া ইরাকে সবচেয়ে আধুনিক অস্ত্র নিয়ে যাপিয়ে পরেছে অনেক আগে তা কতটুকু যৌক্তিক??? একটা কথা মনে রাখবেন ফ্রান্সে যারা আক্রমন করেছে তারা যেমন আউটলো তেমনি ফ্রান্স, আমেরিকা, ইংল্যান্ড যারা আরেকটা দেশে শুধু উনাদের সার্থ সিদ্দির জন্য আক্রমন করেছেন উনারাও আউটলো। এইটা একটা পরিপূর্ন ওয়ার। আমরা সকল প্রকারের ওয়ারের অবসান চাই। এই ঘটনার জন্য আপনি খালি মুসলমানকে দায়ি করতে পারেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযোদ্বের পর ইসরাইল সৃষ্টির পর মিডলইষ্টের অবস্থা কখনই স্বাভাবিক ছিলোনা আজ ও নাই। পিছনের কারন খুজেন। এই সকল কোন সন্ত্রাস ই ধর্ম বাচানোর জন্য তৈরী হয়নাই। সবগুলোর উতপত্তি অধিকারের দাবী থেকে, সব হারানোর বেদনা থেকে, ক্ষোভ থেকে। অলৌকিকভাবে সবজায়গায় মুসলিম মেজরিটি এবং আপনাকে জানিয়ে রাখি এর উতপত্তি কোন অলৌকিক ঘটনা না। সময় করে এই ব্যাপারে একটা লেখার ইচ্ছে আছে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
আম্মানসুরা বলেছেন: তাদের এই অধিকার দিয়েছে মুসলামান দেশ গুলোর দুর্বল চিন্তা, মিথ্যা অহংকার, অন্ধ আচরন, অদুরদর্শিতা......
আমি শত্রুর পক্ষে সাফাই গাইছি না। আমি শুধু আমাদের দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থার কথা বলেছি। কেন বারবার দাবার চাল তাদের পক্ষে যাবে? কেন নিজেদের ক্ষতি আটকাতে পারছি না?
১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫
মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: ২০০৪ এ যখন সারা দেশে জে এম বি বোমা হামলা চালায় আর সমানে আদালত ও নানান জায়গায় বোমা হামলা চলচ্ছে তকন আমার মনে আছে , সেই সময় দেশের সকল মসজিদ জুমার নামাজে নানান ওয়াজে আলেমগণ সন্ত্রাসের বিরোদ্ধে জনমত গঠন করে , আর সহসা -ই জে এম বি র কুতুব গুলা ধরা পড়ে পরবর্তিতে গলায় রশি ঝুলে , ভাই এখন তো সন্ত্রাস হচ্ছে নাটক , আলেম ওলামাদের বানাইছে সে নাটকের ভিলেন , সো ফতওয়া ও প্রতিবাদ জন সচেতনতা , নিন্দা যাই বলেন কইরবো কেডা ? ভেকসিন রে যদি ভাইরাস বানাই ফালান তাহলে তো ভেকসিন আর রোগ প্রতিরোধ করতে পারেনা। তা ভাই একটা কথা জিজ্ঞাস করি , আপনার বিশ্বাস মিন নাস্তিক না অমুসলিম সেটা সেটা একটু জানাইয়া ব্লগ লেখলে ভালো হয় না আমরা বিব্রান্তি থেকে বাচলাম , কেননা দাড়ি টুপির প্রতি আপনার একটা চুলকানি ভাব পরিলক্ষিত হইল , তাহার জন্য শুধাইলাম।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
আম্মানসুরা বলেছেন: আমি ইহুদি নাসারা
১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
এই আমি সেই আমি বলেছেন: আমার মাথায় কে কাঁঠাল ভাংছে সেটা খুঁজে হয়রান। কিন্তু আমার মাথায় আমি কাঁঠাল ভাংতে দেই কেন ? আই এস কে সৃস্টি করছে সেটা নিয়ে রথী মহারথীদের সুগভীর আলোচনা।
নিজের পা টাই কেন আমরা চামড়া দিয়ে ঢাকছি না,
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আম্মানসুরা বলেছেন: সম্পুর্ন ভাবে একমত। আমার পোষ্টে এই কথাটাই বলতে চেয়েছি।
১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
আলেক্সান্ডার বলেছেন: দুদিন ধরে ঘুম কম হচ্ছে, রাইট
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
আম্মানসুরা বলেছেন: কমু না
১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বর্তমান সময়ের আলোচিত বিষয় নিয়ে পোস্ট । অনেক বিষয়ে একমত ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
আম্মানসুরা বলেছেন: ধইন্না
১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার পোস্টের বক্তব্যের সাথে সহমত। তবে কাল্পনিক ভালবাসা'র মন্তব্য বক্তব্যটাকে পূর্ণতা দেয়।
বর্তমান যুগে আমরা আইএস নামক সন্ত্রাসীদের ছাড়াও তথ্য সন্ত্রাসের মুখোমুখি। বিশ্ব মিডিয়াও আসলেই ঐ ছুপা সন্ত্রাসীগুলোর হাতে। এরা ইসলামকে ভুলভাবে মানুষের সামনে আনার কাজে ব্যস্ত।
১৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৭
হাফিজ রাহমান বলেছেন: বোন! পোষ্টটা পাঠ করলাম। মন্তব্যগুলোও। অনেক কথা বলার আছে। কিন্তু সময় যে নেই ! তবে পোষ্টটির ধাতুগত বিষয়ে একটু বলি। বানানের ব্যাপারে একটু যত্নবান হলে বোধ হয় এর আবেদন আরো বৃদ্ধি পেত। আর 'এরাম' শব্দটি আমার মত অনেকের নিকটই তেমন একটা ভাল লাগে নি। তবুও ধন্যবাদ। অবসরে আবারো কথা হবে। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সবকিছু তেনাদের পরিকল্পনা মোতাবেক চলছে.... অবধারিত গন্তব্যের দিকে