নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একে একে সব স্বপ্ন মাটি দিয়ে এখন প্রহর গুনছি দেহটা কবে আমাকে মুক্তি দেবে।

মিজানুর রহমান এএমএস

মৃত ব্যক্তির কোন অভিব্যাক্তি থাকতে নেই। স্বপ্নেরা নিছে ছুটি, আমি রয়ে গেছি দেহ টা বয়ে বেড়াতে।

মিজানুর রহমান এএমএস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যময়ী বালিকা – পর্ব-৩

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৪৩


আমি গাড়ি থেকে নেমে সোজা রুমে চলে এলাম হেঁটে। মনে কেমন এক খটকা — এ কেমন মেয়ে রে বাবা! বাপকে নিয়ে আসে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে? আবার ভাবলাম, হয়তো আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল। নাকি আশেপাশেই থাকে আর নিয়মিত আমাকে পর্যবেক্ষণ করে? এসব ভেবে আজ আর কাজ করা হলো না। কাল ধানমন্ডি যেতে হবে আগের মতোই। এসব আদরের দুলালীদের কথা বাদ, আমাকে আমার পথেই চলতে হবে।
বিকেলে রুটিনমতো জহুরা মার্কেটের চা দোকানে বসেছি— এক হাতে চা, অন্য হাতে সিগারেট। পুরনো প্রেমিকার স্মৃতিগুলো মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে। এমন সময় নিপুণ এসে পিঠে হাত রেখে বলল,
— কিরে ব্যাটা, তোর দেখা নেই কয়দিন?
আমি বললাম,
— অফিসের কাজ, একটু ব্যস্ত। তোর খবর বল।
নিপুণ হাসল,
— সবাই ভালো। তুই সিগারেট খাওয়া কমাইছিস নাকি?
— হ্যাঁ, আগে ৫-৭ টা খেতাম, এখন ২-৩ টা।
— ছাড় ব্যাটা, অভ্যাসটা ভালো না। আমি তো ছেড়েই দিছি।
— হালার পো, শখে ধরছি নাকি? উমৃলা যখন ধোকা দিল, তুই তো তখন রুমমেট ছিলি!
এরপর সে হেসে বলল,
— প্রফেসরের মেয়ে ডাক্তারের খবর কী? শুনি এখন নাকি হোটেলে হোটেলে ইন্টার্ন করে বেড়ায়?
— ধুর, তেমন কিছু না। ও একবার কিশোরগঞ্জ শহরের হোটেল নিয়ে কিছু বলেছিল। ওর এক বান্ধবী নাকি ছিল সেখানে তার বয়ফ্রেন্ডসহ। আমাকেও যেতে বলছিল মার্চ মাসে, কিন্তু আমি ঢাকা আসতে বললে আর সে থাকা হয়নি।
— আরে বোকা, নিজের কথা বান্ধবীর নামে বলেছিল। সম্পর্ক ভাঙার দুই বছর পরও তোর লগে রাতে থাকতে চায়, ব্যাপারটা বুঝে ফেল!
— আমি তো যাইনি তখন। আর সেই ঘটনা প্রায় বছরখানেক আগের। এরপর আর কথা হয়নি।
— নতুন গল্প মারিস না রে! মে মাসে ভার্চুয়ালি যে কাণ্ডটা করলি তোরা, ভুলে গেছিস নাকি?
আমি হেসে বললাম,
— আজ এক নতুন ঘটনা ঘটেছে। ভয় পাইনি, কিন্তু এখন অদ্ভুত একটা আতঙ্ক কাজ করছে।
— কিসের আতঙ্ক? চল, পার্কে বসে শোনাবি।
________________________________________
অন্যদিকে নুশাইবা ওর বাবাকে বলল,
— আব্বা, আজ সুমনকে দেখতে পারলাম না। ও চায়ের দোকান থেকে আগেই চলে গেছে।
তার বাবা হেসে বললেন,
— আমি আগেই বলেছিলাম, কয়েকদিন অনুসরণ কোরো না।
— কিন্তু না দেখলে অস্থির লাগে আব্বা।
— তাইলে অন্যভাবে দেখো। তার অফিসের পথে নজর রাখো, তবে যেন সন্দেহ না করে।
— আচ্ছা, কল দিয়ে দেখি?
— সেটা তোমার ইচ্ছা। তবে আগের প্রেমের মতো আমার উপর দোষ দিয়ো না যেন!
— না আব্বা, এবার রাজি করিয়ে বিয়েই করে ফেলব!
— (হেসে) তুমি কিন্তু আর্মি অফিসারের মেয়ে, একা একা কিছু করোনা, আমি কিন্তু ভয় পাই না।
কয়েকদিন আর নুশাইবা বা তার চর কাউকে কাছে দেখতে পাচ্ছি না। নির্ভায় হয়ে অফিস করতেছি। পাবলিক বাস ব্যবহার না করে কষ্ট করে অফিসের বাসে শাহবাগ যাই। সেখান থেকে মেট্রতে করে উত্তরা আসি। নিপুণ পুলিশের এস আই। মাঝে মধ্যে সতর্ক করে যেন একা না চলি। কিন্তু আমি তেমন কোন ভয়ের কিছু দেখতেছিনা। আজকে একটু ঘুম পাচ্ছে মেট্রোতে। মনে হচ্ছে আমাকে যেন কেও হাই ডোজের ঘুমের ওষুধ দিছে নয়তো আমি গত হাজার বছর ধরে ঘুমাই না। চোখ যেন টেনেই তুলতে পারছিনা। মাথা ভার হয়ে চোখে পোড়ানি ধরে চোখ বন্ধ হয়ে এল। কিছুক্ষনের মধ্যে……

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৪৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এত ছোট ছোট স্লট কিছুই বুজলাম না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.