নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাক স্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ায় এখন মানুষকে খুব ভেবে চিন্তে করে কথা বলতে হচ্ছে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১


আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ জানিয়েছেন ভিন্নমতের বিরুদ্ধে চরম অসহিষ্ণু অবস্থান নিয়ে সরকার কথা বলার স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে সংকুচিত করেছেন। তারা আরও জানান সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে এমন এক ভয়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছে যার কারনে অনেকেই মুক্তভাবে তাদের মনের কথা বলতে পারছেন না।ঢাকার শাহবাগ এলাকায় আজিজ মার্কেটে সৃজনশীল প্রকাশকদের বইয়ের দোকানগুলোকে ঘিরে তরুণ লেখকদের আড্ডা থাকে সারাদিনই। এমনই একটি আড্ডায় তরুণ লেখক এবং প্রকাশক রুবিন আহসানের সাথে কথা হয়। সরকার গত তিন সপ্তাহ ফেসবুক যে বন্ধ করে রেখেছিল, তাতে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন।

মিঃ আহসান বলছিলেন ফেসবুক এখন আমাদের মতা প্রকাশের একটা বড় প্লাটফরম হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণজাগরন মঞ্চসহ অনেক সামাজিক আন্দোলন এই ফেসবুকের মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল। সেটা তিন সপ্তাহ বন্ধ রেখে সরকার আমাদের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করেছেন। যদিও ফেসবুক বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপগুলো দৃশ্যমান ছিল। কিন্তু এখন গণমাধ্যমের কাজে বাধা বেশি আসছে এবং তা দৃশ্যমান না। এটি আরও বেশি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেন দ্য নিউজ টুডে পত্রিকার সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেন এখন দুর্বল গণতন্ত্রের কারণে অদৃশ্য যে বাধা আসছে তাতে ভয় থেকে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রোনিক মিডিয়ায় সেলফ সেন্সরশীপ তৈরি হয়েছে। এখনকার পরিবেশ নিয়ে অনেকটা একই ধরণের মূল্যায়ণ দেশের শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন আইন এবং সালিশ কেন্দ্রের সুলতানা কামাল বলেন বাক স্বাধীনতার ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়ায় মানুষ এখন ভেবে চিন্তে কথা বলছে। পরিস্থিতির কারণে মানুষ নিজেরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছেন। একই সাথে সুলতানা কামাল আরো জানান কিছু লিখলে বা কোন কথা বললে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠবে কিনা এটিও এখন বড় শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ব্যাপারে তিনি ব্লগার, লেখক, প্রকাশকদের হত্যার ঘটনাগুলোকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল ৭/৮ বছর ধরে বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে টকশোতে নিয়মিত অংশ নিয়ে আসছেন। কিন্তু তিনি বলছিলেন এক বছর ধরে তাকে ডাকা হয়না। এর কারণ তিনি জানতে পারেননি। তিনি জানান সব সরকারের সময়ই বাক স্বাধীনতা সংকুচিত করার চেষ্টা হয়েছে। এখন সেই চেষ্টাটা ভিন্ন ধরণের বলে তিনি মনে করছেন। আগের সরকারগুলো সমালোচক পত্রিকার সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিতো। এই সরকারের সময় দেখা গেলো দেশের প্রধান দু’টি পত্রিকায় একসঙ্গে বড় টেলিফোন কোম্পানিগুলো ব্যাংক এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়েছে কয়েকমাস আগে। এটা সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্ভব নয়।তিনি উল্লেখ আরো বলেন তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সামাজিক নেটওয়ার্কে বা এর বাইরে কারও মন্তব্য নিয়ে যে কোন অজুহাতে তাকে আটক করে রাখা যায় এবং অহরহ এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। আসিফ নজরুল ধারণা করছেন ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের পর সরকার নজিরবিহীনভাবে বাক স্বাধীনতার ওপর আঘাত করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন শিক্ষক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামও মনে করেন এই মেয়াদের আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি সবক্ষেত্রেই অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন। তিনি আরো বলেন এখন মানুষ খোলামেলাভাবে সরকারের সমালোচনা করতে সাহস পাচ্ছে না। বিরোধীদলগুলোর ওপর অনেক ধরণের নির্যাতন নেমে আসছে। গণমাধ্যমের ওপর পরোক্ষ চাপ রয়েছে। সমালোচনা ধ্বংসাত্নক রাজনীতিকে উস্কে দিতে পারে এমন চিন্তা থেকে হয়তো সরকার একটা অবস্থান নিতে পারে।কিন্তু সেটা আবার ভুল হতেও পারে । বিশ্লেষকরা এটাও বলেছেন খোলা মনে কথা বলার বা মুক্ত চিন্তার পরিবেশ তৈরি করা না হলে সেটা সরকার ও রাষ্ট্র এবং গণতন্ত্রের জন্য অনেক বড় ধরনের ক্ষতিকরও হতে পারে।

তথসূত্রঃ অনলাইন বিবিসি নিউজ ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

কল্লোল পথিক বলেছেন: ভাল লেগেছে

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওঃ মিন্টু ভাই, কেমন আছেন?

চালায়া যান।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

আমি মিন্টু বলেছেন: নিন ভাই আমার কোন দোষ নাই এখানে গেলে পুরো খবর পাবেন ।
http://www.bbc.com/bengali/news/2015/12/151210_bangla_human_rights

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.