নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বীরবল এর জীবন কাহিনী

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৮


জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর
বীরবল Birbal অথবা রাজা বীরবল তিনি ছিলেন সম্রাট আকবরের মোঘল সাম্রাজ্যের অন্যতম একজন সভা সদস্য। তিনি তার চতুরতার জন্যই মূলত সকলের কাছে সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন এবং ১৫৫৬ থেকে ১৫৬২ সালের দিকে একজন কবি ও গায়ক হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে তিনি সম্রাটের অত্যন্ত কাছের হয়ে পড়েন এবং নানা সেনা অভিযানে যান যদিও প্রকৃতপক্ষে তিনি এই বিষয়ে কোনরুপ শিক্ষা নেননি। ১৫৮৬ সালের সম্রাট তাকে ভারতের উত্তর দক্ষিণ দিকে বর্তমান আফগানিস্তানে পাঠান। কিন্তু সেই অভিযান অত্যন্ত শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয় এবং বিদ্রোহী উপজাতিদের আক্রমণে বহু সৈন্যসহ বীরবল মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু সম্রাটকে অত্যন্ত ব্যথিত করে। আকবরের শাসনামলের শেষের দিকে তার এবং বীরবলের মধ্যকার মজার ঘটনাগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে থাকে। এই কাহিনীগুলোতে তাকে অত্যন্ত চতুর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এই কাহিনী পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই গল্পে তিনি তার পরিপার্শ্বের সকলকে এবং স্বয়ং সম্রাটকেও বোকা বানান। বিংশ শতাব্দির দিক থেকে এই কাহিনীর উপর নাটক চলচ্চিত্র এবং বই লেখা হতে লাগে। বর্তমানে পাঠ্যবইয়ের এই কাহিনীকে স্থান দেয়া হয়েছে।

বীরবল এর প্রাথমিক জীবন কাহীনিঃ
ভারতের উত্তর প্রদেশের কল্পি নামক স্থানে ১৫২৮ সালের মহেশ দাস হিসেবে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ফোকলোর অনুযায়ী স্থানটি যমুনার তীরবর্তী তিকওয়ানপুর। তার পিতা গঙ্গা দাস এবং মাতা অনভা দাবিত। তিনি হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবার এর তৃতীয় সন্তান।পরিবারটির পূর্ব হতেই কবিতা এবং সাহিত্য সম্পর্কে অনুরাগী ছিল।তিনি হিন্দি সংস্কৃত এবং পার্সিয়ান ভাষায় জ্ঞানার্জন করেন। তিনি সংগীত এবং ব্রজ কবিতায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তিনি সংগীতে ছন্দ প্রয়োগের ব্যাপারে অত্যন্ত দক্ষ হয়ে ওঠেন। তিনি তার কবিতা এবং গানের কারনে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। তিনি রেবার রাজা রাম চন্দ্রের রাজপুত কোর্টে ব্রাহ্ম কবি নামে কাজ করেন। তার অবস্থার উত্তরণ ঘটে যখন তিনি একটি সম্মানিত এবং ধনী পরিবারের এক কণ্যাকে বিয়ে করেন। ইমপিরিয়াল কোর্টে কাজ করার পূর্বে তার অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না।ধারণা করা হয় ১৫৫৬ সাল থেকে ১৫৬২ সালের ভিতরে তার সাথে আকবরের প্রথম দেখা হয়েছিল। তার কয়েকদিনের ভিতরেই তিনি সম্রাটের কবি রাই হন। আকবর তাকে বীরবল নাম দিলেন এবং রাজা উপাধীতে ভূষিত করেন। তারপর থেকে তিনি এই নামেই পরিচিত হন। বীরবল নামটি এসেছে বীর বর থেকে যার মানে সাহসী এবং মহান। কিন্তু এই উপাধীটা কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক কারণ তিনি রণকৌশলে তেমন দক্ষ ছিলেন না। আকবর তার হিন্দু সভাষদদের তাদের ঐতিহ্যানুযায়ী নাম প্রদান করতেন। এস এইচ হোদিভালা বলেন এই নামগুলো বেতাল পঞ্চবিংশতী হতে নেওয়া হতে পারে। কারণ উক্ত বইয়ের বীর বর নামক এক চরিত্র একজন বিচারককে অনেক সম্মান প্রদর্শন করেন। আকবর সাহিত্য বিষয়ের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন। তিনি সংষ্কৃত এবং ভাষার বই পার্সিতে অনুবাদ করতেন।
বীরবল এর অবস্থান এবং ভূমিকা যা ছিলঃ
বীরবলের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা তাকে সম্রাট আকবরের নয়জন উপদেষ্টা অর্থাৎ নবরত্নের একজন করে দেওয়া হয়। অন্যান্য রত্নরা হলেন টোডার মল, মান সিংহ, ভগবান দাস প্রভৃতি। ক্রমেই তিনি একজন ধর্মীয় উপদেষ্টা, সামরিক কর্মকর্তা এবং সম্রাটের নিকট বন্ধু হয়ে পড়েন। সম্রাটকে তিনি প্রায় ৩০ বছর সেবা দান করেন।১৫৭২ সালে সম্রাট তাকে এবং এক বিশাল সেনাবাহিনীকে শের আফগান কোয়ালি খানকে তার বড় ভাই হাকিম মির্জার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য পাঠান। এটিই ছিল তার প্রথম সামরিক অবদান। যদিও তার কোন সামরিক অভিজ্ঞতা ছিল না তারপরেও অন্যান্য উপদেষ্টাদের মত যেমন টোডার মল অর্থনীতিতে অবদান রাখেন ঠিক সেইরুপ তাকে সম্রাট বিভিন্ন অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে পাঠান। আবুল ফজল এবং আব্দুল কাদির বাদওয়ানি কোর্টের ঐতিহাসিক ছিলেন। যদিও ফজল বীরবলকে সম্মান করত এবং তাকে প্রায় পঁচিশটি সম্মানজনক উপাধী দেন এবং দুইহাজার অভিযানের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন । কাদির হিন্দু হওয়ায় বীরবলকে সহ্য করতে পারত না। সে বীরবলকে বাস্টার্ড বলত এবং লিখত কিভাবে একজন ব্রাহ্মণ সংগীতশিল্পী হয়ে সে সম্রাটের এত প্রিয় এবং বিশ্বাসভাজন হয়ে ওঠে। কিন্তু একই সময়ে আকবরের অন্যান্য মুসলিম সভাষদরা তার প্রতিভা সম্পর্কে অবগত হয়েও তাকে পছন্দ করতেন না বলে জানা যায়।

আকবরের সাথে বিরবল এর সম্পর্ক
আকবর দীন ঈ ইলাহি নামে একটি ধর্ম প্রচার করেন। এই ধর্ম হিন্দুধর্ম এবং ইসলাম ধর্ম এর সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছিল এবং এই ধর্মমতে আকবর পৃথিবীতে এই সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত মানুষ। আইন ঈ আকবরী অনুযায়ী বীরবল আকবর ছাড়া সেই সমস্ত মানুষের একজন ছিলেন যারা এই ধর্ম গ্রহণ করেছিল এবং এই ধর্ম গ্রহণকারী একমাত্র হিন্দু ব্যক্তি। সম্রাটের সাথে বীরবলের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর ছিল। যদিও তিনি সম্রাটের চেয়ে চৌদ্দ বছরের ছোট ছিলেন। নবরত্নের মধ্যে বীরবল ছিল সবচাইতে দামি রত্ন। বাদওয়ানী একে বিকৃত করে বলে তার দেহ আমার দেহ ! তার রক্ত আমার রক্ত। আকবর দুইবার বীরবলের প্রাণ রক্ষা করেন বলেও জানা যায়।
কলকাতার ভিক্টোরিয়া হলে অবস্থিত আকবরী নয় রত্ন দেখা যায় বীরবল ঠিক আকবরের পরের স্থানেই আছেন। প্রথমে বীরবল সম্রাটকে বিনোদন দিলেও পরবর্তীতে তাকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে পাঠানো হয়। বীরবল সম্রাটের কাছ থেকে একটি দোতলা বাড়ি লাভ করেন যা সম্রাটের প্রাসাদের সীমানার মধ্যে ছিল। তিনি বীরবলকে কাছে পেয়ে বেশ আনন্দিত ছিলেন এবং তিনিই একমাত্র সভাসদস্য ছিলেন যিনি সম্রাটের প্রাসাদের চত্বরের মধ্যে স্থান পান। আকবরের প্রাসাদের সাতটি দরজার একটির নাম ছিল বীরবলের দরজা বীরবলস গেট অথবা ইংরজীতে বলা হয় Birbal's Gate ।

বীরবল এর ঐতিহাসিক ভূমিকা
ফোক গল্পে তাকে সর্বদাই ধার্মিক হিন্দু হিসেবে দেখানো হয়েছে । যিনি আকবরের চেয়ে বয়সে ছোট বিরুদ্ধ মুসলিম যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করত তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়। তার সাফল্যের কারণ ছিল তার দক্ষতা। এইভাবে তিনি তার বুদ্ধিমত্তা এবং ধারাল কথার সাহায্যে সম্রাটের উপর ধর্মীয় রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত প্রভাব খাটান। যদিও ঐতিহাসিকভাবে তিনি কখনই এমনটা করেননি।
বাদওয়ানী তাকে অবিশ্বাস করতেন যদিও তিনি বীরবল সম্পর্কে বলেন প্রচুর ক্ষমতা এবং প্রতিভা ধারণকারী। ব্রজ ভাষার কবি রাই হোল আকবর এবং তার নবরত্নকে প্রশংসা করেন এবং বীরবলের মহত্বের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। আবুল ফজল তাকে শ্রদ্ধা করতেন মূলত তার আত্মিক গুরুত্ব এবং সম্রাটের বিশ্বাসভাজন হিসেবে । তার চতুরতা কিংবা কবিতার জন্য নয়।
আধুনিক হিন্দু ঐতিহাসিকগণ মনে করেন তিনি আকবরকে বিভিন্ন সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছেন এবং মুসলিমরা তাকে হেয় করত কারণ তার কারণে সম্রাট ইসলামকে অবজ্ঞা করতেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি যার কারণে বলা যায় তিনি সম্রাটকে তার ধর্মের উপর প্রভাব খাটাতেন। বরং বিভিন্ন স্থান হতে জানা যায় যে তিনি সম্রাটের রাজনীতির উপর বেশ প্রভাব খাটাতেন। বীরবলের প্রতি সম্রাটের ভালবাসা তার ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সামাজিক স্বাধীনতাই এর কারণ ছিল বীরবল নয়। ইতিহাস অনুযায়ী তিনি আকবরের ধর্মীয় নীতি এবং ধর্ম দীন ঈ ইলাহির সমর্থক ছিলেন। আইন ঈ-আকবরী এ পতিতা সম্পর্কিত একটি ঘটনায় বীরবলের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জানা যায় যেখানে আকবর তাকে শাস্তি দিতে চান কারণ কিভাবে তার মত একজন ধার্মিক ব্যক্তি এমন একটা কাজ করতে পারেন।

বীরবল এর মৃত্যু
ভারতের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে আফগানিস্তানের ইন্দু নদীর তীরে ইউসুফজাই উপজাতি মোঘল শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। ১৫৮৬ সালে অনেক সৈন্য হতাহতের পর আকবর তার নতুন দুর্গ এটক হতে বীরবলকে এক সেনাদলের সাথে উক্ত স্থানে কমান্ডার জইন খানকে সাহায্য করার জন্য পাঠান। বীরবল পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হন। কিন্তু আফগানরা আগে থেকেই সেখানে প্রস্তুত হয়ে ছিলেন। এক মারাত্মক হামলায় বীরবল সহ প্রায় ৮০০০ সৈন্য উক্ত স্থানে মারা যান এবং বীরবলের দেহ কখনই খুজে পাওয়া যায়নি।
এটি ছিল আকবরের সর্ববৃহৎ সামরিক ব্যর্থতা এবং সেনা ধ্বংসের ঘটনা। এই ঘটনার ফলশ্রুতিতে আকবর প্রচন্ড শোকাহত হন এবং তার সবচেয়ে প্রিয় সভাষদের মৃত্যুতে তিনি টানা দুইদিন কোনরুপ খাদ্য কিংবা পানীয় গ্রহণ করেননি। তিনি আরো বেশি যন্ত্রণাকাতর হন কারণ হিন্দু শবদাহ রীতির ফলে তিনি বীরবলের দেহ আর কোনদিনই দেখতে পাননি। তিনি এই ঘটনাকে তার সিংহাসন লাভের পর সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটয়না বলে অভিহিত করেন।

বাদওয়ানী লিখেছেনঃ
সম্রাট বীর বরের মৃত্যুর পর যে সম্মান দেখান আর কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মৃত্যুর চেয়ে অনেক বেশি। তিনি বলেন হায়! তারা ওর দেহটাও ফিরিয়ে আনতে পারল না তাহলে তা দাহ করা যেত। কিন্তু শেষে তিনি নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দেন যে বীর বল এখন সকল পার্থিব প্রতিবন্ধকতা হতে সম্পূর্ণ মুক্ত এবং স্বাধীন। এবং তার জন্য সূর্যরশ্মিই যথেষ্ট তাকে আগুনে পোড়াবার কোন প্রয়োজন নেই।


তথ্যসূত্রঃ ইন্টানেট ।


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৯

প্রামানিক বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাপি নিউইয়ার ।

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২২

কল্লোল পথিক বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ধন্যবাদ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ভাই ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাপি নিউইয়ার ।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৬

কালের সময় বলেছেন: দারুন তথ্যমূলক পোস্ট

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১২

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তথ্যমূলক নয় ইতিহাসমূলক বলুন । :)

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১২

লিথ্যাল ব্রাহমোস বলেছেন: চাদ্গাজী আর আমার মধ্যে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে উনার পোস্টে। আমরা এখন বন্ধু। :)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৩

আমি মিন্টু বলেছেন: আরে ভাই এটাইতো নিয়ম ব্লগে কখনো বন্ধু হবেন আবার কখনো বান্ধবী পাবেন :P তবে দয়া করে কেউ কারো শত্রু
হয়েন না । শুভব্লগীং । নতুন বছরের শুভেচ্ছা থাকলো । :)

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

প্রামানিক বলেছেন: এভাবে বীরবলের মৃতু্্যটায় খারাপ লাগল।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪১

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই আমারো কিছুটা কষ্ট লাগল বীরবল এর জন্য |-)

৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

জামান হেপি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ধন্যবাদ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪২

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ জামান ভাই । হ্যাপিনিউয়ার । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.