নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্লোন এটিএম কার্ড ব্যবহার করে অর্থ জালিয়াতির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক জালিয়াতি এড়াতে যত দ্রুত সম্ভব চিপ ভিত্তিক এটিএম কার্ড চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন।এটিএম কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা চুরি হওয়ার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার ঢাকায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা জানিয়েছেন ম্যাগনেটিক কার্ড একটু পুরনো দিনের। সেই তুলনায় চিপ ভিত্তিক কার্ডে জালিয়াতি করা কঠিন হবে।
গত শুক্রবার থেকে ইস্টার্ন ব্যাংক সিটি ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চারটি এটিএম বুথে গ্রাহকের কার্ডের তথ্য উপাত্ত চুরি করে এটিএম থেকে অর্থ তোলার ঘটনা ঘটে।তাই বাংলাদেশ ব্যাংক বলছেন স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে এইসব তথ্য চুরি করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ওই চারটি বুথে ১২০০ কার্ডে লেনদেন হয়েছে।তবে তথ্য চুরি এবং কার্ড ক্লোন হয়েছে ৩৬টির মতো কার্ডে। এভাবে প্রায় ২০ লাখের মতো অর্থ চুরি করা হয়েছে।কার্ড জালিয়াতির ঘটনার পর ওই ১২০০ কার্ড ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে।শুভঙ্কর সাহা বলেছেন আগামী সাত দিনের মধ্যে ক্লায়েন্টদের চুরি হওয়া টাকা ফিরিয়ে দেবে ব্যাংকগুলো এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।কালই টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। সেই সাথে এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে এটিএম বুথগুলোতে স্কিমিং যন্ত্র বসিয়ে কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা ওঠানোর সাথে পূর্ব ইউরোপের কজন নাগরিক জড়িত আছে।ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন এটিএম বুথে জালিয়াতির ঘটনায় চার থেকে পাঁচ জন বিদেশি নাগরিক এখন পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন।তাদের ঘিরেই পুলিশ এখন তদন্ত চালাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন এটিএম বুথের সিসিটিভি ফুটেজে আমরা দেখেছি ৪থেকে৫ জন লোক একই মুখাবয়বের তবে তার মধ্যে একজনের চেহারা স্পষ্ট।তাদের সাথে কজন বাংলাদেশীও রয়েছেন বলে পুলিশ সন্দেহ করছেন।আমরা তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়ার পর জড়িত সব ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করবো।সম্প্রতি ঢাকার বেশ কটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের এটিএম বুথে ক্লোন কার্ড ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলনের ঘটনা ঘটেছে। তাতে অন্তত ১০০০ গ্রাহক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ব্যাংকগুলো বলছে।
এটিএম কার্ড গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠবার পর গত রোববার দেশটির অধিকাংশ ব্যাংকই তাদের এটিএম বুথগুলো থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের সেবা দেওয়া বন্ধ রাখে।বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যাশনাল পেমেন্ট সিস্টেমের আওতায় এটিএম বুথে আন্তঃ ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে অর্থাৎ এক ব্যাংকের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকেরা অর্থ লেনদেন করতে পারেন।কিন্তু গত শুক্রবার বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের ২১ জন গ্রাহকসহ আরো কয়েকটি ব্যাংকের গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের তথ্য জালিয়াতি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্কতা জারি করার পর ব্যাংকগুলো এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশে এটিএম কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৮৫ লাখ।
তথ্যসূত্রঃ অনলাইন বিবিসি নিউজ।
এখানে আরেকটি ভালো সংবাদ আছে ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫২
আমি মিন্টু বলেছেন: সংবাদটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । আর সাথে বসন্তের শুভেচ্ছা ।
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭
কালের সময় বলেছেন: ভালো সংবাদ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১
আমি মিন্টু বলেছেন: সংবাদটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
ঝালমুড়ি আলা বলেছেন: ভালো তথ্য দিয়েছেন+++++++
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫২
আমি মিন্টু বলেছেন: সংবাদটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । ওহ আচ্ছা ভাই বা আপু আপনি কি ঝাল মুড়ি বিক্রি করেন ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮
শাহ আজিজ বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা জানিয়েছেন ম্যাগনেটিক কার্ড একটু পুরনো দিনের। এটুকুতে বোঝা যায় যে ব্যাঙ্কগুলো ও বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক ঠিক কি ভাবে নিরাপত্তার ফাঁকফোকড় রেখেই সস্তায় পুরাতন মেশিন কিনছে । তারা নিজেদের আপডেটেড রাখেন না উন্নত দেশের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা সম্পর্কে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে। তারাই জানিয়ে দেবেন ঠিক কি করতে হবে।