নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী ধর্ষনে তার পোশাক দায়ী নাকি পুরুষের চোখ দায়ী ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৫



বাংলাদেশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় একজন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ তুলে কুমিল্লা এবং রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ করেছে। তাঁর পরিবারও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করেছে।
গত রোববার কুমিল্লা সেনানিবাসেরই বাসিন্দা সোহাগী জাহান তনু নামের ঐ শিক্ষার্থীর মৃতদেহ পাওয়া যায় ।
নারী অধিকার আন্দোলনকারীরা বলেছেন,
আমরা সব সময় ধর্ষণ হওয়ার জন্য নারীদের পোশাক আশাককে বেশি দায়ী করি। কিন্তু এবার তনু ধর্ষণ ও ঘটনার পর পোশাকের শালীনতার সঙ্গে ধর্ষণের যোগাযোগ কতটা সম্পর্কিত তা নিয়ে অনেকের মনে অসংখ্য প্রশ্ন জেঁগে উঠেছে।
তনুর বাবা কুমিল্লা সেনানিবাসে বোর্ডে একজন বেসামরিক কর্মচারী।সেই সুবাদে সেনানিবাসে তারা কোয়াটারেই বসবাস করে আসছিল।তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট হলো তনু ।বোন তনু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।তাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ তুলে তার কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বুধবার কুমিল্লায় বিক্ষোভ কর্ম সূচি পালন করেছেন ।ঢাকাতেও শাহবাগ এলাকায় গণজাগরণ মঞ্চে এবং ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ আলোচনা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন ।
বোন তনু লেখাপড়ার পাশাপাশি তার কলেজে নাটকসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত ছিলেন।টানাটানির সংসার তাই বোন তনু কুমিল্লা সেনানিবাসের ভিতরেই টিউশনি করে নিজের খরচের জন্য কিছু টাকা যোগাতেন। তার বড় ভাই নাজমুল হোসেন বলেছেন গত রোববার ২০শে মার্চ বিকেলে তার বোন টিউশনি করতে যায়। কিন্তু রাত আটটা বাজে না ফিরলে তার মা তনুর সন্ধান করতে রাস্তায় যান।
মিঃ হোসেন আরও বলেছেন তার বোন যে বাসায় পড়াতে যেতো সে বাসায় খোজ নিয়ে জানা যায় সন্ধ্যা সাতটাতেই তনু চলে গেছে। রাত দশটার দিকে তাদের বাবা বাসায় ফিরলে তখন আবার তারা তনুকে খুজতে বের হন। যে পথ দিয়ে টিউশনির বাসায় যেতেন সেই পথেই সেনানিবাসের ভিতরে একটি কালভার্টের নীচে মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ঢাকায় বিক্ষোভ থেকে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া কয়েকজন বলেছেনন ঘটনার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ এখনো পযন্ত পরিষ্কার করে কিছু বলছে না সেজন্য তাদের সন্দেহ হচ্ছে।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেছেন ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা করা হতে পারে পুলিশ প্রাথমিকভাবে এমন ধারণা করছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে চান না।
সোহাগী জাহান তনু হিজাব পড়তেন। এ ধরণের ছবি সামাজিক নেটওয়ার্কে প্রকাশ হয়েছে।তাই প্রথমেই নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী সংগঠনগুলো বলছেন এর আগে কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে তার পোশাক নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলতেন সমাজের লোকজন ।কিন্তু এখন সেই প্রশ্ন অবান্তর বলে মনে করেন নারী আন্দোলনের অন্যতম একজন নেত্রী ফরিদা আকতার। তিনি বলেছেন
যারা নারীদের ওপর শারীরিকভাবে আক্রমণ করে পোশাক অথবা বয়স কোন কিছুই তাদের কাছে বিষয় নয়। এটা বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে ।
ফরিদা আকতার আরও বলেছেন ধর্ষণের শিকার নারীর পোশাককে যারা দায়ী করতে চায় তারা আসলে ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে দোষী বানাতে চায়।তারা নারীর বিরুদ্ধেই কথা বলতে চায়।
ঘটনাটিকে ঘিরে সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুকে বেশ তৎপরতা হয়ে উঠেছে। তবে মূল ধারার সংবাদমাধ্যমগুলোতে এখনো পযন্ত এই ঘটনা নিয়ে সেরকম কোন খবর ছাপা হয়নি । এবার হয়ত আমাদের সককলে কিছুটা হলেও চোখের পর্দা খুলবে আসলে একজন নারী ধর্ষন হওয়ার পিঁছনে আমরা যে তার পোশাককে দায়ী করি আসলে সেটা আমাদের একটি ভুল ধারণণা ।

ছবিতথ্যঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.