নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেএইচ.আর, চৈতী

অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারি না ...

বিকেলে ভোরের ফুল

অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারি না...

বিকেলে ভোরের ফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাসে নাজেহাল নারী

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১১





মানসিকতা পরিবর্তনের বিকল্প নেই-অভিমত ভুক্তভোগীদের

প্রতিদিন পাবলিক বাসে নারীদের পোহাতে হয় অসহনীয় দুর্ভোগ। কখনও তারা প্রতিবাদ করেন, কখনও করেন না। প্রতিবাদ করলে পুরুষ যাত্রীরা একজোট হন। চলতে থাকে নানা বাণী বর্ষণ-মাইয়া মানষের এমন হতে নেই, এত কথা ক্যান, মাথা নামায়া চলেন, চরিত্র ঠিক আছে তো? আরও কত কী! ২০০৯ সালে সরকার নিয়ম করে দেয়, প্রতিটি পাবলিক বাসে মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য অন্তত নয়টি সিট সংরক্ষিত থাকবে।

সংরক্ষিত সিট নেই

বেলী শ্যাওড়াপাড়া থেকে ফার্মগেট যাবেন। ঠিকঠাক ভাড়া মেটালেও বিজয় সরণিতে তাকে নেমে যেতে হল। কারণ বাসে তার পাশে দাঁড়ানো লোকটি তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করছিলেন। পুরো বাসে তিনজন নারী ছিলেন। শিকড় পরিবহনের গাড়িটিতে সংরক্ষিত ছয়টি সিটের ঘোষণা থাকলেও সেগুলো পুরুষ যাত্রীতে ভরা। সংরক্ষিত আসনে বসে থাকা এক পুরুষ যাত্রীকে জায়গা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করা হলে তিনি বলে ওঠেন, নারীর সমানাধিকার চান আবার সংরক্ষিত আসন লাগবে কেন? শেষমেশ মেয়েটি তার পাশের পুরুষ যাত্রীটিকে সরে দাঁড়াতে বললে তিনিও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বাকি যাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, এসব মেয়ের আচরণের ঠিক নেই। বাকি যাত্রীরা একজোট হয়ে তাকে নানা উপদেশ দিতে থাকেন। ফলে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই নেমে যেতে হয় মেয়েটিকে।

প্রতিবাদী নারীর বিপদ বেশি

যাতায়াতের সময় নানা হয়রানির মধ্যে যদি কেউ প্রতিবাদ করে বসেন সে নারীর বিপদ বেশি। নারীদের জন্য সাধারণত তিনটি সিট দেওয়া হয়ে থাকে। সেগুলো ইঞ্জিনের ওপর। এগুলো পরে লাগানো বাড়তি সিট এবং অস্বাস্থ্যকর। ইঞ্জিনের গরমে তাদের বসতে দেওয়াটাও যেন অনেকের দয়ায় পাওয়া। সাবিনা ইয়াসমিন রোজ মিরপুর ১০ থেকে শাহবাগ আসেন। তিনি বলেন, ‘বাসে ওঠার সময় হেলপার ইঞ্জিনের সামনের সিট দেখিয়ে দেয়। ওখানে না বসে মাঝামাঝি কোনো ফাঁকা সিটে বসতে গেলে পুরুষ যাত্রীরা আবারও ইঞ্জিনের সামনের সিটে বসতে বলেন। এই ঘটনা রোজ ঘটে। আমি কেন ওই গরমে বসব-এমন প্রশ্নের জবাবে শুনতে হয়, পুরুষদের ভিতর বসতে ভালো লাগে? যারা চুপচাপ গরম ইঞ্জিনের ওপর বসে থাকেন তাদের এই বিশ্রী মন্তব্য শুনতে হয় না।’ প্রতিবাদী নারীর এ নাজেহালের কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেন নারী নেত্রী আয়শা খানম। তিনি বলেন, নারী উচ্চস্বরে প্রতিবাদ না করে অন্যায় সহ্য করবে, এটা তো পরিবারেও শেখানো হয়। ফলে মেয়েটি তার হয়রানির কথা মুখে উচ্চারণ করলে সেটাকে অন্যায় কাজ হিসেবে ভাবা হয়। আর পুরুষরা বাজে কাজ করলেও সেই বাজে কাজের কথা কোনো মেয়ের মুখ থেকে শুনলে আমরা বিরক্ত হই।

রাজধানী জুড়ে অফিস টাইমে নারীদের জন্য বাসে ওঠা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ সময় সংরক্ষিত নয়টি সিট তো দূরের কথা, দুয়েকটি সিটও থাকে না। মোহম্মদপুর থেকে সায়েন্স ল্যাবে অফিস করেন মালিহা রহমান। প্রতিনিয়ত এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করে অফিসে পৌঁছেন। তিনিসহ আরও অনেক নারীর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, অফিস টাইমে সিটিং বাসে উঠতে পারার প্রশ্নই ওঠে না। আর লোকাল বাসে কিছু পুরুষের দ্বারা যেসব হয়রানির শিকার হতে হয় তাতে করে চাকরিস্থলে যেতে মন চায় না।

এই রুটেরই নিয়মিত যাত্রী সোমা বলেন, অফিসে যাওয়া বা আসার সময় হেলপাররা কোনোভাবেই উঠতে দেয় না। তারা জোরে জোরে চিত্কার দিয়ে বলতে বলতে যায়-মহিলা ওঠা যাবে না। তাহলে আমাদের ব্যবস্থা কী হবে?

হেলপারদের নিপীড়নের প্রতিবাদ নেই

বাসে যারা ওঠেন সেই নারীদের সবচেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হল বাসে ওঠা-নামার সময় হেলপারের বিকৃত মানসিকতার শিকার হওয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাস চলন্ত অবস্থায় যাত্রী নেয়। এ সময় ওঠা বা নামার সময় দরজায় হেলপার দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের নেমে দাঁড়ানোর নিয়ম থাকলেও অন্য অনেক নিয়মের মতো এই নিয়মও মানা হয় না। এই ওঠা-নামার সময় হেলপাররা নারী যাত্রীদের নানাভাবে নাজেহাল করে। হয়রানির শিকার নারীরা মন্তব্য করেন, এ থেকে পরিত্রাণ পেতে বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুরুষদের মানসিকতা পরিবর্তনের বিকল্প নেই। তারা বলছেন, নীতিনির্ধারকদের ভিতর যারা নারী আছেন তারা বাসের অবস্থা না জানার কারণে এর কোনো উন্নতি নেই। আর নারী নেত্রীরা বলছেন, নারীর চলার পথে এত বাধা বিপত্তি তৈরি হতে থাকলে তা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আর নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে চর্চা চলে আসছে তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তারা।



" " সকালের খবর পত্রিকা থেকে আপনার জন্য ব্লগে তুলে ধরলাম। আমি কখনো বাসে উঠলে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে কোন পুরুষকে বসে থাকতে দেখলে তাকে ভদ্রভাবেই বলি , ভাই আপনি তো নারী নন তাহলে কেন নারীর আসনটি দখল করে আছেন, তার মানে আপনি নিশ্চয়ই প্রতিবন্ধী তাই এখানে বসে আছেন। তখন যদি পুরুষটি সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হন তবে সিট থেকে উঠে বসার জায়গা করে দেন আর জায়গা না দিলে তো বুঝতেই পারছেন উনি ;) .... " "

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২১

রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: কি আর বলবো,অন্যান্য বাংগালীদের আমিও আজ নীরব কারণ এদেশে সাধারণ পাব্লিকরা কিছুই করতে পারেনা-পারে অসাধারণেরা যারা নিজেদের নিয়েই সবসময় ব্যস্ত থাকে!

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৬

মদন বলেছেন: মানসিক প্রতিবন্ধী ছাড়া কোনো সুস্থ মস্তিস্কের লোক মহিলাদের সংরক্ষিত আসনে গ্যাট হয়ে বসে থাকতে পারে না। :)

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৩

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: ভয়াবহ বাস্তব চিত্র তুলে ধরলেন


আমাদের এর প্রতিকার করতে হবে আর সচেতনতাও বাড়াতে হবে

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৬

মোগল সম্রাট বলেছেন: নারীর সমানাধিকার চান আবার সংরক্ষিত আসন লাগবে কেন?


এই প্রশ্নের জবাব কি হবে ?

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৯

মামুন বিদ্রোহী বলেছেন: ভয়াবহ

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫২

জাল মুড়ি্‌ বলেছেন: আমরা বুঝে না বুঝার ভান করি , আমাদের সমাজের কিছু শিক্ষিত বুড়োদের সভাব নারীদেরকে অসম্মানে সম্মানিত করা ।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৮

বলেই ফেলি বলেছেন: লেখাটা পড়েই বুঝতে পারছি যে আপনি নারী।
যাই হোক আপনি নারী হোন আর পুরুষই হোন তা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই।
নারীরা সমান অধিকার কথা বলে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে চায়। আমার কথাটা মিথ্যে প্রমাণ করতে চাইলে আমাদের ভাই যে কথাটা বলেছেন তা মানতে হবে-নারীর সমানাধিকার চান আবার সংরক্ষিত আসন লাগবে কেন?
আমি মনে করি যে আগে আসবে সে আগে সিটে বসবে।
সমান অধিকার আইনের আগেও নারী গাড়িতে চালা-চল করেছে তখন এই পুরুষরাই নিজে না বসে তাদেরকে বসার যায়গা করেদিত। এখন কেন দেয় না তার জন্য নারীরাই দায়ী।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: অবস্থা তো অবশ্যই ভয়বাহ, তবে সেটা শুধু বাস ট্রেন বলে না, সমাজের সর্ব স্তরেরই এমন কি এই সামহোয়ার ইন ব্লগেই এই সমস্যা। আমরা মুখে মেয়েদের বলবো প্রতিবাদী হয়ে উঠতে, কিন্তু সে যখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে, এমন কি সেটা যদি তার নিজের সাথেও করা হয়ে থাকে, তখনও আবার আমরাই গোষ্টি বদ্ধ ভাবে তার চরিত্রহননের জন্য উঠে পড়ে লাগবো।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৬

বোরহান উদদীন বলেছেন:
বাস্তব বিরক্তিকর একটা সমস্যার কথা তুলে আনার জন্য অনেক ধন্যবাদ, মা বোন আমাদের সবার আছে অবশ্যই আমাদের উচিত এখন ই এই সমস্যা সমাধানের লক্ষে কাজ করা। বর্তমানে দেশের প্রধান মন্ত্রি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি নারি হওয়া সত্ত্বেও কেন নারীদের এই বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।?

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৬

অসাধু বালক বলেছেন: বলেই ফেলি । একদম মন্দ বলেননি।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২১

মোগল সম্রাট বলেছেন: আমি আনেক পুরুষকে দেখেছি নিজে সিট থেকে উঠে একজন নারীকে বসতে দিয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত দেখিনাই কোন মহিলা তার সিট থেকে উঠে তার বাবার বয়সী হলেও কাউকে বসতে বলে। তাই এই ব্যপারে নারীদের অভিযোগ কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য না..............

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০০

বিকেলে ভোরের ফুল বলেছেন: ভাই আপনি না দেখলেও আমি দেখেছি, অনেক মেয়েই তার নিজের আসনটি ছেড়ে বাবা কিংবা মা'র বয়সীদের বসার জন্য জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে। আর সমঅধিকার চাইলে কি বাসে মেয়েদেরকেও ঝুলতে ঝুলতে হবে? আপনার বোন কিংবা স্ত্রী যদি বাসে ঝুলতে ঝুলতে যায় আর তার প্রতি বাসের অন্যান্য পুরুষ যাত্রী গায়ে গা লাড়িয়ে দাড়িয়ে থাকে তবে আপনার নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না। একজন মেয়েকে শুধুমাত্র মেয়ে হিসেবে না দেখে তাকে মা-বোনের সম্মানে দেখলে হয়তো এই সমস্যাগুলোতে পড়তে হতো না।

১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৬

মোরশেদ পারভেজ বলেছেন: মোগল সম্রাট বলেছেন: নারীর সমানাধিকার চান আবার সংরক্ষিত আসন লাগবে কেন?
আমি আনেক পুরুষকে দেখেছি নিজে সিট থেকে উঠে একজন নারীকে বসতে দিয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত দেখিনাই কোন মহিলা তার সিট থেকে উঠে তার বাবার বয়সী হলেও কাউকে বসতে বলে।


বলেই ফেলি বলেছেন:নারীরা সমান অধিকার কথা বলে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে চায়।

বোরহান উদদীন বলেছেন: বর্তমানে দেশের প্রধান মন্ত্রি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি নারি হওয়া সত্ত্বেও কেন নারীদের এই বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।?

আমার মত: ছবিতে নারীর জায়গায় পুরুষ বসালে কোন ও "বিড়ম্বনা" মনে হয় না? প্রধান মন্ত্রি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি কি আসলেই নারী. . . . ??!!?!?!?!?!?!?!

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৩

লাইট ভাই বলেছেন: কিছু অসুস্থ মাথার পুরুষদের কাছে বাসে মেয়েদের সাথে ধাক্কাধাক্কি করাটা আনন্দের ব্যপারও ভাই। খুবই দু:খের বিষয়।

১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৮

বালক বন্ধু বলেছেন: নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন মানি, কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা তখনি হয় যখন নারীরা ভুলে যান এই সিটগুলো শুধু নারীদের জন্য নয়, শিশু ও প্রতিবন্ধীও এতে যুক্ত আছে।

আমি বাসে উঠলে কখনোই কোন নারি আমার অধিকারের জায়গা ছেড়ে দেয় নি। কতবার পেছনে যেতে গিয়ে ব্যথা পেয়েছি, হাত পা কেটেছে তার হিসেব নেই। (আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী) অনুরোধ করলেও কেউ শুনেনা।

১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫২

জানপরী বলেছেন: আমি সচারচর বাসের যেকোন সিটে বসে থাকলেও পাশে যদি কোন মেয়ে দাড়িয়ে থাকে তাহলে সে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে হোক আর দাদীর বয়সী মেয়ে হোক তাদের বসার জন্য নিজের বসার সিট ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে থাকতাম। কিন্তু গত রোজার প্রথম দিকে ফাল্গুন গাড়ীতে এক বিশ্রী রকমের অভিন্গতার কারণে পণ করেছি আর কখনও কোন মেয়েকে নিজের বসার সিট ছেড়ে উঠে দাড়াবোনা। অভিন্গতাটা লিখলাম না কারণ হাতে সময় কম।

কারণ মেয়েদের যেমন সম্মান আছে এমনি ছেলেদেরও সম্মান আছে।

১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৪

ভয়েস অব বিডি বলেছেন: এই ঘটনা গুল অত্যন্ত দুঃখ জনক এবং লজ্জা জনক। একবার বনানি থেকে বাসে উঠলাম সাথে ছিল আমার আম্মু। উঠে দেখি ১ টাও সিট নেই। আর মহিলা সিটে বসে আছে পুরুষরা, উদেরকে ভদ্র ভাবে বললাম মহিলা সিট ছেরে দ্বিতে, তারা কেউ কানেও নিল না আমার কথা। তারপর যখন বললাম, আপনাদের জন্য শারি,চুরি কিনে রাখতে হবে বাসে যাতে আপনারা মহিলা সিটে বসতে পারেন, হিজড়া গুলো সব। এই কথা সুনার পর সবাই সিট ছেরে দিয়েছে।

১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩২

রাকি২০১১ বলেছেন: পুরুষদের মহিলা সিট দখল করে রাখা যেমন নিন্দনীয়; মহিলা সিট খালি রেখে পুরুষ সিট আগে দখল করাও সমানভাবে নিন্দনীয়।
আমি নিজে এর সাক্ষী। হ্যাঁ, যদি সংরক্ষিত সিট পুরা হয়ে যায় তাহলে পুরুষের সিটে বসা অবশ্যই নিন্দনীয় নয়।

আর এই কাজ গুলা করেন আমাদের একটু বেশি শিক্ষিত(আসলে যারা দুই লাইন বেশী বুঝেন) আপু/খালাম্মারা।

এদের কারনেই অন্যান্য মহিলারা পুরুষদের কটুক্তির স্বীকার হন




১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৩

আমি অতি সাধারণ বলেছেন: ধুর । মানুশের ধৈর্য দিন দিন যেভাবে কমতেছে কিছুদিন পর হাসিনা আনটি বলবে আমরা অতি দ্রুত ভারত থেকে কেজি দরে ধৈর্য আমদানি করব। by the way, সব জ্ঞানীগুণী পুরুশদের বলছি বাসে দয়া করে মহিলাদের আসন ছেড়ে দিবেন ।

১৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩

বলেই ফেলি বলেছেন: আমি অতি সাধারণ:আপনাকে বলছি মহিলাদের দালালি বাদ দেন, লেখক এখনে সমান সমান অধিকারের বলছেন, সমান সমান অধিকার পেতে চাইলে যে আগে আসবে সে আগে সিটে বসবে।
সমান সমান অধিকার আইনের আগেও নারী গাড়িতে চালা-চল করেছে তখন এই পুরুষরাই নিজে না বসে তাদেরকে বসার যায়গা করেদিত।
পুরুষ ঠিকই স্মমান দিতে জানে কিন্ত নারীরা সমান অধিকার কথা বলে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে চায় বলেই প্রাপ্যটুকুও হারায়।

২০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩

ফাইয়াদ ইফতিখার রাফী বলেছেন: আজ পর্যন্ত দেখিনাই কোন মহিলা তার সিট থেকে উঠে তার বাবার বয়সী হলেও কাউকে বসতে বলে।

২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: shudhu ai obosthar jonno public bus a othi na, ar a jonno income er 60% chole jay transport a cost er pechone.. Kobe je manosik dik diye amra aktu shusto hobo!

২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪

তারেক বলেছেন: @আমি অতি সাধারণ, ভাই আপনার টাকাতে তো আর আমরা বাসে চড়িনা। মেয়েদের জন্য তো ৯টি আসন দেয়া হয়েছে ,আবার সিট ছাড়ব কেন? খুব দরদ।

@ লেখক, আমিও এপর্যন্ত কোন মেয়েকে দেখিনি বাবার বয়সী মানুষের জন্য সিট ছেড়ে দিতে।
আর সমান অধিকারের কথা বলছেন, ছেলেরা ঝুললে মেয়েদের ঝুলতে এত লাগে কেন? কষ্টের সময় "আমি তো মেয়ে মানুষ" আর অধিকারের বেলায় "আমি মানুষ" । ছেলেরা যেমন কষ্ট করে তেমনি মেয়েরাও কষ্ট করবে।
আর আপনের ভাই বা স্বামী যখন অন্য মেয়েদের ধাক্কা দেয় , সেতা কি ঠিক?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.