![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোকাসোকা মানুষ, কঠিন কথা বুঝিনা। মৌলবাদের গুষ্ঠি কিলাই। লিখতে ভাল্লাগে তাই লিখি। যোগাযোগ: [email protected]
কুরবানী কি? সকল ‘সমর্থ’ মুসলমানকে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্য একটি পশু বা পশুর একাংশ উৎসর্গ করতে হয় বছরে একবার, ঈদুল আযহা’র দিন। ‘কুরবানী’ অর্থই ‘উৎসর্গ’। আর এই উৎসর্গ করার প্রক্রিয়া হলো সেটাকে ধর্মীয় উপায়ে জবাই করা। তারপর সাধারণত সেটার মাংসকে তিন ভাগ করে এক ভাগ গরীবকে, একভাগ অপেক্ষাকৃত অসচ্ছল আত্মীয়-স্বজনকে দান করতে হয়।
প্রথমত, জবাই বা জবেহ পদ্ধতি নিয়ে বলি। ইসলামে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- সেটা থেকে এটা খুব পরিষ্কার, যে জবাইকৃত পশুর মৃত্যুযন্ত্রণা যতটা সম্ভব লাঘব করার প্রচেষ্টা করতে হবে। বৈজ্ঞানিক একটা ব্যাখ্যা দেখলাম- চামড়া আর রগ কাটার চেয়ে হাড় কাটা/ছিদ্র করা অনেক বেশি বেদনাদায়ক। কাজেই, জবাই প্রক্রিয়ায় কষ্ট কম। এছাড়া যেহেতু এ প্রক্রিয়ায় পশুর শরীরের সব রক্ত বেরিয়ে যায়- ফলে মাংসে কোনো রক্ত থাকে না এবং সেটা ভক্ষণের জন্য অধিক স্বাস্থ্যকর। তবে একটা ছোট্ট প্রশ্ন: যদি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এমন কোনো নতুন পন্থা আবিষ্কৃত হয়, যাতে পশুর মৃত্যুযন্ত্রণা আরো কমানো সম্ভব- তাহলে কি হবে? সেটা কি মুসলমানরা মেনে নেবেন? আর সবার কথা জানিনা, তবে আমি সম্ভবত সে প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পক্ষপাতী হবো।
দ্বিতীয়ত, পশুর মাংস আমরা (প্রায়) সবাই ভক্ষণ করি। প্রতিদিন কত লক্ষ পশু বাংলাদেশে নিহত হচ্ছে ১৬ কোটি মানুষের উদরপূর্তির জন্য- সেটার সঠিক পরিসংখ্যান আমার জানা নেই। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো, কুরবানীর ২-৩ দিন আগে থেকে মাংসের দোকানগুলোতে তালা ঝোলে; মানুষ আর দোকানে মাংস কিনতে যায় না। মাংস ব্যবসায় মন্দা চলে কুরবানীর পরের এক-দেড় মাস বা তার চেয়েও বেশি। এই মোটামুটি দেড়-দু’মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় পশুহত্যা হয় শুধুমাত্র একদিন, সেটা হলো ঈদের দিন। কাজেই, ‘কুরবানীর নামে নির্বিচারে পশুহত্যা’- কথাটির অর্থ আমার কাছে বোধগম্য নয়।
তৃতীয়ত, যখন কুরবানীর প্রচলন হয়, সে যুগে মানুষ নিজগৃহে পশুপালন করতো। তারা খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য পশুহত্যা করতো, এবং তারপর সেটা প্রক্রিয়াকরণ করে রান্না করে খেত। সে সময় নিয়ম করা হলো, বছরে একটা দিন প্রত্যেক সমর্থ ব্যক্তি একটি পশু জবাই করবে এবং তার মাংসের তিনভাগের দু’ভাগ বিলি করবে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র এবং অনাহারীদের মধ্যে। আজকের বাংলাদেশে ঘরে ঘরে গরু-ছাগল পালা হয় না। তবে, আমরা আজও মাংসভূক। আমি যখন ঢাকা ছাড়ি, তখন গরুর মাংসের কেজি ছিলো ১৪০-১৬০ টাকা, ছাগলের/খাসীর মাংস ৩৫০-৬০০ টাকা পর্যন্ত। বলা বাহুল্য, নিম্নবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বছরে একটা দিন তাদেরকে মাংস খাবার সুযোগ করে দেয়ার মধ্যে খারাপ কিছু দেখিনা আমি।
এবার আসা যাক একটু ভিন্ন ধরনের আলোচনায়।
যখন কুরবানীর হাটে যাই গরু কিনতে, সব ক্রেতাদেরকেই দেখি গরুতে মাংস কয় মণ হবে- সেটা অনুমানের চেষ্টা করতে। ঠিক একইভাবেই বিক্রেতারাও গরুর বিজ্ঞাপন করেন মাংসের হিসাবে- “এক্কেবারে তাজা গরু স্যার। তিন মণের কম মাংস হইবো না। এক্কেবারে চর্বি নাই।” ইত্যাদি ইত্যাদি। সবার বাড়ি বাড়ি দাড়িপাল্লা থাকে, গরুতে মাংস কতটুকু হলো সেটা মেপে দেখার জন্য। পরবর্তীতে চলে তুলনা: “পাশের বাড়ির গরুটাও ত্রিশ হাজার টাকা, তবে ওদের মাংস আড়াই মণের বেশি হবেনা। আমরা পেয়েছি সাড়ে তিন মণ!” এর মধ্যে আমি ‘কুরবানী’ তথা ‘উৎসর্গ’ খুঁজে পাইনা। আমার বাবা কখনো বাসায় দাড়িপাল্লা রাখেন না। কেউ কখনো তাঁকে যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘মাংস কতটুকু হলো?’ তিনি উত্তর করেন, ‘মাংসের জন্য কুরবানী দিই নি’। একবার আমাদের একজন খুব কাছের মানুষ আমাদের সাথে ভাগে কুরবানী দিতে চাইলেন, কারণ তাঁর মাংস দরকার কিন্তু সম্পূর্ণ একটা গরু কুরবানী দেয়ার ইচ্ছে নেই; ‘এত মাংস দিয়ে কি হবে? আমার তো এক ভাগ হইলেই চলে। তিন-চার দিন মেহমান খাওয়াইতে হবে।’ আমার বাবা সযত্নে তাঁকে এড়িয়ে গেলেন।
আমরা আসলে কেন কুরবানী করি? কুরবানীর ঈদের দিন শত আনন্দ-উৎসবের মধ্যে আমাদের মনে কি পশুটার জন্য একটু দরদ, একটু মায়া জাগে? আমরা কি মাংস বিলি করি- দরিদ্রদের প্রতি ভালোবাসা, সহানুভুতি থেকে? তাহলে ওরা যখন মাংস নেয়ার জন্য কাড়াকাড়ি, হৈচৈ করে, আমরা তাদেরকে গালাগাল করি, বকাঝকা করি কেন? আত্মীয়-স্বজনদেরকে মাংস বিলি করার ক্ষেত্রে সেসব আত্মীয়-স্বজনদের অগ্রাধিকার- যারা কুরবানী করার মত স্বচ্ছল নয়। আমরা কিন্তু বরং নিজেদের স্বচ্ছল আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু মহলের মধ্যেই মাংস আদানপ্রদানের ব্যস্ত থাকি। এক পোটলা মাংস দিয়ে তার বদলে আরেক পোটলা মাংস নিয়ে আসি। এর নামই কি কুরবানী?
এবার আসা যাক, উচ্চ মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত তথা সামাজিক প্রতিপত্তিশালী সম্প্রদায়ের কুরবানী প্রসঙ্গে। তাঁদের ব্যাপারটা আরো চড়া সুরে বাঁধা। তাঁদের গরুর আকার এবং মূল্যই প্রধান। পাড়ার সবচেয়ে ধনী লোকটার গরু সবচেয়ে দামী হতে হবে। কেউ কেউ আবার দশটা-বিশটা গরু কুরবানী দেন। ঢাকার এক এলাকার দুই নেতার মধ্যে রেষারেষি আছে। একজন হাটের সবচেয়ে বড় গরুটি কুরবানী করেন, আরেকজন ৮০ থেকে ১০০ টি গরু কুরবানী করেন। এরপর তাঁরা অস্থায়ী লঙ্গরখানা খুলে মাংস বিতরণ করেন, যেখানে প্রতিবছর বহু দরিদ্রলোক চাপাচাপি, ধাক্কাধাক্কিতে হতাহত হয়। এর মধ্যে ত্যাগ কোথায়? কুরবানীর মহিমা কোথায়?
ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ হলো ধর্মীয় উৎসবের দিন। সে উৎসবটা নিজের জন্য নয়। সেটা হলো অন্যকে আনন্দ দেবার, অন্যকে উৎসবে শামিল করবার জন্য। ঈদের নামাজ ঘরে বসে পড়া যায় না, মসজিদে গিয়ে পড়তে হয়। ঈদের দিন অন্তত একবার গরীব-ধনী, ফকির-বড়লোক এক কাতারে দাঁড়ায়, কোলাকুলি করে। তবে, যে ঈদের নাম ‘কুরবানীর ঈদ’ অর্থাৎ ‘উৎসর্গের ঈদ’, যে ঈদের দিন দরিদ্রদের যথার্থ সম্মান এবং সহানুভুতির সাথে খাবার বিতরণ করে উদযাপন করার কথা- সেদিন আমরা কীভাবে পালন করছি? ঈদের উৎসবের মানে হবার কথা ছিলো ধনী-দরিদ্রকে এক দিনের জন্য এক কাতারে নিয়ে আসা। এই উৎসব হবার কথা ছিলো জাত-পাত ভুলে সবার একদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কোলাকুলি করার উৎসব। আমাদের ঈদ উৎসব কি তাই? প্রশ্নটা আমি নিজেকেই করছি, আর কাউকে নয়।
পশু জবাই করার প্রক্রিয়াটা যে যথেষ্ট ভয়াবহ- সেটা নিয়ে বোধ হয় কারো দ্বিমত হবেনা। চোখের সামনে একটা পশুর গলা কেটে ফেলা রাখা, আর তার মরণ গোঙানি শুনতে শুনতে গল্প করা আর ঈদের কুশল বিনিময় করা চলে অহরহ। এটা আমাদের গা-সওয়া হয়ে গেছে। তবে আজও অনেকে রক্তারক্তি সহ্য হয় না বলে কুরবানীর সময় বাসার ভেতরে থাকেন; আমার বাবা তাঁদের একজন। আমাদের বাসার শিশুগুলো জানালা দিয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে এই পশুহত্যার দৃশ্য। কোনো কোনো বাবা-মা হয়তো সতর্কতার সাথে শিশুদেরকে আড়াল করেন এ দৃশ্য থেকে। তবুও, প্রতিটি শিশুই জানতে পায়- যে পশুটিকে নিয়ে তারা দু-তিন দিন আনন্দ ফুর্তি করেছে, সেটাকে আজ হত্যা করা হলো। পরে বাইরে বেরিয়ে তারা দেখতে পায়- পশুটা রক্ত-মাংস-চামড়ার একটা জড়পদার্থে পরিণত হয়েছে। এই পুরো ব্যাপারটা তাদের মনের মধ্যে ঠিক কী ধরনের প্রভাব ফেলে- সেটা হয়তো একজন child psychologist ই বলতে পারবেন। একটা সাম্প্রতিক খবর দেখলাম- একজন কিশোর কুরবানীর দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে।
কুরবানীর সময় আমাদের বাসায় ময়লার গাড়ি এসে বলে যেত- পরবর্তী তিন দিন আসতে পারবেনা। মূলত, ঈদের পরে তিন/চার দিন লেগে যায় পুরো শহর পরিস্কার করতে। ঢাকার যে রাস্তাতেই হাঁটুন না কেন, চারপাশে নর্দমা উপচে পড়া নোংরা দুর্গন্ধ ছড়ায়। এই ময়লাগুলো থেকে কী পরিমাণ রোগের জীবাণু শহরের বাতাসে ছড়িয়ে যায় ওই ক’দিনে- সেটা ভাবতেও গা শিউরে ওঠে। অথচ, আমরা এই পুরো কুরবানী-র প্রক্রিয়াটাকে অনায়াসেই কোনো কসাইখানায় সরিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সরকারী কসাইখানায় গরু জবাই হয় প্রতিদিন। সেখান থেকে নোংরা বর্জ সঠিক প্রক্রিয়ায় সরিয়ে নেয়া হয় প্রতিনিয়ত। আমাদের বাড়ির গ্যারেজে কিংবা সামনের রাস্তায় কুরবানী করাটা ধর্মীয় বা অন্য কোনো দৃষ্টিতেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
বিভিন্ন মুসলিম দেশে এখন সরকারী কসাইখানায় পশু জবাই করা হয়, এবং সেখান থেকেই মাংস দরিদ্রদের মধ্যে বিলি করে দেয়া হয়। ফলে, এই পুরো প্রক্রিয়াটা ঘটে জনগণের চোখের আড়ালে। এ ব্যাপারটা আমাদের দেশেও চালু করা যায় কি না- সেটা ভেবে দেখা দরকার মনে হয়। এটাতে হয়তো অনেকে আপত্তি জানাবেন। কারণ আমাদের অনেকের কাছেই কুরবানীর ঈদ হলো নিজের ট্যাকের জোর প্রদর্শনের উৎসব। ইয়া বড় একটা গরু কিনে সেটা রাস্তার ওপর বেঁধে রেখে পাশে চেয়ার পেতে বসে থাকেন একেক জন গরুর মালিক। পাশে দিয়ে মানুষ হেঁটে যায় আর গরুর দাম জিজ্ঞেস করেন। আর তাঁরা গর্বের সাথে জবাব দেন, ‘ষাইট হাজার!’ এই পুরো প্রক্রিয়াটাকে সবার চোখের আড়ালে নিয়ে গেলে হয়তো কুরবানীর নামে অযথা বড়লোকি-র প্রতিযোগিতাটা থেমে যাবে। এমনকি, আমরা যদি নিজেরা পশু না কিনে সে টাকা সরকারের কোষাগারে জমা করি, এবং সেটা দিয়ে যদি সরকারীভাবেই পশু জবাই করে মাংস গরীবের মাঝে বিলি করা হয়- তাহলে দোষ কি? হ্যাঁ, এখন এই মুহুর্তে ব্যাপারটা সম্ভব নয়; তবে আমরা এমন একটা অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে পারি তো!
সর্বশেষে আরেকটা বিষয়। একটা লেখা পড়ছিলাম: কে যেন লিখেছেন- তিনি কুরবানী না করে সে টাকা ক্যান্সার হসপিটালে দান করতে চান। এই লেখাটা তিনি লিখেছেন- হুমায়ুন আহমেদের সাম্প্রতিক একটা লেখার প্রতিক্রিয়ায়। এ ব্যাপারে কে কি করবেন- সেটা প্রত্যেকের নিজের ব্যাপার। ব্যাক্তিগতভাবে আমি মনে করি- আমার যদি কখনো সুযোগ হয়, ক্যান্সার হসপিটালে দান করার- আমি অবশ্যই করবো। কখনো যদি এমন হয়- যে আমার কাছে যে টাকা আছে- তা দিয়ে হয় কুরবানী করা যাবে, নয়তো ক্যান্সার হসপিটালে দান করা যাবে, আমি হয়তো কুরবানী না করে ক্যান্সার হসপিটালেই টাকা দান করবো। আমি যদি গরীব মানুষকে মাংস খাওয়ানোর চেয়ে ক্যান্সার রুগীকে বাঁচানোকে অধিক গুরুত্ব দিই, সেটার জন্য আমার আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৩
অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: একটু বড় হলেও লেখাটা ভাল্লাগ্লো।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার মানসিকতা।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৩
হিবিজিবি বলেছেন: সব জায়গায় প্রতিযোগীতা, কোথাও বুঝে কোথাও না বুঝে......লোক দেখানো ত্যাগ
৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৩০
নেক্সাস বলেছেন: সহমত
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৫৭
এস্কিমো বলেছেন: এইটা একটা ভুল চিন্তা - কোরবানী না করে টাকা ক্যান্সার হাসপাতালে দেওয়া ভুল।
কারন কোরবানী যে শুধু পশু জবাই তা না - এর পিছনে লক্ষ মানুষের জীবিকা নির্ভর করে। নিম্নবিত্তের কৃষকরা কোরবানীর পশু একটু বেশী দামে বিক্রি করে তার অতিরিক্ত খরচ যেমন ঘর ঠিক করা ইত্যাদি করে। কোরবানীর চামড়া ট্যানারী শিল্পের ৮০ ভাগ সরবরাহ করে।
এখন মনে করে আপনার মতো যদি লক্ষ লক্ষ মানুষ কোরবানী না দিয়ে টাকা অন্যত্র খরচ করে - তাহলে কোরবানী পিছনে যে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা তা স্থবির হয়ে যাবে - আমাদের পকেট থেকে বাজারে যে অতিরিক্ত টাকা সরবরাহ হয় তা কমে যাবে।
অসুস্থ মানুষকে সাহায্য করার জন্যে সুস্ত মানুষকে বঞ্চিত করা কি ঠিক?
ধর্মীয় দৃষ্টিতে কোরবানী যাদের জন্যে ওয়াজিব - তাকে না বাদ দিয়ে অতিরিক্ত দানের সুযোগ হিসাবে ক্যান্সার হাসপাতালে দেওয়া যেতে পারে। সেইটা বরঞ্চ ভাল হবে। একটাকে অন্যটার প্রতিদদ্ধি বানানোর মতো আবেগ বর্জন করা দরকার।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৫৪
আম-আঁটির ভেঁপু বলেছেন: কোরবানী ছাড়া বাকি সময় গরুর মাংস খান না? কোরবানী ছাড়া বাকি দিনগুলাতে বাংলাদেশে গরু জবাই হয় না? বাংলাদেশের বারমাসী চামড়া শিল্প কোরবানীর গরুর উপর নির্ভরশীল- এইটা আপনারে কে বললো?
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৯
মনে নাই বলেছেন: শেষ প্যারাটা সবচে সুন্দর হয়েছে, কোরবানীর বিষয়টাও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য ধন্যবাদ। লোক দেখানো কোরবানী দিয়ে আদৌ কোন লাভ হবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।