![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে জায়গাটাতে আমাকে কাজ করতে হয়, সেখানে প্রতিদিনই মৃত্যুর আনাগোনা, এ জীবনে কত জন্ম দেখলাম,দেখলাম কত মৃত্যু অথচ রহস্য ভেদ করতে পারলাম কি?
মানুষের জন্মের পর প্রথম শ্বাস নেয়াটা অদ্ভুত,যেন আত্মা ঢুকে গেল,আবার একই রকম অদ্ভুত শেষ শ্বাস ত্যাগটিও, সমস্ত শরীরের সব আছে অথচ সে-ই নেই,সাড়া নেই।
দুর্বল মানুষ ভেবে আনন্দিত হয়, সে কত জ্ঞানী, কত জানে। নিজের দিকে তাকালেইই তো বোঝা যায়, প্রতিদিনের পরিবর্তিত যে আমি, সে কি সেই প্রথম দিনের আমি?
আমার মনে হয় যে মানুষটি জন্মায় সে আর মৃত্যুর সময়ের মানুষ এক নয়!
মানুষের আসলে গর্ব করার কিছু নেইই।
কারণ, যে শূণ্য হাতে মানুষ আসে সে শূণ্য হাতেই মানুষ চলে যায়।
কেবল এটাই সত্য আর সবই মিথ্যা।
যদিও আমরা এই মিথ্যে গুলোকে সত্য ভাবতেই ভালোবাসি।
বোকা মানুষ,
সবাই ভাবতে চায় নিজে ছাড়া সবাই মরে যাবে, কিন্তু তাই কি?
যে নিজের অস্তিত্বইই রক্ষা করতে পারে না সে আবার অন্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করে কি করে?
কেউ কোন ধর্ম মানুক কিংবা না মানুক সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার হতে পারে কিন্তু এখন পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করবার মত কোন অধিকার, ক্ষমতা বা ধৃষ্টতা এবং সামর্থ্য কোনটাই মানুষের নেই।
যে এটা করতে চায়, তার বিশ্বাস নিজের কাছেই প্রতারণা মনে হয়, তাই নিজেকে সে কথা বিশ্বাস করাতেই সে অন্যের সমর্থন খোঁজে।
অন্যকে বিশ্বাস করি বলেই তার দেয়া জল খেতে পারি, কিন্তু সেখানে যদি হেমলক থাকে? কখনো ভাবিনি।
সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাসে কোন হীনতা নেই।
কোন এক মনীষী বলেছেন,
প্রকৃতই সৃষ্টিকর্তা না থাকলেও মানুষের নিজের প্রয়োজনে একজন সৃষ্টিকর্তা তৈরি করে নিতে হয়!
আজ তিনিও বেঁচে নেই।
এই পৃথিবীতে মানুষের গর্ব করার মত কি আছে?
কারন কোন কিছুই, --- কিছুই চিরস্থায়ী নয়।
কষ্ট করে পড়ার জন্য, সকলকে ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.