|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
১৯৬৪ সালে মিনা পাল নামে শ্যাম বর্ণের এক কিশোরীকে ঘষে মেজে কবরী নাম দিয়ে ‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রে ব্রেক দেন গুণী চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্ত। মিষ্টি চেহারা, মিষ্টি কন্ঠ ও মিষ্টি হাসির জন্য দর্শকরা তার নামের আগে জুড়ে দেয় মিষ্টি মেয়ের খেতাব। 
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট চাইতে এসে ওই মিষ্টি হাসি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের ভোটার ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মন জয় করেন। তিনি বহিরাগত হলেও স্থানীয় একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শফিউদ্দিন ওরফে বাবু সারোয়ারের স্ত্রী হওয়ায় তেমন আপত্তি তুলেনি কেউ।তবে নির্বাচনের পর গুটি কয়েকজন বাদে এক এক করে দলের প্রায় সব স্থানীয় নেতাকর্মী দূরে সরে যান অথবা নেতাকর্মীদের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কবরী। এর পরিবর্তে বিভিন্ন স্থানের কিছু উদ্ভট যুবক ভিড়ে তার চারপাশে। এমনকি তার একান্ত সচিবও নিয়োগ দেয়া হয় শ্যামপুরের এক স্বল্প শিক্ষিত তবে সুদর্শন যুবককে।
অভিযোগ রয়েছে, সংসদ সদস্য হওয়ার পর এলাকার কোন উন্নয়ন কাজে মনোযোগ দেননি কবরী। বরং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কোন খাত থেকে কত তোলা যায় এ নিয়ে ভাবনায় দিন কাটত তার। তিনি প্রতি মাসে ফতুল্লার জুট সেক্টর, চোরাই তেল সেক্টর, টেন্ডার সেক্টর থেকে মাসোহারা তুলতেন একান্ত সচিবের মাধ্যমে। কেউ মাসোহারা দিতে দেরী করলে কবরী নিজেই ফোনে ধমকাতেন। ফোনে তাকে বলতে শোনা গেছে, ‘ ..... কে দিতে পারো- আমাকে দাও না কেন’। ( এমন একটি ফোনালাপ সংরক্ষনে আছে )। 
যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেন কবরী ও তার অনুগত কিছু লোক। তাদের মতে, কবরী এমপি হওয়ায় উন্নয়ন না হলেও সন্ত্রাসীরা ফতুল্লায় তেমন সুবিধা করতে পারেনি। বরং ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ আমলে শামীম ওসমান এ আসনে এমপি থাকাকালিন নানা নামের নানা রঙের সন্ত্রাসীদের অভয়রান্য ছিল গোটা ফতুল্লা। আবার এসব অভিযোগের বিপরীতে শামীম ওসমান অনুসারীরা মনে করিয়ে দেন, পাগলায় শুভ হত্যার কথা। পঞ্চবটিতে ডাকাতির তুলাসহ কবরীর লোকের গ্রেপ্তার হওয়া, পিএস সেন্টুর পিস্তল উঁচিয়ে থানায় প্রবেশ, থানা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক শওকত আলীকে গ্রেপ্তার করানো.....আরো কতকি। তাদের মোদ্দা কথা ‘ মিষ্টি হাসি দিয়ে ভোট নিয়ে পুরো ৫ বছর দুষ্টুমি করেছে কবরী।’
দলের এ পক্ষের ও পক্ষের এসব কথা ছাপিয়ে এ এলাকার সাধারন মানুষও কবরীকে এখন আর মিষ্টি মেয়ে হিসেবে জানে না। তাদের মতে, অমর বাংলা চলচ্চিত্র ‘ সুজন সখি’র সখি ভেবেই কবরীকে ‘ নীল আকাশের নীচে’র এই আসনে ‘আপন পর ’ সবাই ভোট দিয়েছিল। ভেবেছিলাম ‘সারেং বউ’ রুপালী পর্দা ও রাজনীতি- ‘ দুই জীবন’ এ ‘ হীরা মন’ হবেন। উনি ফতুল্লাকে ভাববেন ‘আমার  জন্মভূমি’।  নিজের মনে করে  ‘ পারুলের সংসার’ গড়বেন। ‘ লাভ ইন সিমলা’ থেকে ‘অরুণ বরুণ কিরণ মালা’ কিংবা ‘বাঁশরী’ হয়ে মানুষের উচু স্থানে ঠাই নেবেন। এ জন্য কিছু মানুষ তাকে ‘কত যে মিনতি’ করেছে । কিন্তু পুরো পাঁচ বছর ধরে ‘ নায়িকা’ চলেছে ‘আঁকবাঁকা’ পথে। নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষকে দূরে সরিয়ে তিনি শুধুমাত্র‘ ময়না মতি’ হয়ে ‘ চোরাবালি’ তে পা রেখেছেন সর্বদা। লাখো ভাইয়ের বোন না হয়ে ‘ সাত ভাই চম্পা’ হয়ে মানুষের আশাকে করেছেন ‘দর্পচুর্ণ’। উর্দু ছবির ‘ মেহেরবান’ না হয়ে ‘ বাহানা’ করে কাটিয়ে দিয়েছেন বেলা। ‘ ঢেউয়ের পর ঢেউ’ গেছে, কেটেছে ক’টা ‘ শীত বসন্ত’। এবার ‘লালন ফকির’ বসে আছে বলতে- কি বা নিলে কিবা দিলে। মনে কর গিয়ে ‘ যে আগুনে পুড়ি’।  ফিরে যাও নিজ আলয়ে শুধু শুনে যাও- ‘বধু বিদায়’।
 ৬ টি
    	৬ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:০০
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:০০
আনোয়ার ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ। বড়ই সৌন্দর্য
২|  ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:০৪
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:০৪
মশিকুর বলেছেন: 
চমৎকার একটা সমালোচনা উপভোগ করলাম। ছবি সিলেকশানও পারফেক্ট, মানিয়ে গেছে। একেই বলে সমালোচনা, যে যেটা বুঝে সেটা দিয়েই ঘায়েল করা। 
+++
৩|  ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:১১
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:১১
আনোয়ার ভাই বলেছেন: একেই বলে সমালোচনা, যে যেটা বুঝে সেটা দিয়েই ঘায়েল করা।
৪|  ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:৪৮
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:৪৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: 
হাহাহা... আলোচনার শেষাংশটি বেশ মজার করে লিখেছেন... 
  ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১০:৫৮
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১০:৫৮
আনোয়ার ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ -----মাঈনউদ্দিন মইনুল
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৪৯
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ বাহ বেশ!!!
 বড়ই সৌন্দর্য্য
 বড়ই সৌন্দর্য্য 
তার ছবির নাম দিয়ে তার সমালোচনা