![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুল কাহিনী দিয়েই শুরু করি।
আমার এক বন্ধুর স্ত্রী ইনফার্টিলিটির (infertility) কারনে স্কয়ার হাসপাতালের জনৈক স্পেশালিস্ট গাইনী ডাক্তারকে দেখায় গত মাসে। এই স্পেশালিস্ট ডাক্তার অবশ্য বেশ নামকরা, ২ মাস আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়।
ডাক্তার তার প্রেসক্রিপশনে তিন মাসের এক অসুধ দেয় - লেট্রোজল (Letrozole)। কিন্তু গত এক মাসে মেডিসিন কেনার সময় বা পরিচিত কেউ প্রেসক্রিপশনে নাম দেখলেই একটা কমন প্রশ্ন করত, 'আপনার কি ব্রেস্ট ক্যান্সার?'
পরে ইন্টারনেট ঘেটে যেটা দেখা গেল, লেট্রোজল মুলত ব্রেস্ট ক্যান্সারের মেডিসিন, পরে ইনফার্টিলিটিতেও ব্যাবহৃত হওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এই মেডিসিনের দুর্নামও আছে প্রচুর।
ইনফার্টিলিটিতে লেট্রোজল প্রেসক্রাইব করা ইউরোপে অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে প্রচুর সাইড এফেক্টের জন্য। আর গত বছর পাশের ইন্ডিয়াতেই এই মেডিসিনের ব্যাবহার ব্যানড করা হয়েছে।
সুত্র ১
সুত্র ২
পরে দেশের বাইরে থাকে এমন পরিচিত দুজন ডাক্তারকেও ফোন দেয়া হল আর যেটা জানলাম, ইনফার্টিলিটিতে এই মেডিসিন তাদের দেশেও বন্ধ, এমনকি ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্যেও কেউ লেট্রোজন প্রেসক্রাইব করে না। কারন? সাইড এফেক্ট। defective bone formations, cardiac stenosis এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে এই ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ায়।
ইনফার্টিলিটি কেসে ব্যাবহার করলে দেখা যেতে পারে সদ্য আসা শিশু জন্ম থেকেই ক্যান্সার নিয়ে আসল। যে দম্পতি একটা সন্তানের জন্য স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ৫ বছর না পেরে ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হয়েছে, ভুল ওষুধে মৃতপ্রায় সন্তান (সাথে মা-রও ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়া জনিত বিভিন্ন শারিরীক সমস্যা) পৃথিবীতে এনে ডাক্তারের কোন লাভ হবে?
সকালে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার উত্তর ছিল এরকম দুইটা -
১) এটা ইন্ডিয়াতে ব্যানড, বাংলাদেশে না। তাই বাংলাদেশে এই ওষুধ খাওয়া যাবে।
২) 'আপনার যদি ডাক্তারের উপর ভরসা না থাকে তাহলে অন্য কাউকে দেখান'
ফানি !
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
শুভ্র নামের ছেলে বলেছেন: হয়ত, কিন্তু ইনফার্টিলিটিতে এই মেডিসিন প্রেসক্রাইব করে বাইরের কোন দেশেই।
এটা আসলে ডাক্তারের অজ্ঞতার অভাব, যে কোন কারনেই হোক উনি জানতেন না এর মধ্যে এই মেডিসিনের ব্যাড রিপোর্ট হয়ে গেছে।
আর মামলা করলেও লাভ নাই, কোর্ট দেখবে বাংলাদেশে তো ব্যান না। আর বাংলাদেশে যারা মেডিসিন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আছেন তাদের তো এত কিছু দেখার সময় নাই।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
আন্ধার রাত বলেছেন:
আমার পরিচিত এক প্রবাসী মহিলা স্কয়ারে ১২ লক্ষ টাকার চিকিত্সা করেন বাচ্চার জন্য। উনাকে বলা হয়েছিল বিদেশী ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করা হবে, কিন্তু ওটিতে কোন বাইরের ডাক্তার ছিলনা।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: আন্ধার রাত বলেছেন:
আমার পরিচিত এক প্রবাসী মহিলা স্কয়ারে ১২ লক্ষ টাকার চিকিত্সা করেন বাচ্চার জন্য। উনাকে বলা হয়েছিল বিদেশী ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করা হবে, কিন্তু ওটিতে কোন বাইরের ডাক্তার ছিলনা।
প্রবাসী মহিলা প্রবাস রেখে দেশে চিকিতসা করতে চান আবার কোন জ্ঞানে বিদেশী ডাক্তার আশা করলেন !
বুঝলাম না ।
--------------
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
আন্ধার রাত বলেছেন: রিফাত হোসেন@ উনি ইউকে তে কয়েক বছর চিকিত্সা করিয়েছেন কিন্তু শূন্য ফলাফল নিয়ে দেশে এসে আবার বুক বেধেঁ চিকিত্সা শুরু করেন স্কয়ারে। স্কয়ারে উনাকে প্রচুর আশ্বাস ও আশার আলো দেখায় এবং সেই সাথে বলে এই চিকিত্সার জন্য আপনার অপারেশন লাগবে, আপনাকে আমরা বিদেশী চিকিত্সক দিয়েই সার্জারী করাবো।
১১ বছরের বিবাহিত জীবনে ১টা বাচ্চার জন্য যে যা বলে তাই করে বেড়াচ্ছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: ডাক্তার হয়ত ভাল দিক চিন্তা করে দিয়েছে ,হ্যাঁ প্রত্যেক ঔষুধেরই পাশ্বর্প্রতিক্রিয়া আছে ।
তবে তার পয়েন্ট পারফেক্ট ।
সকালে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার উত্তর ছিল এরকম দুইটা -
১) এটা ইন্ডিয়াতে ব্যানড, বাংলাদেশে না। তাই বাংলাদেশে এই ওষুধ খাওয়া যাবে।
২) 'আপনার যদি ডাক্তারের উপর ভরসা না থাকে তাহলে অন্য কাউকে দেখান'
আাপনার উচিত ডাক্তার পরিবর্তন করা ।
আমিও রোগী মানে অন্য রোগের কিন্তু এমন কয়েকটি ঔষুধ ব্যবহার করতে হয়েছে যেগুলোর সাইড এফেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে ডাক্তার বলেছিল তবে হলে ,বন্ধ করা উচিত এইরকম । সবারই এই সাইড এফেক্ট হয় না !
তবে জনৈক ডাক্তারের উচিত ছিল সাইড এফেক্ট সম্পর্কে রোগীকে অবহিত করা । তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন । ব্যাপারটা জীবন বিষয়ক সম্পর্কিত তাই ।