![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘আপনার কাছে কি লিপজেল হবে? ঠোঁট ফেটে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। ‘
একটু অবাক হল অয়ন। এভাবে তার কাছে কেউ লিপজেল চাইবে তাও একটি মেয়ে। মনে মনে খুশি হল সে।
’আমার কাছে তো লিপজেল নাই।‘
ও আচ্ছা, মুখে রাজ্যের বিরক্তি ভাব নিয়ে মেয়েটি পাশের সিটে বসা একজন মহিলা থেকে লিপজেল চেয়ে নিল।
নিজেকে একশ একটা গালি দিতে মন চাইল অয়নের। কেন যে লিপজেল আনলো না। কয়েকবার তাকে বলা হয়েছিল লিপজেল নিতে। নেয় নাই। তার উপর তার সেল ফোনের চার্জও শেষ। রাতে চার্জ দিতেই সে ভুলে গেছিল। হটাৎ কি মনে হল অয়নের, নিজের ব্যাগ এর পকেট হাতড়াতে লাগলো। আরে নাই। অয়নের শ্বাসকষ্ট আছে। সবসময় তার ব্যাগে ইনহেলার থাকে। কিন্তু আজকে সে ইনহেলার আনতে ভুলে গেছে।
এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো অয়ন , ভাবখানা এমন যে অন্য কারও কাছে ইনহেলার থাকবে। নিজেকে আবারো ধমক লাগালো সে, গাধা নাকি? সবার কি আর আমার মত শ্বাসকষ্ট আছে?
’আপনার কাছে কি ইনহেলার হবে? শ্বাসকষ্টে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।‘
আপনি যদি আমাকে এই প্রশ্ন করেন, আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারবো।
এবার আগের থেকেও শতগুণ অবাক হবার পালা অয়নের। এই যে লিপজেল চাওয়া মেয়ে। সে কিভাবে জানে, আমি ইনহেলার খুজতেছি?
’ইয়ে মানে, আপনি কিভাবে জানেন?’
ইনহেলার নিয়ে ব্যাবহার করার পর ফেরত দিতে চাইল অয়ন।মেয়েটি বলল,’
দরকার নেই, অনেকদূর যাবে তুমি। তখন আমার মত কাউকে নাও পেতে পারো।‘
‘আপনারো কি শ্বাসকষ্ট আছে?’
’না, আমি আপনার মত এত অসুস্থ নই।‘ কড়া গলায় বলল মেয়েটি। ‘আমার ছোটবোনের জন্য নিয়েছিলাম। কিন্তু সমস্যা নেই, সিলেট নেমেই নতুন আরেকটি নেয়া যাবে।‘
জানালার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ভাবতে লাগলো অয়ন। মেয়েটি কিভাবে জানলো সে ইনহেলার নিয়ে আসে নাই। হয়তো ডাক্তার হবে, মানুষ দেখেই চট করে বুঝে গেছে কার কি রোগ। আপনি কি ডাক্তার? জিজ্ঞেস করলে কেমন হয়। না থাক, মেয়েটি যেমন আন্তরিক তেমনই রুক্ষ।
কফি খাবে? খাও একটু,ঠাণ্ডা কাটবে। তোমার তো গলা ব্যথা করছে এখন।
আপনি কিভাবে জানেন?
জানি না অনুমান করলাম। শ্রাগ করে বলল মেয়েটি।
অগত্যা অয়নকে কফি খেতে হল। শুধু কফিই না সাথে ট্রেনের কাটলেট।
আড় চোখে মেয়েটিকে ভাল করে পরখ করে অয়ন। ধাপ্পাবাজ না তো। সেবার সিলেট থেকে ঢাকা আসার পথে এক ধাপ্পাবাজ মোটা মহিলার সাথে পরিচয় হয়েছিল। অন্ধকার বাসে গায়ে হাত দিয়ে ব্ল্যাক মেল করে সেকি বিচ্ছিরি অবস্থা। বেশ কিছু টাকা বের হয়ে গেছিল সেবার। এবারও কি তেমন কিছু হবে? কিন্তু মেয়েটিকে তো সেরকম মনে হচ্ছে না।
ওই তো চশমা পরা, চোখে মুখে কেমন এক ধরণের আভা। নাহ এই মেয়ে ধাপ্পাবাজ হতে পারে না।
ট্রেন চলছে সেই সাথে চলছে চিন্তা। কে এই মেয়েটি।
কোন কারণ ছাড়াই মেয়েটিকে ভাল লেগে গেল অয়নের। সেইরকম অনুভূতি যেরকম অনুভূতি বছর দুয়েক আগে সে অনুভব করেছিল। কিন্তু মেয়েটির সাথে যাওয়া যাবে না এটা ভেবেই মন খারাপ হয়ে গেল অয়নের। তাকে নেমে যেতে হবে শ্রীমঙ্গল।
সাধারণত শ্রীমঙ্গল আসতে ট্রেন বেশ দেরি করে, কিন্তু আজকে ট্রেনের যে কি হল, মনে হয় কত দ্রুত যাওয়া যায় সেই প্রতিযোগিতা করছে।
শ্রীমঙ্গল নেমে জানালা দিয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়েই রইল অয়ন। আর সে সাথে তার চোখে মুখে একধরনরে কৃতজ্ঞটা ভাবটাও ফুটিয়ে তুলল। ভাবতে লাগলো নামার সময় মেয়েটি কেন বলেছিল ,”আপনার যে পরিচিত সে আমারও “
অয়নের একটা ফোন করা দরকার। সে ফোনের দোকানে ছুটল।
---“এই তুমি ইনহেলার পেয়েছিলে? মেয়েটা ইনহেলার দিয়েছিলো? তাড়াহুড়া করে তো নেয়াই হয় নাই তোমার?” ভাগ্যিস ফাজিলটা ছিল ট্রেনে, তোমার তো ফোনই বন্ধ পাচ্ছিলাম।“
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫
জাহিদ আপলু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৪
এক্সপেরিয়া বলেছেন: প্লাস প্লাস প্লাস প্লাস প্লাস প্লাস প্লাস প্লাস প্লাস প্লাস প্লাস প্লাস
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
জাহিদ আপলু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৩
চ।ন্দু বলেছেন: এ কোন জায়গায় শেষ করলেন? শেষ হয়েও তো হলোনা শেষ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
জাহিদ আপলু বলেছেন: হুম আসলেই তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেছে
৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
সুলাইমান হাসান বলেছেন: চান্দুর সাথে একমত, শেষ হইয়াও হইল না শেষ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
জাহিদ আপলু বলেছেন: কি করবো বলেন, গল্পের নায়কই দ্রুত শেষ করে ফেলেছে
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০১
অড়বরই বলেছেন: খুব ভাল লাগল। লেখার হাতটি বেশ। চালিয়ে যান আছি। আমার ব্লগেও আসবেন। ধন্যবাদ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
জাহিদ আপলু বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ, আসবো
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৯
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: লম্বা গল্প পড়তে মন চায়
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
জাহিদ আপলু বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২
কালোপরী বলেছেন: চমৎকার
++++++++++++++++++++