![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
করিম আলী। বয়স আন্দাজ ৩০। পেশায় ঝুট ব্যবসা করেন। কিন্তু তার অন্য ধান্ধাও আছে। তিনি একজন পিকেটার। সম্প্রীতি তার কাছে কেমনে হরতালে পিকেটারগিরি করতে হয় তার তামিল নিচ্ছে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আসা সুজন। এমনই এক হরতালের দিনে, সুজন যখন হরতালে বের হওয়া একটা প্রাইভেট কারের দিকে ইটের টুকরা মেরে বিফল হল তখন সুজনকে বলছে করিম আলী-
'বুঝলি সুজন, পিকেটার করাও একধরণের আর্ট। এই কাম সবারে দিয়ে হয় না। আর্ট বুঝস?'
সুজন 'না' সূচক মাথা নাড়ায়।
'তোর চিন্তা নাই, আমার সাথে আছিস, সব শিখায় দিমু। এই বার ফেল করছিস ক্ষতি নাই। নেক্সট যে গাড়ি আইবো তাতে আগুন দিমু। আগুন কেমনে দিতে হয় জানস?'
এবারো সুজন 'না' সূচক মাথা নাড়ায়।
'কেরোসিনের বোতল আছে লগে, যাইয়া গাড়িতে ঢালবি এরপর আগুন দিবি। কাজ শেষ। অবশ্য আরো অনেক কৌশল আছে। পারবি না?'
'হ পারুম'। আত্মবিশ্বাসের সাথে বলে সুজন।
কিছুক্ষণ পরে একটি সিএনজি আসে। দূর থেকে করিম আলী দেখে খুশি হয়। অনেকটা শিকার দেখলে বাঘ যেরকম খুশি হয় ওইরকম।
তার সাথে থাকা আরো দুইজন , সুজন সহ এগিয়ে যায় সিএনজির দিকে।
একজন প্রথমে ঢিল ছুঁড়ে সিএনজির সামনের গ্লাস ভেঙ্গে দেয়। হতচকিত ড্রাইভার গতি কমিয়ে ফেলে। ততক্ষণে সুজন কেরোসিন ঢালছে।
সিএনজির ড্রাইভার আকুতি জানায়, 'ভাই আমার গাড়িরে যাইতে দেন। রোগী আছে'।
কে শোনে কার কথা--
ভিতরে এক মহিলার কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়।
হঠাৎ করিম আলী দেখে যে মহিলা কান্না করছে সে তার বোন। তার বোনের এই মাসের শেষে ডেলিভার হবার কথা কিন্তু...... ওই তো ঢিলের আঘাতে তার বোনের কপালের জন্মদাগের পাশে কেটে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তার ভাগ্নিকেও দেখতে পায় করিম আলী।
তার গলা ধরে আসে। ওদিকে সুজন কেরোসিন ঢেলে দিয়ে এখন আগুন জ্বালিয়ে দেবার অপেক্ষায়.........।।।
করিম আলী তার বোনকে বাঁচাতে পেরেছিল কিনা জানা যায় নাই।
©somewhere in net ltd.