নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় চিকিৎসক। এখন কাজ করছি সিলেটে। টুকটাক লিখতে ভাল লাগে বলে লিখি।

আত্মমগ্ন আিম

আমি অতি সাধারন একজন মানুষ। প্রকৃতিগতভাবে একটু নিঃসঙ্গ ধরনের। এমন কি অনেকের মাঝেও একা। পেশায় একজন চিকিৎসক। মানুষের উপকার হয় এমন যেকোন কাজে আমি আছি। আপনারা ডাকলে ইনশাল্লাহ পাশে থাকব।

আত্মমগ্ন আিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের পরিবার পরিকল্পনা পলিসি ও কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয়ের দাবী

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫



আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, বিটিভি ছাড়া কোন চ্যানেল ছিল না, তখন দেখতাম নববিবাহিত দম্পতি 'ডাক্তার আপার' কাছে এসেছেন পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি নিতে। আর ডাক্তার আপা তাদের বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যাপারে বুঝিয়ে বলতেন। এটাও বলতেন দুটির বেশী সন্তান না নেবার চেষ্টা করতে।

এখন আর বি টি ভি দেখা হয় না। চিকিৎসক হিসেবে কাজ করি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম দেখছি সরাসরি, সামনাসামনিই।

কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা হল,

১. এখন পর্যন্ত ৭-৮ জন মেয়ে পেয়েছি যাদের জেরা করে দেখা গেছে, তাদের বিয়ে হয়েছে ১৭ বছর বয়েসে (তাদের মায়েদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক) কাগজে-কলমে যদিও তাদের বয়েস ১৮ দেখানো আছে! এতদিন জানতাম মানুষ বয়েস কমায়, এরা বাড়ায়!!

২. বিয়ের ২-৩ মাসের মাথায় বেশিরভাগ মেয়েই গর্ভবতী হচ্ছে।

৩. এই মেয়েদের শতকরা ৯০% ই অপুষ্টিতে ভুগছে। যাদের ৫০% দারিদ্রের কারনে অপুষ্ট। বাকি ৫০% পুষ্টি জ্ঞানের অভাবে অপুষ্ট।

৪. জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার যদিও আগের বছরগুলোর তুলনায় বেড়েছে, কিন্তু সেটাও সন্তোষজনক নয়। আর জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বেশিরভাগই ব্যবহার করছেন মহিলারা। পুরুষদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারে বেশ অনীহা।

৫. গর্ভধারন পূর্ব প্রস্তুতি বলে কোন কিছুরই কোন বালাই নাই।

২০১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী,

আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৬%!

বার্ষিক জন্মহার প্রতি হাজারে ২১.৬১!

বার্ষিক মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৫.৬৪!

প্রথম মা হবার ক্ষেত্রে মেয়েদের গড় বয়েস ১৮.১ বছর!!

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার প্রায় ৬১.২% মাত্র!!

এই চিত্র দেখে আমাদের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম পলিসি ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন করে ভাবা প্রয়োজন বলে মনে হয়।

অবশ্য এই চিত্রের কারন ও রয়েছে বৈ কি! যারা এই পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের পলিসি তৈরী ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছেন, তাদের এই বিভাগ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও বাস্তব জ্ঞান কতটুকু, সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ।

এজন্যেই বোধ হয় কৃত্য পেশাভিত্তিক বিভাগ গঠন ও পরিচালনার কথা উঠে আসছে বার বার।

প্রকৃতপক্ষে যার যা কাজ, যার যেটাতে দক্ষতা আর বাস্তব অভিজ্ঞতা, তাকে সেখানে নিয়োগের কোন বিকল্প নেই। ভিশন ২০২১ এর সফল বাস্তবায়ন করতে হলে, অবশ্যই এদিকে আশু নজর দেয়া প্রয়োজন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.