নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় চিকিৎসক। এখন কাজ করছি সিলেটে। টুকটাক লিখতে ভাল লাগে বলে লিখি।

আত্মমগ্ন আিম

আমি অতি সাধারন একজন মানুষ। প্রকৃতিগতভাবে একটু নিঃসঙ্গ ধরনের। এমন কি অনেকের মাঝেও একা। পেশায় একজন চিকিৎসক। মানুষের উপকার হয় এমন যেকোন কাজে আমি আছি। আপনারা ডাকলে ইনশাল্লাহ পাশে থাকব।

আত্মমগ্ন আিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিকিৎসার নামে বছরে লাখ লাখ রোগী বিদেশে যাচ্ছে!!

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

আজকের জনকণ্ঠের এই নিউজটি দেখলাম।
তাই শেয়ার করছি সবার সাথে :

চিকিৎসার নামে বছরে লাখ লাখ রোগী বিদেশে যাচ্ছে : সক্রিয় তিন শতাধিক এজেন্ট!


এবার নিজের ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করি :

আমার এক ভাবীর নিউরোসার্জিকেল একটি সমস্যা ছিল। আমাদের ধারনা ছিল অপারেশন লাগতেও পারে। ভাইয়ার অফিসের পরিচিত একজন এপোলোতে একজন নিউরোসার্জন এর কথা বললেন। তার কাছে গেলাম আমরা। মূলত আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, আমার ফিল্ড নিউরোসার্জারী বলে।

সবকিছু শুনে, দেখে, সেই নিউরোসার্জন এর প্রথম কথাই ছিল, "এই অপারেশন তো এই দেশে হবে না। এই অপারেশন করার মত সার্জনই এই দেশে নাই! চেন্নাইয়ে চলে যাও, আমরা যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছি, ওখানে অপারেশন করে দেবে।"

উনি কেন করবেন না, জিজ্ঞেস করলে বললেন, এই অপারেশন উনি করেন না। সেই সাথে আমার পরিচয় দেবার পর আমাকে আরো কিছু ভুজুং ভাজুং বোঝালেন।

সেই সময়ই আমার জানামতে বি এস এম এম ইউ ও ঢাকা মেডিকেলে এই অপারেশন হয়।
আমরা বি এস এম এম ইউতে আমার এক স্যারকে দেখালাম।

ভাবীর অপারেশন স্যারই করলেন, দেশেই হল।
উনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ্য।

এভাবেই ভুং ভাং বুঝিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয় রোগীদের। আর কানপড়া চলতে থাকে, "বাংলাদেশে আবার চিকিৎসা হয় না কি! এদেশের ডাক্তাররা তো মানুষ না, কশাই। ধর্মাবতার হল ভারতীয় আর সিঙ্গাপুরী ও মালয়েশিয়ান ডাক্তার!!"

হায়রে বাংগালী!!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

আহলান বলেছেন: ভাই একপেশে কথা বল্লে তো হবে না। সফলতা যেমন আছে, ব্যর্থতার উদাহরণও আছে তেমন লাখ লাখ .... মানুষের তো খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, পয়সায় কামড়ায় .... তাই ঘর ছেড়ে বেঘরে যায় চিকিৎসার জন্য!

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

আত্মমগ্ন আিম বলেছেন: ব্যর্থতার উদাহরণ অবশ্যই আছে। আমাদের দেশে যেমন আছে, বিদেশেও আছে। সবাই তো আমাদের ব্যর্থতার কথাগুলোই বেশী হাইলাইট করেন।
একটা জিনিস ভেবে দেখবেন। এক একটা মেডিকেল কলেজের ইনডোরে প্রায় ১৫০০ জন মানুষ ভর্তি থাকেন আর মারা যান গড়ে সর্বোচ্চ ১০ জন, যাদের মধ্যে থাকেন অনেক খারাপ অবস্থার রোগী, হাসপাতালে ভর্তির সময় যাদের বাচার সম্ভাবনাই থাকে শতকরা ১-২%!
আমাদের ব্যর্থতা যদি এতই বেশী হত, দেশের জনসংখ্যা কমে অর্ধেক হয়ে যেত! বাংলাদেশও এম দি জি গোল অর্জন করতে পারত না। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলের একমাত্র স্বাস্থ্য বিষয়ক লক্ষ্যগুলোই বাংলাদেশ ঠিকমত অর্জন করতে পেরেছে।
তাই, খোজ নিয়ে দেখুন, বাস্তবে ব্যর্থতার সংখ্যা সফলতার তুলনায় খুবই নগন্য।
হ্যা, মানুষকে পয়সায় কামড়ায় না, কিন্তু মাঝে মাঝে বিদেশী হাসপাতালের দালালে কামড়ায়।

২| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

আহমেদ সবুজ বলেছেন: ★অদের বিশ্বাস করা বড়ই কঠিন কাজ--!!

৩| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বিদেশী হাসপাতালগুলো ভাল চিকিৎসার পাশাপাশি ভাল বিজ্ঞাপনও চালায়। এটা হয়েছে এখন মেডিকেল ট্যুরিজম।

আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি সক্ষমতার ব্যাপারেও প্রচার চালাতে হবে, এতে দেশের মানুষ যেসব চিকিৎসা দেশেই করানো সম্ভব, সেটা দেশেই করাবে।

সাথে সাথে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমাদের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর সিংগাপুর যাওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। আমাদের দেশের চিকিৎসার মান কি এত খারাপ যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বা সর্দি কাশি হলে সিংগাপুর যেতে হবে??

৪| ০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

আহলান বলেছেন: চিকিৎসার পাশাপশি ব্যবস্থাপনাও একটি বিরাট ভুমিকা রাখে। সরকারী হাসপাতালের আপাদমস্তক গ্যাঙ্গ্রীনে আক্রান্ত, আপনি সেটা ভালো জানেন আশা করি।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

রাজীব বলেছেন: ডাক্তারদের ব্যবহারও একটি কারন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.