![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(I am sympathetic and sensitive to the conventional systems)আমি প্রথাগত ব্যবস্থার প্রতি সহানুভূতিশীল ও সংবেদনশীল
ধর্মীয় উন্মাদনায় অন্ধ ব্যাক্তিরা আত্মার প্রশান্তির কথা বুঝতে পারে না। তারা একটাই শোর তোলে, প্রার্থনা করো, আত্মা প্রশান্তি পাবে। জাগতিক বোঝা হৃদয়ে থাকলে আত্মা প্রশান্ত হতে পারে না। অথচ জাগতিক ব্যাপারকে একেবারে অস্পৃশ্য বা অস্তিত্বহীন করা সাধারণের পক্ষে অনেক বেশি কঠিন দায়িত্ব। কেনোনা, সাধারণ লোক প্রতিযোগিতামূলক ভোগবাদী সমাজের সাথে পাল্লায় নিমজ্জিত। এই নিমজ্জিত অবস্থা হতে উত্তরণ তাদেরই সম্ভব যাদের মানসিক জোর অনেক প্রচণ্ড।
মানসিক অবস্থাকে এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় উত্তরণ করা চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। কারণ, মানুষ জন্ম হতে বিবর্তনেরর যে সামাজিক এবং পারিবারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় তাকে উপেক্ষা করতে গেলে স্বীয় রক্ত হতে বাঁধা আসে। এই বৃত্ত উপেক্ষা করতে হলে প্রথমে সীমার বাইরে উঁকি মারা শিখা প্রয়োজন। প্রশ্ন হলো, সীমার বাইরে উঁকি মেরে আমি কি চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো?
সেটা নির্ভর করে মানবিক স্বত্ত্বা বা অস্তিত্ব বা আত্মা- যে ব্যাপারটা ভালোভাবে অনুধাবন করতে পেরেছে সে সম্পর্কে সঠিক ও ইতিবাচক বিশ্বাস। মজার ব্যাপার হলো, আত্মার বিশ্বাস নিয়ত পরিবর্তনশীল। কেনোনা, আত্মা পরিস্থিতির প্রভাবের উপর নির্ভর করে নিজের স্বমূর্তি ধারণ করে। আত্মা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন আবিষ্কার, অনুভব ও দর্শনের মাধ্যমে রূপকত্ব লাভ করে। কাজেই, চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে যারা মরীচিকার পিছনে ছুটে নিজেদেরকে লক্ষ্যস্থলে পৌঁছায় অভিষ্ট ব্যাক্তিত্ব মনে করে, তারা আসলে ভ্রান্তির মধ্যে আছে। সুতরাং নিজেকে নিরাপদ রাখতে হলে একটি নিরাপদ বিশ্বাসের প্রয়োজন অনস্বীকার্য।
©somewhere in net ltd.