নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন যখন শুকায়ে আসে করুণা ধারায় এসো...................

আরাফাত নিলয়

(I am sympathetic and sensitive to the conventional systems)আমি প্রথাগত ব্যবস্থার প্রতি সহানুভূতিশীল ও সংবেদনশীল

আরাফাত নিলয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা এক নারীর পতিতা হবার গল্প

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

Somewhere in বাস্তবতা ডেস্কঃ
জানুয়ারি মাসের শেষে আমি যখন মিডটার্ম পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। তখুনি হঠাৎ এক ফ্রেন্ড এলো আমার সাথে দেখা করতে। তার দেশের বাড়ির এক দূর সম্পর্কের কাজিন এসেছে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে। আমার দায়িত্ব হলো বাসা খুঁজে দিতে হবে। প্রশ্ন করলাম, এখন কোথায় আছে ওরা?
-হোটেলে।
পরদিন সকালে শ্যামলীর সেই হোটেলের কাছ হতে ফ্রেন্ডের কাজিন আর তার গার্লফ্রেন্ডকে দেখে আমার চক্ষু চড়কগাছ। কি ভদ্রগোছের বোরকা পড়া মেয়েটি হোটেল হতে একটা ব্যাগ নিয়ে নামলো! সাথে দাঁড়ানো প্রায় ছয়ফুটের কাছাকাছি এক সুদর্শন স্মার্ট ছেলে। স্মার্ট মানে, নারীদের দেহ ঘর্ষণ তত্ত্বে দক্ষ হওয়ায় স্মার্ট আরকি।
আমার অবাক হওয়ার কারণ মেয়েটির বোরকা নয়। মেয়েটির কোলে ফুটফুটে একটি বাচ্চা। পাক্কা দেড় বছরের নাদুস-নুদুস গোলগাল। বাচ্চা দেখলেই আমার মায়া লাগে, তারউপর আবার সেই বাচ্চা অসম্ভব সুন্দর এক দেবশিশু যেন। বাসার কথা বলতেই বললাম, বাসা তো চাইলেই ঢাকা শহরে সাথে সাথে পাওয়া যায় না। তবে আমি চেষ্টা করে দেখি। হয়তো পাওয়া যেতেও পারে। ফেব্রুয়ারী মাসের ১ তারিখ সেদিন।
মেয়েটির বয়ফ্রেন্ডের একজন বন্ধুও এসেছে। আমার ইতস্তত সঙ্কোচ দেখে সে তার পুচ্ছ খানিকটা উচ্চে নেড়ে বললো, সে নাকি ঢাকা শহরে চাইলেই বাসা যোগাড় করে ফেলতে পারে। কারণ সে একজন সিনেমা শিল্পের লোক!
আমি সিনেমা শিল্পের লোকের কারুকার্য দেখতে লাগলাম গভীর আগ্রহে। কিছুক্ষণের মধ্যে সে মগবাজারে বাসা ব্যবস্থা করে ফেললো। আমি বিদায় নিতে চাইলাম, তবুও যেতে হলো ফ্রেন্ডের পীড়াপীড়িতে। ট্যাক্সি করে আমি, আমার ফ্রেন্ড, ফ্রেন্ডের কাজিন ও গার্লফ্রেন্ড (কোলের বাচ্চাসহ) এবং সেই কাজিনের একজন ফ্রেন্ড, অর্থাৎ বাচ্চা ছাড়া টোটাল ৫জন মগবাজারে রওনা দিলাম। মগবাজারে যাওয়ার পর কয়েকঘন্টা রাস্তায় ঘোরাঘুরি করলাম সেই বাহিনীর সাথে। কিন্তু সিনেমা শিল্পের লোকের যোগাড় করা বাসায় যাওয়া গেলো না। বাসা নাকি ৩ তারিখের আগে খালি হবে না। আরো দুইদিন বাকি। এখন এই দুইদিন বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড কোথায় থাকবে? রাস্তায়? আর রাস্তায় থাকলে বাচ্চার কী হবে?
Shit man! ওরা বিপদে পড়লো। আমি মোবাইল ঘেটে ৮জন ফ্রেন্ডকে ফোন দিলাম। ভাগ্য ভালো, বিকেলের মধ্যে তিনটা বাসা রেডি হয়ে গেলো। দুইটা মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে, আরেকটা মিরপুর পাইকপাড়ায়। পাইকপাড়ায় এক ফ্যামিলির সাথে সাবলেট। ভাড়া বাঁচবে অনেক। কাজেই সব ভেবেচিন্তে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড মিরপুরেই উঠলো। অবশ্যই মেয়েটির কোলের বাচ্চাসহ। এরমধ্যে ধীরে ধীরে মেয়েটি আমাকে তার জীবন বৃত্তান্তের বর্ণনা দেওয়া শুরু করলো।

তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ। সে আসলে খুব ভদ্র ও মোল্লা বংশের মেয়ে। সে মাদ্রাসা লাইনে পড়েছে। তার নাকি বোরকা ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া মানা। ক্লাস নাইনে থাকতেই তার বিয়ে হয় কুষ্টিয়ার কোনো এক কলেজের আরবির শিক্ষকের সাথে। সেই শিক্ষক তার চেয়ে দশ বছরের বড়। শিক্ষক নাকি একজন কাঠমোল্লা। প্রচন্ড নামাজ-কালাম আর ধর্মীয় বিধান নিয়ে থাকে, বউকেও সেভাবে থাকতে বলে। এসব দেখে দেখে মেয়েটির ভিতরের অস্তিত্ব ফুঁসে উঠতে থাকে। সে সংসারের এই যন্ত্রণা মেনে নিতে পারে না। এরমধ্যে তার বাচ্চা হয়। ফুটফুটে এক ছেলে। ছেলের দিকে তাকিয়ে সে আর দ্বিধা করেনা। তার স্বামী হুজুর, এটা মেনে নিতে তার কষ্ট হয়। সে মনে করে এরকম সস্তা হুজুর স্বামী নয়, সে রাজধানীর স্মার্ট কমবয়সী কোনো ছেলে ডিসার্ভ করে। তার স্বামীর মতো তার চেয়ে দশ বছর বড় পুরুষ নয়।
তাই বাচ্চাকে নিয়ে গোপালগঞ্জেরই এক ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে আসে সে ঢাকায়। ওরা পালিয়ে এসে একমাস কক্সবাজারে ছিলো। পয়সাকড়ি কিছু সাথে আছে, তাই জীবনের ভবিষ্যতকে অন্ধকার মনে হলেও ভালোই লাগে মেয়েটির কাছে!!!
মেয়েকে বাসায় উঠিয়ে দিয়ে সেই রাতে তার বয়ফ্রেন্ড গোপালগঞ্জে ফিরে যায়। আর মেয়ে তার বাচ্চাকে নিয়ে ঢাকা শহরে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জীবন শুরু করে। মেয়ের বয়স ২৭-২৯ এর মতো। দেহে যৌবন ভরা। সুতরাং কিছুদিন চাকরি খুঁজে না পেয়ে বিনা দ্বিধায় পুরুষের দেহ রঞ্জনে নেমে পড়ে। এর কয়েকদিন পরে আমাকে ফোন দিয়ে সে বলে, ভাইয়া, আপনি একটু আসবেন?
আমি বললাম, কেনো? কি হয়েছে?
-আমার বাবুটার আব্বু এসেছে ঢাকায়। সে আমাকে আর আমার ছেলেকে নিয়ে যেতে চায় গোপালগঞ্জে।
তাহলে যাচ্ছেন না কেনো? এই নিষ্ঠুর শহরে একা পড়ে না থেকে নিজের স্বামীর কাছে চলে যান। উনি আপনাকে ভালোবাসে না?
মেয়েটি কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থেকে বললো, আসলে ভাইয়া, আমার স্বামী আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে। আমি সামান্য অসুখে পড়লে আমার হাত-পা-গা টিপে দিতো ও। আর যখন কলেজে যাওয়ার সময় ১০-১২ দিনের জন্য কুষ্টিয়া যেতো, আগের রাতে আমাকে জড়িয়ে ধরে কতোশত কথা বলতো!
আমি দ্রুত বললাম, তাহলে তার কাছে ফিরে যান জলদি।
-আমি আর কোনোদিনই তার কাছে যাবো না। এখানে এসেছি ফিরে যাবার জন্য না। আজ আমি তার সাথে দেখা করে আমার বাচ্চাকে দিয়ে দিবো। বাচ্চাকে ওই ভালো করে মানুষ করতে পারবে।
আর আপনি? আপনার বাচ্চাকে দেখবেন কিভাবে?
-আপাতত দিয়ে দেই, কয়েকবছর পরে গিয়ে একবার দেখে আসবো।

আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম মেয়ের কথা শুনে। এ কেমন মেয়ে, আর কেমন মা! সে আমাকে অদ্ভুত অনুরোধ করলো,
-আপনি একটু আমার সাথে চলেন শ্যামলী আশা ইউনিভার্সিটির সামনে। ও আমাকে হয়তো জোর করে নিয়ে যেতে চাইবে। আপনি একটু আমার পিছন দিকে থাকবেন, যদি সে আমাকে বাড়ি নিয়ে যেতে চায়, তবে এগিয়ে আসবেন। তাহলে সে আর আমাকে নিতে সাহস পাবে না।
আরে অদ্ভুত! আপনার স্বামী আপনাকে নিয়ে গেলেই তো ভালো, আপনার বাচ্চাও তার মাকে পাবে। আপনি যা হবার হয়েছে, এখন স্বামীর কাছে যান। জীবনটা ধ্বংস করবেন না।
-আমি কোনোদিনই ওর কাছে ফিরে যাবো না। আপনি আসবেন কিনা বলুন, আপনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ এই ঢাকা শহরে হঠাৎ করে আশ্রয় পাইয়ে দিয়েছেন বলে। আশ্রয় খুব কঠিন এক বস্তু এখানে।

আমি ঘটনার শেষ দেখার জন্য শ্যামলীতে আসলাম। তার স্বামী আসার আগেই আশা ইউনিভার্সিটির ভিতরে ঢুকে গেলাম। সামনে যাওয়ার কোনো ইচ্ছেই আমার ছিলো না। দূর হতে শেষ দেখার জন্য অপেক্ষা করলাম। ইউনিভার্সিটির করিডোর হতে দেখলাম, একজন হুজুর আর দুইজন পুলিশ এলো। হুজুর লোকটি খুব আদর করলো নিজের সন্তানকে। তারপর মেয়েটিকে যতোই অনুরোধ করতে লাগলো, মেয়েটি ততোই একগুঁয়েভাবে না করতে লাগলো। অগত্যা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে হুজুর মাথা নিচু করে চলে যেতে লাগলো। এ সময় মেয়েটি হুজুরকে ডাক দিলো। তারপর সামনে গিয়ে রাস্তার ওইপারে গেলো। সেখান থেকে দেখলাম কাজী অফিসে ঢুকছে তারা। মিনিট পনেরো পর সবাই বেরিয়ে এলো। তারপর হুজুর লোকটি তার বউয়ের দিকে কয়েকবার তাকিয়ে কিছু একটা বলে চলে গেলো পুলিশসহ।

আধাঘন্টা পর। মেয়েটি আমাকে ফোন দিয়ে হাসি হাসি মুখে বললো, আমি এইমাত্র আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দিলাম!!
তাই নাকি!! এর কি দরকার ছিলো?
-এরকম একটা হুজুরের সাথে জীবন কাটানো আমার দ্বারা সম্ভব নয়।
কিন্তু আপনিও তো মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। আপনার সাথে কে জীবন কাটাবে?
-শুনুন, আমি মাদ্রাসায় পড়লেও আমার মন অনেক আধুনিক এবং উদার। আপনি বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

আমি পুরাই টাস্কি খেলাম। এ কী ধরণের কথা গো! যাই হোক, সেদিনকার মতো কেচ্ছা খতম হলো।
এরপর সে প্রায় সময় আমাকে ফোন দেয়া শুরু করলো। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা, অশ্লীল ইঙ্গিত তো আছেই। পাশাপাশি তার একজন ইমিডিয়েট বয়ফ্রেন্ড দরকার সেগুলো। বললাম, আপনার না একজন বয়ফ্রেন্ড আছে গোপালগঞ্জের?
-ও, সে? ও খুব বোরিং। বোকা আর সরল। আমি আসলে চাই এমন একজনকে, যে আমাকে খুব ভালোবাসবে!!!!!!!!!
[চিন্তা করেন, যে পোলায় মাইয়াটারে মাইয়াটার বাচ্চাসহ হোটেলে রাইখা দেহকীর্তন খেলসে, সে নাকি বোকা আর সরল!!]

আমি যথাসম্ভব কম যোগাযোগ রাখলাম। সে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানার জন্য মাঝে মাঝেই ফোন দিতো। পাশাপাশি অশ্লীল আকর্ষণ তো আছেই। মিথ্যা বলে নিজেকে সাধু প্রমাণ করতে চাই না। যেহেতু গ্রাজুয়েশন করছি, অথচ কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই আমার। আমি একদিন লোভে পড়ে গেলাম। চিন্তা করলাম, আমি তো একে বলিনি তার স্বামীকে ত্যাগ করতে। কাজেই সে যদি আমার সাথে illicit relation এ জড়াতে চায়, আমি তা করলেই কী না করলেই কী। সে এমনিতেই গেছে। তাই এক সন্ধ্যায় বাসা খালি থাকার কথা বলায় আমি লোভে পড়ে গেলাম। আমি তার সাথে রতিক্রিয়া করে ফেললাম। খুব একটা খারাপ লাগেনি তখন। এখন অবশ্য অনুশোচনা হচ্ছে। অনুশোচনা তার সাথে রতিক্রিয়া করার জন্য নয়, তার মতো নিচু চিন্তার অধিকারী নারীর সাথে রতিক্রিয়া করায় অনুশোচনা হচ্ছে। কি করবো? আমি যে মধ্যবিত্ত। সমাজের সব কিছুর উচ্ছিষ্ট পাই, তাই শুঁকে শুঁকে লোভে পড়ে গেছি আমি। একদল হাই প্রোফাইলের মানুষ আছে যারা আমার লোভ জাগায়। তাদের কোনো দোষ নাই, দোষ সব আমার। তাই সব ভেবে চিন্তে ওই মেয়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলাম।
তারপর হঠাৎ একদিন আমার এলাকার এক বিশিষ্ট অতিরিক্ত নারীঘেঁষা বন্ধুর সাথে দেখা। সে তো ঘন ঘন নতুন আমদানি হওয়া এক নারীর কথা রসিয়ে রসিয়ে বলতে লাগলো আমাকে। জিজ্ঞ্যেস করলাম ওই নারী থাকে কোথায়? যখন ঠিকানা বললো, আমি তো থ। ঠিকানা তো অন্য কারো না। ওই মেয়ের ঠিকানা।
কয়েকদিন পর আরো রোমহর্ষক খবর পেলাম। ভেবেছিলাম মেয়েটি হয়তো এই শহরে কোথাও চাকরি জোগারের চেষ্টা করবে। কিন্তু সে যে এতো দ্রুত এভাবে চলবে ভাবিনি। আমার এলাকার অধিকাংশ আড্ডাবাজ পোলাপাইনই ওই মেয়ের ক্লায়েন্টস হয়ে গেছে। পোলাপাইনদের বড় ভাইরা, ছোট ভাইরা, আশেপাশের অফিস, মহাখালী, কারওয়ান বাজার, বিভিন্ন অফিস- সব জায়গায় মেয়েটি রিজার্ভে যায়। প্রয়োজন মাফিক সার্ভিস দিয়ে আসে। কয়েকদিন আগে হঠাৎ আমাকে ফোন দিয়ে হু হু করে কান্না।
তার জীবন নাকি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বললাম স্বামীর কাছে ফিরে যেতে। সে বললো তা সম্ভব নয়। আমি বললাম, তিনি হয়তো ক্ষমা করে দিবেন।
সে বললো, আমার জীবনের এই ধ্বংস দেখার জন্যই আমি বেঁচে থাকবো। ওই হুজুরের ভালোবাসা আমি চাই না। মানুষ আমাকে গার্লফ্রেন্ড হিসেবে কখনোই নিবে না, টাইম পাস করবে। বেশী কিছু তো আর না, টাইম পাস ই তো করবে? আসুক, যতো পারুক টাইমপাস করুক। আমি সবগুলোর টাইম পাস করিয়ে দিবো। তবুও হুজুরের কাছে ফিরে যাবো না।

এরপর আর খবর পাই না। খবর নেইও না।

*শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এলাকার কিছু ছেলেপুলে রেগুলার তাকে জোর করে ক্লায়েন্টস হচ্ছে। কিন্তু বিনিময়ে কিছু প্রদান করছে না। মগের মুল্লুকের মতো হুজুরের স্ত্রী নিজেকে পতিতাবৃত্তির উল্লুক করেছে। আমার দুঃখ, আমি এই উল্লুকের সাথে একটা মূহুর্ত কেনো শুয়েছিলাম! কেনো আমি মানুষ হয়েও আকাঙ্খাকে ত্যাগ করতে পারলাম না!

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: ++++

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

আরাফাত নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ। উৎসাহ পেলে একটু বল লাগে এই ভেবে যে, আমি মানুষ তা সবাই স্বীকৃতি দিচ্ছে।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

ছাসা ডোনার বলেছেন: লোভে পাপ পাপে ........। যাইহোক নিজে নিজের ভূল বুঝতে পেরেছেন সেটাই পারে ক্য়জন।
ভাল থাকেন আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

আরাফাত নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ ছাসা ডোনার, সুন্দরভাবে বলার জন্য।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ঘটনা কি আসলেই সত্যি?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

আরাফাত নিলয় বলেছেন: ঘটনা সত্যি, কারণ সত্যিটা ঘটার সময় আমি নিজে ছিলাম। আর এখন পর্যন্ত নিজের অস্তিত্বকে আমার সত্যি সত্যি বলেই মনে হচ্ছে।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

মাহবুবুল ইসলাম (সুমন) বলেছেন: গোপালগঞ্জের মেয়ে শুনে খারাপ লাগল.. কারন আমার গ্রামের বাড়িও গোপালঞ্জ। এই অঞ্চলের মেয়েরা সাধারনত ইমশোনাল হয়ে থাকে।

শেষ কথা... আপনি একজন ভাল মনের মানুষ তাই আজ আপনি অনুতপ্ত। মনেরাখবেন ভুল মানুষই করে....

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

আরাফাত নিলয় বলেছেন: ভাই, জেলা দিয়ে কি মানুষকে বিচার করা যায়?
যেকোনো জায়গা থেকেই প্রতিভাবানরা উঠে আসে, আবার যেকোনো জায়গা থেকেই মানুষ নষ্ট হতে পারে।
ধন্যবাদ আমাকে চমৎকার করে বলার জন্য মাহবুবুল ইসলাম (সুমন) ভাইয়া।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: সব পাপীরাই পাপের পরে ক্ষমা পারথনা করে।

যেমনটা চোর গেলে,বুদ্ধিবারে...............

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

আরাফাত নিলয় বলেছেন: ক্ষমার ব্যাপারটাই আসে আসলে পাপের পরে। যে পাপই করেনি, সে ক্ষমা চাইবেই বা কেনো?
মানুষ কখনোই নিজের আত্মমর্যাদাকে বিসর্জন দিতে চায় না, পৃথিবীর সমস্ত মানুষই নিজেকে ভিন্ন রকম করতে চায়। কাজেই এই ভিন্নতা থেকে পাপ যখন আলাদা করে ফেলে, তখন ক্ষমা চাইবার মানসিকতা থাকাও জরুরী। অন্তত মানুষ হিসেবে জরুরী তো বটে।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ভাই কি গল্প লেখলেন এটা। আমরা দেখা সেরা গল্পের মধ্যে অন্যতম।
এটা গল্প হোক কিংবা সত্যি ঘটনা যাই হোক না কেন এরকম হাজার ঘটনা ঘটছে আমাদের আশেপাশে।
তবে এরকম মেয়েদের বা ছেলেদের নষ্ট করার পিছনে দায়ী আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কারণ ধর্মনীতি ধ্বংশের মাধ্যমে মুক্তমনা নামধারীরা সমাজে আজ এইডস এর বিস্তার ঘটাচ্ছে । আর মেয়েটির ও দোষ কম না কারণ নিজে ভাল থাকলে সমাজ যতই খারাপ হোক ধর্ষণ হবে হয়তো কিন্তু কাউকে খারাপ করতে পারে না। কারণ সেচ্ছায় যে ধ্বংশের পথে যেতে চায় তাকে কেউ বাচাতে পারে না।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

আরাফাত নিলয় বলেছেন: গল্প নয়রে ভাই, গল্পের ঢং হয়ে গেছে বুঝেছি। আসলে গল্প লেখার চেষ্টা করি বলে হয়তো এমন হয়েছে। যাই হোক, আমার-ই অভিজ্ঞতালব্ধ একটি ঘটনা এটি।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

আলী আকবার লিটন বলেছেন: আপনার গার্ল ফে , এ লেখাটা না পরলেই হয় । আর গার্ল ফে না থাকলে আপনি মুক্ত । স্বাধীন

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

আরাফাত নিলয় বলেছেন: স্বাধীন বলেই তো এমন পরাধীনতার খপ্পরে পড়লাম রে ভাই।

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ক্ষমা চাওয়া একধরনের বেহায়াপনা।
যার শুরু পাপ বা দোষ দিয়ে।
পাপ বা দোষ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখাই উত্তম।



নিজের গুপন দোষ গুলি নিজেই প্রকাশ করে,
ক্ষমা চাওয়া বেহাপনার ও উচ্চ সীমায়।

ক্ষমা করবেন কাউকে হেয় করা আমার উদ্দ্যেশ্য নয়।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

আরাফাত নিলয় বলেছেন: আমি ঠিক ক্ষমা চাচ্ছি না, ক্ষমা চাওয়া হয় কারো প্রতি অবিচার জুলুম করলে। আর সেটা যখন নিজের সাথে করেছি, তখন ক্ষমার চেয়ে অনুশোচনার ব্যাপারটা নিয়ে বেশী ভাবছি। ধন্যবাদ সোজাসুজি ভাষায় বলার জন্য। দোষ গোপন করা আসলেই উত্তম।

১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

এরকম অতি আধুনিক তবে বেক্কল বহু মেয়ে আছে আমাদের সমাজে যাদের জন্য সমাজটাও কলুষিত হয় ও তার না বুঝার দরুণ তার বিস্তর ক্ষতি হয়।

ধন্যবাদ ঘটনা সত্য বা মিথ্যা হোক সাবলীল লেখায় জন্য।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

আরাফাত নিলয় বলেছেন: খুব অল্প কথায় লিখেছি। নিজেকে কনফেস করানোটা খুব কঠিন। তবুও সেই কঠিন কাজ করে আপনাদের মতামত পেয়ে কৃতার্থ বোধ করছি। ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সবুজ মানব বলেছেন: ভাই, মেয়েটার নাম্বার... :#>

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

আরাফাত নিলয় বলেছেন: এসব মেয়েদের কোনো নাম্বার নাই। এরা আপনার অাশে-পাশেই ছড়িয়ে আছে। চাইলেই ধরতে পারবেন। যেমনটা আমার কুপ্রবৃত্তি চেয়েছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.