![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(I am sympathetic and sensitive to the conventional systems)আমি প্রথাগত ব্যবস্থার প্রতি সহানুভূতিশীল ও সংবেদনশীল
অনেকদিন পর একটি মুভি দেখে কাঁদলাম আমি। অনুভূতি এমনিতেই দুর্বল হয়ে গেছে এই জটিলতর সমাজে। কিছুতেই সহজে অবাক হতে মন চায় না। অল্প সময়ের জীবনে অনেক কঠিন করেই চিন্তা করি আমি। যতো কঠিন করে চিন্তা, ততো বেশী যেন কঠিন ঝামেলা চেপে ধরে জীবনে। সহজ করে ভাবতে গেলে বিপদ। লোকে বলে বোকা!
তবুও কি সহজ গল্পে মানুষের লোভ, ধ্বংসযজ্ঞ, ভালোবাসা আর মৃত্যু ফুটে উঠে শিল্পে!
যে ছবির ব্যপারে এতো ভণিতা করছি, সেটা ১৯৮৮ সালে জাপানে নির্মিত একটা কার্টুন ছবি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানুষের নষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ দ্বারা সংঘটিত অমানবিক অবস্থার একটি মাত্র চিত্র দ্বারা পরিচালক কতো সহজে সমগ্র মানবজাতির দু:খ-কষ্টগুলো তুলে ধরেছেন!
ছবির মূল চরিত্ররা হচ্ছে- সিতা নামের একটি টিনএজ ছেলে এবং তার ছোট্ট বোন, সেতসুকো নামের একটি মিষ্টি বাচ্চা মেয়ে। বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার ফায়ার বম্বিংএর পর এই দুই ভাই-বোন নি:সঙ্গ ও অসহায় হয়ে পড়ে। তাদের মা-বাবা বিশ্বযুদ্ধের আক্রমণের স্বীকার হয়ে মারা যায়। অদ্ভুত নিষ্ঠুর এক দুনিয়ায় তারা পড়ে যেখানে বেঁচে থাকা মানে শরীরে বেঁচে থাকার শক্তি থাকা। টিনএজ ছেলেটি ছোট হলেও পৃথিবীর নিষ্ঠুরতা তাকে সাহসী করে তোলে। সে শক্ত হৃদয়ে কোমল পরশে মিষ্টি ছোট্ট বোনকে যুদ্ধের সমস্ত অাতঙ্ক ও বিভীষিকা থেকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। অভিভাবকহীন, আশ্রয়হীন চরম পৃথিবীতে টিকে থাকার চরম যুদ্ধে হাঁপিয়ে যায় ভাইটি। তবুও বোনকে সে বুঝতে দেয় না। পরম মমতায় শুধু বেঁচে থাকার আশা নিয়ে দু'জন একসাথে থাকে। জোনাকী পোকদের কবর রচনা হয়। সেই সাথে যেন স্পষ্ট অনুভব করা যায় অগণিত মানুষের মৃত্যু কবরের হাহাকার।
হৃদয়ভাঙ্গা করুণ পরিণতি ছবিতে ঘটা সমস্ত চেষ্টাকে যখন ব্যর্থ প্রমাণ করে, তখন চোখের পানিকে আর বাঁধ মানানো যায় না।
মানুষ যে পৃথিবীতে বড় হতে হতে লোভী হয়, নিষ্ঠুর হয় আর বাস্তববাদীর নামে প্রকৃতির স্বাভাবিক বেগকে অশান্ত করে তোলে, তা মনে হতে বাধ্য। ভাই-বোনের এই একটি চিত্র দ্বারাই স্পষ্ট বোঝা যায় মর্ত্যের দুনিয়াতে মানুষের মৃত্যুর তান্ডব। হৃদয়ভাঙ্গা এ ছবির গল্প একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত করেছেন পরিচালক "ইসাও তাকাহাতা"।
ছবিটি শুধুমাত্র তাদের জন্য, যাদের মানুষকে ভালোবাসতে মনে চায়।
Grave of the Fireflies- এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
A film of 1988
8.5/10·IMDb
My Rating- 9/10
Initial release: April 16, 1988 (Japan)
Director: Isao Takahata
Running time: 1h 30m
Production company: Studio Ghibli
Story by: Akiyuki Nosaka
Featured song: Home! Sweet Home
০২ রা মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮
আরাফাত নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ, করিম ভাই। তবে আপনার তুলনায় আমার দেখার পরিমাণকে ১% বলা যেতে পারে।
২| ০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০০
নতুন অভিনেতা বলেছেন: অসাধারণ লেখা ..... অবশ্যই ছবিটি দেখব.......ধন্যবাদ আপনাকে...
০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩
আরাফাত নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও নতুন অভিনেতা ভাই।
৩| ০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬
রিকি বলেছেন: "Why must fireflies die so young? " এই সিনেমার কথা মনে হলেই মনে কোথাও যেন একটা সূক্ষ্ম ব্যথা অনুভূত হয়... Seita আর Setsuko চোখে ভেসে উঠে...মন ultimately ভারী হয়ে যায় কেন জানি.
০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
আরাফাত নিলয় বলেছেন: সত্যি রে রিকি ভাই, এই ডায়লগটা যখন বললো, তখন যেন থমকে গিয়েছিলাম। নিষ্ঠুরতার কোনো উত্তর হয় না, শুধু শিহরিয়ে উঠতে হয়।
৪| ০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩
রিকি বলেছেন: ভাই আরো কষ্টের ব্যাপার কি বলেন তো...সিনেমার ঘটনাটা কিন্তু সত্যি, বাস্তবে ঘটেছে..আমি সহজে যে মুভিগুলোর impact ভুলতে পারব না...তার মধ্যে Grave of the fireflies সবার উপরে থাকবে...খুব কষ্ট পেয়েছি.
০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩
আরাফাত নিলয় বলেছেন: আসলেই, ঘটনা সত্যি। এই মূহুর্তে ব্লগার "পরাজিত মধ্যবিত্ত" ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে। তিনি একবার লিখেছিলেন- মানবতার কখনো জয় হয়নি, জয় হয়েছে ক্ষমতাশালীদের।
তবে আনন্দের বিষয় যে, মানবতার জয় না হলেও, মানবতার পরাজয়ের গান আমরা শিল্পের মাধ্যমেই জানতে পারি। তা'নাহলে কখনোই হয়তো উপলব্ধির তীব্রতা উপভোগ করতে পারতাম না।
৫| ০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩
রিকি বলেছেন: ভাই আরো কষ্টের ব্যাপার কি বলেন তো...সিনেমার ঘটনাটা কিন্তু সত্যি, বাস্তবে ঘটেছে..আমি সহজে যে মুভিগুলোর impact ভুলতে পারব না...তার মধ্যে Grave of the fireflies সবার উপরে থাকবে...খুব কষ্ট পেয়েছি.
০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
আরাফাত নিলয় বলেছেন:
৬| ০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭
রেডিও জোকি বলেছেন: অবশ্যই মুভিটি দেখব।
০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
আরাফাত নিলয় বলেছেন: অবশ্যই দেখবেন, এবং মানুষের জন্য ভালোবাসা অনুভব করবেন।
৭| ০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪
আরাফাত নিলয় বলেছেন: আ মোমেনট টু রিমেমবার" সিনেমাটা কেমন কেউ বলতে পারবেন?
৮| ০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
মাথা ঠান্ডা বলেছেন: দেখার ইচ্ছা আছে।
৯| ০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭
রিকি বলেছেন: অদ্ভূত, ব্যাপক, সেই রকম মাপের একটা মুভি....অনুভূতি এখানে আরেক রকম পাবেন এবং Emotional করবেই করবে গ্যারান্টিড...ভাই আপনাকে আমার ব্লগে আসার দাওয়াত থাকল...আহা আমার মত একখান Emotional ভাই পেয়েছি প্রথমে Grave of the fireflies...এরপর A moment to remember..ভাই সময় নষ্ট না করে দেখে ফেলেন জলদি.
১০| ০২ রা মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
সুমন কর বলেছেন: রিভিউ চমৎকার হয়েছে। কিছুদিন আগেই এর রিভিউ পড়েছিলাম।
টরেন্টে খুজঁলাম, কিন্তু সাইজ ৯ জিবি ! তাই পরে দেখে নেবো।
১১| ০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ২:০০
ঊননের মুখ থেকে বলছি বলেছেন: জানা িছল না কাটুুন ছিব এর ভাল হয় আিমও েকেদিছ কারন আমার একটা েছেল ও কাটুেনর মত একটা েমেয় আেছ, আপনােক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪
এম এম করিম বলেছেন: চমৎকার মুভি, চমৎকার রিভিউ।