![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(I am sympathetic and sensitive to the conventional systems)আমি প্রথাগত ব্যবস্থার প্রতি সহানুভূতিশীল ও সংবেদনশীল
কল্পনা করে দেখুন তো, আপনি আর বেঁচে নেই, আপনার যতো প্রিয় মানুষেরা- স্ত্রী, পুত্র, কন্যা- ক্ষয়ে যাওয়া সময়ের স্রোতে সবাই আপনাকে ধীরে ধীরে ভুলে যাচ্ছে। অথচ যে ট্রেন থেকে প্রতিদিন আপনি নামতেন, সে স্টেশনেই একটি প্রাণী খুব নিয়ম করে প্রতিদিন একই জায়গায় আসছে এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আপনি হয়তো এখুনি ট্রেন থেকে নেমে তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন!!!
আমি বলছি না মানুষ নিষ্ঠুর। কিন্তু মানুষ ভুলে যায় এটা হলো বাস্তবতা। আপনার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা- সবাই আপনাকে অনেক ভালোবাসে। আপনি অবশ্যই সে ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু এমন এক অব্যক্ত ভালোবাসা প্রকৃতির কাছ থেকে পেয়েছে এমন এক প্রাণী, যাকে আমরা হরহামেশাই দেখি, কিন্তু পাত্তা দেই না। সেই প্রাণীটি হচ্ছে কুকুর।
Hachiko: A.Dog's.Story সিনেমাটি ২০০৯ সালের। মুভির রেটিং ও কাহিনী সংক্ষেপ জানতে পেরে অনেকদিন ধরে এমনিতেই বেশ লালায়িত ছিলাম কবে দেখবো মুভিটি। তারওপর যখন জানতে পারলাম কাহিনীটি একটি কুকুরের সত্য ঘটনা অবলম্বনে, তখন লালায়িত লালসা বেশ একটু বেশিই টের পেয়েছিলাম। যাই হোক, মুভিটি খুব সাদামাটা ক্লাসিক টাইপের মুভি। হয়তো অভ্যস্ত নয় এমন অনেকে মুভির শুরুতে ভাবতে পারেন এর কাহিনীর ধারাবাহিকতায় জোর খুব বেশি নয় হয়তো। তবে এটুকু আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি, আপনি যদি আপনার হৃদয়ের অনুভূতিকে মোচড় খাওয়াতে পছন্দ করেন। তবে হাচিকো মুভিটি অবশ্যই আপনার জন্য।
সহজ-সাবলিল ও শান্ত গতির মুভিটিতে আপনি দেখবেন, কুকুরটিকে স্ট্রিট হতে পেয়ে প্রফেসর যথেষ্ট চেষ্টা করেন এর প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করতে। প্রফেসরের পরিবারের সবাই এতে বিরক্ত হয়। একটা বাইরের প্রাণীকে ঘরে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না তারা। প্রফেসর এর মালিককে খুঁজতে থাকলেও কুকুরটিকে অযত্ন করতে পারেন না। তাঁর চলাফেরা, কাজকর্ম, বেড়ানো থেকে শুরু করে সব জায়গায় নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠে কুকুরটি। এক পর্যায়ে সমস্ত মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যায় কুকুরটির উপস্থিতিতে।
মুভির মধ্যে প্রফেসরের মৃত্যু খুব দ্রুতই ঘটে। কিন্তু কাহিনীর ভিন্নতা শুরু হয় এখান থেকেই। কুকুরটা মোটেও বিশ্বাস করে না তার মনিবের মৃত্যুকে। সে অগাধ বিশ্বাস নিয়ে ট্রেনের শব্দ শুনে কান খাঁড়া করে দৌড়ে যায় তার মনিব প্রফেসরকে পাওয়ার আশায়। তারপর অগণিত লোককে ট্রেন থেকে নামতে দেখে, শুধুমাত্র প্রফেসর থাকেন না সেখানে। শুরুতে যেসব দৃশ্য মনে হয়েছিলো সাদামাটা, সেই দৃশ্যগুলোর প্রতি কুকুরটির আনুগত্য আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে যে দৃশ্যগুলোও মোটেও সাদামাটা ছিলো না। ছিলো শক্তিশালী অনুভূতির স্মৃতি।
তখন আপনার কঠিন হৃদয়কেও নাড়িয়ে যাবে মানুষের প্রতি একটি প্রাণীর নিঃস্বার্থ অকৃত্রিম দীর্ঘ ভালোবাসার টানে। কেমন যেন হাহাকার করে উঠে তখন হৃদয় এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসার নজির দেখে। ভালোবাসতে ইচ্ছা করে সবকিছুকে। মানুষকে, প্রাণীকে ও প্রকৃতিকে। খারাপ কি এই অনুভূতিখানি পেলে?
বিঃদ্রঃ
সত্যিকারের হাচিকো ১৯২৩ সালে জাপানের ওডেটে জন্ম গ্রহণ করে। যখন তার প্রভু ডঃ ইসাবুরো উয়েনো, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ১৯২৫ সালের মেয়ে মাসে মারা যান, তার পরের দিন হাচি শিবুয়া রেলস্টেশনে ফিরে আসে এবং পরবর্তী নয় বছর ধরে অপেক্ষা করতে থাকে তার প্রভুর জন্য।
হাচিকো মারা যায় মার্চের ১৯৩৪ সালে।
আজকে হাচিকোর স্মরণে শিবুয়া রেলস্টেশনে তার অপেক্ষার জায়গায় একটি তামার খোদাইকৃত মূর্তি বসানো আছে। ছবিটি এটাচ করে দিয়ে দিলাম।
Some information about Hachi:
Hachi: A Dog's Tale
2009 film
8.2/10•IMDb
62%•Rotten Tomatoes
4/5•Common Sense Media
Initial release: July 8, 2009 (Tokyo)
Director: Lasse Hallström
Running time: 1h 33m
Music composed by: Jan A. P. Kaczmarek
Screenplay: Stephen P. Lindsey
Cast
Richard Gere
(Parker Wilson)
Joan Allen
(Cate Wilson)
Sarah Roemer
(Andy)
Cary Hiroyuki Tagawa
(Ken)
Jason Alexander
(Carl)
১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬
আরাফাত নিলয় বলেছেন: হুম, সত্যি বলেছেন।
২| ১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
শাহরিয়ার নীল বলেছেন: অনেক সুন্দর মুভি।
১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
আরাফাত নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ নীল ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০০
রিকি বলেছেন: এই মুভি যতবারই দেখি না কেন ততবারই সেন্টি হয়ে পড়ি--- এত কষ্ট লাগে।
অভিভূত করার মত একটা মুভি 