নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন যখন শুকায়ে আসে করুণা ধারায় এসো...................

আরাফাত নিলয়

(I am sympathetic and sensitive to the conventional systems)আমি প্রথাগত ব্যবস্থার প্রতি সহানুভূতিশীল ও সংবেদনশীল

আরাফাত নিলয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ইসলামী মিথ। পর্ব ২”

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

মিথোলজিক্যাল কাহিণীসমূহ ব্যপক আনন্দের। এই মিথ বিশ্বাসী অবিশ্বাসী উভয়ের জন্যই। যেমনটা গ্রীক মিথোলজি বিশ্বাসী অবিশ্বাসী উভয়ের জন্য। কাজেই জানার আগ্রহ নিয়ে এই পোস্ট পড়বেন। ধর্মীয় বিশ্বাসের নীতিকথা এখানে না কপচানোই ভালো!

খাবার, ফসল ও বৃষ্টি বন্টনের ফেরেস্তা -হজরত মিকাঈল (আঃ)-
---------------------------------------------------------
হজরত মিকাঈল (আঃ)
হজরত ইসরাফিল (আ) ( এর জন্মের পাঁচশ বছর পরে হজরত মিকাঈল (আঃ) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জোমরূদ নির্মিত দুইটি বিরাট পাখা আছে এবং মাথা হতে পা পর্যন্ত সর্বাঙ্গ জাফরানী রঙের বড় বড় লোমে আবৃত। উক্ত লোমের প্রত্যেকটিতে দশ লক্ষ করে মুখ ও দশ লক্ষ চোখ আছে। আল্লাহ তা’আলার গজবের ভয়ে প্রত্যেক চোখ হতে সব সময় অশ্রু ঝড়ছে। সেই অশ্রুর প্রত্যেক ফোঁটা হতে একজন করে ফেরেস্তার জন্ম হচ্ছে। ওইসব ফেরেস্তাদের সকলেই দৈহিক অবয়বে মিকাঈল (আঃ) এর মতো, তবে আকৃতিতে তারচেয়ে ছোট।
এই সকল ফেরেস্তা সকলেই মুমিন বান্দাদের গুণাহ মাফের জন্য এবং তাদের প্রতি রহমত বর্ষণের অন্য সর্বদা আল্লাহর নিকট মুনাজাত করছে। কেয়ামত পর্যন্ত তারা এভাবেই আল্লাহর কাছে মুনাজাত করতে থাকবে।
মিকাঈল (আঃ) ফেরেস্তার অশ্রুতে সৃষ্ট সব ফেরেস্তারাই মিকাঈলের (আঃ) কাজে সাহায্য করে থাকে এবং এরা সকলেই মিকাঈল নামে পরিচিত। এরা সকলেই মিকাঈলের (আঃ) সাহায্যকারী হিসেবে আসমান-জমিনের যাবতীয় খাদ্য, রিজিক ও সম্পদ বন্টন করে থাকে।
দুনিয়ায় মেঘ বর্ষণ, ফল-ফুল, শাক-সবজি ও শস্যাদি উৎপাদন এবং যাবতীয় জীবজন্তুর খাবার বন্টনের কাজে নিয়োজিত আছে এসব ছোট ছোট মিকাঈল ফেরেস্তাগণ। আকাশ-পাতাল, পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল, নদী-সমুদ্র, ধূসর মরুভূমি প্রভৃতির মধ্যে এমন কোনো স্থান নেই যেখানে মিকাঈল ফেরেস্তার সাহায্যকারীগণ অবস্থান না করে।



পৃথিবীর কোথায় কোন সময়ে কি পরিমাণ বৃষ্টি বর্ষণ করতে হবে, তা এসব ফেরেস্তারাই ঠিক করে দেয়। যাবতীয় জীবের খাদ্য বন্টনের দায়িত্বও এদের উপরে ন্যাস্ত আছে। কে, কোন সময়ে, কোথা হতে, কি উপায়ে, কোন প্রকারের, কি পরিমাণ খাদ্য আহার করবে, তা এদের ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে। কোনোভাবেই এদের করা খাদ্য ব্যবস্থাপনার কোনো ব্যতিক্রম ঘটে না। (দেখা যাচ্ছে গরীব লোকদের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় তারা বড়ই কিপটা!!! () যে ওয়াক্তে, যার জন্য, যেখানে, যতোটুকু খাদ্য বরাদ্দ করা আছে, সেই ব্যক্তি সহস্র মাইল দূরে অবস্থান করলেও সেই নির্দিষ্ট সময়ে তাকে যেকোনো উপায়েই হোক, সেই স্থানে যেয়ে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। কোনোরকমেই এর ব্যতিক্রম হবে না!! (মারহাবা! মারহাবা!)
যখন কোনো মানুষের মরণ উপস্থিত হয়, তখন তার খাদ্য বন্টনকারী ফেরেস্তাটি তার নিকটে এসে বলে- ‘আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি তোমার খাদ্য বন্টন ও নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োজিত ছিলাম। কিন্তু আজ সারা দুনিয়া তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তোমার আহারের জন্য কোনো খাবারের ব্যবস্থা করতে পারলাম না। অতএব, তোমার শেষ সময় উপস্থিত। আজ হতে তোমার প্রতি আমার কর্তব্য শেষ হলো এবং আমি তোমার কাছ হতে বিদায় নিলাম।’
হজরত রাসূলে আকরাম (সঃ) ফরমিয়েছেন যে, ‘যার হাতে আমার প্রাণ, সেই সর্বশক্তিমান আল্লাহর কছম করে বলছি যে, কোনো মানবের জন্য মিকাঈল (আঃ) ফেরেস্তার বরাদ্দকৃত খাদ্যের একটি কণা অবশিষ্ট থাকতেও কেউ দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণ করে না। কোনো মানবের সাধ্য নেই যে, তার জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যের চেয়ে একটুকরো খাদ্য কণাও অতিরিক্ত আহার করে অথবা তার জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য আহার করা থেকে বিরত থাকে।’
দুনিয়ার কোথায়, কোন সময়, কোন প্রকারের ফলমূল, শাকসবজি ও শস্যাদি কি পরিমাণ উৎপন্ন করতে হবে, তা মিকাঈল (আঃ) ফেরেস্তা ও তার সাহায্যকারী ফেরেস্তাগণের কার্য তালিকার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। এদের নির্দেশ ব্যতীত দুনিয়ার কোথাও একটি শস্যকণাও উৎপন্ন হয় না!
বিঃদ্রঃ দয়া করে কেউ ধর্মের অমোঘ বাণী খুঁজার চেষ্টা করবেন না। স্রেফ পৌরাণিক কাহিনী হিসেবে একে ভাবুন, তবে আর প্রশ্ন থাকবে না। পৌরাণিক কাহিনীর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, একই সাথে পৌরাণিক কাহিনীর কোনো অবমূল্যায়নও নেই। সব যুগেই একে অবিশ্বাস করে আনন্দের বিশ্বাস নিয়ে পড়া হয়। আপনার আনন্দময় বিশ্বাস উদ্বেলিত হোক। পরবর্তী পর্বে হজরত জিব্রাইল (আঃ) এর জন্ম, দায়িত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে লিখা নিয়ে আসছি।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মজার + অদ্ভুত!

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৬

আরাফাত নিলয় বলেছেন: আসলেই মজার এবং অদ্ভুত। সাথে কিছুটা রহস্যময়ও বটে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: 'মিথ" হিসেবে গ্রীক ও হিন্দু ধর্মে প্রসিদ্ধি রয়েছে। প্রায় প্রতিটি দেশ ও জাতি ভেদে এই মিথলোজী বিরাট একটা স্থান করে আছে। অন্যান্য ধর্মের মিথগুলোকে মোটামুটি আকার আকৃতি দিয়ে আমাদের জগৎবাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সেই সব জাতিগোষ্ঠীর লোকেরাই। তবে, ইসলাম ধর্মের এই মিথগুলোকে কোন দৈহিক অবয়ব দিয়ে দেখানো হয়নাই, বর্ণনা দেয়া আছে। তাদের কাজ ও দায়িত্ব সম্পর্কেও কোরআন ও হাদিসে অনেক কথা এসেছে। বিশ্বাসীদের কথা আলাদা। তারাতো বিশ্বাস করবেনই কিন্তু যারা অবিশ্বাসী তারা যুক্তি খুঁজবেন এটার অস্তিত্ব নিয়ে। স্বাভাবিক। আপনার মিথগুলো দিয়ে কী বুঝাতে চাইছেন তা যদি বলতেন তাহলে ভালো হতো।
সব কিছুকেই প্রহেলিকা হিসেবে মেনে নিবেনা অনেকেই। তো, বিশ্বাসীদের জন্য কিছু বলুন। এইসব ফেরেস্তার অস্তিত্ব নিয়ে। এরা কী মিথ না কী বাস্তবতা থাকতে পারে? ধন্যবাদ।

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৬

আরাফাত নিলয় বলেছেন: আপনার কথা বুঝতে পেরেছি। তবে কোরয়ান-হাদিসে নিশ্চয়ই ফেরেস্তাদের জীবনী নিয়ে বিস্তারিত লিখা নেই। কারণ কোরআন আসলে মানুষের জীবন যাপনের সংবিধান, ফেরেস্তাদের জীবন, মৃত্যু রহস্যের বিধান নয়।
আর আমার উদ্দেশ্য এখানে ধার্মিকতা নয়, স্রেফ মিথোলজির মতো করে বিবৃত ফেরেস্তাগণের জীবনী সমূহ বর্ণনা করা। বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসীদের জন্য এখানে কোনো নির্দেশনা নেই। এ স্রেফ মিথ। একে আনন্দের জন্য পড়ে গেলেই ভালো হবে।
কোনো ধর্মীয় উপদেশ বা রেফারেন্স তাই আনিনি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩১

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: এক দেশে ছিল মস্ত বড় এক দৈত্য! তার ছিল ইয়া বড় বড়...

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

আরাফাত নিলয় বলেছেন: ইয়া বড় বড় ধন্যবাদ।

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:০২

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: মিথ হিসেবেই নিলাম। আনন্দ ও পেলাম। ধন্যবাদ। তবে, ঈমানের অংশ হিসেবে আমরা মুসলমানদের এটাকে মিথ নয় বিশ্বাস হিসেবেই নিতে হবে। ঈমানের সাতটি বিশ্বাসের মধ্যে ফিরিশতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন জরুরী। তাই, বলছিলাম আপনার মিথোলোজীকে কেউ যেন আবার ব্যাংগ-বিদ্রুপের পর্যায়ে না নেয়। বরাবরই তা হয় আর এতে তৈরি হয় ফ্যাসাদ। যাইহোক, সার্বিক বিবেচনায় আপনার পোস্ট সুন্দর হয়েছে। আমার পরামর্শ হলো মিথলোজীর পাশাপাশি কোন রেফারেন্স দিতে পারলে ভালো হবে। জ্ঞান লাভ ও হলো। ধন্যবাদ।

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৯

আরাফাত নিলয় বলেছেন: পরের পর্বে বিষয়টা নিয়ে একটু ভাবনাচিন্তা করবো। ধন্যবাদ আপনাকেও।

৫| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: মোঃ মঈনুদ্দিন এর সাথে আমি একমত। আপনি যা বিশ্বাস করেন সেটা আপনার একান্তই নিজেস্ব ব্যাপার, আপনার স্বাধীনতা আছে নিজের মতবাদ বা বিশ্বাস ঢোল পিটিয়ে অন্যদের জানানোর।

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৬

আরাফাত নিলয় বলেছেন: ইমরান আশফাক ভাই, এখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কিছু নেই। শুধুমাত্র মিথোলজিক্যাল আবহে আমার পোস্ট দেয়া। যখন গ্রীকদেবতা জিউসের আদেশে সমগ্র পৃথিবী পানিতে ডুবে যায় ও শুধুমাত্র তার কিছু অনুচরদের রক্ষা পায়, তখন জাস্ট মিথ হিসেবেই একে নেন, কোনো প্রশ্ন তুলেন না। কিন্তু নুহ (আঃ) এর সময়েও পানিতে সারাবিশ্ব ভেসে যাওয়ার কাহিণী কেউ মিথোলজির ঢঙে লিখলে প্রশ্ন তুলা বৈধ হয়ে যায়!!
আবারো বলছি, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ভিত্তি এখানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। স্রেফ মিথোলজি হিসেবে পড়ুন। এটি ধর্মীয় প্রচার নয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আশা করি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন।

৬| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩১

ইমরান আশফাক বলেছেন: যুক্তি আছে আপনার কথায়। তবে হযরত আদমের আবির্ভাব ঠিক কতদিন আগে হয়েছিলো বা নূহ নবীর কিস্তি টি ঠিক কত বৎসর আগে ভাসানো হয়েছিলো এই হিসাবগুলি বাইবেলের গল্পে আলোচনা করা হয়েছিল. কোরআনে এই সময়ের হিসাবগুলি সম্পূর্ন উপেক্ষা করে শুধুমাত্র ঘটনাগুলি সংক্ষিপ্ত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরং বাইবেলের বা তৌরাতের বিকৃতি গল্পগুলি কোরআনের নামে চালায় দেয়ার কোন অর্থ হয় না। আর নুহ নবীর জনপদ আর গোটা বিশ্ব কি এক হলো?

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আরাফাত নিলয় বলেছেন: এক নয় নিশ্চয়ই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমি আপনার কথা বুঝতে পেরেছি। তবে এগুলো শুধু গল্পীয় ঢঙে দেয়া। কোনো ঠাট্টা, মস্করা কিংবা হেয় করার জন্য লিখা না।

৭| ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫০

বিবেক ও সত্য বলেছেন: শুধু অন্ধ বিশ্বাসীরাই এগুলো বিশ্বাস করে।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আরাফাত নিলয় বলেছেন: সত্য বটে। কিন্তু বেশি বললে বিপদ যে ভাই!

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইন্টারেস্টিং।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আরাফাত নিলয় বলেছেন: জ্বি হাসান মাহবুব ভাই, আসলেই ইন্টারেস্টিং। অপেক্ষা করুন। ধীরে ধীরে আরো ইন্টারেস্টিং পর্ব আসছে। ৬০/৭০ বছর আগের একটি বই পেয়েছি আমার বাবার দোকানে। দুর্ভাগ্যের বিষয় বইয়ের শেষের এবং শুরুর বেশ কিছু পাতা নেই। তবুও এর মধ্যে যা সম্ভব উদ্ধার করে লিখছি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.