![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়তে ভালোবাসি সে যাই হোক না কেন,গল্প কবিতা কিংবা প্রবন্ধ। লিখতে চাই, মাঝে মাঝে ভালো কিছু লিখেও ফেলি কিন্ত অনেক সময় ভিতর থেকে কিছু আসেনা । তবু চেষ্টা করে যাই নিরন্তর।
বিস্তারিত ইতিহাস আপনাদের আমি বলতে পারবনা শুধু উদাহরণ...
১ঃ -আমার কথা নয় বিকে হিট্টি বার্নাড রাসেলের ভাষায়,হজরত ওমর ফারুক রঃ যে রাস্টটা পরিচালনা তা কত বড় ছিল? প্রায় ২২ লক্ষ বর্গ মাইল। আমিত মাঝে মাঝে অবাক হই, আশ্চার্জর্নীত হই , যে লোকটা অর্ধেক পৃথিবীর স্বাসন করতেন তিনি একজন পাগড়ি ওয়ালা, জুব্বা ওয়ালা, লম্বা লম্বা দাড়ি , তাও আবার সাইজ করা দাড়িনা লম্বা দাড়ি।
...
কেমন চলে ছিল সে রাস্টটা তাদের মূল্যায়ন তাদের মক্তব্য, চারদিকে গাছপালা নেই, ধু'...ধু মরুভূমি আস্টাদশি সুন্দরি রূপবতী যুবতী এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাচ্ছে, যেতে যেতে সন্ধা ঘনিয়ে আসলো ,কিন্তু পথের গন্তব্য শেষ হলনা। থর থর করে কাপছে যুবতী। হঠাত ২৫ -৩০ হাত দূরে দেখতে পেল এক টগবগে যুবক,যুবতীর দিকে আসছে। কম্পমান বুকে ভয়ে যুবতী থর থর করে কাঁপছে, আর চিন্তা করছে যেই সতীত্ব আমি ১৮ বছর ধরে আগলে রেখেছে, আর সন্ধায় এই মরুভূমিতে কেউ আমাদের দেখতে পায় না,সেই সতীত্ব সেই নারীত্ব না যানি আজ এই সন্ধার সময় চারদিকে কেউ নেই, দুনিয়ার কেউ আমাদের দেখতে পায় না। না যানি আজ এই সতীত্ব আমাকে বিসর্জন দিতে হয়,
...
কম্পমান বুক, থর করে কাঁপছে তরুণী, দূর থেকে যুবক ডাক দিয়ে বলে, বোন আমার ভয়ের কোন কারন নেই, চিন্তার কোন কারন নেই , টেনশন নেওয়ার কোন কারন নেই,আমি মুসলিম। আমি মুসলমান কোথায় যাবে তুমি বলো আমি তোমাকে পৌঁছে দিচ্ছি। এবং একজন মুসলমান হিসেবে তোমার ইজ্জতের জিম্মাদারী নেওয়া আমি মুসলমান আমার দায়িত্ব। কোথায় যাবে তুমি বলো আমি তোমাকে পৌঁছে দিচ্ছি।
২ঃ হজরত ওমর রঃ এর খিলাফত আমলে , এক বুড়ি তার মেয়েকে নিয়ে খলিফাতুল মুসলিমিন এর দরবারে নালিশ করলেন। হে আল্লাহ্র খলিফা আপনার কাছে বিচার দিলাম, নালিশ দিলাম। আমার এই মেয়েটিকে আপনার ছেলে ধর্ষন করেছে এর বিচার আপনি করুন। এই কথা শোণার পরে ওমর রঃ ঘরে গিয়ে দেখেন ছেলে ভাত খাচ্ছে, ছেলেকে ডাক দিয়ে বললেন বাবা জলদি খেয়ে নাও , তোমার নামে একজন নালিশ করছে তোমার বিচার হবে।
...
ছেলে না খেয়েই উঠে গেল। ওমর রঃ বললেন এই মহিলা তোমার নামে বিচার দিয়েছে তার মেয়েকে তুমি ধর্ষন করেছে ,কথাটা কি সত্য? ছেলে স্বীকার করলো বললও... হ্যা বাবা আমি ভুল করেছি, অন্যায় করেছি আমি স্বীকার করছি ,আমি মাতাল অবস্থায় তাকে ধর্ষন করেছি ,আমাকে মাফ করে দাও। আমার আর এই ভুল হবেনা।
-সেনাপতিকে ডাক দিলেন বিচার করার জন্য।
...
সেনাপতিকে বললেন ,সেনাপতি বিচার করবেন সুক্ষ্ম, খলিফার ছেলে বলে যেন বিচার পক্ষ পাতিত্ত না হয়। সেনাপতি বললেন আমি খলিফা বুঝিনা, আমি বিচার করবো কুরআনের আয়াত দিয়ে। আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন ধর্ষনের বিচার ১০০ বেত্রাঘাত। এবং সেটা প্রকাশ্যে। সেটা জনসম্মুখে হবে যেন সবাই দেখতে পায়।
মারতে মারতে যখন ৫০ টা চাবুক মারা হলো ছেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো , ওমনি ওমর রঃ এর পা' জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো বাবা আমাকে মাফ করে দাও ,ক্ষমা করে দাও। আর পারছিনা আগামী কাল বাকি ৫০ টা চাবুক মাইরো। স্ত্রী এসে ওমর রঃ এর পা জড়িয়ে ধরলেন, ছেলেটা এমন করছে তাকে ছেড়ে দিন আজকের মত।
...
কিন্তু না , তিনি বললেন এখানে বিচার হচ্ছে আল্লাহ্র আইন অনুসারে এখানে কারো কথা চলবেনা। যখন চাবুক ৮০ টা মারা হলো তখন ছেলে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে, হজরত ওমর রঃ ছেলেকে নিজ হাতে গোসল করালেন, কাফন পড়ালেন, দাফন সম্পন্ন করার পরে সেনাপতিকে জিজ্ঞেস করলেন আর কয়টা চাবুক বাকি। সেনাপতি বললেন খলিফা আরও বিশ টা বাকি। হজরত ওমর রঃ বললেন চাবুক আমার হাতে দিন । চাবুক হাতে নিয়ে ছেলের কবরের উপরে বিশ টা চাবুক নিজেই মারলেন।
...
ঘরে এসে ছেলের ব্যাবহারিক কাপড়, বালিশ ধরে খলিফা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। স্ত্রী এসে জিজ্ঞেস করলেন ,কতবার বলেছি ছেলেটাকে মাফ করে দিন, করলেন না। এখন এসে কাঁদছেন কেন? খলিফাতুল মুসলিমিন, ওমর রঃ উমার ইবনুল খাত্তাব। স্ত্রীকে বললেন এতক্ষন যা করলাম সেটা ছিল আমার আল্লাহ্র আইন। আর এখন যা করছি তা আমি একজন বাবা হিসেবে করতেছি।
কথা বললে অনেকের ঘাড়ে লাগে, এই ইতিহাস গণতন্ত্রের ইতিহাস নয়। কামাল পাশার ইতিহাস নয়! গান্ধীর ইতিহাস নয়! ন্যালসন ম্যান্ডেলার ইতিহাস নয়! বাঘ আর হরিন এক ঘাঁটে পানি খাওয়ার ইতিহাস নয়! আমার দেশের কোন নেতা নেত্রীর ইতিহাস নয়...
-এই ইতিহাস মোল্লা মৌলবিদের ইতিহাস, কাঁদের কে ঘৃনা করেন, কাঁদের কে সাইডে রেখে সামনে চলেন? কাঁদের কে বোকা হারাম, আই এস, আল কায়দার সাথে তুলনা করে জঙ্গি সন্ত্রাসী হিসেবে তুলনা করেন? কথা বলার আগে হুঁশ করে কথা বলবেন, পড়ে নিবেন এই জাতীর ইতিহাস টা। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,
-এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,
-যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে
-এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে।
-তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।
-নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।
-আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
-আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।
-তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।
-তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।
আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।
মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।
আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্রা।
বরং আল্লাহই তাদের সাথে উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে। আল বাকারা ২ থেকে ১৫ আয়াত।
©somewhere in net ltd.