![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়তে ভালোবাসি সে যাই হোক না কেন,গল্প কবিতা কিংবা প্রবন্ধ। লিখতে চাই, মাঝে মাঝে ভালো কিছু লিখেও ফেলি কিন্ত অনেক সময় ভিতর থেকে কিছু আসেনা । তবু চেষ্টা করে যাই নিরন্তর।
এক্সট্রোভার্ট আর ইন্ট্রোভার্টের মাঝামাঝি একটা জাত আছে। অ্যামবিভার্ট বলে এদের।
.
জীবনের কোনো পর্যায়ে আপনি লিস্ট করতে বসলেন,আপনি এক্সট্রোভার্ট না ইন্ট্রোভার্ট,কিছু বৈশিষ্ট্য মিলে গেল এক্সট্রোভার্ট, কিছু ইন্ট্রোভার্টের সাথে...আর কিছু মিললোই না,স্বাগতম... আপনি মাঝামাঝি গোত্রে আছেন।
.
অ্যামবিভার্টরা খুব সহজে মানুষের সাথে মিশে যেতে পারে,গুটিয়ে থাকা এদের ধর্ম না। এরা কথা বলতে পারে, কিন্তু এদের একদম ভেতরের শব্দগুলো অল্প কিছু মানুষের জন্য। অচেনা আগন্তুকদের হাত বাড়িয়ে হাসিমুখে তারা সম্ভাষণ দিতে পারে,কিন্তু ডিপ কনভার্সেশন অথবা ডিপ শেয়ারিং এর জন্য এরা কমফোর্ট জোন খোঁজে,ট্রাস্ট খোঁজ,কাছের দু-একটা মানুষ খোঁজে।
.
এরা কোলাহল পছন্দ করে কিন্তু ভালোবাসে নৈশ্যব্দ। কোনো মিটিং,পার্টি,হ্যাং আউটে তাদের আপত্তি নেই; আবার ইয়ারফোন কানে দিয়ে হুট করে জগত থেকে হারিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তাদের জুড়ি মেলা ভার। অনেক ক্ষেত্রে তারা স্বল্পভাষী,তবে প্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বলে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। বেশি মানুষের সান্নিধ্য যখন অসহ্য বোধ হয়,তখন তারা ডুব দেয়। একান্ত ব্যক্তিগত কিছু সময় দরকার হয় তাদের,সম্পূর্ণ নিজের জন্য।
.
অনেকে বলে অ্যামবিভার্টরা নাকি সবচেয়ে ব্যালেন্সড,মানিয়ে চলতে পারে। কিন্তু এর উলটোটাও সত্য। এদের হতাশায় ভুগতে হয় বেশি,কথা বলতে চায় এরা...বলার মানুষ নেই। যাব কি যাব না,করব কি করব না,বলব কি বলব না; এরা সিদ্বান্তহীনতায় ভোগে সারাক্ষণ। অ্যামবিভার্টদের নিত্যসঙ্গী দোটানা,এক্সপ্রেসিভ থাকব নাকি গুটিয়ে নেবো নিজেকে- এই দোটানা নিয়ে তারা চলে-ফিরে,ব্যস্ত থাকে,এরা বাঁচে দোটানায়...
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫
আরিয়ান রাকিব বলেছেন: ধন্যবাদ... আমিও অ্যামবিভার্ট শ্রেণীভুক্ত। শুভ ব্লগিং
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: সম্ভবত আমি অ্যামবিভার্ট শ্রেণীভুক্ত। নিজের সাথে মিল পাচ্ছি।
ভালো গবেষণা করেছেন।