![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখনো শহরের দালানের কোণে বাবুইর বাসা খুজি।
আমাদের বাড়ি সব সময়ই বিড়ালদের অভয়ারণ্য ছিল।যে সময়ের কথা বলছি তখন আমি ইন্টারমিডেয়েটে পড়ি।ঐ সময় সময় আমাদের বাড়িতে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিড়াল আস্তানা পেতেছে।বাচ্চা-কাচ্চা,মা,বাবা সব মিলিয়ে প্রায় সাত-আট জন।তারা নানা বর্ণের,নানা ঢংয়ের।তাদের উৎপাতের স্টাইলও ভিন্ন। কেও হয়ত খাওয়ার সময় পাতে মুখ দেবে কেও হয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে এটা ওটা ফেলে দেবে।আবার কেও হয়ত রাতে বিছানায় উঠে শরীরের উপর দিয়ে হাটবে।বাচ্চা বিড়ালেরা রাতে যখন কোরাস গাইতে শুরু করে তখন মনে হয় কোথায় হ্যামিলনের বাশিওয়ালা বাশি,বাজিয়ে এই হতচ্ছাড়াদের কোন নদীতে নিয়া ফেল।যা হোক হ্যামিলনের বাশিওয়ালা নেই বলেই আম্মাজান দায়িত্বটা আমার কাধে দিয়ে বললেন, “সব কটারে বস্তায় ভরে এলাকা ছাড়া কর”। আমি বললাম, “সব গুলারে একসাথে নেয়া যাবে না।দুটা দুটা করে নিতে হবে।“ এদিকে বিড়াল ধরে পাচার করা হবে শুনে বাড়ির সব পিচ্চিদের মধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে গেল।তারা কেও কেও গম্ভীর মুখে আমাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিতে লাগল।তাদের পরামর্শের দুই একটা উদাহরণ
ছোট চাচার মেয়ে নেহা বলল, “নানা একটা প্লেটে কিছু মাছ রাখ তারপর বিড়াল যখন খেতে আসবে তখন খপ করে ধরে ফেলবে।
মেজ চাচার মেয়ে বিন্তি বলল, “যেসব বিড়াল ডোলের ভিতর তাদের ধরার জন্য বড়শিতে মাছ গেথে ডোলের ভিতর ফেল তারপর মাছ খেতে যখন গিলবে তখন টান দিয়ে তুলে ফেলবা”। ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু ধরার ব্যাপারে কেও সাহায্য করতে চাইল না।এদিকে বিড়াল ধরাও খুব সহজ কাজ না।হাত থেকে পিছলে যায়।আমার এই অবস্থা দেখে ছোট বোন মুক্তা ঝারি দিয়ে বলল, “খাইয়া শুধু বড়ই হইছ কাজের কাজ কিছুই জান না”।
আমি বললাম, “তুই ধর”।
কিন্তু ধরতে গিয়ে দেখা গেল তার বিড়াল ধরার প্রতিভা আমার চেয়েও খারাপ।দুইটা খামচিও হজম করে বলল, “ও বাবা গো আমি নাই”।
অবশেষে আমি দুইটারে বস্তা বন্দি করে দূরে গিয়ে রেখে বাড়িতে আসলাম।মুখে আত্মতৃপ্তির হাসি যাক বাবা এত দিন পর একটা কাজের কাজ করা গেল।কিন্তু একি আমার আগেই বড়িতে বিড়াল দুইটা উপস্থিত।আমার অসহায় দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে ম্যাও ম্যাও করে উঠল।ভাবটা এমন “আমার লগে মামদোবাজি”।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
কালোপরী বলেছেন: বিড়াল ভয় পাই
খামচি দিসিল