নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অহেতুক কথা।

শহরের দালানের ভীরে বাবুইর বাসা খুজি।

নগরের ধনেষ

এখনো শহরের দালানের কোণে বাবুইর বাসা খুজি।

নগরের ধনেষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নে গুরুর সহিত কিছুক্ষণ

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

(গুরুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপুর্বক)



দুপুরে অফিসে তেমন কাজ না থাকায় টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ স্বপ্নে দেখি রুপালী শ্মশ্রুমন্ডিত সৌম্য চেহারার এক প্রৌড় আমার টেবিলের সামনে এসে দাড়িয়েছেন। তাকে আমার চেনা চেনা মনে হল কিন্তু চিনতে পারলাম না। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কি রে বৎস্য কর্ম ফেলিয়া নিদ্রাদেবীর উপাসনা করিতেছিস কেন?” এরকম শান্তিনিকেতনি বাংলা শুনে আমি বুঝে ফেললাম ইনি আর কেও নন কবি গুরু স্বয়ং। আম বললাম, “আরে গুরু আপনি এইখানে!!! চাকরীর ভাইভা দিতে আইছেন নাকি?। একথা শুনে উনি আমাকে ধমকে উঠলেন, “চুপ কর বেতমিজ।এরকম ম্লেচ্ছ ভাষায় আমার সহিত কথা বলবি না। আজ সখার সহিত দিবসযাপন করার কথা ছিল কিন্তু সখা আমাকে ফাকি দিয়াছে। এই জন্যে অতি দুঃখে একখানি কবিতা রচনা করলুম তাই তোকে দেখাইতে লইয়া আসিয়াছি”। আমি অবাক হয়ে বললাম, “গুরু তাইলে বাংলা একাডেমি আর না হইলে এরশাদ চাচার কাছে যান?”। তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “কি আর কহিব।এই রাষ্ট্রে আমার লেখার কদর একমাত্রই তুই করিতে পারিস আর কেও না। আর এরশাদ ঐ গর্দভ আমার কবিতার কি বুঝিবে? দেখা যাইবে পরে এইটা স্বরচিত বলিয়া চালাইয়া দিবে। উহাকে বিশ্বাস নাই”। গুরু মুখে এই প্রশংসা শুনে খুশিতে গদগদ হয়ে বললাম,

-তাইলে গুরু বসেন।চা দিতে বলি।

- আরে রাখ তোর চা।তোর অফিসের কেরানিরে দেখলুম তোর মতই হা করিয়া নাসিকা গর্জন পুর্বক নিদ্রারত। উহার ঘুম ভাঙ্গাইতে গেলে অনেক সময় লাগিবে যাহা আমার হস্তে নাই।

এই বলে তিনি কবিতাখানি আমাকে দিয়ে ভ্যানিশ হয়ে গেলেন। স্বপ্নে পাওয়া সেই কবিতাংশ এখানে তুলে দিলাম।



সোহরওয়ার্দিতে বসিয়া রহিনু একেলা,

আকাশে ঘন মেঘ করিতেছে খেলা।

হস্তে লইয়া মূঠোফোনে,

করছিনু যোগাযোগ সখীর সনে।

আসিবে আমার হিয়ার রানী,

কখন দেখিব তার পেঁচার মত মুখখানি।

বসিয়া থাকিতে কোমর করিছে ব্যাথা,

জনস্রোতে খুজি আমার সখী কোথা।

এভাবে বসিয়া কাটিয়া গেল কিছুক্ষণ,

হঠাৎ দূরে তাহারে দেখিয়া উতলা হইল মন।

দেখিলাম তার বাহুডোরে সুদর্শন এক যুবক,

হঠাৎ আমার হিয়া করিয়া উঠিল ধ্বক।

কাছে আসিয়া হাসি দিয়া কহিল এটা আমার খুড়তুতো ভাই,

বিলেত হইতে আসিয়াছে আজি তাই।

ইহার সনে হইবে আমার শুভ পরিণয়,

তোমার মত বাউন্ডুলে যুবকের সাথে নয়।

কবিতা লিখিয়া যাবে না’ক পেটে অন্ন,

ইহাকে পাইয়া আমার জীবন আজ হইল ধন্য।

শুনিয়া আমার ধরণী উঠিল দুলিয়া,

কাচের ন্যায় খান খান করি ভাঙ্গিয়া গেল হিয়া।


…………………………………………………

(তারপর আর মনে নাই)

(N.B: এটা নিছক মজা করার জন্য লেখা। সিরিয়াসলি কেও নিবেন না দয়া করে।)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:০২

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: :D :D :D =p~ =p~ =p~

২| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৩৫

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: চ্রম পিলাচ+++

৩| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

নগরের ধনেষ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.