নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মু\'মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্‌কে যথার্থভাবে ভয় কর এবং তোমরা আত্মসমর্পণকারী (মুসলমান) না হইয়া কোন অবস্থায় মরিও না।(আলে- \'ইমরান,আয়াত-১০২)

আরিফুর রহমান হাওলাদার

আরিফুর রহমান হাওলাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানিতে এত বিধিনিষেধ কেন?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭



এক
আবহমানকাল ধরে ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি করা এ দেশের ধর্মীয় উৎসবের একটি চিরায়ত অংশ। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ওয়াজিব এই ইবাদতের সাথে সংশ্লিষ্ট সব রীতিনীতি-আচার-রেওয়াজ-প্রথা নিঃসন্দেহে বাঙালি মুসলমানদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিরও একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু হঠাৎই আচমকা নানা অজুহাতে এত দিনের এসব রীতি-রেওয়াজকে বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নানা গুজব, সন্দেহ ও অবিশ্বাসের বুননের গাঁথুনিতে সরকার জনগণের প্রতিপক্ষের জায়গায় চলে যাচ্ছে। মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের এই সূক্ষ্ম কিন্তু মারাত্মক নাজুক জায়গায় সরকার কেন এভাবে আঘাত করতে চাচ্ছে তা বোধগম্য নয়! নিত্যনতুন পদ্ধতিতে কোরবানি করার যে বিধিবিধান জুড়ে দেয়া হচ্ছে, সেটা আবার একেবারেই হাস্যকর। এটা আসলে কোনোভাবে বাস্তবায়নযোগ্যও নয়। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানেরা পবিত্র ঈদের দিন বিশৃঙ্খলা ও মারাত্মক জনদুর্ভোগে পড়ে সরকারকে দোষারোপ করবে নিঃসন্দেহে। বিপর্যস্তরা আওয়ামী লীগ-বিএনপি নির্বিশেষে ভোগান্তির মুখে পড়ে সংশ্লিষ্টদের চোদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতেও কুণ্ঠা বোধ করবে না।

দুই.
এমনিতেই এবার ভারত থেকে গরু না আসায় মানুষ মনে মনে সরকারকে দোষ দিচ্ছে। ভারত বিরোধীরা মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে যে, গোমাতা হত্যা মহাপাপ বলে বিজেপি সরকার বাংলাদেশে গরু পাঠাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও প্রতি বছরের মতো এবারো ভারত গরুর গোশত রফতানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এ দেশে গোহত্যাকে বিভিন্ন বাহানায় নিয়ন্ত্রণ করে কাউকে খুশি করা হচ্ছে বলেও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাই সরকারের উচিত হবে এ বিষয়ে জনগণের সামনে নিজেদের স্বচ্ছ রাখা। মানুষের সন্দেহগুলো কাকতলীয়ভাবে মিলে গেলে সরকারই বেশি বিপদে পড়বে বৈকি।

তিন.
এবার পশু কোরবানির জন্য যে স্পট নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে, সেই স্পটগুলোতে কমপক্ষে এক থেকে দেড় হাজার পশু কোরবানি দেয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। সহস্রাধিক মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল পাওয়ার জন্য ঈদের দিন ধৈর্য ধরে কিভাবে থাকবে? এই স্পটগুলোতে একসাথে এত কসাই, পানি, রক্ত-বর্জ্য নিষ্কাশন, গোশত আনা-নেয়ার পর্যাপ্ত যানবাহন কোথা থেকে আসবে? সনাতন পদ্ধতিতে যেভাবে জবাই ও চামড়া ছাড়ানো হয়, তাতে একটি গরুর জন্য কমপক্ষে দেড় থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। এমনিতেই জীবন্ত পশুর হাটে আবর্জনার স্তূপে টেকা দায়, তার ওপর হাজারো পশু একসাথে জবাই হলে রক্ত-ভুঁড়ি-কাদা-পানির বন্যা বয়ে যাবে। হাজারো পশু কোরবানির জন্য গড়ে প্রতি স্পটে অন্তত পাঁচ থেকে সাত হাজার লোক আসবে। সাথে ফকির-মিসকিনসহ আরো দ্বিগুণ লোক আসবে গোশত নেয়ার জন্য। জনতাকে সুশৃঙ্খল রাখতে ব্যাপক নিরাপত্তাবাহিনীর সতর্কাবস্থার মাঝে গোশতপ্রত্যাশীদের ঠেলাঠেলিতে আল্লাহ না করুক কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এর দায় কে নেবে? চামড়াসন্ত্রাসীরা এ সুযোগে ক্ষমতার দাপটে কখন কার ওপর গুলি চালিয়ে বসবে বলা মুশকিল!

চার.
ছোটবেলায় আমরা বছরের কোরবানির এই দিনগুলোর জন্য অপেক্ষায় বসে থাকতাম। কবে হাট বসবে, কোন হাটে কী রকমের গরু আসছে? লালী-ভুট্টি-মীরকাদিমের গরুর দিকে সার্বক্ষণিক নজর থাকত। হাট থেকে লাঠি হাতে রাস্তা দিয়ে গরু হাঁটিয়ে নিয়ে আসার মজাই আলাদা। আমাদের পুরান ঢাকায় রাস্তার ওপর সারিবদ্ধভাবে রাখা গরুর বর্ণিল মালায় সাজিয়ে আদর-যতœ-খাওয়ানো-আহ্লাদের পুরো দায়িত্ব আমাদের যুদ্ধ করেই পেতে হতো। ঈদের নামাজ পড়েই কোরবানির পশু জবাইয়ের আত্মত্যাগের অপূর্ব মহিমায় গোটা পরিবারকে সাথে নিয়ে উদযাপন করার চিরাচরিত এক অনন্য রেওয়াজ এটা। হইচই ছোটাছুটি আর গৃহিণীদের ব্যস্ততার মাঝে নানা পদের গোশত রান্নার রসনায় ভরপুর গোটা মহল্লা। এগুলো কি আমাদের শত শত বছরের সুমহান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়?

পাঁচ.
এবার ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হয়ে গেলে বেশ কিছু দিন ধরেই গরুর গোশতের দামও বেড়ে গেছে। মন্ত্রীরা আশ্বাস দিয়ে বলছেন, দেশে এত বেশি গরু আছে যে, আমাদের এখন থেকে বিদেশে গরু রফতানি করা লাগবে। তবে বাস্তবতা একেবারেই উল্টো। কোরবানির পশুস্বল্পতার কারণে মানুষ আশঙ্কা করছে এবার হয়তো চড়া মূল্যেও পশু পাওয়া যাবে না। মিয়ানমার থেকে কিছু গরু আসছে বটে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। আসলে গোমাতা হত্যা নয়, ভারত চাইছে বাংলাদেশে চামড়া শিল্পের বিকাশ রুখতে। তারা নিজেরা গোমাতা হত্যা করে গোশত রফতানিতে বিশ্বের এক নম্বরে রয়েছে, কিন্তু অন্যদের হাতে গোমাতা হত্যা হোক তারা সেটা কেন চাচ্ছে না? বাংলাদেশের কোরবানির পশুর বাজারে ভারতের ৩০ হাজার কোটি টাকার বিশাল গরু-বাণিজ্য রয়েছে। তারা শেষ পর্যন্ত সেটা হাতছাড়া করবে কি না সন্দেহ আছে!

ছয়.
এ বছর কোরবানির পশু আমদানি না হওয়া থেকে শুরু করে হাট সঙ্কোচন ও পশু জবাইয়ের নিত্যনতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার প্রকারান্তরে পদে পদে কোরবানিতে বাধা সৃষ্টি করছে বলে মানুষের মনে যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে, তা সরকারকেই স্পষ্ট করতে হবে। নতুবা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভুল বুঝবে। কোরবানির মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে সরকার নমনীয় না হলে এহেন ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হবে। মানুষ এমনিতেই চরমভাবে কোণঠাসা হয়ে আছে। তার ওপর এ ধরনের নিত্যনতুন বিধিনিষেধ মানুষকে আরো বেশি সক্সক্ষুব্ধ করে তুলবে। এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি, সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

ছাসা ডোনার বলেছেন: আসলে পশু কুরবানী দেওয়ার জন্য নির্দিস্ট স্থান নির্ধারন করে একটা ভাল উদ্দোগ নিয়েছে।পৃথিবীর সব দেশেই নির্ধারিত স্থানে কুরবানী করা হয় শুধু আমাদের দেশেই যে যেখানে ইচ্ছে কুরবানী দেয়। এতে পরিবেশ দুষিত ও নোংরা হয় , কারন কেউ নিজ দায়িত্বে জায়গা পরিস্কার করে না। আশা করি সব প্রকৃত মুসলমান গন বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনে আল্লাহর হস্তে কুরবানী করবে। আল্লাহ আপনাদের সবাইকে সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ !!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেছেন: এগুলো কি আমাদের শত শত বছরের সুমহান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়?

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দেশের স্বার্থে এই নিয়মটা ভালো। মধ্যপ্রাচ্যেও এ ধরনের নিয়ম আছে। নতুন কোন কিছু আমাদের আয়ত্ত করতে সময় লাগে। সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেছেন: রীতিনীতি-আচার-রেওয়াজ-প্রথা নিঃসন্দেহে বাঙালি মুসলমানদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিরও একটি অংশ।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভারত থেকে আমদানী বন্ধ হওয়াতে নিজের দেশে এই খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো হয়েছে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেছেন: ভারত থেকে গরু না আসলে গরুর দাম দেশে অনেক বাড়বে

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২

সাব্বির শওকত শাওন বলেছেন: সবকিছুতেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগালে হবেনা। আর সরকারকে ধর্মের নামে ট্যাগ করলেও হবে না। গরুর মাংস রপ্তানি এক জিনিস আর অন্য ধর্মের লোকজনের ধর্মীয় বিধি পালনের জন্য গো হত্যা ভিন্ন. জিনিস। এখানে ভারত সরকার এর গোনীতী তে তাদের প্রবল ধর্মীয় অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। ভারত থেকে গরু না আসলে গরুর দাম দেশে অনেক বাড়বে। এতে উন্নয়ন হবে গ্রামীণ অর্থনীতির। দেশের মানি আউট ফ্লো কমবে। আভিজাত্যের জাল জড়ানো লাট সাহেবরা দুইটা করে গরু কোরবানি না করে সাত জন মিলে একটা গরু কোরবানি করবে। কোন নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হলে পরিবেশ রক্ষা করা সহজ হবে। অন্যান্য দেশ বাদ দেন, সউদি আরব এ কিভাবে কোরবানি হয় খবর নিয়ে দেখুন। ওখানে মানুষ রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে কোরবানি করা ধর্মীয় অধিকার মনে করে না। সরকারের সব পদক্ষেপ কেই পাইকারি দরে তুলাধুনা করা বাঙ্গালীর স্বভাব এ পরিনত হয়েছে। পদক্ষেপ টি খারাপ নয় বরং কিভাবে ভোগান্তি কম হতে পারে সেটাই ভাবা উচিত। কিন্তু তার জন্য কয়েকবার সরকার এর জনগণের ভোগান্তি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এবং দিন দিন এই ব্যবস্থা উন্নয়ন এর চেষ্টা করতে হবে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেছেন: রীতিনীতি-আচার-রেওয়াজ-প্রথা নিঃসন্দেহে বাঙালি মুসলমানদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিরও একটি অংশ।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

সাব্বির শওকত শাওন বলেছেন: বাঙ্গালী মুসলমান হইল কয়দিন ধরে যে, মুসলিম রীতিনীতির সাথে বাঙ্গালীর সংস্কৃতি মিলাইতেসেন। বাঙ্গালীর সংস্কৃতি আর মুসলিম রীতিনীতি এক জিনিস না। তবে ধর্মের সাথে অনেক রীতি সংস্কৃতিতে প্রবেশ করেছে। সেটা খারাপ কিছু না। তবে রীতিনীতি যদি সমাজের প্রেক্ষাপট এর সাথে খাপ খাওয়াতে না পারে এবং এর বদলে যাওয়া ই যদি মঙ্গল জনকে হয় তবে তাই শ্রেয়। পরিবর্তন সব সময় খারাপ না। সমাজ পরিবর্তনশীল এবং তার সাথে রীতিনীতি তেও কিছুটা পরিবর্তন আসবে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫

আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেছেন: হা এভাবে এক সময় বলবে কুরবনির জন্য দেশে পরিরেশ নষ্ট হচ্ছে তাই কুরবানিই করা যাবে না । as like indean.,

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

সাব্বির শওকত শাওন বলেছেন: এভাবে কখনো বলবে না, কারণ এটা ধর্মীয় রীতি। এটা অবশ্য পালনীয় কিন্তু নিয়মের মধ্যে পালন করা যাবেনা একথা বলা নেই। তাই বিভিন্ন নিয়ম আসবে কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আসবে না। আর ভারত এর সাথে এর প্রেক্ষাপট মিলানো অনেক বড় ভুল। কারন ভারত এর গোহত্যা বন্ধে ধর্মীয় সমর্থন রয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ এ কোরবানি বন্ধে কখনোই ধর্মীয় সমর্থন থাকবেনা। আসা করি বুঝতে পেরেছেন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেছেন: আপনাকে হয়তো আমি বুজাইতে পারি নাই ,,,

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০

কালীদাস বলেছেন: আপনি জিনিষটাকে অন্য সুর দেয়ার চেষ্টা করছেন কেন বুঝলাম না। বেশিরভাগ দেশেই নির্দিষ্ট জবাইখানার বাইরে কোরবানি দেয়া নিষিদ্ধ। মিডলইস্টের প্রায় সব দেশেই এভাবে কোরবানি হচ্ছে এমনকি হজ্বেও। আপনি প্রথম কয়েকটা কমেন্টের রিপ্লাইয়ে দোহাই দিলেন দেশি কালচারের তারপর বললেন আর হয়ত কোরবানিই দেয়া যাবে না ভবিষ্যতে। অাজব!!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেছেন: এবার পশু কোরবানির জন্য যে স্পট নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে, সেই স্পটগুলোতে কমপক্ষে এক থেকে দেড় হাজার পশু কোরবানি দেয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। সহস্রাধিক মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল পাওয়ার জন্য ঈদের দিন ধৈর্য ধরে কিভাবে থাকবে? এই স্পটগুলোতে একসাথে এত কসাই, পানি, রক্ত-বর্জ্য নিষ্কাশন, গোশত আনা-নেয়ার পর্যাপ্ত যানবাহন কোথা থেকে আসবে? সনাতন পদ্ধতিতে যেভাবে জবাই ও চামড়া ছাড়ানো হয়, তাতে একটি গরুর জন্য কমপক্ষে দেড় থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। এমনিতেই জীবন্ত পশুর হাটে আবর্জনার স্তূপে টেকা দায়, তার ওপর হাজারো পশু একসাথে জবাই হলে রক্ত-ভুঁড়ি-কাদা-পানির বন্যা বয়ে যাবে। হাজারো পশু কোরবানির জন্য গড়ে প্রতি স্পটে অন্তত পাঁচ থেকে সাত হাজার লোক আসবে। সাথে ফকির-মিসকিনসহ আরো দ্বিগুণ লোক আসবে গোশত নেয়ার জন্য। জনতাকে সুশৃঙ্খল রাখতে ব্যাপক নিরাপত্তাবাহিনীর সতর্কাবস্থার মাঝে গোশতপ্রত্যাশীদের ঠেলাঠেলিতে আল্লাহ না করুক কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এর দায় কে নেবে?

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৭

এস. এম. হাবিবুল্লাহ বলেছেন: ভাই, সরকারকে বলুন- পাঁটা বলিও যেন সব এক জায়গায় হয়। তখন বুঝা যাবে সরকারের মনোভাব কি? তখন হিন্দুরা না জানি বলে বসেন - 'সরকার সংখ্যালঘুদের হয়রানী করছে'।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেছেন: রাইট

৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: আসলেই অবৈধ সরকার যা করছে খুবই ভুল করছে। একে তো তাদের এখন জনপ্রিয়তা খুবই নগন্য তার উপর ধর্মীয় আবশ্যকীয় পালনীয় বিষয়ের উপর এমন বিধি নিষেধ মোটেও গ্রহন যোগ্য নয়।

একটা উন্নয়নশীল দেশে উন্নত দেশের নিয়মকানুন জারি করাটা সুবিবেচক এর কাজ নয়।

সরকার ভারত প্রীতি দেখাইতে দেখাইতে শেষ!!! ভারত হিন্দু প্রধান দেশ ও বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ।

ভারতের মুসলিম সংখ্যা আমাদের দেশের চেয়ে কম না। কিন্তু ভারত সরকার মুসলিমদের উপর অন্যায় করেছে।

সে হিসেবে বাংলাদেশেও হিন্দু কম না। আমরা তাদের রীতিনীতিতে কোন হস্তক্ষেপ করছি না।

সরকার দিন দিন বাংলাদেশের মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। কি প্রমাণ করতে চায় তারা???

তারা দেশ টাকে অন্যকারো হাতে তুলে দিতে চায়!!!

১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

নতুন বলেছেন: সব কিছুতেই ষড়যন্ত খুজলে চলে না।

ঢাকাতে কুরবানির জন্য অবশ্যই ব্যবস্তা নেওয়া দরকার। তবে তার জন্য কয়েক বছর লাগবে।

বিশ্বের সব উন্নত দেশেই তাই করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.