নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মু\'মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্‌কে যথার্থভাবে ভয় কর এবং তোমরা আত্মসমর্পণকারী (মুসলমান) না হইয়া কোন অবস্থায় মরিও না।(আলে- \'ইমরান,আয়াত-১০২)

আরিফুর রহমান হাওলাদার

আরিফুর রহমান হাওলাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩২



বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র নোয়াখালীর চৌমুহনীর ভেতরেই গাছপালায় ঘেরা একটুকরো শান্তিময় সবুজ ক্যাম্পাস আর এখানেই প্রায় সত্তর বছরের ঐতিহ্য বুকে ধারণ করে মাতা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে চৌমুহনী সরকারী এস. কলেজ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন চলছে (১৯৩৯-১৯৪৫)। এরই মধ্যে তৎকালীন নাথ ব্যাংকের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন সাদা মনের মানুষ বাবু ক্ষেত্রনাথ দালালের নেতৃত্বে চৌমুহনীতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রাথমিক উদ্যোগ কিছুটা বাধাগ্রস্থ হলেও পরবর্তীতে বাবু প্রসন্নকুমার রায় চৌধুরী এবং তাঁর জ্ঞাতি ভ্রাতা বাবু হরকুমার সাহা ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ১ বিঘা জমি দান করলে ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চৌমুহনী কলেজ।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবু রাধা গোবিন্দ নাথ চৌমুহনী কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৪৬ সালে নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে কলেজের উদ্যোক্তা, অধ্যক্ষ, অধ্যাপকসহ অনেকে কলকাতায় চলে যান। কলেজ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর বাবু মুকুন্দ কিশোর চক্রবর্তী কিছুদিন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এর পরেই টি. হোসেইন নামে খ্যাত অধ্যাপক তাফাজ্জল হোসেইন প্রথমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং ১৯৫০ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান এবং একনাগাড়ে ৩১ বৎসর এ দায়িত্ব পালন করেন। এক বিঘা জায়গা নিয়ে যে কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল অধ্যক্ষ টি. হোসেইনের সময়কালেই খরিদসূত্রে এবং অধিগ্রহণের মাধ্যমে কলেজ বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়। বর্তমানে চৌমুহনী কলেজের প্রায় ৩৫ একর জমি রয়েছে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে চৌমুহনী কলেজের কৃতি ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ আহমেদ রাজাকারদের সাথে এক সম্মুখযুদ্ধে শহিদ হন এবং তাঁর নাম অনুসারে কলেজটি চৌমুহনী এস. এ কলেজ নাম ধারণ করে। ০১/১১/১৯৮৪ সালে কলেজটি জাতীয়করণ হয় এবং নামকরণ করা হয় চৌমুহনী সরকারী এস. এ কলেজ।

২০০৪-২০০৫ শিক্ষাবর্ষে হিসাববিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ইসলামি শিক্ষা, পদার্থ, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা এবং গনিত- এ আট বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে এ কলেজে অনার্স কোর্সের যাত্রা শুরু হয় এবং ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে বাংলা ও ২০০৯-২০১০শিক্ষাবর্ষে রসায়ন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স প্রবর্তন করা হয়। এভাবে এগারটি বিষয়ে বর্তমানে অনার্স কোর্স চালু আছে। ইংরেজী, সমাজকল্যাণ, অর্থনীতি ও ইসলামের ইতিহাস- এর চার বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। শিক্ষকস্বল্পতা সরকারি কলেজগুলোর একটি সাধারণ সমস্যা। চৌমুহনী সরকারি এস.এ কলেজও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু ২০০৬ সালে এ কলেজে আটটি অধ্যাপকপদসহ ছাপ্পান্নটি পদ সৃষ্টি করা হয় যা একটি বিরল ঘটনা।

১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই বৃহত্তর নোয়াখালীর আলোকবর্তিকা হিসেবে চৌমুহনী সরকারী এস, এ কলেজ তার ভূমিকা পালন করে চলেছে। নান সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ২০০৯ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলে এ কলেজ কুমিল্লা বোর্ডে শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছে।


Collected : collegeofficialfage

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই বৃহত্তর নোয়াখালীর আলোকবর্তিকা হিসেবে চৌমুহনী সরকারী এস, এ কলেজ তার ভূমিকা পালন করে চলেছে।

চমৎকার একটি পোষ্ট উপহার দিয়েছেন। ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ইতিহাস জানলাম, ভাল লাগল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.