নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Md. Arifur Reza

Md. Arifur Reza › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপ্রাসঙ্গিক ........

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১

যশোরের এক মসজিদে একদিন এক মুসল্লি জুমার নামাজের সময় প্রশ্ন করলো, " হুজুর, হজরত ইব্রাহিম (আঃ) যখন হজরত ইসমাইল (আঃ) কে কুরবানী করার বদলে দুম্বা কুরবানী করলো তখন ওই দুম্বার রং কি ছিল ?”

হুজুর বলল এটা আমার জানা নাই কারণ কুরআনে এ সম্পর্কে বলা নাই , শুরু হলো হট্রগোল, লোকটি বলল এই হুজুর কিছু জানে না , এই হুজুরের পিছনে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না | তার সাথে আরো কিছু মানুষ্ যোগ দিল এবং হট্রগোলের মাত্রা বেড়ে গেল | ঘটনা ক্রমে সে মসজিদে একজন মুসাফির দারোগা পুলিশ এবং তার কিছু সাথী উপস্থিত ছিল, তারা বলল এখন নামাজের সময় হযেছে হুজুর আগে জুমার নামাজ পড়িয়ে দিক পরবর্তিতে আপনারা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েন কি করবেন ? সবাই রাজি হলো, হুজুর নামাজ পড়িয়ে দিল | নামাজ শেষে মসজিদ থেকে অধিকাংশ লোক বেরিয়ে গেল | এবার দারোগা সাহেব ওই লোকটি সহ ইমাম কে ডাক দিল এবং তার সাথে আরো সাথী বসলো | দারোগা সাহেব লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলো, আপনি এখন কিসের নামাজ পড়লেন ? লোকটি উত্তর দিল , কেন জুম্মার নামাজ | দারোগা পুনরায় প্রশ্ন করলেন, এশার নামাজে বেতর নামাজ কত রাকাত ? লোকটি বলল তিন রাকাত | দারোগা এবার প্রশ্ন করলেন, বেতর নামাজের শেষ রাকাতে দোআ কুনুত পড়া লাগে আপনি সেটি পারেন ? যদি পারেন তবে একটু শুনান তো | এবার লোকটি আমতা আমতা করে বলল আমি দোআ কুনুত পারি না |

এবার দারোগা সাহেব ইমাম কে জিজ্ঞাসা করলো দোআ কুনুত ছাড়া বেতর নামাজ হবে নাকি ? হুজুর বলল, না নামাজ হবে না | দারোগা সাহেব আবার হুজুর কে জিজ্ঞাসা করলো, হুজুর আল্লাহ কি বান্দাকে নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন নাকি দুম্বার রং কি ছিল সেটা জিজ্ঞাসা করবেন ? হুজুর বলল নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে | এবার দারোগা লোকটিকে বলল, আপনের যেখানে নামাজ ই হয় না সেখানে আপনের একজন মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই অযৌক্তিক প্রশ্নটি করা উচিত ছিল কিনা ? আপনের কোনটা জানা আগে দরকার ? এবং লোকটিকে আরো তিরস্কার করে মসজিদ থেকে চলে যেতে বলল |



মূলকথা : আমরা বর্তমানে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এমন সব অযথা /অযৌক্তিক প্রশ্ন করি যেগুলো জানা এবং শুনা তার ব্যক্তিক জীবনে জরুরি নয় | কিন্তু যেটা দরকার সেটা করি না |


( উপরের ঘটনাটি একটি সত্য ঘটনা )

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: আমরা বর্তমানে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এমন সব অযথা /অযৌক্তিক প্রশ্ন করি যেগুলো জানা এবং শুনা তার ব্যক্তিক জীবনে জরুরি নয় | কিন্তু যেটা দরকার সেটা করি না।
এইটাই। এবং সবচেয়ে বেশি অযথা প্রশ্ন করে মানুষ আদম এবং হাওয়া (আ) এর ঘটনা নিয়ে। আল্লাহ তাদের দুইজন রে নিয়া এত নাটক করছে কেন, শয়তান কীভাবে আল্লাহ এর অগোচরে বেহেশতে ঢুইকা এই সর্বনাশ করতে পারল। আরে আল্লাহ ত আগে থেকেই বলছিলেন দুনিয়াতে তিনি তার প্রতিনিধি পাঠাবেন যারা আল্লাহর ইবাদাত করবে। জান্নাতে কোটি কোটি গাছ ছিল, তার মধ্যে শুধু একটা গাছই ছিল যেইটার কাছে আল্লাহ যাইতে নিষেধ করছিলেন সেইটা না মানার কারণে এই পরিণতি হইছিল। এই পুরা ঘটনার একটাই শিক্ষা ছিল সেইটা হল হিউম্যান গ্রীড অর্থাৎ লোভ এই লোভ এর কারণে তখন সেই পরিণতি ঘটছিল। আর আল্লাহর হুকুম না মানা। এই জিনিস ই আল্লাহ শিখাইছিলেন পুরা হিউম্যানিটিকে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৩

Md. Arifur Reza বলেছেন: মন্তবের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.