![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম পর্বটি পড়তে ক্লিক করতে পারেন
প্রশ্নঃ কিন্তু ঈশ্বরেরে প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেয়াতো সম্ভব নয়। তাহলে কিভাবে আপনি ঈশ্বরকে প্রতিষ্ঠা করবেন?
উত্তরঃ প্রমাণ অর্থ হচ্ছে স্বচ্ছ জ্ঞান যা ইন্দ্রিয় অঙ্গ গুলো হতে প্রাপ্ত উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়। কিন্তু লক্ষ করুন ইন্দ্রিয় অঙ্গ গুলো শুধু মাত্র গুন গুলিকে ধারণ করতে পারে ঐ সকল গুনের কারন বা হেতুকে নয়। উদারহন স্বরূপ, যখন আপনি এই লেখাটি পড়ছেন তখন কিন্তু আপনি আমার অস্তিত্বকে ধারণ করতে পারছেন না, কিন্তু কতগুলি সাংকেতিক চিহ্ন, বর্ন, বা ছবি যা কম্পিউটার স্ক্রিনে আসছে যা আপনি অর্থপূর্ন জ্ঞানে রূপান্তরিত করছেন। তারপরে আপনি এই সিদ্বান্তে উপনীত হয়েছেন যে এই লেখাটির কোন লেখক আছে এবং এই লেখকের অস্তিত্বের প্রমান আপনার কাছে আছে বলে আপনি দাবী করেন। সুতরাং এটা হচ্ছে একটি পরোক্ষ প্রমাণ যদি প্রত্যক্ষ ভাবেই প্রতীয়মান হয়। ঠিক একই ভাবে এই সমস্ত সৃষ্টি যা আমরা এর বৈশিষ্ট্য দ্বারা পর্যবেক্ষন করি আমাদের ইন্দ্রিয় অঙ্গসমূহ মধ্য দিয়ে তা ঈশ্বরের অস্তিত্বকে পরোক্ষভাবে প্রকাশ করে।
যখন প্রত্যক্ষভাবে একটি সত্ত্বার সাথে একটি সংবেদনশীল তথ্যের যোগসূত্র ঘটাতে পারবেন তখন আপনি দাবী করতে পারবেন যে আপনার প্রত্যক্ষ প্রমান আছে। উদাহরণ স্বরূপ, যখন আপনি আম খান তখন আপনি এর মিষ্ট গুনকে উপলব্ধি করতে পারেন এবং যে আমটি খেয়েছিলেন তার সাথে এই মিষ্ট গুনটিকে সংশ্লিষ্ট করতে পারছেন। এখানে গুরুত্বপুর্ন দিকটি হচ্ছে আপনি "প্রত্যক্ষ প্রমান" কে শুধু মাত্র সংশ্লিষ্ট করতে পারছে নির্ধারিত কোন ইন্দ্রিয় অঙ্গ দিয়ে যা আপনি ব্যবহার করেছিলেন ঐ গুনটিকে পর্যবেক্ষন করার জন্য। অর্থাৎ আমের এই প্রত্যক্ষ প্রমান আপনি কর্ন ইন্দ্রিয়ের মধ্য দিয়ে পাবেন না। এটা কেবল জিহ্বা, নাসিকা, ও চক্ষু দ্বারাই সম্ভব। ঠিক তেমনি বাস্তবে আমরা "পরোক্ষ প্রমাণ" গুলিও পাই যদিও আমরা এগুলোকে "প্রত্যক্ষ প্রমান" বলে থাকি।
যেহেতু ঈশ্বর হচ্ছেন সবচেয়ে সুক্ষ অতীন্দ্রি়য় সত্ত্বা সেহেতু ঈশ্বরের "প্রত্যক্ষ প্রমান" আমাদের এই অসুক্ষ অশিষ্ট সীমিত শক্তির ইন্দ্রিয় অঙ্গ যেমন নাক, কান, চোখ, জিহ্বা, চর্ম দ্বারা সম্ভব নয়। যেমন আমরা অতি পারমানবিক কণাকে এমনকি অনেক শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে পারি না, আমরা শ্রবণাতীত শব্দ (Ultrasonic Sound ) শুনতে পারি না, আমরা স্বরন্ত্র একটি অণুর স্পর্শ অনুভব করতে পারি না। অর্থাৎ ঈশ্বরকে এই দুর্বল ও অসুক্ষ ইন্দ্রিয় অঙ্গ দ্বারা প্রমাণিত করা যাবে না ঠিক যেমন আমকে কর্ন দ্বারা অথবা অতি পারমানবিক কণাকে কোন ইন্দ্রিয় অঙ্গ দিয়ে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য করা যাবে না।
একমাত্র ইন্দ্রিয় যা ঈশ্বরকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য করতে পারে তা হলে মন। যখন মন সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রিত এবং সকল ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টিকারী উপাদান (যেমন চিন্তা যা সর্বদা জাগ্রত থাকে) থেকে মুক্ত এবং ঈশ্বরের সকল গুন সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান যা অধ্যায়ন ও চর্চার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, তাহলেই বুদ্ধিবৃত্তির মধ্যে দিয়েই প্রত্যক্ষভাবে ঈশ্বরকে প্রমান করা যাবে যেমন করে ঐ আমকে এর স্বাদ দ্বারা প্রমান করা হয়েছিল। এটাই হচ্ছে জীবনের উদ্দেশ্য যা একজন যোগী করার চেষ্টা করেন মন নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। এই পদ্ধতি গুলোর মধ্যে রয়েছে অহিংসা,কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ, সত্য সন্ধান, পর দুঃখকাতরতা, সকলের জন্য পরম সুখ সন্ধান, উন্নত নৈতিক চরিত্র, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই, মানুষের মাঝে একতা ইত্যাদি, ইত্যাদি।
এভাবে আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা ঈশ্বরের প্রত্যক্ষ প্রমানের ইঙ্গিত পাই। যখন আমরা চুরি, প্রতারণা, পাশবিকতার মত কোন ভুল কাজ করি তখন আমরা ভয়,ভীতি, লজ্জা, সন্দেহের ইত্যাদি আকারে আমাদের ভেতরকার ক্ষীন কণ্ঠস্বর শুনতে পাই। আর যখনই আমরা কোন মঙ্গল সূচক কাজ করি যেমন কাউকে সাহায্য করা, তখনও আমরা ভেতরকার ক্ষীণ কণ্ঠস্বর শুনতে পাই ভয়শূন্য, আত্মতৃপ্তি, প্রত্যয়ী ও পরম সুখবোধ আকারে।
এই ভেতরের কণ্ঠস্বরটি আসে ঈশ্বরের কাছ থেকে। আমরা প্রায়শই এর শ্রাব্যতাকে কমিয়ে চুপ করে রাখার চেষ্টা করি আমাদের চারপাশে উচ্চ শব্দের (DJ Music) এর মত নির্বোধ প্রবণতার মাধ্যমে। কিন্তু তখন আমরা সবাই কোন এক সময়ে ভেতরের কণ্ঠস্বরকে আরও উচ্চ শব্দে শুনতে পাই যখন এই সব কিছু তুলনামূলকভাবে নিঃশ্চুপ।
যখন আত্মা নিজেকে সকল মানসিক বিশৃঙ্খলা থেকে নিজেকে শুদ্ধ করে এবং ঐ DJ ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসে তখন আত্মা নিজেই নিজেকে ও ঈশ্বর প্রত্যক্ষভাবে প্রামানিক হয়। এভাবে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরকে প্রতিষ্টা করতে পারি পরিষ্কার ভাবে যেভাবে বিভিন্ন সত্ত্বাকে আমরা করতে পারি।
প্রশ্নঃ ঈশ্বর কোথায় থাকেন?
উত্তরঃ ১.ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান সেই জন্যে তিনি সকল স্থানেই বিদ্যমান। ঈশ্বর আকাশে কোন বিশেষ জায়গায় অথবা কোন বিশেষ সিংহাসনের মত কোন নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করতেন তাহলে তিনি সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ, সর্ব শক্তিমান, সকল কিছুর পরিচালক, সৃষ্টিকারী ও ধ্বংসকারী হতে পারতেন না। তিনি যেখানে বর্তমান নেই সেখানে তিনি তার কোন ক্ষমতায় প্রয়োগ করতে পারবেন না।
২. যদি তুমি বল ঈশ্বর কোন এক জায়গা থেকে পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করছেন যেমন করে সুর্য লক্ষ কোটি মাইল দূর থেকে আলো ছড়ায় অথবা যেমন করে রিমোর্টের মাধ্যমে আপনি টেলিভশনকে নিয়ন্ত্রণ করেন, এগুলো সব দুর্বল যুক্তি। কারন সূর্য পৃথিবীকে আলোকিত করা ক্ষমতা রাখে এবং রিমোর্ট কন্ট্রোল টেলিভশনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে রশ্মিবিচছুরণ তরঙ্গের (radiation waves) মধ্য দিয়ে যা অর্ন্তবর্তি কাল ও সীমার মধ্যে ( interim space) সীমাবদ্ধ। যেহেতু আমরা তাদের দেখতে পারি না তাই আমরা একে দূর নিয়ন্ত্রক (remote control) বলি। কিন্তু বাস্তবে দূর নিয়ন্ত্রক বলে কিছু নেই। মূল কথাটি হচ্ছে ঈশ্বর কোন কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করছেন বলতে আমরা বুঝি তিনি সেখানে উপস্থিত থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছেন।
৩. অধিকন্ত যদি ঈশ্বর সর্বশক্তিমান হয়ে থাকেন তাহলে কেন তিনি ভীত হয়ে নিজেকে একটি ছোট জায়গায় সীমাবদ্ধ করবেন। এতে করে ঈশ্বর সীমিত শক্তির হয়ে যাবেন।
প্রকৃত পক্ষে এটা একটা শিশু সুলভ বক্তব্য। যেখানে ঈশ্বর সর্ব শক্তিমান এবং সমস্ত বিশ্ব ব্রক্ষান্ডকে নিয়ন্ত্রণ করেন সেখানে কোন কারনই নেই যে তিনি ভয়ে বিশ্ব ব্রক্ষান্ডের কোন এক ক্ষুদ্র সীমিত জায়গায় আত্মোগোপন করবেন। যদি তিনি তা করে থাকেন তাহলে তাকে সর্বশক্তিমান বলা যাবে না।
প্রশ্নঃ তার মানে কি ঈশ্বর অ্যালকোহল, মূত্র, বিষ্ঠার মত নোংরা জিনিসেও বিদ্যমান?
উত্তরঃ।সমস্ত সৃষ্টি ঈশ্বরের মাঝেই। কারন হলো ঈশ্বর এই সকল জিনিসের বাইরে কিন্তু এই সকল জিনিস ঈশ্বরের বাইরে নয়। সুতরাং পৃথিবীর সমস্ত কিছুতে ঈশ্বর পরিব্যাপ্ত। উপমা স্বরূপ বলতে পারি আমরা ঈশ্বরের মাঝে আছি যেমন করে এক টুকরো কাপড় এক বালতির জলে মধ্যে থাকে। কাপড়টির মধ্যে, বাইরে এবং চারিদিকে জল বিদ্যমান। পুরো কাপড়ের টুকরোটিতে জলে ভিজে গেছে কিন্তু জল কাপড়ে বাইরে।
তাই কোন কিছু ভাল ও মন্দ নির্ভর করে সেটার প্রতি আমাদের দ্বায়িতটা কি রকম তার উপর। এক ধরনের কত গুলো অণু মিলে একটি মিষ্টি আম হিসেবে গড়ে ওঠে যা আমাদের জন্য খুবই কদরের বস্তু। কিন্তু যখন এই অণুগুলোকে আলাদা করা হয়, অন্যন্যা রাসায়নিক পর্দাথের সাথে বিক্রিয়া করা হয় এবং সেগুলোকে মলমূত্রে পরিণত করা হয় তখন তা আমাদের জন্য নোংরা হয়ে যায়।প্রকৃতপক্ষে এই সকল জিনিসের সার হচ্ছে শুধু মাত্র প্রকৃতির বিভিন্ন অণুর সমন্বয় মাত্র। আপনি যদি অন্য ভাবে দেখতে চান তাহলে বলব যে ঈশ্বর কোন নাম মাত্র সমাজ কর্মী নন যিনি সশরীরে দুর্দশাগ্রস্থ মানুষদের দুর্দশা পর্যবেক্ষন করার জন্য দুর্গত স্থান পরিদর্শন না করে দূর থেকেই শাতীতাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসেই পরিকল্পনা করতে পছন্দ করেন। বরং ঈশ্বর সকল স্থানের নোংরাগুলির মাঝে বর্তমান থাকেন আমাদের উপকারের জন্য। যেহেতু ঈশ্বর সর্বশ্রেষ্ঠ সেহেতু তিনি সর্বত্র ব্যাপী এবং সমস্ত তার মাঝে বর্তমান হওয়া সত্ত্বেও তিনি ঐ সকল বিষয় হতে বাইরে ও ভিন্নতর।
প্রশ্নঃ ঈশ্বর কি সর্বশক্তিমান ?
উত্তরঃ হ্যাঁ ঈশ্বর সর্ব শক্তিমান। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি যাই চান তাই করবেন। কেউ যদি যা করতে মন চায় তাই করে তবে সেটা হবে উচ্ছৃঙ্খলতার প্রতীক। কিন্তু উপরন্ত ঈশ্বর হলে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল। সর্বশক্তিমান অর্থ হচ্ছে ঈশ্বরের নিজের কাজ করার জন্য কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয় না যেমন সৃষ্টি, পরিচালনা, ধ্বংস, নাশ করার জন্য তার কারো প্রয়োজন নেই তিনি নিজেই তা করতে সামর্থ রাখেন।
প্রশ্নঃ আমাদের কি ঈশ্বরের উপাসনা করা উচিত নাকি উচিত না? কেনই বা তার আরাধনা করবো? কারন তিনিতো আমার কখনই ক্ষমা করেন না!
উত্তরঃ এটা সত্য যে ঈশ্বরের আরাধনা করে আপনি বা যে কেউই উর্ত্তীন হবার সনদপত্র পাবেন না সংক্ষিপ্ত পন্থা অবলম্বন করে যেখানে আপনি উত্তীর্ণ হবার যোগ্যাতা রাখেন না। শুধু মাত্র অলস এবং প্রতারকরাই অন্যায় ও বিবেকবর্জিত অসদুপায় পন্থা অবলম্বন করে সাফল্য কামনা করে।
ঈশ্বর উপাসনার মাধ্যমে বিবিধ মঙ্গল লাভ করা যায়ঃ
১) ঈশ্বরের উপাসনার মাধ্যেমে একজন মানুষ ঈশ্বরকে এবং তার সৃষ্টিকে শ্রেয়তর ভাবে বুঝতে পারবেন।
২) উপাসনার দ্বারা যখন কেউ ঈশ্বরের গুনসূমুহকে শ্রেয়তর বুঝতে পারবেন তখন তিনি তা নিজের জীবনে গ্রহন করবেন।
৩) উপাসনা দ্বারা যখন কেউ ভেতরের কণ্ঠস্বর (Inner Voice) আরও শ্রেয়তর ভাবে শুনতে পারবেন এবং তিনি আরও স্পষ্টতর ভাবে ঈশ্বর থেকে দিক নির্দেশণা পাবেন।
৪) উপাসনা দ্বারা একজন তার অজ্ঞতা দূর করতে পারবে, শক্তি অর্জন করতে পারবে এবং আত্ম বিশ্বাসের সাথে জীবনের সকল বাধার বিপত্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে।
৫) পরিশেষে সে যখন সমস্ত অজ্ঞতা দূর করতে পারবে তখন পরম সুখ দ্বারা মুক্তি লাভ করবে।
দয়া করে লক্ষ করুন উপাসনা মানে মনের শূন্যতা অথবা নিয়মানুযায়ী আবৃত্তি করা নয়। এটা হচ্ছে কর্ম, জ্ঞান এবং ধ্যান অনুশীলনের মধ্য দিয়ে ধীশক্তি আত্মাভূত করার একটি প্ররোচক পদ্ধতি বা Proactive Approach ।
প্রশ্নঃ ঈশ্বরের কি সীমা আছে?
উত্তরঃ ঈশ্বর সকল বিষয়ে সীমাহীন। তিনি সর্বজ্ঞ।
প্রশ্নঃ ঈশ্বর স্বগুনা না নির্গুনা?
উত্তরঃ উভয়য়ই। ঈশ্বর স্বগুনা যদি আপনি তাকে দয়ালু, ন্যায়বিচারক, সৃষ্টিকারী, প্রতিপালক ইত্যাদি গুনগুলোকে উল্লেখ করেন। আবার তাকে আপনি নির্গুনা বলতে পারেন কারন কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা ঈশ্বরের মাঝে অনুপস্থিত যেমন অবিবেচক, বিচার বুদ্ধিহীন, ক্রোধ, প্রতারণা, জন্ম, মৃত্যু ইত্যাদি।
" অগ্নিবীর "
(মূল লেখাটির বেশ কিছু অংশ পরিবর্তন করা হয়েছে ।লেখাটির মধ্যে বেক্তিগত উপলব্ধির প্রাধান্য বিশেষ লক্ষণীয় , যা অনেক দিক দিয়েই ত্রুটি যুক্ত হতে পারে )
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: "যত মত, তত পথ "
কিন্তু পথের শেষ এক বিন্দুতেই হয় ।
যদি ঈশ্বর লাভ উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে যেকোনো একটা মত কে ধরে এগিয়ে গেলেই হল ।
সে আপনি পানিকে পানিই বলুন আর জলই বলুন কিংবা ওয়াটার বা অ্যাকোয়া যাই বলুন না কেন । যে পথ আপনার ভাল লাগবে সেই পথ দিয়ে এগোলেই হল । সব টুকু না জেনে সত্য মিথ্যা বিচারে কি কোন ফল লাভ হবে।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৭
রাজীব দে সরকার বলেছেন:
@পরিবেশ বন্ধু
আপনি তো বাল্মিকী কেও দেখেন নাই
মহানবীকেও দেখেন নাই, তাই না?
সুতরাং মন্তব্য খুব সাবধানে করবেন
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২০
বেওয়ারিশ পাণ্ডুলিপি বলেছেন: ঈশ্বর যদি স্বয়ংসম্পূর্ণ হন তবে তিনি এত বন্দনা পিপাসু কেন?
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: আপনাকে কে বলেছেন যে তিনি বন্দনা পিপাসু ? বা কেনই বা আপনার এই কথাটি মনে হল ।
তিনি তো সকল জীবের অন্তরে আছেন ,আমরাই তো তাঁকে গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে রেখেছি । তিনি যে কি বা কি না সেটা তো কেবল মাত্র তিনিই জানেন , তিনি অসীম অনন্ত তাই তো তাঁকে ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করা যায় না। তবে সঠিক বিবেক ( তাঁকে জানার ইচ্ছা বা তাঁর অস্তিত্বে বিশ্বাস ) বৈরাগ্য ( ব্যাকুলতা ) থাকলে তিনি দেখা দেন ।
এই প্রসঙ্গে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব এর একটা উক্তি ,
" খুব ভালবাসা হলে দর্শন হয় , সতীর পতীর উপর টান , মায়ের সন্তানের উপর টান, বিষয়ীর বিষয় এর উপর টান - এই তিন টান একত্র হয় তবে ঈশ্বর দর্শন হয়। "
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
রাজীব দে সরকার বলেছেন: @বেওয়ারিশ পাণ্ডুলিপি
ঈশ্বর / আল্লাহ কেউই বন্দনা পিপাসু নন
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আসলে রামায়ণের কাহিনী লিখেছেন বিখ্যাত কবি বাল্মিকি
কত টুক সত্য কত টুক মিথ্যা যে যার ধর্ম তারা ভাল বুঝে , অনেক
জানা হল ।।