নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছিটমহলঃ ছিটের মানুষের দীর্ঘশ্বাসে ভরা জীবন কাহিনী

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১১









অবস্থানগত পরিচয়ে তারা বাংলাদেশের মানুষ। থাকতে হয় ভারতের ভেতর। ওরা ভারতের মানুষ। বসবাস বাংলাদেশের ভেতর। কিন্তু বাস্তবে এরা দেশহীন, নাগরিকত্বহীন। এদের পরিচয় ‘ছিটের মানুষ’। আবদ্ধ জীবনযাপনের কষ্ট, যাতায়াত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার কষ্ট, নিরাপত্তা ও বিচ্ছিন্নতার কষ্ট—সব মিলে দীর্ঘশ্বাসে ভরা জীবন তাদের। কাঁটাতারের কোনো বেড়া নেই। খুঁটি কিংবা সীমানা পিলার খুঁজতে চাইলেও লাভ নেই। দেখা মিলবে না কোনোটারই। তার পরও মানুষগুলো চারদিক থেকে বন্দী। চাইলেই যখন-তখন যেভাবে খুশি বের হওয়ার উপায় নেই। রাস্তা বলতে কোথাও জমির আল ধরে চলা। আবার জলাভূমি থাকলে তার ওপর তৈরি হয়েছে বাঁশের সাঁকো। ভূমি থাকলেও দেশের ওপর অধিকার নেই। বাংলাদেশ ও ভারতে এ ধরনের ১৬২টি ভূখণ্ড রয়েছে, যার মধ্যে ভারতের ১১১টি ভূখণ্ড বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশের ৫১টি ভূখণ্ড রয়েছে ভারতে। ছুটে যাওয়া বলেই হয়তো এসব ভূখণ্ড পরিচিত ছিটমহল নামে। আর ‘ছিটের মানুষ’ নামে পরিচিত ছিটমহলের অধিবাসী।







পেছনের ইতিহাস



সাতচল্লিশের দেশভাগের পরেই শুরু ছিটমহল আখ্যানের। মৌলিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও তাদের কোনো দেশ নেই, পরিচয় নেই। অথচ মজার বিষয় হচ্ছে, ভারতীয় ছিটের লোকজনের ভাষা ও সংস্কৃতিতে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কোনো অমিল নেই। ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশের ‘ছিটের মানুষে’র ছবিটা একই। বাংলাদেশের ছিটমহলগুলোর লোকজনের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো যোগাযোগ নেই, সম্পর্কও নেই। এসব লোকজন পূজা এলে উৎসবে মাতে। কিন্তু বাইরে গেলেই লোকজন তাদের ডাকে ছিটের লোক। এই পরিচয় শুনে স্বভাবতই নিজেদের গুটিয়ে নেয় এসব মানুষ। বাংলাদেশ যেমন এদের নাগরিকত্ব দেয়নি, দেয়নি ভারতও। পড়াশুনা, জীবিকা—সবকিছুর জন্যই ছিটমহলের লোকজনকে নির্ভর করতে হয় ‘অন্য দেশের’ ওপর। তার পরও তাদের অবস্থা ‘না ঘরকা, না ঘাটকা’। ব্রিটিশ শাসকদের খেয়ালখুশির বলি দেশহীন ও পরিচয়হীন এসব মানুষ। দেশভাগের দুই যুগ পরে জন্ম হয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার দশক পরও দুঃখ ঘোচেনি দেশহীন এসব মানুষের।



কুচবিহার রাজ্যের কোচ রাজার জমিদারির কিছু অংশ রাজ্যের বাইরের বিভিন্ন থানা পঞ্চগড়, ডিমলা, দেবীগঞ্জ, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, লালমনিরহাট, ফুলবাড়ী ও ভুরুঙ্গামারিতে অবস্থিত ছিল। ভারত ভাগের পর ওই আট থানা পূর্ব পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত হয়। আর কুচবিহার একীভূত হয় পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে। ফলে ভারতের কিছু ভূখণ্ড আসে বাংলাদেশের কাছে। আর বাংলাদেশের কিছু ভূখণ্ড যায় ভারতে। এই ভূমিগুলোই হচ্ছে ছিটমহল।







সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে বাংলা ও পাঞ্জাবের সীমারেখা টানার পরিকল্পনা করেন লর্ড মাউন্টবেটন। তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্রিটিশ আইনজীবী সিরিল রেডক্লিফকে প্রধান করে সে বছরই গঠন করা হয় সীমানা নির্ধারণের কমিশন। ১৯৪৭ সালের ৮ জুলাই লন্ডন থেকে ভারতে আসেন রেডক্লিফ। মাত্র ছয় সপ্তাহের মাথায় ১৩ আগস্ট তিনি সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। এর তিন দিন পর ১৬ আগস্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় সীমানার মানচিত্র।



কোনো রকম সুবিবেচনা ছাড়াই হুট করে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি যথাযথভাবে হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, কমিশন সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তা আর জমিদার, নবাব, স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও চা-বাগানের মালিকেরা নিজেদের স্বার্থে দেশভাগের সীমারেখা নির্ধারণে প্রভাব ফেলেছে। আর উত্তারিকার সূত্রেই উপমহাদেশের বিভক্তির পর এই সমস্যা বয়ে বেড়াচ্ছে দুই দেশ।



১৯৫৮ সালের নেহেরু-নুন চক্তি অনুযায়ী বেরুবাড়ীর উত্তর দিকের অর্ধেক অংশ ভারত এবং দক্ষিণ দিকের অর্ধেক অংশ ও এর সংলগ্ন এলাকা পাবে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী বেরুবাড়ীর সীমানা নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ভারতের অসহযোগিতায় তা মুখ থুবড়ে পড়ে। ফলে বেরুবাড়ীর দক্ষিণ দিকের অর্ধেক অংশ ও এর ছিটমহলের সুরাহা হয়নি।



এরপর সাতচল্লিশের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির পর দুই দেশ ছিটমহলের আলাদা আলাদাভাবে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে। কিন্তু দুই পক্ষের তালিকায় দেখা দেয় গরমিল। পরে ১৯৯৭ সালের ৯ এপ্রিল চূড়ান্ত হয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ও ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল রয়েছে।

এখানে বলে রাখা ভালো, ১৯৫৮ সালে সই হওয়া নেহেরু-নুন চুক্তিতে ছিটমহল বিনিময়ের উল্লেখ থাকলেও এ ব্যাপারে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সে দেশের সংবিধানের ১৪৩ ধারা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চান। তখন আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংবিধানের সংশোধনীর মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে হবে। পরে ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে সংবিধান সংশোধনী আর জনগণনার অজুহাতে বিলম্বিত হয়েছে ছিটমহল বিনিময়।







মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি



১৯৭৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে স্থল-সীমানা নির্ধারণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তিটি দুই দেশের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব, আন্তরিক মনোভাব ও পারস্পরিক বিশ্বাস, আর সবার ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী—এ দুজন মহান রাষ্ট্রনায়কের শান্তি ও সম্প্রীতির অন্তর্দৃষ্টির প্রতীক। এই দুটি জাতির ওপর ঐতিহাসিকভাবে বর্তানো কিছু প্রলম্বিত এবং জ্বালাতনকারী (vexing) সমস্যার মীমাংসা করাই ছিল এই সমন্বিত চুক্তির অভিপ্রায়। সংশ্লিষ্ট সবাই এটা কবুল করেছেন যে, দুই দেশের মধ্যকার সুদীর্ঘ সীমান্তে জারি থাকা ছোট-বড় নানা অস্থিরতার কারণ নির্মূল করার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য কর্তব্য হলো শুধু কাগজে-কলমে নয়, মনেপ্রাণে এই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন। চুক্তির নানা ধাপ বাস্তবায়নের জন্য যে কিছু সময় দরকার, সেটা দুই নেতা জানতেন এবং সেই অনুযায়ী বাস্তবানুগ সময়সীমাও তাঁরা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সরকারপক্ষ এবং যাঁরা বিষয়টির কর্তৃত্বে ছিলেন, তাঁরা এ বিষয়ে তাঁদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হন। তাঁরা তাঁদের ওপর ন্যস্ত ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। তাঁরা সত্যের অপলাপ এবং কালক্ষেপণ করেছেন, আর যেটা করা আবশ্যক ছিল, সেটা করেননি। ফলে সীমান্তের বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী হতে দেওয়া হয় এবং কালক্রমে সমস্যাটি আরও জটিল হয়ে উঠতে থাকে।



একটু যদি পেছন ফিরে তাকাই তাহলে এ বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিদ্যমান সমস্যার বেশির ভাগই অতি পুরোনো, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে পাওয়া ভারতের স্বাধীনতা ও বিভক্তির সময় এসব সমস্যা শুরু হয়েছে। ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের (অর্থাৎ ৭১-পরবর্তী বাংলাদেশ) জরিপ-আমিনরা প্রথম দিন থেকেই আন্তর্জাতিক সীমানা চিহ্নিত ও অঙ্কিত করার জন্য কাজ করছিলেন। তাঁদের চেষ্টা ছিল যথাসাধ্য স্যার সিরিল র্যা ডক্লিফের আঁকা রেখা এবং লিখিত বিবরণ মেনে চলা, কিন্তু শিগগির তাঁরা এমন ভিন্নতার মুখোমুখি হলেন, যাকে মেলানো একেবারে অসম্ভব। এই সূত্র ধরেই এলো ব্যাগি রোয়েদাদ (২৬ জানুয়ারি ১৯৫০), আর তার সঙ্গে এল রাশি রাশি রাজনৈতিক আর আইনি ব্যাপার—যার পরিণাম আগে থাকতে আঁচ করা হয়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু আর পাকিস্তানের ফিরোজ খান নুন প্রথম সীমান্ত চুক্তি সম্পাদন করলেন ১৯৫৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। পূর্বাঞ্চলে ১৯৫৮ সালের চুক্তির মাধ্যমে অন্যান্য বিষয়গুলোর সঙ্গে প্রধানত তিনটি লক্ষ্য অর্জনের কথা ভাবা হয়েছিল। প্রথমত, সীমান্তের বিভিন্ন সেক্টরে সীমানা নির্ধারণে যেসব অসংগতি বিঘ্ন সৃষ্টি করছে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। সেই সঙ্গে দক্ষিণ বেরুবাড়ির ১২ নম্বর ইউনিয়নের সমস্যার সমাধান। এই ইউনিয়নটি স্যার র্যা ডক্লিফের অঙ্কিত রেখা অনুসারে ভারতের ভাগে পড়ে, আর তাঁর লিখিত বিবরণ অনুসারে পড়ে পাকিস্তানের ভাগে। কোথাও এ রকম অসংগতি দেখা দিলে সীমান্তের লিখিত বিবরণকেই মান্য ধরা হবে এ রকম কথা ছিল। কিন্তু এই ইউনিয়নের অধিবাসীদের সিংহভাগ অমুসলিম হওয়ায় তারা পাকিস্তানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিরোধিতা করে। এভাবেই পেরিয়ে যায় এক দশকেরও বেশি সময়; কিন্তু এই ইস্যুটির নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয় না। দক্ষিণ বেরুবাড়ি ১২ নম্বর ইউনিয়ন ভারতের অংশ হিসেবে ভারতের সঙ্গেই যুক্ত থেকে যায়। ভারতের সরকার পাকিস্তানের কাছে এর মালিকানা হস্তান্তর করতে পারেনি। আর পাকিস্তানের সরকারও এটির কর্তৃত্ব গ্রহণ করতে পারেনি। ১৯৫৮ সালের চুক্তিতে স্থির হয়, ইউনিয়নটিকে মোটামুটি সমানভাবে দুই ভাগ করে ফেলতে হবে। দক্ষিণের অর্ধেক আরও দুটি ছিটমহলের সঙ্গে—পাবে পাকিস্তান, আর উত্তরের অর্ধেক ভারতের অন্তর্ভুক্ত থেকে যাবে। দ্বিতীয়ত, এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল, তথাকথিত ছিটমহল সমস্যার মীমাংসা করা। পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় ছিটমহল ছিল ১১৩টি, আর ভারতের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের ছিটমহল ছিল ৫৩টি। এই চুক্তিতে নির্ধারিত হয় যে, ছিটমহলগুলো যে দেশের মধ্যে পড়েছে, সেই দেশেরই অঙ্গীভূত হবে। অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানে যেসব ভারতীয় ছিটমহল আছে, সেগুলো পূর্ব পাকিস্তানের হয়ে যাবে, আর ভারতে যেসব পূর্ব পাকিস্তানের ছিটমহল আছে, সেগুলো পাবে ভারত। ফলে যে বাড়তি জায়গা পেয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, সে জন্য ভারত কোনো ক্ষতিপূরণ পাবে না। তৃতীয়ত, সীমান্তের সীমানা নির্ধারণের পর সেই অনুযায়ী ভূখণ্ড বিনিময় করা হবে। সীমান্ত চিহ্নিত করার ফলে যেসব ভূখণ্ড অন্যায্যভাবে কোনো দেশের অধিকারে আছে (যেটার অর্থ হলো, অপদখলীয় এলাকা) বলে জানা যাবে, সেগুলো ন্যায্যত যে দেশের অধিকারে থাকা উচিত, সেই দেশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।

তা সত্ত্বেও ১৯৫৮ সালে স্বাক্ষরিত নেহরু-নুন চুক্তির সেসব দিক বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল না, যে দিকগুলোতে ছিটমহলগুলোর পারস্পরিক বিনিময় এবং দক্ষিণ বেরুবাড়ি ১২ নম্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ অংশ ভারত কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তরের মতো বিষয়গুলো ছিল। এর কারণ ছিল ভারতীয় নাগরিকদের রুজু করা মামলা। এই মামলায় দক্ষিণ বেরুবাড়ির গোটা ইউনিয়নটি দাবি করা হয়, কারণ এটা ভারতীয় সংবিধান বলবৎ হওয়ার সময়কাল থেকেই ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ, এবং কোচবিহার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত যেসব ছিটমহল আছে, সেগুলোও ভারতের অংশ। সে কারণেই ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাগ এবং ছিটমহলগুলোর কোনোটিই কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে না। যথাসময় মামলাটি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। কোর্ট রায় দেন রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া থেকে দক্ষিণ বেরুবাড়ি ১২ নম্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ অর্ধেক বাদ দিতে হলে এবং পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় ছিটমহলগুলো চুক্তির আবশ্যকীয় শর্ত হিসেবে বিনিময় করতে গেলে ভারতের সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সেই অনুযায়ী ১৯৬০ সালে ভারতের সংবিধান সংশোধন করা হয় (নবম সংশোধনী)। তা সত্ত্বেও আবশ্যকীয় বিনিময় কার্যকর হয়নি। কেন হয়নি, সেটা আবার অন্য কাহিনি; সম্ভবত বিধির বিধান। তাই অভ্যুদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে তার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তের কারণে অন্য বিষয়গুলোর সঙ্গে সঙ্গে এই তিনটি অমীমাংসিত সমস্যা উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করে। দুই, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এসব সমস্যাগুলোকে সর্বোচ্চ দ্রুততার সঙ্গে সমাধানে মনোযোগী হন, কারণ তাঁরা জানতেন যে একটি পরিচ্ছন্নভাবে চিত্রিত সীমান্ত এবং এটির অলঙ্ঘনেয়তার প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ দুই দেশের মধ্যকার স্থায়ী এবং শক্তিশালী বন্ধুত্বের জন্য অপরিহার্য। এটি নিয়ে তাই কর্ম পর্যায়ে, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পর্যায়ে এবং চূড়ান্তভাবে একেবারে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে, ব্যাপকভাবে গতানুগতিক বিষয়গুলোর ওপর দেন-দরবার চলতে থাকে। অবশেষে ১৬ মে ১৯৭৪ নয়াদিল্লিতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার স্থল-সীমানা নির্ধারণ ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে চুক্তিস্বাক্ষর করেন। এই স্থল-সীমানা চুক্তি ১৯৭৪ দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে সীমান্তের মূলত ১৩টি সেক্টরে থাকা অনির্ধারিত এলাকাগুলোতে সীমানা চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো, যেমন ছিটমহল বিনিময় এবং অপদখলীয় এলাকা বিনিময়, যথাযথ দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের জন্য, দুই দেশের জরিপ কর্তৃপক্ষকে পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্দেশনা দেয়। সেই সঙ্গে আদালতে নিষ্পত্তিযোগ্য এবং রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল দক্ষিণ বেরুবাড়ি ১২ নম্বর ইউনিয়ন ইস্যুটির প্রায়োগিক এবং সুবিবেচনাপ্রসূত সমাধান দেয়। এই ইউনিয়নটি ১৯৫৮ সালে স্বাক্ষরিত নেহরু-নুন চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে ১৯৪৭ সালে স্যার সিরিল র্যা ডক্লিফ অঙ্কিত সীমান্তরেখা অনুসরণ করে ভারতেরই অন্তর্ভুক্ত থেকে গেছে।



যে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির কথা এতক্ষণ ধরে বলা হলো সে কারণে, এবং ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থল-সীমানা চুক্তির বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না ঘটার ফলে ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অনেক দূর পর্যন্ত মাশুল দিতে হয়েছে। বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন চোখে পড়েছে। তাই দুই সরকারকেই সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিকভাবে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।



১৯৭৪ সালের স্থল-সীমান্ত চুক্তির ৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আরও বেশি বিলম্ব এবং অকারণ উত্তেজনা পরিহার করে, চুক্তি অনুযায়ী বিনিময়ের কাজটি সম্পন্ন করতে দুই বন্ধুপ্রতিম সরকারের জন্য এখনো খুব বেশি দেরি হয়ে যায়নি। দুই পক্ষই তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে এটা স্পষ্টভাবে প্রতিপাদন করেছে যে তারা কার্যত এই চুক্তিটিকে অনুমোদন করে এবং এই চুক্তির আওতাধীন সুবিধাগুলো তারা স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই ভোগ করেছে। শুধু চুক্তির প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়নি বা এজন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতাগুলো পালন করা হয়নি। এখন দুই দেশের জন্য জরুরি কর্তব্য হলো অনতিবিলম্বে তাদের নিজ নিজ প্রতিনিধিদের ১৯৭৪ সালের স্থল-সীমানা চুক্তির অনুসমর্থনের দলিলে স্বাক্ষর করার ক্ষমতা প্রদান করা এবং একটি নির্ধারিত দিনে এই দলিল বিনিময় করা—যা ভূতাপেক্ষভাবে এই চুক্তিকে বলবৎ করবে এবং এই চুক্তির আওতায় নির্ধারিত সীমানাকে আইনি মোড়ক প্রদান করবে। একইভাবে তিন বিঘার কাছে বাংলাদেশকে দেওয়া করিডোরের চিরস্থায়ী ইজারা দেওয়ার বিষয়টিকেও দেবে আইনি মোড়ক।



ছিটমহল



১৯৪৭ সালে রেডক্লিফের মানচিত্র বিভাজন থেকেই উদ্ভব ছিটমহলের। এক দেশের ভূখণ্ডে থেকে যায় অন্য দেশের অংশ। উদ্ভব হয় এক মানবিক সমস্যার।



১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা সীমান্ত চিহ্নিতকরণ চুক্তিতে বলা আছে, ভূমি বিনিময়ের সময় লোকজন যেখানে থাকতে চাইবে, সেখানেই তাদের থাকতে দেওয়া হবে।



১৬২ টি ছিটমহল আছে দুই প্রতিবেশী দেশে। এর মধ্যে ভারতের ১১১টি ছিটমহল আছে বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতে।



৫১০০০ জনসংখ্যা রয়েছে এসব ছিটমহলে। সাম্প্রতিক জনগণনা অনুযায়ী, ভারতের ছিটমহলের লোকসংখ্যা ৩৭ হাজার। বাংলাদেশের ছিটমহলের লোকসংখ্যা ১৪ হাজার।



২৪২৬৮ একর ভূমি নিয়ে দুই দেশের ছিটমহল। তার মধ্যে ভারতের ১৭ হাজার ১৫৮ একর। বাংলাদেশের ছিটমহলের জমির পরিমাণ ৭ হাজার ১১০ একর।



বাংলাদেশে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের আয়তন ১৭ হাজার ১৫৮ একর। ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন সাত হাজার ১১০ একর।

ভারতীয় ছিটমহলগুলোর বেশির ভাগই রয়েছে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এসব ছিটমহলের ৫৯টি লালমনিরহাটে, পঞ্চগড়ে ৩৬টি, কুড়িগ্রামে ১২টি ও নীলফামারিতে চারটি।



ছিটমহল মানে ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের আর বাংলাদেশের ভেতের ভারতীয় ভূখণ্ড। আবার এমনও আছে, বাংলাদেশের ভেতরে ভারত, তার ভেতরে আবার বাংলাদেশ। যেমন কুড়িগ্রামে ভারতের ছিটমহল দাশিয়ারছড়া। দাশিয়ারছড়ার ভেতরেই আছে চন্দ্রখানা নামের বাংলাদেশের একটি ছিটমহল।

বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অবস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। ৪৭টি কুচবিহার এবং চারটি জলপাইগুড়ি জেলায়।



ভারতের ভেতরে বাংলাদেশ



ব্রিটিশ আমলে সৃষ্টি ভারত ও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে থাকা ছিটমহলের বিনিময়ের দাবি উঠেছে। ছিটমহলবাসী চান, তাঁরা যে দেশের ভূখণ্ডে বসবাস করছেন সেই দেশের নাগরিকত্ব। অন্য দেশে ‘পরগাছা’ হিসেবে থাকতে চান না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভূখণ্ডে থাকা ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহলের বাসিন্দারা ছিটমহল বিনিময়ের দাবি তুলেছেন। এ জন্য পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছে।







কী এক দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন ভারতের ভূখণ্ডে থাকা বাংলাদেশের ছিটমহলবাসী। একটি স্বাধীন দেশের ভেতরে ছোট ছোট দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি দেশের ভূখণ্ড, অভূতপূর্ব দৃশ্যই বটে। বিচ্ছিন্ন এসব ভূখণ্ডই হচ্ছে ছিটমহল।পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার থেকে দিনহাটা মহকুমার নাজিরহাটের মশালডাঙ্গায়; এখানেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি ছিটমহল। অন্তত ২১টি ছোট ছোট ছিটমহলের অবস্থান। এই ছিটমহলকে বলা হয় গুচ্ছ ছিটমহল। লোকসংখ্যা এখন ৩ হাজার ৮০০। মশালডাঙ্গা থেকে কাছেই বাংলাদেশ সীমান্ত, দীঘরটারি। ওপারে কুড়িগ্রাম।



তাঁরা আর পরগাছা হয়ে দুঃসহ জীবনযাপনের ইতি টানতে চান। নাগরিকত্ব চান। অধিকার চান সুস্থভাবে বাঁচার। তাঁরা ভারতীয় ভূখণ্ডেই থাকতে চান। সেই ব্যবস্থাই গ্রহণ করুক দুই দেশ।



কী তাঁদের পরিচয়? তারা জানেনা তারা বাংলাদেশের নাগরিক। অথচ কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকার তাঁদের খোঁজও নেয় না। কোনো সাহায্য পায় না তারা। তারা তো ভারতের মধ্যে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পড়ে আছে। বেঁচে আছে ভারতের করুণা, দয়া আর সাহায্য নিয়ে। অথচ ভারত সরকারও তাঁদের মেনে নেয়নি তাদের দেশের নাগরিক হিসাবে। দেয়নি রেশন কার্ডও। দৈহিক শ্রম আর চাষাবাদ করে বেঁচে আছে তারা বংশ পরম্পরায়। নেই ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করার জন্য কোনো স্কুল-কলেজ। নেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। চারদিকে ভারতীয় ভূখণ্ড বাংলাদেশের নাগরিকত্বের কোনো প্রমাণপত্র নেই। নেই পাসপোর্ট। কীভাবে পার হবে সীমান্ত? সীমান্ত এখান থেকে দূরে। ইচ্ছে করলেই তো আর সীমান্ত পার হওয়া যায় না। জীবনযন্ত্রণার একই ছবি পূর্ব মশালডাঙ্গায়ও। ভারতের ভেতরে বাস করায় এখানকার মানুষজন এখন সত্যিই তাঁদের যেমন সাহায্য করে, তেমনই আবার অবজ্ঞাও করতে দ্বিধা করে না। তবু এই অবজ্ঞা আর ওদের ভালোবাসার আঁচলের মধ্যে থেকে তারা বেঁচে আছে। অনেক ছোট ছোট ছিটমহল রয়েছে এখানে। উত্তর মশালডাঙ্গায় একটি ছিট মহল আছে মাত্র ৮২ বিঘা জমি নিয়ে। কামাথ শেওভাগুড়িতে রয়েছে ২৬ বিঘা এবং মধ্যসিট মশালডাঙ্গায় রয়েছে আরও একটি ৩৬ বিঘা জমির ছিটমহল।এসব ছোট ছোট ছিটমহলবাসী কীভাবে ভারতের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া বাঁচবে?’

মা-বোনদের সন্তান ভূমিষ্ঠ করানোর জন্যও তারা মিথ্যে ভারতীয় ঠিকানা ও নাম দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করায় তাঁদের গর্ভবতী মা-বোনদের। আদালতেও তাঁদের ঠাঁই নেই। তারা এখনো বেঁচে আছে এখানকার মানুষজন এবং পঞ্চায়েতের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে।চাষাবাদ আর শ্রম নির্ভর কাজ করে এখানকার মানুষের জীবন চলে। উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য তাঁরা বিক্রি করেন ভারতীয় বাজারে। এখান থেকেই আবার কেনেন ভারতীয় পণ্য।







ছিটমহলের লোকজনের অভিযোগ দুঃসহ এই যন্ত্রণা নিয়ে এখনো বংশপরম্পরায় তাঁরা বেঁচে আছেন বাংলাদেশের এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে। তাঁরা সর্বহারা চিরসাথী সংঘ নামের ক্লাবের মাধ্যমে ছিটমহল বিনিময়ের আন্দোলনে নেমেছেন।



ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহল। এই ছিটমহলের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হলেও কোচবিহার ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কোচবিহার ছিল রাজাশাসিত পৃথক রাজ্য। ১৯৪৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কোচবিহারের রাজা জগদ্বীপেন্দ্র নারায়ণ কোচবিহারকে ভারত রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার এক চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এরপর ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি কোচবিহারকে পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভারত স্বাধীন হলেও ছিটমহলের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে থাকে। বারবার এই ছিটমহলবাসীর নানা সমস্যার কথা তোলা হলেও তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকারও এ ব্যাপারে কোনো যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়নি। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সরকার ভারতের সঙ্গে তিনটি চুক্তি করলেও সেই চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে ছিটমহলবাসীর মুক্তির একমাত্র পথ ছিটমহল বিনিময়—এই স্লোগান তুলে ছিটমহল বিনিময়ের প্রথম দাবি তোলেন দিনহাটার সাবেক বিধায়ক প্রয়াত দীপক সেনগুপ্ত। তিনিই ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি। ২০০০ সাল থেকে এই দাবির সমর্থনে গড়ে তোলেন তীব্র আন্দোলন। দীপক সেনগুপ্ত ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ফরোয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক ছিলেন কোচবিহারের সিতাই কেন্দ্রের। এরপর এই আন্দোলনের হাল ধরেন অন্য নেতাদের সঙ্গে দীপক সেনগুপ্তের ছেলে দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তিনি এখন ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। যদিও এই ছিটমহল বিনিময় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা কমল গুহও। তিনিও ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার দিনহাটা কেন্দ্রের ফরোয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক। তাঁর ছেলে উদয়ন গুহ এবার বিধানসভার বিধায়ক হয়েছেন ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী হিসেবে। ছিটমহল সমস্যার সমাধানের একমাত্র পথ ছিটমহল বিনিময়। এটা না হলে ছিটমহলবাসীর বাঁচার কোনো পথ খোলা থাকবে না। কারণ, ভারতের অভ্যন্তরে থাকা বাংলাদেশের ছিটমহলবাসী ভারতের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া জীবন অতিবাহিত করতে পারবে না।



বাংলাদেশের ভেতরে ভারত




‘কম হলেও ছিটের জমির কিছু দাম আছে। কিন্তু ছিটের মানুষের কোনো দামই নেই।’







বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ছিটমহল কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ছোট গারালজোড়ার অবকাঠামোর চিত্র সর্বত্রই একই—হাঁটাচলার রাস্তা নেই। শিক্ষা-চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকের সময়েও কপালে জোটে না সরকারি সহযোগিতা। উল্টো পদে পদে হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়।



সীমান্তের বেশির ভাগ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সীমানা চিহ্নিত করে রেখেছে ভারত। সেখানে অস্ত্র হাতে টহল দেয় বিএসএফ। কিন্তু বাংলাদেশে ভারতের ছিটমহলগুলোতে কোনো সীমানাপ্রাচীর বা পাহারা নেই। আশপাশের বাংলাদেশি ও ছিটমহলবাসী ভারতীয় নাগরিকদের ভাষা, গায়ের রং ও ধর্মীয় বিশ্বাস প্রায় অভিন্ন। এসব ছিটমহল থেকে ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে ভারতের দিনহাটা থানা ও ৪৫-৫০ কিলোমিটার দূরে কোচবিহার জেলা সদর।

এক ছিটের পেটে আরেক ছিট: বাংলাদেশের ভেতরে ভারত, তার ভেতরে আবার বাংলাদেশ। যেমন কুড়িগ্রামে ভারতের ছিটমহল দাশিয়ার ছড়া। দাশিয়ার ছড়ার ভেতরেই আছে চন্দ্রখানা নামের বাংলাদেশের একটি ছিটমহল।

কুড়িগ্রাম জেলায় ভারতের ১৮টি ছিটমহল আছে। বড় গারালজোড়ার ছিটমহলে বসবাস করে ১০টি পরিবার। এর আয়তন ৩৫ দশমিক ২৪ একর। এ ছাড়া ছোট গারালজোড়া ১৭ দশমিক ৭৮ একর ও কালামাটির আয়তন ২১ একর।এই উপজেলায় ভারতের ১০টি ছিটমহল আছে। লোকগণনা অনুযায়ী, এই ১০টিতে ২৬২টি পরিবারে এক হাজার ১৬৯ জন বাস করে।

ছিটমহলের মানুষ কৃষিনির্ভর। অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর। উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশের হাটবাজারেই তাঁরা বেচাকেনা করেন।



ওপারে মজুরি বেশি। কিন্তু তাঁদের প্রায়ই ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ। নিজের দেশে ঢুকতে তাঁদেরকে নির্ভর করতে হয় বিএসএফের করুণার ওপর।

কালামাটি ছিটমহলে চলাচলের কোনো রাস্তা নেই। জমির আইল ধরে যাতায়াত করেন মানুষ। একই চিত্র বড় ও ছোট গারালজোড়া ছিটমহলেও।

নেই চিকিৎসার ন্যূনতম সুবিধা। বেশির ভাগ মায়ের সন্তান প্রসব হয় গ্রাম্য দাইদের হাতে। অবস্থা জটিল হলে পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশের হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন।



শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। ছিটমহলের বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে আত্মীয়তার পাশাপাশি বাংলাদেশিদের সঙ্গেও বিয়েশাদির সম্পর্ক গড়ছেন। হাতেগোনা দু-চারজন খুঁজে পাওয়া যায়, যাঁরা একসময় ভারতের কোনো এলাকায় বিয়েশাদি করেছেন।



স্বাধীনভাবে, আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচাসহ অনেক মৌলিক অধিকার নেই ছিটমহলে। এই অবস্থার অবসান চান তাঁরা। আত্মীয়তা, যোগাযোগব্যবস্থা ও ধর্মীয় বিশ্বাস ইত্যাদি কারণে বড় একটা অংশ বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকতে চান।



দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল




দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার সব বাসিন্দার একটাই চিন্তা—যে করেই হোক, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার আগে বাড়ি পৌঁছাতেই হবে। তা না হলে যে ‘গেট ফেইল’। গেট ফেইলের বৃত্তে বন্দী এখানকার ১৫ হাজার মানুষের জীবন।



দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতার ডানে-বাঁয়ে ভারত। সামনে বাংলাদেশের ভূখণ্ড। তবে তা কয়েক কদম হাঁটা পথের এক টুকরো ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে বিচ্ছিন্ন। এই পথটুকু কেড়ে নিয়েছে ছিটমহলের মানুষের অবাধ চলাচলের স্বাধীনতা। আর এই হাঁটা পথটাই হচ্ছে তিনবিঘা করিডর। বাংলাদেশ থেকে দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছিটমহলে যেতে ভারতের তিনবিঘা করিডর পেরোতে হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তিনবিঘা করিডরের গেট খুলে দেয় সকাল সাড়ে ছয়টায়। গেট বন্ধ হয়ে যায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। মাঝখানের এই ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের বাইরের কাজ সারতে হয়।







দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলে ঢুকতেই বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবির) নিরাপত্তা চৌকি। এরপর তিনবিঘা করিডর। এরপর আবার বিজিবির চৌকি। মাঝখানের তিনবিঘা করিডর ভেদ করে চলে গেছে ভারতীয় সড়ক। সড়ক ও করিডরের নিয়ন্ত্রণ করে বিএসএফ। এই সড়কেই বিএসএফের গেট।



ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের যে ৫১টি ছিটমহল আছে, এর মধ্যে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাই বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা। বাকি সবই বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে এক থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। ১৯৯২ সালের ২৬ জুন ভারত তিনবিঘা করিডর খুলে দিলে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার বাসিন্দারা বাংলাদেশে যাতায়াতের সুযোগ পায়। এর আগে লোকজন ভারতে গেলেও বাংলাদেশে আসত বিএসএফের নজর এড়িয়ে। প্রথম দিকে তিনবিঘা করিডরের গেট দিনে এক ঘণ্টা পর পর বিরতি দিয়ে ছয় ঘণ্টা খোলা থাকত। এখন থাকে একটানা ১২ ঘণ্টা।



২৪ ঘণ্টা গেট খোলা রাখার দাবি: দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা দুটি ছিটমহল নিয়ে একটি ইউনিয়ন। প্রায় ১৫ হাজার জনগোষ্ঠীর এই ইউনিয়নে স্কুল থাকলেও কোনো কলেজ নেই। ছোট্ট একটা বাজার আছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের দেখা মেলে না। তাই চিকিৎসার জন্য এখানকার লোকজনকে ছুটতে হয় পাটগ্রাম উপজেলা সদর ও লালমনিরহাটে।



বাসিন্দাদের আয়ের প্রধান উৎস কৃষিকাজ ও গবাদিপশু পালন। পাটগ্রামে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। ছিটমহলের বাসিন্দারা গবাদিপশু বিক্রি করে ওই হাটে। বিএসএফ হাটবারে ১০টির বেশি গবাদিপশু নিতে দেয় না। তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঠিক করেন, কার কার গবাদিপশু বেচার অনুমতি দেওয়া হবে।



তাঁরা তাঁদের সন্তানদের ভুয়া ভারতীয় ঠিকানা ব্যবহার করে ভারতের স্কুলে ভর্তি করান। তাঁদের ভোটার পরিচয়পত্র নেই। তাই বাঁচার জন্য ভুয়া ভারতীয় প্রমাণপত্র তৈরি করতে হয়। এভাবেই চলছে এঁদের পরগাছার মতো জীবন।

কিন্তু অন্য দেশে ‘পরগাছা’ হিসেবে থাকতে চান না ভারতের ভূখণ্ডে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের বাসিন্দারা। তাঁরা দাবি তুলেছেন ছিটমহল বিনিময়ের, যার মাধ্যমে তাঁরা হয়ে যাবেন ভারতের নাগরিক।



নীলফামারী জেলার ছিটমহল




নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে ভারতীয় ছিটমহল জিগাবাড়ী।নীলফামারী জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে ডিমলা উপজেলায় অবস্থিত চারটি ভারতীয় ছিটমহলের। ছিটমহলের বেশির ভাগ মানুষ গরিব। প্রায় সবাই কৃষিশ্রমিক। ডিমলার সবগুলো ছিটমহলের প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সবাই বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। এখানে মাত্র আটটি পরিবারের বাস। চলাচলের জন্য কোনো রাস্তা নেই। তাঁরা জমির আল বেয়ে হাঁটেন। ভোটার তালিকা করার সময় তাঁরা খাসজমিতে এসে ভোটার হয়েছেন। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছে ছিটমহলবাসী।







ছিটমহলের কোনো মামলা নেওয়ার আইনগত কোনো সুযোগ বাংলাদেশ পুলিশের নেই। তাই সেখানে কোনো সমস্যা হলে স্থানীয়ভাবে সমাধান করা হয়।



নীলফামারীর একমাত্র ডিমলা উপজেলায় ভারতীয় ছিটমহল রয়েছে। এই চারটি ছিটমহলে মোট জমির পরিমাণ ৯৩ একর। সর্বশেষ জনগণনা অনুসারে চারটি ছিটমহলে মোট ১১৯টি পরিবার বাস করে। জনসংখ্যা ৪৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৫৮ ও মহিলা ২৪৮ জন।



লালমনিরহাটের ছিটমহল




লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে আট-নয় কিলোমিটার দক্ষিণে জোংড়া ইউনিয়ন। ভেতরে পুরোটাই পাকা রাস্তা। এ ইউনিয়নের মধ্যেই রয়েছে ভারতের ভূখণ্ড, ছিটমহল।







ছিটমহলের বাসিন্দারা ভারতের নাগরিক। তারা ‘নিজ দেশে পরবাসী’র মতো বঞ্চনার জীবন কাটাচ্ছে। নিজ দেশে ঢুকতে গিয়ে তাদের অনেককে ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে কারাভোগও করতে হয়েছে।



তাঁরা ‘ভারতীয় নাগরিক’ ও ‘ছিটের’ বাসিন্দা, এই পরিচয় ঘোচাতে চান। বাংলাদেশি হিসেবে পরিচিত হতে চান।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় ৫৫টি ভারতীয় ছিটমহল রয়েছে। ভারত সরকার কোনো দিন তাঁদের খোঁজ নেয়নি। বাংলাদেশই তাঁদের শেষ ঠিকানা। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁরা বাংলাদেশি হতে চান।



ছিটমহলের জমি কেনাবেচার দলিল বাংলাদেশে হয় না। পাটগ্রামের ছিটমহলগুলো ভারতের কোচবিহার জেলার মেকলীগঞ্জ ও মাথাভাঙ্গা মহকুমার অধীন।



আশির দশকে কিছু লোক ভারতে গিয়ে জমির দলিল নিবন্ধন করাত। গত এক যুগের মধ্যে আর কোনো দলিল নিবন্ধন হয়নি। এখন জমি বেচাকেনা হয় স্ট্যাম্পে টিপসই করে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ভারত থেকে স্ট্যাম্প এনে জমি কেনাবেচা হতো। এখন ভারত থেকে স্ট্যাম্পও আনা যায় না। বাংলাদেশি স্ট্যাম্পেই কেনাবেচা হচ্ছে।বাংলাদেশি ভূখণ্ডে যে জমির দাম বিঘাপ্রতি দেড় লাখ টাকা, পাশেই ছিটমহলের জমি বিঘাপ্রতি দাম হয় এক লাখ টাকা।



পঞ্চগড় জেলার ছিটমহল



পঞ্চগড় জেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার পূর্বে সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা, হাফিজাবাদ ও অমরখানা ইউনিয়নের মধ্যে ভারতীয় সীমান্ত থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গারাতি ছিটমহল। ১৩৫০.৫০ একরের এই ছিটমহলের লোকসংখ্যা এক হাজার ৯২৭। এর মধ্যে পুরুষ ৯৯২ ও নারী ৯৩৫ জন। ৩৭০টি পরিবারের ৪৫টিই ভূমিহীন।এর মধ্যে সদর উপজেলায় গারাতি ও শিঙ্গিমারী, দেবীগঞ্জ উপজেলায় নাটকটোকা, বেহুলাডাঙ্গা, বালাপাড়া খাসবাড়ী, কোটভাজনী, দহলা খাগড়াবাড়ী এবং বোদা উপজেলায় পুঁটিমারী, নাজিরগঞ্জ, দৈখাতা, শালবাড়ী এবং কাজলদীঘি ছিটমহল বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় পড়েছে। এসব ছিটমহলে জমির পরিমাণ ৬১৯০.৭৮ একর, পরিবারের সংখ্যা ৩৯৮৭টি, ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা ২৮০টি। জনগণনার তথ্য অনুযায়ী লোকসংখ্যা ১৮ হাজার ৮৯১। এর মধ্যে পুরুষ নয় হাজার ৭৯১ এবং নারী নয় হাজার ১০০ জন।







কৃষিনির্ভর এই ছিটমহলের লোকজন ধান, পাট, আখ, গমসহ সব ধরনের ফসলের আবাদ করে। সড়কগুলো কাঁচা, খানাখন্দকে ভরা। স্কুল, হাটবাজার ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। তবে বাংলাদেশের ভেতরে চলাচলে তাদের কোনো বাধা নেই।

ছিটমহলের শিশুদের অধিকাংশই লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। আর যারা লেখাপড়া করে, তারা মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করে স্কুলে ভর্তি হয়। যাঁরা সামর্থ্যবান, তাঁরা বাংলাদেশি এলাকায় বাড়ি তৈরি করে সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করছেন।



তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অবাধে চলাচল করলেও তাদের পরিচয় ভারতীয়। কিন্তু চাইলেই ভারতে যেতে পারে না তারা। তাদের জন্য নেই কোনো আইন-আদালত কিংবা বিচারব্যবস্থা। মৌলিক সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ না থাকায় নিরাপত্তাহীনতা ছিটমহলবাসীর নিত্য সঙ্গী।



সাদা কাগজে টিপসই দিয়ে জমি কেনাবেচা করতে হয়। কারণ, জমি রেজিস্ট্রি করতে হলে তাদের ভারতের হলদিবাড়িতে যেতে হয়, কিন্তু সেখানে যাওয়ার মতো ব্যবস্থা এখানকার মানুষের নেই।



আধুনিকতা থেকে বহু দূরে; বিদ্যুৎ না থাকায় এই ছিটমহলের লোকজনের বিনোদনের কোনো সুযোগ নেই। পাকা ঘরবাড়ি নেই বললেই চলে। সবই শণের ঘর। স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা এবং পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই।

অসুখে-বিসুখে সেবা দিতে নেই কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রসূতি মায়েদের দুর্ভোগ বেশি।



চিকিৎসার জন্য ভরসা গ্রাম্য করিরাজ।ছিটমহলের ছেলেমেয়েরা আগে বাংলাদেশের স্কুলে লেখাপড়া করত। জন্মনিবন্ধন সনদ চালুর পর এই সুযোগও হারাতে হচ্ছে। তারা যে ফসল উৎপাদন করে, তা বাংলাদেশেই বিক্রি করে। অথচ তাঁদের সার, বীজ, কীটনাশক দেওয়া হয় না। ছিটমহলে জন্মটাই হলো পাপ। দাম নাই, পরিচয় নাই।







সীমান্তের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের ১৬ মে দিল্লিতে স্থল সীমানা চিহ্নিতকরণ-সংক্রান্ত এক চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ভূমি হস্তান্তরের বিষয়ে চুক্তির তৃতীয় ধারায় বলা হয়েছে, ভূমি বিনিময়ের সময় লোকজন কোথায় থাকতে চান, সে ব্যাপারে তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। ভূমি বিনিময় হলে বাড়তি ১০ হাজার একর জমি বাংলাদেশের পাওয়ার কথা।



ভারতের অবস্থান পরিবর্তন



দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ২০০০ সালের ডিসেম্বরে যৌথ সীমান্ত কার্যদল (জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপ-জেবিডব্লিউজি) গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর এ পর্যন্ত চারটি বৈঠক করে ওই কমিটি। গত বছরের নভেম্বরে দুই পক্ষ দিল্লিতে সর্বশেষ বৈঠক করে ১৯৭৪ সালের চুক্তির আলোকে বিষয়গুলো সুরাহার সিদ্ধান্ত নেয়।



প্রসঙ্গত, এবারকার বৈঠকের আগে প্রতিবারই ভারত আলাদা-আলাদাভাবে সীমান্তের অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো সুরাহার ব্যাপারে অটল থাকে। এ ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিত করা, চুয়াত্তরের চুক্তির অনুসমর্থন, ছিটমহল এবং অপদখলীয় জমি হস্তান্তর—এই ধারাবাহিকতায় বিষয়গুলো সমাধান করা হবে। ২০০৭ সালে ছিটমহল ও অপদখলীয় জমিগুলোতে যৌথ সফরের পর বাংলাদেশও ধাপে ধাপে বিষয়গুলো সুরাহার প্রস্তাব দেয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তালিকায় ক্রমানুসারে ছিল: ছিটমহল বিনিময় এবং চুয়াত্তরের চুক্তির অন্য বিষয়গুলো। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, ধাপে ধাপে নয়, তারা সমন্বিতভাবে বিষয়গুলো সমাধান করতে চায়। ভারতের এই প্রস্তাব তাদের দীর্ঘদিনের অবস্থান থেকে সরে আসা।



২০০৭ সালে ভারত সীমান্তের অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো সমন্বিতভাবে সুরাহার পক্ষে মত দেওয়ায় আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন ছিটমহলবাসী। ছিটমহল বিনিময়ের অংশ হিসেবে জনগণনা শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা ছিটমহল বিনিময়ের।



ভারত বিভাগের এতকাল পরও দুই দেশের এই ছিটমহলের সমস্যার সমাধান হয়নি। নেহেরু-নুন, ইন্দিরা-মুজিব এবং নরসীমা রাও-খালেদা জিয়া ছিটমহল সমস্যার সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিলেও সেই উদ্যোগ বা চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি।



(তথ্য ও ছবি সংগৃহীত)



মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +৩২/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২২

ইসতিয়াক1900 বলেছেন: অনেক বড় ও তথ্যবহুল। পরে পড়ব।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৫

রুশন বলেছেন: ধন্যবাদ

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৭

স্বপনবাজ বলেছেন: সরাসরি +++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

দোয়া করি ভাল থেক

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৪

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:


তথ্যবহুল পোস্ট।

++++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভকামনা নিরন্তর

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৯

পুংটা বলেছেন: ধইন্যা B-))

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

নিলাম :)

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৬

আশিক মাসুম বলেছেন: +++ দিয়ে গেলাম। প্রিয়তে রাখলাম, সময় নিয়ে পরতে হবে। =p~ =p~ =p~

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এতে হাসির কি হল ?

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৭

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট।++++++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই শক্তি

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৮

এম হুসাইন বলেছেন: +++++++++ দিয়া গেলাম, পরে পড়বো।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অপেক্ষায় রইলাম

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪৮

রুদ্র মানব বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোস্ট +++++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ব্রাদার

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

একজন আরমান বলেছেন:
কোন কথা নাই সোজা প্রিয়তে।

এই ছিট মহলের সমস্যা কখনো সমাধান হবে না !

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঠিক আছে কথার প্রয়োজন নেই।

কারন ভারতের স্বদিচ্ছা নাই।

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১১

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ সাবির ভাই। শুভেচ্ছা রইল অনন্তের।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেক তথ্য বহুল একটা পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে। :)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ আপনাকেও। কেমন আছেন ?

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
সরকার চাইলে কিনা সম্ভব। প্রশ্নটা হচ্ছে সরকারের সদিচ্ছা আছে কিনা।

চমৎকার পোস্ট।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সরকার এসব দিকে কেন মনোযোগ দিবেরে ভাই। তাঁদের অনেক কাজ আছে । আগে ব্লগারদের টুটি চেপে ধরে শেষ করে নিতে হবে না তারপর আরও কত কি !!!

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: ভাল জিনিস তুলে এনেছেন। আরো চাই এই ধরনের লেখা ভাই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনি পোস্ট দেন না দেখে আমিই চালিয়ে যাচ্ছি তবে আপনার পোস্টের জন্য চাতকের মত অপেক্ষা করছি।

১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: +++++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এই ছিট মহলের সমস্যা কখনো সমাধান হবে না !

১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: রেডক্লিফের তথা ব্রিটিশের হটকারিতার বলি এই ছিটমহল নামক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মানুষগুলো । বাংলাদেশ-ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বও দায়ী ৬৫ বছর ধরে বয়ে চলা এই অমানবিকতার সমাধান না দিতে পারায় ।


ব্লগে পলিটিক্যাল রেসিসেন্সের মাঝেও চমৎকার তথ্যবহুল এবং মানবিক এই পোস্টের জন্য কান্ডারী ভাইকে ধন্যবাদ ।+++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আমি আমার একটা সিরিজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম দেখেছেন শুধু পলিটিক্যাল রেসিসেন্সের কারনে সেটা বন্ধ রেখেছি । আমার কাছে কিছু আর্টিকেল ছিল এই ছিট মহল নিয়ে সেগুলথেকে এই পোস্ট দিয়ে ফেললাম ভাবলাম কিছুটা মুক্তির নিশ্বাস ফেলা যাবে ব্লগে।

১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাইয়া , আপনার কাছে আকাঙ্খিত পোস্ট ...
যেখানে আমাদের চিন্তা শেষ আপনি সেখান থেকে শুরু করেন

আমার এখানে কিছু আসে কাজ এর জন্য ,রেশন কার্ড নাই পরিচয় পত্র নাই আমার সোসাইটি পুলিস এদের কাজে রাখার অনুমতি দেয় না :(
এরা এখানে সেখানে অনেক কষ্টে লুকিয়ে থাকে, যখন রেইড হয় সব ফেলে ওদের চলে যেতে হয় ।।
হু আমাকে ও মাঝে মাঝে শুনতে হয়, এরা বাংলাদেশী লুকিয়ে এখানে আছে, কিন্তু দেখেন স্বীকার করে না ...।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপু এত বড় কমপ্লিমেন্ট নেয়ার যোগ্যতা আমার নেই। আমি খুব খুব ক্ষুদ্র একটি মানুষ।

কিছু আর্টিকেল পড়েছিলাম ছিটমহল নিয়ে সেখান থেকে কিছু তথ্য দিয়ে পোস্ট দিয়েছি এর চেয়ে বেশী কিছু নয়।

তবে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা এতই প্রবল মাঝে মাঝে ঘর ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করে।

তবে যদি অথর্ব না হতাম সত্যি কিছু করতাম অসাহায় মানুষদের জন্য কিন্তু কিছু করতে পারিনা।

১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

ফারজানা শিরিন বলেছেন: ভারতের ভেতরে বাস করায় এখানকার মানুষজন এখন সত্যিই তাঁদের যেমন সাহায্য করে, তেমনই আবার অবজ্ঞাও করতে দ্বিধা করে না। তবু এই অবজ্ঞা আর ওদের ভালোবাসার আঁচলের মধ্যে থেকে তারা বেঁচে আছে। : (

মা-বোনদের সন্তান ভূমিষ্ঠ করানোর জন্যও তারা মিথ্যে ভারতীয় ঠিকানা ও নাম দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করায় তাঁদের গর্ভবতী মা-বোনদের। আদালতেও তাঁদের ঠাঁই নেই। : (

‘কম হলেও ছিটের জমির কিছু দাম আছে। কিন্তু ছিটের মানুষের কোনো দামই নেই।’ : (

এক ছিটের পেটে আরেক ছিট: বাংলাদেশের ভেতরে ভারত, তার ভেতরে আবার বাংলাদেশ। যেমন কুড়িগ্রামে ভারতের ছিটমহল দাশিয়ার ছড়া। দাশিয়ার ছড়ার ভেতরেই আছে চন্দ্রখানা নামের বাংলাদেশের একটি ছিটমহল। : O

বেশির ভাগ মায়ের সন্তান প্রসব হয় গ্রাম্য দাইদের হাতে। অবস্থা জটিল হলে পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশের হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। : (

বিএসএফের গেট। !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

যে ফসল উৎপাদন করে, তা বাংলাদেশেই বিক্রি করে। অথচ তাঁদের সার, বীজ, কীটনাশক দেওয়া হয় না। ছিটমহলে জন্মটাই হলো পাপ। দাম নাই, পরিচয় নাই।

ভারত বিভাগের এতকাল পরও দুই দেশের এই ছিটমহলের সমস্যার সমাধান হয়নি। নেহেরু-নুন, ইন্দিরা-মুজিব এবং নরসীমা রাও-খালেদা জিয়া ছিটমহল সমস্যার সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিলেও সেই উদ্যোগ বা চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি।


কপি পেস্ট গুলো আমি পড়ছি তাঁর প্রমান না ভাইয়া !!!
এতো কঠিন কথাগুলো আপনি জানাইছেন তাই অভিযোগ করার আর কাউকে না পেয়ে আপনাকে করলাম !!!???
প্রথমে এতো বড় লেখা পড়বো কিনা ভাবলাম ! পড়া শুরু করে আমি কয় একবার ভাবছি আর পড়বো না !!! বড় বলে না ! যে লাইনগুলো কপি করে দিলাম সেখানে এসে থেমে গেছি !!!
মানুষের জীবনে এত কষ্ট কেন ভাইয়া ??? কষ্টের এত কথা থাকতে উন্নয়নের এত সুযোগ থাকতে আমাদের দেশের আমরা এখন কি নিয়ে মেতে আছি ???
অভিযোগ গুলো আপনারও ; জানি : ( !!! কিন্তু আবার বললাম আপনি লিখলেন বলে আপনার বিরুদ্ধেই অভিযোগ করতেছি !!!

সমস্যার সমাধান আপনার কাছেও নাই তাই না ??? তাহলে জানাইতাছেন কেন ??? ঃ@

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

শুধু কি এই সমস্যা আমাদের দেশে আছে আরও অনেক অনেক সমস্যা যা আমাদের জনগণের চোখে পড়লেও সরকারের কিংবা বিরোধী দলের চোখে কখনই পরে না কারন কি সেটা আমি নিজেও জানি না।

সমস্যার সমাধান জানা আছে তবে আমি যেহেতু সরকার নই একেবারেই সাধারন মানুষ তাই কিছুই করার নাই। তবু বিষয়টি শেয়ার করলাম যদি নিজেরা একটু সচেতন হতে পারি তবে ক্ষতি কি ?

১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

ফারজানা শিরিন বলেছেন: কাণ্ডারি > যে হাল ধরে ।
অথর্ব > শক্তিহীন ।

আমাদের দেশের মুল কাণ্ডারিরা আসলেই অথর্ব ।

আমি আপনার ভক্ত ছিলাম । দিন দিন আপনি আদর্শের জায়গা নিয়ে নিচ্ছেন ! মনে হচ্ছে এইভাবেও দেশের জন্য কিছু করা যায় । ভালো থাকবেন ভাইয়া । : )


*** ইহা একটা ভাবমূলক মন্তব্য । : P

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এমন একটি ভাব মূলক মন্তব্যের জন্য একটু ভাব নেয়া যেতেই পারে তাই ভাব নিলাম। :|

২০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিশাল বড় আর্টিকেল! এক বসায় শেষ করা দুষ্কর। :)
তথ্যগুলো প্রায় আগেই জেনেছি। আবার দেখে মনে পড়ল।

সুন্দর পোষ্ট। +

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

জানা ব্যাপারগুলো বার বার জানতে ইচ্ছে করে তবু অজানা থেকে যায়

২১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

s r jony বলেছেন: ছিট মহলের সমস্যা কখনো সমাধান কি কোখনও হবে না ???
+++++++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনি দেখছি বিশাল জ্যোতিষী

২২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

পেন্সিল চোর বলেছেন: +++++++++
ছিটমহল সমস্যার সমাধান সরকার করতে পারে...

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

দুই দেশের সরকার একটু আন্তরিক হলেই হয়ে যায়।

২৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

আমিনুর রহমান বলেছেন: চমৎকার ও তথ্যবহুল পোষ্ট।


ভাইসাব সারাদিন কি আর কারো পোষ্ট পড়তে দিবেন না, আপনার পোষ্ট পড়তে পড়তে পুরা বেলা পার কইরা দিলাম।




০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মাঝে মাঝে বিটুল বিস্কুট খেয়ে নিলেই পারেন। দেখবেন পোস্ট আর পড়া লাগবেনা ব্লগ বাদে বিটুল বিস্কুট খাইতে খাইতে যাইবে বেলা।

আর সাথে আপনি গান ধরতে পারেন;

আমার বেলা যে যায়
শেষ বেলাতে


ভাই ধন্যবাদ অনেক অনেক অনেক এত প্রশংসা পাবার যোগ্যতা এই ক্ষুদ্র মানুষটির নেই।

২৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

একজন আরমান বলেছেন:
হ্যাঁ সেটাই।
স্বদিচ্ছা থাকলে ফারাক্কা বাঁধ, সীমান্তে হত্যা, তিস্তা পানি চুক্তি, টিপাইমুখ বাঁধ এই সব সমস্যাই সমাধান হয়ে যেত !

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এই স্বদিচ্ছা কেন নেই সেটাই জানতে চাই ?

২৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

মৈত্রী বলেছেন:
বাংলাদেশে যে ভারতীয় ছিটমহল আছে, সেই ছিটমহলের বাসিন্দাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার ব্যপারে প্রতিবন্ধকতা কি???

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যেমনটা ভারতের ভেতরে রয়ে যাওয়া বাংলাদেশী ছিটমহল গুলোতে পরিচয় পত্র, রেশন এবং পাসপোর্ট দেয়া হয়না অবজ্ঞা করে ঠিক তেমনি অবজ্ঞা করে বাংলাদেশের ভেতরে রয়ে যাওয়া ভারতের ছিট মহল গুলোর সাথে একই আচরন হয়ে থাকে। তবে ২০০৭ সালের জুলাই মাসে একবার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল এবং সেই সময় তারা ঈদের মত উৎসব পালন করেছিল কিন্তু ওই পর্যন্তই আর কিছুই আগায়নি ।

প্রতিবন্ধকতা খুব সম্ভবত দুই দেশের সরকারের স্বদিচ্ছা।

২৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: পেলাচ লন , সুন্দর লেখছেন , তবে দুই পর্ব করলে ভালো হইতো ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সেটা হয়ত হত ভাই কিন্তু এই বিষয়টি দুই পর্বে করলে আমার মনে হয়েছে শোভা নষ্ট হত পোস্টের।

২৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
তথ্যময় পোষ্টে +++++++++++++
আর সোজা প্রিয়তে..............

শুভকামনা কান্ডারী ভাই।।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কষ্ট সার্থক হলে খুব খুসি লাগে আরও কষ্ট করতে ইচ্ছা জাগে।

অনুপ্রানিত হলাম।

২৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

শিপু ভাই বলেছেন:
+++++++++++++প্রিয়তে!!!


এই পোস্টের অপেক্ষায় আছি ২ বছর ধরে!!! আমি দেই নাই আলসেমি কইরা!!! আপ্নেরে ধইন্যা। এই পোস্ট এই ব্লগের একটা এসেট হিসেবে থাকবে!!!


চলেন একদিন কোন একটা ছিট মহলে ঘুরে আসি!!!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কি বলেন ভাই গত দুই বছরে এই বিষয় নিয়ে কেউ পোস্ট দেয় নাই। খুব অবাক হলাম।

আপনার মন্তব্য ভেতরে টনিকের মত কাজ করে।

চলেন কোন লম্বা ছুটির দিনে ঘুরে আসি সাথে ওদের জন্য কিছু উপহার কিনে নিয়ে যাই।

২৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

শিপু ভাই বলেছেন:
বিক্ষিপ্ত ও সংক্ষিপ্ত কিছু পোস্ট আসছে। এত ডিটেইলস পোস্ট আসে নাই।

ছিটমহলবাসীর অবরোধ আন্দোলনের সময় জিশান মামা (ব্লগার জিশান শা ইকরাম) একটা ভাল পোস্ট দিয়েছিলেন!!!

ছিট মহল ...... যেন অশ্রু বিন্দু এক একটি । কতটা অশ্রু বিন্দু দিয়ে গড়ে উঠে একটি নীল সাগর !!


বাংলাদেশের ভিত্রে ভারত আর ভারতের ভিত্রে বাংলাদেশ- কোনটায় যাইবেন???

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার একটি পোস্ট । তবে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার কাছে আরও কিছু আর্টিকেল রয়েছে ইচ্ছা করে দেই নাই তাহলে পোস্ট আরও বিশাল হয়ে যেত অনেক কিছু বাদ দিয়েছি।


ভারতের ভিত্রে বাংলাদেশে যাওয়া হয়ত হবে না তবে চলেন যাই বাংলাদেশের ভিত্রে ভারতে। আশা করি মন খারাপ করে দিতে সেই ভ্রমন যথেষ্ট হবে। সেটার নাম আমরা দিব মনপুরা ভ্রমন।

৩০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: .. কি বলব বুঝতে পারছি না । তবে স্বপ্ন দেখি ---

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সবাই এক সাথে স্বপ্ন দেখলে স্বপ্ন একদিন সত্যি হবেই ইনশাল্লাহ।

৩১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

বোকামন বলেছেন:







জানা ব্যাপারগুলো বার বার জানতে ইচ্ছে করে তবু অজানা থেকে যায়

দুই দেশের সরকার একটু আন্তরিক হলেই হয়ে যায়

এই পোস্ট এই ব্লগের একটা এসেট হিসেবে থাকবে!!

চলেন কোন লম্বা ছুটির দিনে ঘুরে আসি সাথে ওদের জন্য কিছু উপহার কিনে নিয়ে যাই

সবাই এক সাথে স্বপ্ন দেখলে স্বপ্ন একদিন সত্যি হবেই ইনশাল্লাহ



আর কী বলবো .....! পোস্টে কৃতজ্ঞতা ...




১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তবু যদি কিছু বলার থাকে

৩২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

তরুন তুর্কী বলেছেন: এত্ত বড় এটা লিখলেন কেমনে !!!
আপনার সাহস বটে !
ভাল থাকবেন ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই।

৩৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫২

কালোপরী বলেছেন: চমৎকার পোস্ট

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ আপু, ভাল থাকবেন।

৩৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

মাহমুদুর রাহমান বলেছেন: অসাধারন। মর্মাহত না হয়ে পারা যায় না, সেই মানুষদের দুরাবষ্থা কল্পনা করলে। যেখানে ২/৪ দিনের হরতালে আমরা মারাত্মক ঝামেলায় পড়ি, তাহলে সারা জীবন এই মানুষ গুলো কতটা কষ্ট করে :(

আমাদের নেতাদের আরও দুরদর্শী হওয়া উচিত এই সব মানুষদের জন্য কিছু করতে।

+ ধন্যবাদ

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমাদের নেতাদের আরও দুরদর্শী হওয়া উচিত এই সব মানুষদের জন্য কিছু করতে।

৩৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০২

সিরাজ সাঁই বলেছেন: আপনি সক্ষম কাণ্ডারি। পোস্টে + আপনাকে +

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাই যদি সক্ষম হতাম অনেক কিছুই করতে পারতাম এই জীবনে দুঃখী মানুষ গুলোর জন্য

৩৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৮

সিরাজ সাঁই বলেছেন: ইচ্ছাই আসল, আপনার ইচ্ছা প্রমানিত হয়েছে। আমি নিশ্চিত, আপনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিছুটা নিশ্চয় করতেও পেরেছেন। এই পোস্টটাও সেই প্রচেষ্টার একটি প্রমান। আপনার প্রচেষ্টায় +

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কিছু বলার নেই ভাই।

৩৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩২

ফারজানা শিরিন বলেছেন: মনপুরা ভ্রমণের সঙ্গী হতে ইচ্ছা করতেছে । : (

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার এই ইচ্ছাকে অন্তর থেকে স্বাগত জানাই।

কিন্তু এতটা কষ্টের পথ কি যেতে পারবেন সাথে ?

৩৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ব্যপক পোস্ট । জানার আছে অনেক কিছু ।


তাই পোস্ট প্রিয়তে ।

অনেক দিন পর সামুতে এলাম , প্রক্সি দিয়ে এখন সামুতে আসতে হয় ।
এসেই পছন্দের ব্লগারদের লেখা পড়ে বেশ ভালই লাগছে ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আর পছন্দের ব্লগারের মন্তব্য পেয়ে আরও বেশী ভাল লাগছে। :)

৩৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

ফারজানা শিরিন বলেছেন: যেতে পারবো কিন্তু সত্যি হলো আব্বু আম্মু যেতে দিবে না । ঃ//

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হুম এই আব্বু আম্মুদের কথা শোনা অত্যন্ত জরুরি নাহলে কপালে শনির দশা থাকে।

৪০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: +++++++++

প্রিয়তে নিক্ষেপ করলাম।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

দেখবেন যেন আবার ভেঙ্গে না যায় :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানবেন ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

এম এম ইসলাম বলেছেন: ১৯৪৭ এর ভারত পাকিস্তান স্বাধীনতা ছিটের মানুষের ভাগ্যে দীর্ঘস্তায়ি বিপর্যয় নিয়ে আসে। ৪৭ এর জেনারেশন ( ধরি ১ম জেনারেশন) পার হয়েছে, ২য় জেনারেশন প্রায় পার হতে চলছে। প্রার্থনা করছি ৩য় জেনারেশন যেন ভাগ্য বিপর্যয় থেকে বের হয়ে আসতে পারে।
মাউন্টব্যাটনকে আমি অনেক কারনেই শ্রদ্ধা করে। তবে আমার মনে হয় উপমাহাদেশে স্বাধীনতা প্রদানে তিনে বেশি তাড়াহুড়া করেছেন। ফলে রেডক্লিফের সীমানা অনেকক্ষেত্রেই বিতর্কীত।ছিটের ক্ষেত্রে এমনটিই হয়েছে। আবার ভারত/পাকিস্তানের স্বাধিনতার অন্তত ১ মাস আগে সিমানা প্রকাশ করলে ব্রিটিশ শাসনের অধীন সুস্থ ব্যবস্থাপনায় অনেক মানুষ তাদের সীমানা পেরিয়ে তাদের কাঙ্খিত ভারত বা পাকিস্তানে চলে যেতে পারতেন। কিন্তু আগে স্বাধীনতা পরে মানচিত্র প্রকাশ করায় উপমাহাদেশের অনেক স্থানে বিশেষ করে পাঞ্জাবে রক্ত ঝরেছে অনেক বেশি।
সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


+++++++ আমি দিলাম আপনার মন্তব্যের জন্য।

৪২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ফজলে আজিজ রিয়াদ বলেছেন: প্রিয়তে

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: প্রিয়তে।


অনেক কাজে লাগবে এই পোস্ট !!

আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.