![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
মোরা এক ঘাটেতে রান্দি বাড়ি আরেক ঘাটে খাই, মোদের সুখের সীমা নাই, পথে ঘাটে ঘুরে মোরা সাপ খেলা দেখাই, মোদের ঘর বাড়ি নাই।
যে যাযাবর যূথচারী মানবগোষ্ঠীগুলোকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষত জলবহুল-বিলবহুল-নদীবহুল অঞ্চলে দেখা যায়, তাদেরই প্রচলিত নাম বেদে। বৈদ্য থেকে বেদে শব্দটির উদ্ভব। সাধারণত, অধিকাংশ বেদে পুরুষ এবং নারী নানা রকম ঝড়িবুটি এবং টোটকা চিকিৎসার সাথে জড়িত বলে এদের নাম হয়েছে বেদে বা বাইদা। এই সম্প্রদায়ের লোকেরা মোট নয়টি শাখায় বিভক্ত। এগুলো হলোঃ লাউয়ো, চাপাইলা, বাজিকর, বেজ, গাইন, মেল্লছ, বান্দাইরা, মাল ও সাপুড়িয়া। বেদেরা আমাদের সমাজের এতই প্রান্তিক একটি অবস্থানে রয়েছে যে আমাদের জাতীয় পরিসংখ্যানে পর্যন্ত তাদের কোনো গুরুত্ব নেই, আমাদের জাতীয় নীতি-নির্ধারণী বৈঠকগুলোতে তাদের কথা কখনোই উঠে আসে না।
ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিঃ
পৃথিবীব্যাপী রহস্যময় একদল মানুষ হলো জিপসি। এরা যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়ায় এখানে-ওখানে। দেশে দেশে বা অঞ্চলভেদে তাদের একেক নাম, আর বেঁচে থাকার জন্য বিচিত্রসব পেশা। ১৪২৭ সালের দিকে প্যারিস নগরীতে হঠাত্ হাজির হয় একদল মানুষ। নর-নারী, শিশু—অদ্ভুত তাদের চেহারা, অদ্ভুত তাদের কথাবার্তা, উত্কণ্ঠিত প্যারিসকে তারা আশ্বস্ত করে লিটল ইজিপ্ট হিসেবে। পরে ইউরোপের নানা শহরে এদের দেখা যায়। পরিচয় দেয় লিটল ইজিপ্টের মানুষ হিসেবে। ইউরোপ তখন একবাক্যে মেনে নেয় এরা ইজিপ্টের মানুষ। ওদের পোশাক, ওদের ভাষা, ওদের চালচলন সব ইজিপশিয়ানদের মতোই বটে। এই ইজিপশিয়ান থেকে ক্রমেই এদের নাম হয়ে গেল জিপসি। আমাদের অঞ্চলের জিপসিরা বেদে নামেই পরিচিত, বেদে মানেও ভ্রমণশীল বা ভবঘুরে। নদীনির্ভর বাংলাদেশে বেদেদের বাহন তাই হয়ে ওঠে নৌকা। নৌকায় সংসার আবার নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো দেশ-দেশান্তরে।
বেদেরা দাবি করে তারা মোগল আমলে ১৬৩৮ সালে আরাকান থেকে এ দেশে এসেছিলো। এ জন্যই তাদের কথায় কিছুটা আরাকানী টান আছে। তারা নিজেদের মধ্যে যখন কথাবার্তা বলে তখন এই টান স্পষ্ট বুঝা যায়। আমাদের বেদে সম্প্রদায় নিজেদের মধ্যে সাঙ্কেতিক ‘ঠের ভাষা’য় কথা বলে। শুধু কথাই বলে না, এই ভাষাতে বিভিন্ন শ্লোক-মন্ত্র-সংগীতের উচ্চারণও তাদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। তাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ সংগীত। বেদে বলতেই আমাদের দেশে সাপ-সাপুড়ে, সাপের বিষ নামানোর মন্ত্র, সাপখেলা দেখানোর কথা চলে আসে। তবে আমাদের দেশে সাপুড়ে বা সাপের ওঁঝা মানেই বেদে নয়। বেদে-সম্প্রদায় বহির্ভূত অনেক মানুষের পেশা এখন এই একই। একাদশ শতকে সেন আমলে বল্লাল সেন হিন্দু সমাজের যে বর্ণবিভাগ করেছিলেন, তাদের মধ্যে জল-অচল শূদ্রদের একটি অংশের পেশা ওঁঝাবৃত্তি।
বেদে শুধু শিল্প্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিকে নিজেদের মধ্যে লালন করছে না, পাশাপাশি তারা যে আলাদা বৈচিত্র্যের ধারক অন্যতম নৃ-গোষ্ঠী, সহজেই তা অনুমেয়। বেদেরা তাদের জীবনকে একঘেয়ে মনে করেন না। প্রকৃতির মাঝেই এরা জীবনের বৈচিত্র্যের সন্ধান করেন। আর বেদেদের এই সন্ধানই আমাদের লোকসাহিত্যের উপজীবী অংশ হয়ে যুগ যুগ ধরে আদৃত হয়ে আসছে আজ পর্যন্ত।
লোকসাহিত্যের এক বৃহত্ অংশ ‘বেদে সম্প্রদায়’। ‘বেদে নারী ও সংস্কৃতি’ দেখে বোঝা যায় তাদের বৈচিত্র্যময় জীবনে অনেক কিছু সাংসারিক উপাদান রয়েছে, যা আমাদের কাছে শিক্ষণীয় হতে পারে। বিশেষ করে বেদে নারীদের কঠোর সংগ্রাম, সাহস, মমত্ব, ভালোবাসা এবং নেতৃত্বগুণাবলি।
ধর্মীয় অনুশাসনঃ
অন্য অনেক আদিবাসীর মতো বেদেরাও এই জললগ্ন ভূমিরই সন্তান। বেদে সম্প্রদায় কোনো আনুষ্ঠানিক ধর্ম পালন করে না। তবে লোকজ অনেক দেব-দেবী, যেমন মনসা বা বিষহরির পূজা করে থাকে। তবে সেই পূজা পদ্ধতির সঙ্গে যতটা না অর্চনার সাদৃশ্য, তার চেয়ে বেশি সাদৃশ্য লোকজ ব্রত-পার্বণের সঙ্গে। বেদেরা নিজেদের মুসলমান দাবি করলেও ঈদ কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় আচার-রীতি পালন করে না। অন্যান্য বেদের সাথে মেল্লেছ বেদেদের বিয়ে-শাদী বা সামাজিক আদান-প্রদান নাই বললেই চলে। শুধু মেল্লছ গোষ্ঠীর সাথেই মেল্লছ গোষ্ঠীর বিবাহ হয়। বেদে সম্প্রদায়ের অন্যান্য গোষ্ঠীর বিবাহ মুসলিম ধর্মীয় মতে হলেও তাদের রীতিনীতি বিচিত্র।
আবাসস্থলঃ
সময়ের প্রভাবে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠীভুক্ত হয়ে বাস করে এরা। ঢাকার সাভার, মুন্সীগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, গাজীপুরের জয়দেবপুর, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, মিরসরাই, তিনটুরী, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, চান্দিনা, এনায়েতগঞ্জ, ফেনীর সোনাগাজী, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এসব বেদের আবাস। তাদের পারস্পরিক যোগাযোগ এখনও টিকে আছে। সুনামগঞ্জের সোনাপুরে বাস করে বেদে সমাজের বৃহত্তর একটি অংশ।
আবদুল্লাহপুর, মীরকাদিম, চিতলীয়, মাকহাটি এলাকায় বেদেদের আদি বাস ছিলো- এই সব এলাকা থেকেই সম্ভবত তারা ভাটপাড়া, বক্তারপুর, আমিনবাজার প্রভৃতি স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
আধুনিক সভ্যতার চরম উৎকর্ষের পরও বেদেদের জীবন প্রবাহ আজো পশ্চাদপদ। সামাজিক ও নাগরিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত। বেদে সমাজ ভবঘুরে যাযাবর জীবনের শিকলে আবদ্ধ হয়ে দুর্বিষহ গতিধারার ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছে। সেই আদিকাল থেকেই এ বেদে সমাজ দেশের রাজধানী. বিভাগীয় শহর থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এদের বিচরণ। নদীমাতৃক বাংলাদেশের সব নদীতে ছুটে বেড়ায় ওরা। নদী, খালের কিনার ঘেঁষে চোখে পড়ে বেদেনিদের নৌকার বহর। ঠিকানাবিহীন, অপরিচিত, অজানা, অচেনা ও সম্পূর্ণ অপরিচিত ঘাটে এসে নৌকা ভেড়ায়। আবার একদিন সেখান থেকেও উধাও। এভাবেই কাটছে ওদের দিন, মাস, বছর ও যুগ। কাটছে ওদের জীবনের মূল্যবান মুহূর্তগুলো এবং তা অনেকটাই অনিশ্চিতভাবে।
বৈবাহিক রীতিনীতিঃ
উপার্জনের মৌসুম শেষ হলে বেদে পরিবারে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়েতেই তারা সবচেয়ে আনন্দ করে। তবে বেদেদের বিয়েতে আপ্যায়ন কিংবা উপহার প্রদানের কোনো নিয়ম নেই। সাধারণ বর-কনে একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করে। পছন্দের ব্যাপারটা তারা সেরে নেয় বিয়ের অনুষ্ঠানে। বেদেদের বিয়েতে বর-কনে সহ উপস্থিত সবাইকে নৃত্যগীত করতে হয়। বহিরাগত কেউ এলে তাকেও নাচতে হয়। এসব নাচ-গান একান্তই বেদে সম্প্রদায়ের। এ সময় অবিবাহিত মেয়েরা খুব আকর্ষণীয় সাজগোজ করে। অন্য যুবকের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে নিজেদের শারীরিক সৌন্দর্য তুলে ধরে। কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে এভাবেই তরুণ-তরুণীরা নিজেদের বিয়ের সঙ্গী খুঁজে নেয়। বেদেদের বিয়েতে বিশেষ কোনো ধর্মের রীতিনীতি নেই। বেদেদের বিয়ের আগে হবুবর একটি গাছে উঠে সবচেয়ে উঁচু ডালে গিয়ে বসে আর কনে দাঁড়িয়ে থাকে গাছের নিচে, কনে বরকে নেমে আসার জন্য বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বর নেমে আসে না। তখন সে বরকে প্রলোভন দেখাতে শুরু করে আমি তোমার সংসারের কাজ করবো। শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করবো। ছেলেমেয়েদের লালন পালন করবো। বর নির্বিকার সে উঁচু ডালে বসেই আছে নামার কোনো লক্ষণ নেই। কনে এবার বলে আমি তোমার বিরুদ্ধে কোনো সময় অভিযোগ করবো না। তুমি যা বলবে তাই শুনবো
বর তবু বসে থাকে¬
শেষে যখন কনে বলে- তোমাকে আমার ভরণ-পোষণ করতে হবে না, বরং আমিই তোমাকে সারাজীবন রোজগার করে খাওয়াব তখন বর গাছের মগডাল থেকে নেমে আসে- এরপর তাদের বিয়ে হয়। একাধিক বিবাহ এবং বাল্যবিবাহের প্রচলন এদের মধ্যেও আছে।
বিয়ে করতে হলে কনেকে অর্থ দিতে হয়। যার যেমন সামর্থ্য, সে তা-ই দেয়। এ অর্থ বেদেনীর কাছে গচ্ছিত থাকে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো কারণে ছাড়াছাড়ি হলে সম্পত্তি, ছেলে-মেয়েও ভাগাভাগি হয়। সর্দাররা বিচার করে যা রায় দেয়, উভয়পক্ষকে তা মেনে নিতে হয়। বিয়ের রাতে স্বামীকে সন্তান পালনের জন্য প্রতিজ্ঞা করতে হয়। যতদিন স্ত্রী উপার্জনের জন্য বাইরে থাকে, ততদিন স্বামী-সন্তানের প্রতিপালন করে। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর ঘরে যায়। স্ত্রীর ঘরই স্বামীর ঘর।
বেদে নারীরা স্বামীদের আঁচলে বেঁধে রাখতে তুলনাহীন। পুরুষ বশে রাখতে তারা শরীরে সাপের চর্বি দিয়ে তৈরি তেল ব্যবহার করে। স্বামীর শরীরে তা নিয়মিত মালিশ করে। কোনো পুরুষের পক্ষে বেদে নারীর এই কৌশল উপেক্ষা করা সম্ভব হয় না। বেদে নারীর মায়ার জালে পড়লে তাকেও গোত্রের হয়ে থেকে যেতে হয়। তাছাড়া পুরুষকে ঘরে রাখার জন্য তারা তন্ত্রমন্ত্র, তাবিজ-কবজ করে। পুরুষ বেদে নারীর কাছে দেবতার মতো। সব ঝামেলা থেকে তারা স্বামীকে আগলে রাখে।
মাতৃতান্ত্রিক বেদে সমাজ ব্যবস্থাঃ
বেদে সম্প্রদায়ের মেয়েদেরও ক্ষমতা অপরিসিম হলেও একটি বহরে সর্দার হন একজন পুরুষ। বহরের অভ্যন্তরীন যে কোন সমস্যা বহরের সর্দারই সমস্যা সমাধান করে থাকেন। প্রধানত বেদে সম্প্রদায়ের মহিলারাই সংসার চালায়। বহরের কিছু পুরুষ সাপ খেলা দেখানো, সাপ ধরা ও কবিরাজি পেশায় যুক্ত হলেও মূলত মেয়েরাই শহর, গাঁও, গ্রামে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গৃহস্থের ঘরে ঘরে নিরক্ষর ও দরিদ্র মানুষের দাতের পোকা বের করা, জাড় ফুক, সিঙ্গা লাগিয়ে তন্তর-মন্তর করে যা আয় করে তা দিয়েই সংসার চালায় তারা।
বেদে সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। বেদে নারীরা যথেষ্ট স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। উপার্জন, বিয়ে ও সন্তান প্রতিপালনে তারাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। বেদে পুরুষরা অলস হয়। কায়িক পরিশ্রমকে তারা ঘৃণা করে। ফলে সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্য বেদে মেয়েদেরই বের হতে হয়। এতে তাদের সাংঘাতিক ভোগান্তি পোহাতে হয়। স্বামী-সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সব দায়িত্ব পালন করে। স্বামীর প্রতি বেদে নারীদের অঢেল মায়া। তাই সব ধরনের ঝামেলা থেকে স্বামীকে সে আগলে রাখে।
যাযাবর বলেই এদের জীবন বৈচিত্র্যময়। বেদে সম্প্রদায়ের নারীরা যথেষ্ট শ্রম দেয়। নারীদের মমত্ববোধ, প্রেম-ভালোবাসা লোক-কাহিনীতে জুগিয়েছে বাড়তি খোরাক। প্রাগৈতিহাসিক কাল ধরেই মনুষ্য চিত্তাকর্ষণ করার লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন চটুল গান রচনা করেছেন। এটা করতে বেদে নারীদের শরীরী ভাষাও প্রকাশ হয়েছে। তাদের শরীরী ভাষা প্রকাশের শিল্পিত উপস্থাপন যা সহজেই অন্যকে প্রলুব্ধ করে। গানের ভাষায় উঠে এসেছে তাদের নিত্যকার জীবনে ব্যবহার্য জিনিসের নাম, সাপের নাম, বিভিন্ন উপাসক দেব-দেবীর নাম, বিপরীত লিঙ্গ স্তবক, বিরহ, বৈরাগ্য প্রভৃতি।
বেদেরা যাযাবর জাতি। তারা সাধারণত নদীর আশপাশে সমতল ভূমিতে মাচা করে বসবাস করে। তবে নৌকায় বসবাসই তাদের ঐতিহ্য। তারা এক জায়গায় বেশিদিন থাকে না। নৌকায় গ্রামগঞ্জে পরিভ্রমণ করে। বিশেষ করে ফসল ওঠার মৌসুমে ও হাটবারে তারা বেশি যায়। বেদে নারীরাই দলবদ্ধভাবে এ পরিভ্রমণে যায়। এ সময় বেদে নারীদের সঙ্গে সাপের ঝাঁপি ও ওষুধের ঝুলি থাকে। হাটবাজারে সাপের খেলা দেখিয়ে ও ওষুধ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। তাছাড়া দাঁতের পোকা তোলা, সিঙ্গা ফুঁকা, শরীরে উল্কি এঁকেও তারা আয় করে। এ সময় বেদেনীরা বেশ সাজগোজ করে, কোমরে বিছা আর গায়ে ইমিটেশন গহনা পরে, খোঁপায় ফুল গুঁজে রাখে। মানুষকে আকর্ষণ করার জন্যই এমন সাজগোজ। উপার্জনের মৌসুম শেষ হয়ে গেলে ফেরে নিজ ডেরায়, স্বামী-সন্তানের কাছ।
বেদেরাই সাধারণত সাপ ধরে। বন-জঙ্গল, ঝোপঝাড় থেকে পুরুষ বেদেরা সাপ ধরে নিয়ে আসে। বেদেনীরাও সাপ ধরতে পারে। ঢোঁরা সাপ, ঘরচিতি, লাউডগা, কালনাগিনী ইত্যাদি সাপ সাবলীলভাবে ধরতে পারে। তবে সবাই সাপ ধরতে পারে না। উগ্র মেজাজের এবং ভয়ঙ্কর বিষাক্ত দাঁড়াশ, কালকেউটে, গোখরা, শঙ্খিনী জাতের সাপ তারা অন্য বেদের কাছ থেকে কিনে নেয়। সাপ খেলা দেখানোর জন্য এ ধরনের সাপের দরকার হয়। সুরেলা গলায় গান গেয়ে তারা সাপের খেলা দেখায়। সাপ খেলা দেখানোর সময় কালনাগিনী সাপকে বেদেনী বাহুতে বিংবা গলায় পেঁচিয়ে রাখে। কালনাগিনী বেদেনীদের ভীষণ পছন্দের সাপ। এই সাপের রঙ-রূপ-স্বভাব বেদেনীরা অনুকরণ করে। তাদের সাজসজ্জায় ও আচরণে তার প্রকাশ ঘটায়। এমনকি হাঁটার সময় পা দু’টি সমান্তরালে এগিয়ে কোমর দুলিয়ে চলতে দেখা যায়।
বেদিনীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে নানা ধরনের অসুখ-বিসুখের চিকিৎসা করে; তারা দাঁতের পোকা খসায়, রস- বিষ-খসায় এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল থাকলে তাদের মধ্যে মেলবনের জন্য তাবিজ দিয়ে থাকে। বেদে পুরুষেরা পাখি শিকার, সাপ ধরা এবং পানিতে কারো সোনা বা রূপার গহনা হারিয়ে গেলে- টাকার বিনিময়ে সেগুলো খুঁজে দেয়। এরা নৌকা বহরে থাকে, প্রত্যেক বহরের মধ্যে একজন সর্দার বিদ্যমান দেখা যায়। কেউ কোনো অপরাধ করলে সর্দার তার বিচার করে। এ ক্ষেত্রে সর্দারের কাছে দু'পক্ষেরই টাকা জমা রাখতে হয়, যে পক্ষ বিচারে হেরে যায়- সর্দার তার টাকা দিয়ে বহরের লোকজনকে খাওয়ে থাকে।
বহরের ব্যবসা ও নিরাপত্তার পারিপার্শিক অবস্থা বিবেচনা করে বেদের বহর এক জায়গায় এক সাপ্তাহ থেকে এক মাসের বেশি থাকে না। এর কারণে বেদে পলহ্মীর শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। সময় বাস্তবতা আর সচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জীবন যাপনে হিমসিম খাচ্ছে বেদে যাযাবর মানুষগুলো।
বেদে সম্প্রদায়ের পেশাগত পরিবর্তনঃ
এদের প্রধান পেশা চুড়ি-ফিতা-খেলনা বিক্রি, সিঙ্গা লাগানো, দাঁতের পোকা তোলা, তাবিজ-কবজ বিক্রি, সাপেকাটা রোগীর চিকিৎসা, সাপের খেলা দেখানো, সাপের ব্যবসা করা, আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যসেবাদান, ভেষজ ওষুধ বিক্রি, মৃত পশুর শরীরের অংশ এবং গাছগাছড়া ব্যবহার করে ওষুধ তৈরি করে বিক্রি করা, বানর খেলা দেখানো, জাদু দেখানো, মাছ ধরা, পাখি শিকার ইত্যাদি। জীবনের তাগিদে পেশায় থাকলেও বর্তমানে তারা ধীরে ধীরে পেশার পরিবর্তন করছেন। সাভারের কাঞ্চনপুর, অমরপুর, বড় অমরপুর ও পোড়াবাড়ি এইসব অঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার বেদে পরিবারের বসবাস। প্রতিটি পরিবারে গড়ে ৬ থেকে ৭ জন সদস্য রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি পরিবার সাপের ব্যবসা করে থাকেন। তবে এদের অনেকেই শুধু চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য সাপ ভাড়া দিয়ে থাকেন। আর অনেকেই সাপ ধরা আর বিক্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছেন। এছাড়া বেশিরভাগ বেদে স্থানীয় বাজারে দোকান কেনা, ভাড়া, কবুতর পালন, মৎস্য চাষ আর দোকান ব্যবসার মাধ্যমে পেশার পরিবর্তন এনেছেন।
বিনোদনের নতুন নতুন ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছে। আগের মতো মানুষ সাপ খেলা দেখে এখন আর আনন্দ পায় না। তাছাড়া বেদেদের ওষুধে এখন বিশ্বাস নেই। বন-জঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ায় আগের মতো সাপও পাওয়া যায় না। তাই বেদেদের ঐতিহ্যগত পেশায় ধস নেমেছে। এতদিনকার সংস্কার-বিশ্বাসে আঘাত এসেছে। অভাবের কারণে সংসারে ভাঙন লেগেছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেদে নারীরা। বাধ্য হয়ে তাই তারা পঙ্কিল পথে পা বাড়িয়েছে। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে তারা হারিয়ে যাচ্ছে কোনো এক অজানা অন্ধকারে। কালের আবর্তে আজ বেদে সম্প্রদায়ের চিরাচরিত জীবন-প্রণালী ধ্বংসের মুখে।
ভাসমান বেদে সমাজ বাঁচার জন্য যুদ্ধ করছেঃ
বর্তমানে বেদেরা সম্পূর্ণ ঠিকানাবিহীন ও অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে। এদের কুঁড়ে ঘরের ছাউনি হয় শত ছিন্ন পলিথিন কিংবা নাইলনের অথবা সিমেন্টের ব্যাগে। আর খেজুর পাতার পাটি দিয়ে তৈরি বিছানা। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ হেমন্ত ও বসন্ত সব ঋতুতেই ছেলেমেয়ে, স্ত্রী, পরিজন নিয়ে অবস্থান করে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। জীবিকার সন্ধানে ওরা খুঁজতে থাকে আরো কত কিছু। পুকুর, ডোবা বা জলাশয়ে কারো স্বর্ণ-রূপা হারিয়ে গেলে উদ্ধার করে দেয় তারা। নানা প্রতিকূলতার মোকাবেলা করে বেঁচে থাকে এরা। অবহেলিত এই বেদে-বেদেনিরা সভ্য মানুষের চোখের সামনে দিয়ে অবলীলাক্রমে এদের জীবন কাটলেও কোনো মানুষই তাদের জীবন নিয়ে ভাবে না অথবা তাদের পুনর্বাসনের কথা কেউ চিন্তাও করে না। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোর ইচ্ছা থাকলেও পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয় না। যা আয় হয় তা দিয়ে কোনোমতে দিন কাটে। কঠিন রোগ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। ঝাড়ফুঁকে সারলে তো ভালোই অন্যথায় মৃত্যু অনিবার্য।
নদীর রূপ বদলের সঙ্গে সঙ্গে তাদের চলার পরিধি ছোট হয়ে আসছে৷ আর তাই তার মতো আরো অনেকে ছাড়তে শুরু করেছে নদী৷ নদী ছেড়ে কোথায় যাবে এই বেদেরা৷ তাদের নেই কোন শিক্ষা, নেই কোন কাজের বিশেষ যোগ্যতা৷ বাংলাদেশের সমাজে শ্রেণি বিভাজন না থাকলেও বেদেদের দেখা হয় কিছুটা আলাদা চোখে৷ আর তাই সমাজের মূলস্রোতে মেশাটাও খুব একটা সহজ নয় তাদের জন্য৷ তবে বেদেরা হারিয়ে গেলে বাংলাদেশের পুরাতন ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির একটি অংশ হারিয়ে যাবে৷ তারা খুব দ্রুতই পানি ছেড়ে ডাঙ্গায় আবাস গড়তে শুরু করেছে৷ অথচ ১৫ বছর আগেও পুরো বেদে সম্প্রদায় বাস করতো পানিতে৷ খুব শিগগিরিই হয়তো তেমন দিন আসবে, যখন আর কোন বেদেকে নৌকাবাড়িতে করে নদীপথে ঘুরতে দেখা যাবে না৷
জীবন প্রবাহের ধারা ও মূল্যবোধঃ
পৃথিবীতে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। জীবনপ্রবাহের ধারা বদলে গেছে। জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আজো মানুষ পারল না বেদে সমাজের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করতে। তারা অজ্ঞতার যুগেও যেমন অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল আজো তেমনি অন্ধকারে রয়ে গেল তাদের জীবন। ওদের জীবনে আজো আসেনি সামাজিক মর্যাদা, ওরা আজো পায়নি নাগরিক অধিকার। এমনকি শিক্ষা, চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। সময়ের আবর্তে উন্নতির পরিবর্তে বেদে সমাজের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্দিন। বেদেরা যাযাবর একটি উপজাতি হলেও কোনোভাবেই তারা মূল বাঙালি সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। এ দেশের প্রতি মমত্ববোধ এবং এ দেশের অন্যান্য সম্প্রদায়কে তারা কোনো সময়ই প্রতিপক্ষ মনে করে না।
বেদেদের দেখা হয় নিচু জাতের মানুষ হিসেবে। সমাজ তাদের উপকার দুই হাত পেতে নিলেও তাদেরকে কিছু দেয় না। মুসলিম প্রধান এই দেশে বেদে নারীদের ‘বেপর্দা’ ঘোরাফেরা অনেকের পছন্দ নয়। বেদে নারীদের চিকিৎসা নিতে অনেকের মনে বাধে। ফলে ভাগ্য পরিবতন হচ্ছে না এই সম্প্রদায়ের।
নৌকায় বসবাসকারী বেদে সমাজ চিকিৎসা ও শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকাসমূহ থেকে বঞ্চিত। আধুনিক সমাজ তাদেরকে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। বর্তমান সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলা এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য তাদের জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। এই সমাজের শিশু, কিশোর ও নারীরা সব ধরনের টিকা থেকে বঞ্চিত। অথচ এক সময় এই বেদেরা ঘুরে ঘুরে মানুষকে সেবা দিত এমন কি মুখ দিয়ে সাপের বিষ বের করত। বেদে সমাজের শিশুরা স্কুলে পড়া ও কোন প্রকার স্বাস্থ্য সুবিদা নেবার সুযোগ পায় না।
বেদেরা আমাদের সমাজে তাদের মৌলিক সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত। একটি অংশকে বাদ দিয়ে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই গোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকার উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
বেদে আমাদের সমাজে বৈষম্যের স্বীকার। তাদেরকে সমাজে সাধারন মানুষের ন্যায় জীবন যাপন করার সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের অর্থিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য পেশা পরিবর্তনের সুযোগ করে দিতে হবে। বেদেদেরকে সমাজের মূল স্রোতে আসার সুযোগ করে দিতে হবে।
সূত্রঃ
• পোস্টটির তথ্য সংগৃহীত হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা যেমনঃ দৈনিক সমকাল, দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক কালের কণ্ঠ, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা থেকে।
• এছাড়া বিশেষ কৃতজ্ঞতায় রয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা।
• ছবি কৃতজ্ঞতায় গুগল সার্চ ইঞ্জিন।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অপেক্ষায় রইলাম বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য।
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
আশিক মাসুম বলেছেন: + দিলাম প্রিয়তে নিলাম। আপনার পোস্ট গুলুতে অনেক কিছু সিখার থাকে জানার থাকে।
প্রাউড অফ ইউ ব্রো।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি নিজে কিছু শিখলে সেটা নিয়ে অন্যকে জানাতে পারলে ভালো লাগে।
তুমি তোমার আর কোন খবর যে দিলেনা ?
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট ! অনেক অজানা তথ্য জানলাম গুরু !
ছবিগুলাও চরম হইছে ! একটা ছবি দেখে তো আমার গান গাইতে ইচ্ছে করছে
" বেদের মেয়ে জোছনা আমার ...... "
পোষ্টে +++
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হুম এখন সত্যি বেদের মেয়ে জোছনাদের জীবনে প্রয়োজন রাজকুমারদের যারা তাদের জীবনে বয়ে আনতে পারে নতুন ধারা।
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৩
সোহাগ সকাল বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! আমাদের এলাকায় বেদেদের দৈনন্দিন জীবন খুবই নিম্ন পর্যায়ের। মাঝে মাঝে দেখা যায় শিশুদের থালা-বাসন নিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরতে।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এর চেয়েও অনেক ভয়াবহ কষ্টকর জীবন যাপনের মধ্যে দিয়েই আসলে তাদের যেতে হচ্ছে। অনেকে আবার হয়ে পরছে বিপথগামী।
৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৮
আমিনুর রহমান বলেছেন:
চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট। পোষ্ট ছোট হলে আরো বেশি ভালো হত।
বেদেদের সাথে আমার ছোট একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।
আমি একদিন উত্তরা আজমপুর দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন কয়েকটা বেদে মেয়ে এসে আমার কাছে সাহায্য চাইল। একটা মেয়ে বলল, ভাই আমার বিয়ে, তোর বোন হলে তুই সাহায্য করতি না। তার কথা শুনে আমি তাকে ২০ টাকা দিলাম, সে ২০ টাকা নিয়ে আবার বলল, ভাই ৫০ টাকা অন্তত দে। আমার কাছে ভাংতি ছিলো। তাই আমি বললাম, ভাংতি নাই। তখন সে বলল, দে আমার কাছে ভাংতি আছে। তখন আমি তাকে ১০০ টাকার একটা নোট দিলাম। কোন কিছু না বুঝার আগে সে ১০০ টাকা নিয়ে হাটা ধরল। আর বলতে বলতে যাচ্ছিল, তোর বোন হইলে তুই দিতি না। আমি অবাক হয়ে গেলাম তার এই প্রতারণা দেখে কোন কথাই বলতে পারলাম না। ফলাফল আমার ১২০ টাকা প্রতারণা করল।
এই গল্পটা বলার একটা কারন ছিলো তাহলো আসলে তাদের সাহায্য করার ইচ্ছাগুলো মরে যায় যখন তাদের এই ধরনের প্রতারণা দেখে। প্রায়ই তারা এই ধরনের কাজ করে মানুষকে সাপের ভয় দেখিয়ে বা ঝেকে ধরে বা আমার মত অনেকের সাথে প্রতারণা করে ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া কি করব বলেন চেষ্টা করেও পোস্ট ছোট করতে পারিনা একটা বদ অভ্যাস হয়ে গেছে।
আপনার মত ঘটনার শিকার প্রতিদিন কেউ না কেউ হচ্ছে। আসলে এই ধরনের প্রতারনার আশ্রয় তাদের নিতে হচ্ছে শুধু মাত্র সমাজ ব্যাবস্থার করুন পরিনতি আর তাদের প্রতি অবহেলার কারনেই। কাজ না থাকার কারনে পেটের দায়ে এরা এমন প্রতারনার পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারের একটু সচেতন পৃষ্ঠপোষকতাই পারে এদের জীবনের বাক ঘুরিয়ে দিতে।
৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৮
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: আসলে এদের দেখলেই আমার খুব ভয় করে...
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভয়ের কি আছে সঞ্জয় ভাই এরাওতো আমাদেরই মত সাধারন মানুষ।
৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট।
অনেক কিছু জানলাম।
বেদেদের টাকা নেওয়ার প্রতারণার কথার সাথে আমিনুর ভাই এর সাথে একমত। আমি একদিন ফার্মগেটে ঠিক একই ঘটনার ভিতর পড়ি। আমার পকেটে তখন শুধুই একশত টাকা ছিল। তারা তা নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আমি এক বন্ধুকে ফোন করে টাকা হাওলাত নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।
কিজে এক ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পরেছিলাম সেদিন।
সেই থেকে তাদের সাহায্য করার মন হারিয়ে ফেলছি।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার ঘটনায় খুব মর্মাহত হলাম। তবে কি জানেন ভাই আপনার মত ঘটনার শিকার প্রতিদিন কেউ না কেউ হচ্ছে। আসলে এই ধরনের প্রতারনার আশ্রয় তাদের নিতে হচ্ছে শুধু মাত্র সমাজ ব্যাবস্থার করুন পরিনতি আর তাদের প্রতি অবহেলার কারনেই। কাজ না থাকার কারনে পেটের দায়ে এরা এমন প্রতারনার পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারের একটু সচেতন পৃষ্ঠপোষকতাই পারে এদের জীবনের বাক ঘুরিয়ে দিতে।
৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর বেদে জীবন চিত্র
আসলেই এরা ভাসমান
যাযাবর জীবনের
হবেনাকি অবসান
সুন্দর পোষ্ট
ধন্যবাদ
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তাদের এই ভাসমান জীবনের অবসান হোক এই কামনা করি এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করি এই বেদেদের জন্য।
৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
আমার এক সময় মানে এখনো এই জীবন ভাল লাগে। ইস, যদি বেদে হতে পারতাম।
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নৌকায় বাসবাস করা লোক দেখা যায়।
আরো লিখুন। শুভেচ্ছা।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কি বলেন ভাই বেদে হবার ইচ্ছে আছে ? ভাই তবে কি বেদে না হয়ে চলুন এদের পাশে দাড়াই তবু মনকে সান্তনা দেয়া যাবে।
লিখবো ইনশাল্লাহ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪১
সাজিদ ঢাকা বলেছেন: পোষ্টে ++++ সময় নিয়ে পড়বো
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা জানবেন। পড়ুন জানুন এদের করুণ জীবন প্রবাহ সম্পর্কে।
১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫১
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: +++++++
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই সম্প্রদায়ের প্রতি আমরা কি কিছুই করতে পারিনা ?
১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন। খুব চমৎকার। সপ্তম প্লাস দিয়েছি।
এদের নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল তবে আপনার মত এত ভালো মনে হয় না লিখতে পারতাম।
তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বেদেদের নিয়ে খুব বেশি একটা ভালো অভিজ্ঞতা আমার নেই। আমিন ভাই এর মত কিছুটা খারাপ অভিজ্ঞতা আমারও আছে।
একবার আমি তাদের একটা সাপ মেরে ফেলেছিলাম বিনিময়ে তারা আমাকে অভিশাপ দিয়েছিল।
যাই হোক এতগুলো পত্রিকা পড়েছেন, এত কষ্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সপ্তম নয় সপ্ত কোটি ভালোবাসা জানবেন।
ভাই আপনি যে সাপ মেরে এখনো অভিশাপ নিয়ে বেঁচে আছেন এই জন্য আল্লাহর কাছে শোকর। শুনেছি সাপ মারলে নাকি সাপ এসে দংশন করে আর এদের অভিশাপ মারাত্মক হয়। অনেকের নাকি রক্ত বমি হয়। সে যাই হোক আপনি ভালো আছেন জেনে ভালো লাগছে।
ভাই আমিও আমিন ভাইয়ের মত একবার নয় বেশ কয়েকবারই এমন অভিজ্ঞতার মাঝে দিয়ে গিয়েছি। সেই থেকে এই পোস্টের জন্য কাজ করে গেছি। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা পড়েছি। আর সব থেকে যিনি এ পোস্টের জন্য বেশী সাহায্য করেছেন তথ্য দিয়ে তিনি একজন জাতীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা অবশ্য তিনি নাম প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন তাই এখানে তার নাম দেয়া হলনা।
১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: বেদেরা অনেক ক্ষেত্রেই মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদের এই অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য সাহায্য প্রয়োজন। কিন্তু বেদেদের নিয়ে কিছু তিক্ত কথা নাবলেও পারছি না। বেদেরা কিছু কাজ করে যা মোটেও কাম্য নয়। রোগ সারানোর নাম করে মানুষের সাথে প্রতারনা করে তারা। বিষাক্ত সাপে কাঁটা রোগীকে ভাল করার নাম করে আরও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। বুঝলাম কাজ গুলো তারা পেটের দায়ে করছে কিন্তু যেখানে মানুষের জীবন নিয়ে টানাটানি বেঁধে যাওয়ার উপক্রম সেখানে ঐ অজুহাত খাটেনা।
অনেক খেটে খুটে চমৎকার একটা পোস্ট দাড় করিয়েছেন, শুভেচ্ছা রইল।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া হ্যাঁ আপনার কথার সাথে সহমত। তবে এরাই আমাদের লোক সংস্কৃতির অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে আজো। অন্তত সেই চেতনা থেকে আর তাদের জীবন যাপনের মানের কথা চিন্তা করেই আমাদের তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা উচিত বলেই আমি মনে করি।
১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০০
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট !
আমিনুর ভাইয়ের কথার প্রসঙ্গ ধরে বলি , মানুষ এক দিনে খারাপ হয় না । বেদেদের বর্তমান আর্থ সামাজিক অবস্থার কথা চিন্তা করেন আর ভাবুন এক এই ভারতীয় উপমহাদেশে যাদের রমরমা ব্যবসা ছিলো তারা কেন আজকে এই প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে ??
এই জন্যে আমাদের দায় কতটুকু ?? সরকার এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য কি করেছে ?? আমরাই বা কি করেছি ??
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ মন্ত্রী মহোদয় আপনার সাথে সহমত জানিয়ে আমিও ঠিক একই প্রশ্ন রাখতে চাই।
এই সকল প্রশ্নের উত্তর একটাই তারা আমাদের কাছ থেকে কেবল অবহেলাই পেয়েছে। তাই আমরা কি পারিনা এই অবহেলিত সমাজের পাশে গিয়ে দাড়াতে?
১৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৬
বিষন্ন একা বলেছেন: সময় করে পড়ব...
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ, অপেক্ষায় রইলাম।
১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমাদের দায় এড়াচ্ছি না কিন্তু আমার মনে হয়েছে এরা নিজেদের পরিবর্তন করতে চাইছে না। এমন অনেক বেদেই আছে যদিও সংখ্যক কম যারা তাদের শিশুদের স্কুলে পাঠাচ্ছে এবং নিজেদের জীবন যাত্রার মান বাড়ানো জন্য অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। ফকরুদ্দিন সাহেবের তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রায় ৭ লক্ষ বেদেদের ভোটাধিকার প্রদান করেছে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন এনজিও এদের নিয়ে কাজ করছে। যেখানে আমাদের মত মধ্যবিত্তরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকেই বঞ্চিত হচ্ছি সেখানে তাদের জন্য সরকার কিছু করবে সে আশা করাই বোকামি ///
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে তারা বৈষম্যের শিকার অথচ সমাজের কতিপয় অপরিহার্য পেশার সংগে সম্পৃক্ত দলিত, হরিজন ও বেদে সম্প্রদায়কে সমাজের মূলস্রোতধারায় এনে সার্বিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সরকার ২০১২-১৩ অর্থবছরে ‘দলিত, হরিজন ও বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম’ গ্রহণ করেছে।
এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০১২-১৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আগামী অর্থ বছর থেকে সমাজসেবা অধিদফতরের অন্যান্য নিয়মিত কার্যক্রম যেমন বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদি নিয়মিত কার্যক্রমের মতো এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
কিন্তু এই কার্যক্রমের জন্য যে সব প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া অনুযায়ী প্রার্থী বাছাই করা হবে যাতে বাতিলকরণ প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলী:
(১) সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে;
(২) জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচিতি নম্বর থাকতে হবে;
(৩) উপজেলা ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হতে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে হবে। যে জেলার স্থায়ী বাসিন্দা সে জেলা হতে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে হবে;
(৪) সর্বনিম্ন ৪০ বছর বয়স হতে হবে। ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত বয়স অনুসরণ করতে হবে;
(৫) প্রার্থীর বার্ষিক গড় আয় অনূর্ধ্ব ৩৬,০০০ (ছত্রিশ হাজার) টাকা হতে হবে;
(৬) বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।
বিঃ দ্রঃ বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, এসএসসি/ সমমান পরীক্ষার সনদপত্র বিবেচনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন বিতর্ক দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
এর কোনটাই এই সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
আর সরকার না করলে জনগণ করবে আর যদি তাও না করে তবে যার কেউ নেই তার আল্লাহ আছে এই বিশ্বাসের উপর ভর করে আমাদের রোজ তাদের দ্বারা প্রতারিত হতে হবে।
১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৪
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: হলুদ তারা ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ফুচকা আর আইসক্রিম খাওয়াবনে।
১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বাংলার এক প্রান্তিক জলচর জনগোষ্ঠী। স্থলে যাদের স্থান নেই
প্লাস
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্থলে এলেও স্থলের মানুষদের হয়রানির কারণে যারা আবার জলে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
১৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৪
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বাংলার এক প্রান্তিক জলচর জনগোষ্ঠী। স্থলে যাদের স্থান নেই
প্লাস
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ মামুন ভাই।
আমিও কুনো কে বলেছি
স্থলে এলেও স্থলের মানুষদের হয়রানির কারণে যারা আবার জলে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
২০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১১
একজন আরমান বলেছেন:
বড় পোস্ট কিন্তু খুব ইন্ট্রেস্টিং।
আমার সব থেকে মজা লেগেছে বৈবাহিক রীতিনীতি অংশটুকু পড়তে।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তুমি জান না আমি বড় পোস্ট ছাড়া দেই না
তুমি চাইলে বেদের মেয়ে জোছনা তোমার জন্য খুঁজে দেখতে পারি।
২১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:০০
না পারভীন বলেছেন: সত্যি কথা , বেদে সম্পর্কে অনেক জানার আগ্রহ ছিল , কে এই মেয়েরা সবাইকে আকড়ে ধরে টাকা চায় ? আজ জানলাম । বিবাহের ব্যপারটা মজা লাগল কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতি জেনে কেমন যেন কষ্ট লাগল ।
পোস্টে প্লাস ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এরা এমন এক সম্প্রদায় যাদের নিয়ে আমাদের লোক সংস্কৃতি হয়েছে অনেক সমৃদ্ধশালী । অনেক সিনেমা তৈরি হয়েছে কিন্তু তবু মানুষের ঘৃণার কারণে এদের জীবন হয়েছে আজ বিপন্ন।
২২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:১১
মাক্স বলেছেন: আপনার আর সব পোস্টের মতই মেগা আর আগ্রহোদ্দীপক।
ভালো লাগলো!
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
একটু বিস্তারিত তথ্য না দিলে আসলে আমার নিজের মনই ভরেনা।
আমার ভালোবাসা জানবেন নিরন্তর।
২৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:১৪
বাংলার হাসান বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট। বেদে সম্প্রদায় সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
বরাবরের মতই ভাল লাগা ও +++++++++ রইল।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার প্লাস প্রেরনাদেয়।
২৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ব্লগিংয়ে আপনে একজন নিবেদিত প্রাণ, সেটা আপনার পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়!!
এই পোস্টের জন্য আপনারে টুপি খোলা সালাম --
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ব্লগিং আমার নেশা বলতে পারেন।
আপনার জন্য রইল সীমাহীন শ্রদ্ধা।
২৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯
লাবনী আক্তার বলেছেন: দারুন একটা টপিক! তুরাগ নদীতে ভাসমান কিছু নৌকা দেখতে পাই বেদেদের হবে নিশ্চিত। কি বিচিত্র জীবন ওদের!
পোস্টে +++++++++++
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই বিচিত্র জীবন প্রবাহের রয়েছে মায়াবী এক আকর্ষণ যা ওদের সাথে মিশলে মনকে ভরিয়ে দিতে পারে বলেই আমি মনে করি।
২৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট । বেদেদের মধ্যে শিক্ষার অনুপ্রবেশ কি হয়েছে ? ওদের ছেলেমেয়েরা কি নিয়মিত স্কুলে যায় ?
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভ্রাম্যমাণ এই সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা দুরূহ একটি কাজ তবে যদি এদের জন্য স্থায়ী নিবাসের ব্যবস্থা করা যায় তবে শিক্ষার ব্যবস্থা সহজ হয়ে যাবে।
২৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০১
প্যাপিলন বলেছেন: বেশ তথ্যবহুল পোস্ট। বেদেদের জীবন ধারা সম্পর্কে একটু ভিন্ন রকমের তথ্য পেতে এই বইটি পড়তে পারেন (১৫১ থেকে ১৬৮ পৃষ্ঠা)
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই পড়ে দেখব।
২৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
মামুন রশিদ বলেছেন: সত্যিকারের মেগা পোস্ট । একটা অন্ত্যজ জনগোষ্ঠির জীবনের প্রায় সবদিকই উঠে এসেছে পোস্টে । আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিশেষ করে সিনেমায় বেদে সম্প্রদায়ের জীবন উসেছে । কিন্তু সেই চিত্র যত না বেদেদের বাস্তব জীবনকে প্রতিফলিত করে, তার চেয়ে বেশি তাদের নিয়ে তৈরি মিথটাকেই চিত্রায়িত করে ।
অসাধারণ পোস্টে অনেক ভালোলাগা ।
++++++++++++++++++++
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তবে বেদের মেয়ে জোছনা সিনেমাতে কিছুটা হলেও এর বাস্তব রূপ উঠে এসেছে। সেখানে রূপক হিসেবে দেখান হয়েছে রাজপুত্র কিভাবে একটি বেদে মেয়ের জীবনে সুখের বার্তা নিয়ে আসে। এভাবেই হয়ত একদিন সত্যিকারের কোন রাজপুত্র এসে বেদেদের জীবনে সুখ নিয়ে আসবে।
২৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
~মাইনাচ~ বলেছেন: আপনার এক একটা পোস্টে একটা ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে চমৎকারিত্ব ফুটিয়ে তুলেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
গুড ওয়ান আবরও
মাইনাচ
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
খেলুম না এই লোক খালি আমারে মাইনাচ দেয়। মিয়া ভাই দুইটা মাইনাচ দিলেই পারেন তাইলেই প্লাচ হইয়া যায়।
ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা আর দোয়া থাকে সবসময়য়।
৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
সায়েম মুন বলেছেন: জিপসিদের জীবন কাহিনীর কথা সুন্দরভাবে ফুটে উঠলো পোস্ট। সুন্দর একটা পোস্ট। অনেক ভাললাগা রইলো।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া এভাবে সাথে থেকে অনুপ্রেরণা দেন বলেই পোস্টের জন্য কষ্ট করতে তৃপ্তি পাই।
আমি অনেকভাবেই আপনার কাছে ঋণী।
ভালথাকুন জীবনের চলার পথে সুখ নিয়ে।
৩১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম ভাইয়া পোষ্টে ++++++++
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
রহস্যময়ী কন্যা যখন প্লাস দিয়েছে তখন খুসি না হয়ে কি উপায় আছে ?
নতুবা সব রহস্যে ঘিরে থাকবে।
ভাল থাকুন সবসময়য়।
৩২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
মোহাম্মদ শরিফ বলেছেন: আজ সামুতে এসে দারুন সব পোষ্ট পাচ্ছি
++ সহ প্রিয়তে
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সামুতে নিয়মিত হবেন আসা করি। ইদানীং বেশ জমে উঠেছে সামু। অনেক ভাল ভাল পোস্ট আসছে।
৩৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
রিয়ান৯১১ বলেছেন: আপনার পোস্টে প্লাস। ধানমন্ডি লেকে একবার ক্লোজ ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। দুজনই মেয়ে ছিলাম বিধায় ৭/৮ বার দৌড়ানি খেয়েছিলাম। বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হুম এই ধরনের অভিজ্ঞতা অনেকেরই রয়েছে।
৩৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
ডি মুন বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম , ++++
তবে কিছু কিছু তথ্যের রিপিটেশন হয়ে গেছে, আরেকটু কম্প্যাক্ট হলে আরো সুন্দর হতো ।
এমন একটি কষ্টসাধ্য ও তথ্যবহুল পোস্ট দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ধন্যবাদ আপনাকে।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর ও মূল্যবান পর্যবেক্ষণের জন্য।
৩৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বিষয়বস্তুর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
অনেক ভাল লাগল এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখায় এবং জানতে পারায় ।
আমরা এবং সরকার যার যার অবস্থান হতে যেন তাদের দিকে সহমর্মিতার
হাত বাড়িয়ে দেই - এটাই কাম্য ।
পোষ্টে কথা ছাড়া প্লাস ++++++++++++
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালথাকবেন।
বেদে আমাদের সমাজে বৈষম্যের স্বীকার। তাদেরকে সমাজে সাধারন মানুষের ন্যায় জীবন যাপন করার সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের অর্থিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য পেশা পরিবর্তনের সুযোগ করে দিতে হবে। বেদেদেরকে সমাজের মূল স্রোতে আসার সুযোগ করে দিতে হবে।
৩৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
ঢাকাবাসী বলেছেন: অসাধারণ একটা পোষ্ট। খুব ভাল লাগল্ নষ্টালজিয়াতে পেয়ে বসেছিল্, পন্চাশ ষাট বছর আগের কিছু স্মৃতি। চোখটা ভিজে উঠেছিল। শেষে ভাল বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া সেই পঞ্চাশ ষাট বছর আগের স্মৃতি শেয়ার করুন প্লিজ শুনে আমিও চোখ ভিজাতে চাই।
৩৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।
+++++++++++++ দিছি।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্লাস নিছি।
৩৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৩
আমিভূত বলেছেন: আপনি অনেক পরিশ্রমী ব্লগার ,স্যালুট !
অনেক কিছুই জানতাম নতুন কিছু জানা হল , ভালো থাকবেন ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা জানবেন আমিভুত।
বেদে আমাদের সমাজে বৈষম্যের স্বীকার। তাদেরকে সমাজে সাধারন মানুষের ন্যায় জীবন যাপন করার সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের অর্থিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য পেশা পরিবর্তনের সুযোগ করে দিতে হবে।
৩৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
একজন আরমান বলেছেন:
আমি চাই নিখাদ ভালোবাসা !
সে যদি বেদের মেয়েও হয় তাতেও আমার আপত্তি নাই !!
এই কমার্শিয়াল যুগে আমার এই একটাও চাওয়া !!!
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তবে তাই হোক। তুমি এবার তোমার রিং টোন পাল্টে রাখতে পার;
বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়েছে..................
রাগ করনা জাস্ট মজা করলাম।
৪০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৮
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: কান্ডারির ঘরে এলেই হলুদ তারায় ক্লিক দিতে হয় , !! এত বিশাল পোস্ট একবারে শেষ করা যায় না
এদের লাইফ নিয়ে আমার এক সময় অনেক কনফিউশন ছিলো , অনেককিছুই জানতে পারবো এখান থেকে ।
পোস্টে +
একটা ঘটনা মনে এলো , আমার বিশাল এক ধমক খাওয়ার , আমি যখন সেভেন বা এইট এ ঢাকা যাওয়ার পথে আরিচার জ্যাম এ আটকা পরেিছ ,সবাই এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করছে । ত কিছুটা দুরে দেখি বেদেদের ঘাটি আমি আমার আব্বুকে বললাম চলো বেদে দেখে আসি আর অদের ঘুরাঘুরির গল্প আব্বু একটু প্রথমে মানা করলেও আমাদের দুই বোনের উতসাহে রাজি হলেন কিন্তু যেইনা আম্মুকে বলেছি বেদে পল্লী ঘুরতে যাচ্ছি এমন ধমক দিলেন যে আসে পাশের লোকজন ঘুরে তাকিয়ে ছিলো ,আর আমার চোখে কি যেন পরেছিল
:!> .
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই নিন আমার তরফ থেকে আপনার জন্য আমার প্রিয় ফুলের শুভেচ্ছা।
আর আপনার আম্মুকে বলবেন মাঝে মাঝে ছাড় দেয়া লাগে নতুবা জীবনের কাছাকাছি যাওয়া যায় না। জীবন গড়তে হলে জীবনকে উপভোগ করতে হয়।
৪১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৮
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: চমৎকার একটা বিষয় তুলে ধরেছেন । ছোট বেলায় গ্রামে আমরা বেদেদের সাপের খেলা দেখতাম । তখন অনেক মজা হত । সাপ দেখেই শরীর শিহরে উঠত !
মোরা এক ঘাটেতে রান্দি বাড়ি আরেক ঘাটে খাই, মোদের সুখের সীমা নাই, পথে ঘাটে ঘুরে মোরা সাপ খেলা দেখাই, মোদের ঘর বাড়ি নাই।
২৬ তম ভাল লাগা ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি মাঝে মাঝে স্বপ্নে সাপ দেখি অনেকে বলে স্বপ্নে সাপ দেখলে অনিষ্ট হয়। জানিনা কপালে কি আছে ?
৪২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: তোমাকে আমার ভরণ-পোষণ করতে হবে না, বরং আমিই তোমাকে সারাজীবন রোজগার করে খাওয়াব তখন বর গাছের মগডাল থেকে নেমে আসে- এরপর তাদের বিয়ে হয়।
নামার দরকার কি গাছে থাকন ই ভাল,
বেশ দরকারি পোস্ট এদের পুনর্বাসন নাই বলেই রাস্তা ঘাটে ,এরা প্রতারণা করার জন্য বের হয় ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হুম সহমত হাসি থামাইতে পারতাছিনা
৪৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
সািহদা বলেছেন: বেদেদের দেখলে আমার অনেক ভয় লাগে ।
খুব ছোট বেলার একটা কথা মনে পড়ে গেল, আমি স্কুল থেকে এসে দেখি আমাদের বাড়ির উঠানের মাঝখানে চারদিক ঘিরে আমার মা , চাচী , আপারা বসে কি যেনো দেখছে আর কথা বলছে ।
আমি অনেক উৎসাহ নিয়ে কাছে গেলাম গিয়ে দেখি আমার মার সাথে কথা বলছে ২ জন বেদে । মাকে বেদেরা মুহূর্তের মধ্যে কাবু করে ফেলেছে, আমার বড় ভাই থাকে দেশের বাহিরে । তারা মাকে এমন কিছু কথা বলে কাবু করেছে যে “ তুর বড় ছেলে বিদেশ থাকে তার অনেক বড় বিপদ, কিছু দিন আগে এক বিপদ থেকে কেটে উঠেছে, ” আমার মা তে কান্না শুরু করে দিয়েছে। পরে তারা বলল যে বিপদের ফারা কেটে দিবো তুর কাছে আমি যা যা চাইবো তা তা দিতে হবে ।
মা তো রাজি হয়ে গেলো আমাদের ঘরে যা ছিলো - চাউল,ডাল,চিনি,পেঁয়াজ,রসুন,তৈল, মার ২টা শাড়ি ,আরো টাকা ৫০০০/=
তারা চেয়েছে আর মা সব দিয়ে দিয়েছে।
তারা মাকে কিছু গাছের ছাল , আর পশুর শিং দিয়ে কয়েকটা তাবিজ বানিয়ে দিয়ে চলে গেল।
আমার বাবা বাড়ি ছিল না বাবা বাড়ি এসে সব শুনে মাকে বলল যে “তোমাকে বেদেরা ধোকা দিয়ে সব কিছু চিনিয়ে নিয়ে গেছো ।
সেই থেকে আমি তাদেরকে ভয় পাই।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
খুবই মর্মাহত হলাম। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন খুব ভাল লাগছে। ওদের এসব কর্মকাণ্ডের জন্য যদিও ওরা বিতর্কিত তবু যদি ওদের বর্তমান দুর্বিষহ জীবনটাকে একটু আলোর পথে আনতে পারা যায় তবেই আমরা মানুষ হিসেবে সার্থক। ধন্যবাদ অসংখ্য, ভালথাকবেন।
৪৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বেদেদের বৈবাহিক রীতিনীতি অংশটা পড়ে মজা পেলাম।
সাপ তাদের কাছে একটা খেলনার মতো -- এমনটাই মনে হয়েছে আমার কাছে। যেভাবে তারা সাপ গলায় পেঁচিয়ে রাখে কিংবা তাদের কাছে যা নিরাপদ অথচ অন্যের কাছে সেটা ভয়ংকর তারা অনেক সময় ভুলে যায়। একবার সাপের খেলা দেখছিলাম , তখন সে বেদেনী সাপ টা ছুঁড়ে মারছিল আমাদের সামনে ! অনেক ভয় পাইছিলাম।
যাই হোক তথ্য সূত্র দিয়ে এমন পোষ্ট খেটে খুঁটে তৈরি করেছেন সেজন্য শুভেচ্ছা আপনাকে। সাপ ভয় পাই , যারা সাপ পুষেন, পালেন তাদেরও ভয় পাই।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দেখুন সবাই যদি এভাবে তাদের ভয় পেতে থাকি তবে তাদের উন্নতি হবে কি করে ?
আপনার মতই আমারও সেই ছোট বেলার এক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
৪৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
বৃতি বলেছেন: কষ্টসাধ্য এই সুন্দর পোস্টে অনেক ভালো লাগা থাকল ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার খুব ভাললাগে আপনার নিয়মিত অনুপ্রেরণাকে।
৪৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
টুম্পা মনি বলেছেন: পোষ্ট পড়ে ভালো লেগেছে। ওদের বিয়ের রীতিনীতি পড়ে বেশি ভালো লেগেছে।
উপরের আপুর সাথে আমিও একমত। এই সব পুরুষদের গাছেই থাকা উচিত।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গারো উপজাতি পুরুষদেরও কি একই কথা বলবেন। ওদের সমাজ ব্যাবস্থাটাই আসলে এমন।
৪৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
টুম্পা মনি বলেছেন: হুম যেমন হও্য়ার কথা ছিল ওদের সমাজ তার উল্টো। যেই কাজ ছেলেদের করা উচিত তা করছে মেয়েরা, যা মেয়েদের কথা উচিত তা করছে ছেলেরা! আসলে শিক্ষার আলো না থাকলে সূর্যও অসহায় হয় মানুষের গোঁড়ামির কাছে।
শুভেচ্ছা রইল।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন আসলেই সুন্দর জীবনের জন্য দরকার শিক্ষার আলো।
৪৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: সমাজ সচেতনামুলক পোষ্টে ভালোলাগা ও প্রিয়তে ভ্রাতা । +++++
বেদেদের বিয়ের আগে হবুবর একটি গাছে উঠে সবচেয়ে উঁচু ডালে গিয়ে বসে আর কনে দাঁড়িয়ে থাকে গাছের নিচে, কনে বরকে নেমে আসার জন্য বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বর নেমে আসে না। তখন সে বরকে প্রলোভন দেখাতে শুরু করে আমি তোমার সংসারের কাজ করবো। শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করবো। ছেলেমেয়েদের লালন পালন করবো। বর নির্বিকার সে উঁচু ডালে বসেই আছে নামার কোনো লক্ষণ নেই। কনে এবার বলে আমি তোমার বিরুদ্ধে কোনো সময় অভিযোগ করবো না। তুমি যা বলবে তাই শুনবো
বর তবু বসে থাকে¬
শেষে যখন কনে বলে- তোমাকে আমার ভরণ-পোষণ করতে হবে না, বরং আমিই তোমাকে সারাজীবন রোজগার করে খাওয়াব তখন বর গাছের মগডাল থেকে নেমে আসে- এরপর তাদের বিয়ে হয়।
এমনটা অনেক উপজাতিদের বিয়েতেও হয় শুনেছি , অবশ্য তারা ঘরের চালে উঠে বসে থাকে । ইন্টারেস্টিং
ভালো থাকবেন
০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভ্রাতা কিছু উপজাতিদের জীবনধারার সাথে বেদেদের মিল রয়েছে।
খুসি হলাম পোস্ট প্রিয়তে নিয়েছেন। শুভকামনা রইল। সব কিছু ছাপিয়ে ভালো থাকুন।
৪৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম ।
০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জানাতে পেরে ভাল লাগছে।
৫০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৩৩
দূর দ্বীপবাসীণি বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট। বেদেদের ব্যাপারে জানার ইচ্ছা ছিলো।আপনার পোস্ট পড়ে অনেককিছু জানলাম।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কিছু শেয়ার করতে পেরে ভাল লাগছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই কষ্ট করে পড়েছেন। শুভ কামনা রইল।
৫১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০২
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট। ছোটবেলাতে অনেক বেদে দেখেছি, এখন আর তেমন দেখি না ওদের।
ভালো লাগা।
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ সাথে থেকে অনুপ্রানিত করার জন্য। কৃতজ্ঞতা সীমাহীন।
৫২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
মুহিব বলেছেন: অনেক গবেষনালব্শ তথ্য। তাদের দেখে বিরক্তও লাগে আবার মায়াও লাগে।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইরে হক কথা বলেছেন। কিন্তু এদের যদি ভালো একটি ব্যাবস্থা করে দেয়া যেত তাহলে হয়ত আর বিরক্ত লাগত না।
৫৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৮
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: স্বকৃত নোমানের বেদে মানে সান্দার গোত্র নিয়ে উপন্যাস জলেশ্বর পড়ার পরমর্শ রইল।
অনেক খেটেছেন!
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অশেষ ধন্যবাদ ভাই। পড়ে দেখব অবশ্যই।
৫৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২২
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ২০১১--২০১৪ পর্যন্ত সব দেখলাম। সেমাই ছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ক আর কিছু পেলাম না। ৬০০-৭০০ শব্দ নিয়ে সেমাই কোরবানী ঈদের আগে লিড দিয়ে ছাপা হবে। সময়োপযোগী স্বাস্থ বিষয়ক লেখা পাঠাবেন।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অবশ্যই পাঠাব ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার এই সাহায্য আমাকে ভীষণ ভাবে অনুপ্রাণিত করছে। শুভেচ্ছা শতত।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: এদের নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ।
পর্যবেক্ষনে রাখলাম, বিস্তারিত পড়ে মন্তব্য করব।