![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবু তালেব, হাটহাজারী থেকে
হেফাজতের কর্মীরা গায়ে রং মেখে রাস্তায় পড়েছিল এবং পুলিশ টান দেয়ার পর লাশ দৌড় মারলো, সুবাহানআল্লা বলে হেফাজত লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ৫ মে রাতে হেফাজতের সমাবেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে, আবার জনসম্মুখে তার দফতরবিহীনমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ আরও কয়েক মন্ত্রী বিভিন্ন সময় হেফাজতকে নিয়ে এমন সব মন্তব্য করে আসছিলেন।
কিন্তু সম্প্রতি দেশের চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভরাডুবির পর এমন সব মন্তব্য করা বাদ দিয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচন ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর সঙ্গে আঁতাত করতে সরকার এখন বেশ মরিয়া। তাই প্রতিনিয়ত সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের সঙ্গে পরিচিত এমন বেশ কিছু আলেম-ওলামাকে কৌশলে ওই আঁতাত কাজে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের এমন কৌশলে পা দিচ্ছে না হেফাজত। ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
১৩ দফা দাবি মেনে না নিয়ে সরকার ব্যর্থ চেষ্টায় রত আছেন বলে জানান নাম প্রকাশে আনিচ্ছুক হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, সরকার ততই হেফাজতের সঙ্গে আঁতাত করার জন্য বেশ মরিয়া হয়ে উঠেছে। এর জন্য সরকার কখনও হেফাজত আমীরের কার্যালয়ে পাঠাচ্ছেন গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকমর্তা। আবার কখনও পাঠাতে চেষ্টা করছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে। আর এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয়বারের মতো হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীরের কার্যালয়ে উপস্থিত হন অতিরিক্ত ডিআইজি (এসবি) মাহবুব হোসেন। সরকারের নির্দেশে তিনি হেফাজত আমীরের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী একান্তে বৈঠক করেন। বৈঠকে বর্তমান চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।
তবে এই বৈঠক তেমন বেশি ফলপ্রসূ না হওয়ায় সরকার অন্য পন্থায় হেফাজত আমীর সঙ্গে আঁতাত করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজলকে দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত কয়েক দিন ধরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওই মহাপরিচালক চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন বলে নিশ্চিত করেন গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা।
তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে একটি বৈঠকের নাম করে সরকারের নির্দেশে হেফাজত আমীরের সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ছুটে আসেন। এমনকি ওই মহাপরিচালকে সরকার কড়া নির্দেশ দেয়, যে কোনোভাবেই হোক হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতার। এ লক্ষ্যে ইফার মহাপরিচালক হেফাজত আমীর আল্লামা শফীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি নেয়ার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রামের বিভাগীয় প্রধান লুৎফুর রহমান সরকারকে চাপ দিতে থাকেন। লুৎফর রহমান হেফাজতে ইসলামের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে হেফাজতের আমীরকে বৈঠকের প্রস্তাব দিলে তা তিনি (আমীর) সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে দেন। এতে করে সরকারে সেই চেষ্টা তথা সর্বশেষ কৌশলও ভেস্তে যায়। পরে ইফা মহাপরিচালক জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসায় গিয়ে মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা মুফতি আবদুল হালিম বোখারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা এ প্রসঙ্গে জানান, সরকার কখনও মন্ত্রী, কখনও আইন-শৃংখলা বাহিনী তথা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, আবার কখনও সরকারের সঙ্গে পরিচিত এমন কিছু আলেম-ওলামাকে কৌশলী করে যা করছে তা নিছক বোকামি করছে। কারণ হেফাজত কখনও ১৩ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত কারও সঙ্গে আঁতাত করতে রাজি নয়। যতদিন পর্যন্ত ১৩ দফা দাবি সরকার না মানবে ততদিন পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম মাঠে থাকবে।
২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪০
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
লিংক কই পত্রিকার
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
অারমান বলেছেন: Click This Link
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: হেফাজত একটি নিরব শক্তি। তারা কখনও মসনদে বসতে চায় না, আবার কাউকে বসাতেও চায় না। আল্লাহ এবং তার রাসূল এর সম্মানের উপর আঘাত, ইসলামের বিধিবিধান নিয়ে কটাক্ষের কারনেই হেফাজতের সৃষ্টি। বাম ঘরনার আর কট্রোর আওয়ামীলীগ ব্যতীত সাধারন মুসলমানই হেফাজতের কর্মী। এই নিরব অপ্রতিরোধ্য শক্তির কোন মিডিয়া নেই, কোন মুখপাত্র নেই। আছে গভীর রাত্রে আল্লাহর কাছে দু ফোটা চোখের পানি। আর নির্যাতিত মজলুম এই সাধারন মানুষের ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে জবাব দেওয়া।
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
জাতির চাচা বলেছেন: এখন হেফাজত ক্যান?? লাকি আর ইম্রান কই??
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪০
আহলান বলেছেন: ধ্যুর , হেফাজত এমন শক্তি হলে তো ৩য় শক্তি হিসাবেই প্রকাশ পেত। মানুষ হাসিনা খালেদাকে রেখে তাকেই প্র ম করত।