নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এমন কেউ না। খুব সাধারণ মানুষ। তোমার মত, তোমাদের মত। হাসি খুশি থাকি, আনন্দে থাকার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে হতাশ হয়, অভিমান করি। ভাবি বেঁচে থেকে কি হবে। একসময় নিজের ভুল বুঝতে পারি। নিজের মাথার পিছনে আনমনে হাত রাখি। মুচকি হেসে ভাবি, এত ভালবাসা আমি কোথায়

ইব্রাহিম বিন আজিজ

আমি এমন কেউ না। খুব সাধারণ মানুষ। তোমার মত, তোমাদের মত। হাসি খুশি থাকি, আনন্দে থাকার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে হতাশ হয়, অভিমান করি। ভাবি বেঁচে থেকে কি হবে। একসময় নিজের ভুল বুঝতে পারি। নিজের মাথার পিছনে আনমনে হাত রাখি। মুচকি হেসে ভাবি, এত ভালবাসা আমি কোথায় রাখব। জীবনে যতটুকু না ভালবেসেছি, তার চেয়ে ভালবাসা পেয়েছি বহুগুণ, শত গুণ। আরও একটা দিন চলে যায়। এভাবেই সময় চলে যায়। ভালবাসাময় পৃথিবীটাকে দেখার জন্য বেঁচে আছি, বেঁচে থাকব।

ইব্রাহিম বিন আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের মাংস!!!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

ঘটনা ১



ছোট বেলায় নানি একটা গল্প বলছিলেন। এক পাগলী তার তিন মাসের বাচ্চাকে নিয়ে পুকুর ঘাটের দিকে যাচ্ছে। সাথে একটা গামলা। গামলাতে আলু, পেঁয়াজ। চাচা (আমার নানীর) নাকি দেখে হাক পারলেন। “ কিরে বুড়ি? কই যাস?”

পাগলী মুচকি হেসে বলল, আলু কচু দিয়ে মাংস রান্না করব। চাচার কেমন যেন সন্দেহ হল। উনি জিজ্ঞেস করলেন, কিসের মাংস? পাগলী খুব অবাক হয়ে তার কাঁধে রাখা বাচ্চার দিকে ইঙ্গিত করলো। আমি এতটুকু শুনে আর শুনতে পারিনি। ভয়ে কান্না করে দিয়েছিলাম। পড়ে আমাকে অন্য রুমে ঘুমাতে পাঠানো হয়। সেই মহিলাটাটির কথা আমি কখনো ভুলতে পারিনি। পারবনা।



ঘটনা ২



সকালে ভার্সিটি যাবার জন্য তাড়াহুড়া করে বের হচ্ছি। এমন সময় আমার রুমের এক ভাইয়া জোরে জোরে পড়ছে। “মানুষ হয়ে মানুষের মাংস ভক্ষণ” আমি বের হয়ে আসার পর সারাটা দিন আমার মাথায় ব্যাপারটা ঘুরতে থাকল। আমি রাতের বেলায় পুরো খবর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লাম। আমার ঘেন্নায় বার বার বমি করে দিতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু দাতে দাত চেপে পড়ে গেছি। সন্তানকে, নাতিকে কেটে কুটে, সিদ্ধ করে খেয়েছে। সেই সব অপরাধীকে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে গুলি করে দেয়া হয়েছে। গুলি করার ব্যাপারটা আমার কাছে ভাল লেগেছে। আগেপড়ে তো মরতেই হবে।



পরিশিষ্ট



ঘটনা ১ এর শেষটা বলি আমার নানী পরে আমাকে বলেছিলেন ঐ বাচ্চাটাকে নাকি এতিমখানায় পাঠানো হয়েছিল। পাগলী মাকে চিকিৎসা করা হয়েছিল। একসময় সুস্থ হবার পর তাঁকে যখন ঘটনাটা বলা হয়। তিনি খুব অবাক হন।



ঘটনা ২ এর কোন শেষ নাই। পৃথিবীতে এখন সংবাদমাধ্যম খুবই শক্তিশালী, জনপ্রিয়। কে মরেছে, কে ধর্ষণ হয়েছে এটা ব্যাপার না। কে নিউজটা কাভার করতে পেরেছে? এটাই মুখ্য। ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ মরছে এটা খুব হাইলাইট করা নিউজ।



মানুষ মানুষের জন্য হাতে ফুল, অস্ত্র, কলম নিতে পারলে সেই হাতে ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবারও তুলে দিতে পারবে। এই নিউজটার অপেক্ষায় রইলাম। আমি পত্রিকা হাতে নিয়ে জোরে জোরে পড়বো। আমরা মানুষ। আমরা ক্ষুধায় মারা যাওয়া নিউজ পড়ি না। আমরা বেঁচে থাকার নিউজ পড়ি।



উৎসর্গঃ উত্তর কোরিয়ায় নীরব দুর্ভিক্ষে মারা যাওয়া ১০ হাজারের বেশি মানুষ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.