![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাতার বিশ্বকাপ আমাদের দেখা সেরা বিশ্বকাপ। যুক্তি তর্ক করলে ফুটবল ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপ ধরা যায়। সেরা একটা ফাইনাল আমরা উপভোগ করলাম। ফুটবল ফ্যান হিসেবে আমরা চাই খেলাটা উপভোগ্য হোক, প্রোপার লড়াই হোক। এর জন্য আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের কাছে ফুটবল ফ্যান হিসেবে আমি কৃতজ্ঞ।
সেই কঠিন লড়াই শেষে আর্জেন্টিনা দুর্দান্ত বিশ্বকাপ খেলে ট্রফি নিয়ে বাসায় চলে গেছে। ফুটবল ফ্যান হিসেবে আমাদের এর বেশি জানার প্রয়োজন নেই।
তবে কথা উঠেছে ফিফা জেনে শুনে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে এডভান্টেজ দিয়েছে যার এবসুলুট সত্য/মিথ্যা জানিনা তবে এমন করা কি সম্ভব নাকি তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রথমত বিশ্বকাপ রাতের অন্ধকারে হয়না। সবার সামনেই বিপক্ষকে হারিয়ে কঠোর পরিশ্রম আর ভাল খেলে এই ট্রফি অর্জন করে নিতে হয়। এডভান্টেজ পেলেও তা কাজে লাগাতে হয়।
আর্জেন্টিনা এই বিশ্বকাপের সফল বিজেতা নো ডাউট।
কিন্তু কোথাও, কোনভাবে যদি অনিয়ম, দুর্নীতি, ফেয়ারনেস নিয়ে কথা হয় তাহলে তা নিয়ে মজা করা হাসিতামাশা করাটা হবে চুড়ান্ত হিপোক্রেসি।
দলের পক্ষে আমরা সবাই বায়াসড তাই প্রিয় দলের বিপক্ষে কোন কথা শুনতে আমরা রাজি নই কিন্তু দিন শেষে আমরা সবাই চাই ফুটবল ফেয়ার থাকুক।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে ফুটবল সবসময় ফেয়ার হয়নি।
ইতিহাস ঘাটলে এমন ঘটনা বিস্তর পাওয়া যায়।
আমার নিজ চোখে দেখা সবচাইতে বড় ফুটবলীয় চুরি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লীগে চেলসি বনাম বার্সালোনার খেলা। ভিতরের খবর আমরা কেউ জানিনা কিন্তু ৯০ মিনিটের খেলায় আমরা যা দেখলাম তাতে সহজে যে কেউ বলে দিবে এই ম্যাচ কিভাবে চুরি। কিভাবে রেফারী বারবার বার্সালোনার পক্ষে কাজ করছিলেন।
ম্যাচে চুরি হয়েছে এই কথা বলাটা একটা কন্সপায়ারেসি থিওরি মাত্র।
এর পিছনে অনেক যুক্তি তর্ক থাকে, সত্য মিথ্যা থাকে কিন্তু আপনি এইটা নিয়ে হাসি তামাশা করতে পারবেননা। সবকিছুই প্রমাণের আগে শুধুমাত্রই থিওরি হিসেবে থাকে। শুধুমাত্র যেই দলটা হারে তারাই বুঝতে পারে রেফারী ঠিক কিভাবে তাদের বিপক্ষে। এই জিনিস বুঝতে সাইন্টিস্ট হতে হয়না।
১৫৪৩ সালের আগে মানুষ যখন জানতো পৃথিবীর চারপাশে সূর্য সহ অন্য সব কিছু ঘুরতেছে। হঠাৎ একদিন নিকোলাস কোপার্নিকাস এসে থিওরি দিলেন, পৃথিবী নয় সূর্যকে কেন্দ্র করে সব কিছু ঘুরতেছে। এই কথা শুনে মানুষ নিকোলাসকে পাগল বলে হাসাহাসি করলো অথচ এই কথার প্রায় ১০০ বছর পর মানুষ জানতে পারে নিকোলাসের থিওরিই সত্য।
তাই থিওরি যা আপনার বিলিফ সিস্টেমের বাহিরে, যা আপনার বিপক্ষে যাচ্ছে তা শুনে হাসাহাসির কিছু নাই।
তাই ফিফা বা ফুটবল এসব নিয়ে কন্সপায়ারেসি চুরি ও ফিক্সিং এর ঘটনা শুনলে আগে লজিকালি বিচার করার চেষ্টা করা উচিত। না মানতেই পারেন কিন্তু বিপক্ষ দলের সাথে হওয়া অন্যায় আপনার সাথে হলেই আপনি ধরতে পারবেন এই থিওরি কোথায় কিভাবে কাজ করে।
ফিফার অনিয়ম দুর্নিতি নিয়ে নেটফ্লিক্সে লম্বা ডকুমেন্ট্রি আছে। আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন। ইউটিউবেই আছে।
দুর্নীতি তাদের জন্য নতুন না তাই তাদের বিপক্ষে যে কোন কন্সপায়ারেসি থিওরিকেই লজিকালি বিচার করতে হবে, ইগ্নোর করার সুযোগ কম।
একটা দেশের সরকার প্রধান কে হবে তা যদি ফিক্সড হতে পারে তাহলে একটা ফুটবল ম্যাচ কে জিতবে তা ফিক্স করতে খুব একটা রকেট সাইন্সের প্রয়োজন নেই। এইটুকু আপনাকে আগে বুঝতে হবে যে চাইলে সবকিছুই প্ল্যান করা যায়।
ইতিহাসের পাতায় অনেক ফুটবল ম্যাচই আছে যা নিয়ে ফুটবল ভক্তদের মনে সন্দেহ আছে। ইতিহাস আমাদের পক্ষে বিপক্ষে সবসময় সাক্ষী দেয়।
১৯৯০ ফাইনাল ম্যাচে রেফারি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ছিল বলে বাংলাদেশের প্রেস ক্লাবে আন্দোলন হয়েছে। কেনইবা হবেনা আন্দোলন? খেলার ৬৫ মিনিটি অযথা লাল কার্ড বা খেলার ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি দেয়া, পুরোটা ম্যাচেই জার্মানির পক্ষে রেফারির ডিসিশান খুবই স্পষ্ট। ১-০ তে সেই ফাইনাল হেরে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যারাডোনার কান্না এখনো দর্শকদের মনে আছে।
২০০৬ সালেও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জার্মানির পক্ষে বারবার রেফারির ডিসিশান নিয়ে অনেক আগে থেকেই আর্জেন্টিনা ভক্তদের রাগ ক্ষোব ।
২০০২ বিশ্বকাপেও কম কথা উঠেনি। সবাই জানে কিভাবে কোরিয়া রেফারির সাহায্যে শেষ ষোলতে ইতালি ও কোয়ার্টারে স্পেনকে হারায়। আপনি গুগুল করলেই পাবেন।
আর বিশ্বকাপে আরো পিছনের দিকে গেলেতো এমন কন্ট্রোভার্সি অহরহ।
২০১৯ কোপা আমেরিকার রেফারিং বা আয়োজন নিয়ে খুশি ছিলনা মেসি। খেলা আর রেফারিং দেখে আমি নিজেও একটু হলে বিশ্বাস করি রেফারিং টপ নচ ছিলনা। ব্রাজিলের পক্ষেই সবকিছু খোদ মেসিই বলেছেন।
এখন আপনি বলেন লিওনেল মেসিকি খেলা বুঝেনা নাকি সে শিশু ?
এখন আপনি এসবকে থিওরি ভাবেন, কল্পনা ভাবেন বা বাস্তবতা ভাবেন আপনার ব্যাপার। যার ব্রেন যতটুকু নিতে পারে ততটুই সে ধরতে পারবে চিন্তা করতে পারবে।
মেসি যদি বলতে পারে একটা পুরা টুর্নামেন্ট সেটাপ তাহলে আপনি কল্পনা করেন আসলেই কত কি সম্ভব এই ফুটবলে।
তবে এখন ফুটবলে পরিবর্তন এসেছে। গান পয়েন্টে বা রাজনৈতিক চাপ দিয়ে ম্যাচ কেড়ে নেয়ার দিন অনেক আগেই শেষ। কিন্তু তাই বলেকি ম্যাচ সেটাপ বন্ধ হয়ে গেছে! বন্ধ হয়ে গেছে বলা যাবেনা তবে ফুটবলের মত এই ম্যাচ ফিক্সিংও নতুনত্ব লাভ করেছে বলা যায়।
এখন সেটাপ বলতেও আমরা কি বুঝি তাও ক্লিয়ার হওয়া উচিত। একটা ফুটবল ম্যাচকে WWE এর মত স্ক্রিপিটেড করে ফেলা মোটামুটী অসম্ভব কিন্তু খুব ক্রুশাল মোমেন্টে ফাউল না দেয়া, ফাউল না হলেও ফাউল দেয়া, হলুদ কার্ড দেয়া বা না দেয়া, এডভান্টেজ প্লে দেয়া বা না দেয়া, বারবার বাশি বাজিয়ে বিপক্ষের আক্রমনকে স্লো করা, খুব সামান্যতে পেনাল্টি দেয়া থেকে শুরু করে নানান ভাবে পুরো ম্যাচে রেফারি একটা দলকে সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করে।
তখন দেখা যায় বিপক্ষ দলটা খেলায় কোন মোমেন্টামই তৈরি করতে পারছেনা। যখন তারা বল নিয়ে কিছু করার চেষ্টা করছে বারবার খেলা তাদের বিপক্ষে যাচ্ছে। ফলাফল মানসিকভাবে বিপক্ষ খুব সহজেই হেরে যায়।
কিন্তু সাপোর্ট পেয়েই যে একটা দল ম্যাচ জিতে যায় তা না। ভাল খেলা প্লাস হাল্কা সাপোর্টে বিপক্ষকে কুপোকাত করাটা সহজ হয়। অনেক সময় সাপোর্ট পেয়েও ম্যাচ হেরে যায় অনেক দল।
যখন আমাদের প্রিয় দল হেরে যায় তখন আমরা বলি রেফারি ঠিক ছিলনা, আর যখন নিজের দল জিতে যায় তা নিতান্তই খেলার অংশ বলে মনে করি।
দেখুন, যারা ফুটবল বুঝে তারা বলতে পারবে খেলার মধ্যে একটা ভুল ডিসিশান খেলাটাকে কতটুকু নিয়ে যেতে পারে। পুরো খেলার মোমেন্টাম শিফট হতে পারে।
একটা দলের পক্ষে বিপক্ষে রেফারির টুকটাক ডিসিশান এদিক ওদিক হতেই পারে, তা খেলার অংশ। সবচাইতে বড় কথা প্রতিটা দলকেই যোগ্য খেলাটা খেলতে হয়। কিন্তু সবসময় একটা দলের পক্ষেই যখন রেফারি বারবার ডিসিশান দিবেন তখন তা প্রশ্ন তৈরি করবেই। বিপক্ষ দল অবশ্যই তা নোটিস করবে। দর্শক তা নিয়ে রাগ ক্ষোব প্রকাশ করবে খুব স্বাভাবিক।
খেলা শেষে এ নিয়ে মিডিয়াতে টুইটারে যতই আলোচনা হোক বা আপনি আমি প্রেস ক্লাবে আন্দোলন করেও আর কিছু করতে পারবোনা। ম্যাচ শেষ হওয়ার বাশি বাজলেই ইটস আ নিউ ডে।
প্রশ্ন জাগতে পারে এত কিছুর মানে কি! ফিফাইবা কেনো ম্যাচ ইনফ্লুয়েন্সের চেষ্টা করবে?
এই সবকিছুকে সামারাইজ করবে একটা মাত্র জিনিস, তা হচ্ছে বিজনেস।
আমাদের চারপাশেই টাকার খেলা। আপনি মানেন বা না মানেন আমরা যাস্ট ক্যাপিটালিজমের গোলাম। ওদের বিজনেসের জন্য যখন যেখানে যাকে সুবিধা হয়, যা ওদের সুবিধা হয় তাই ঘটানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হয়।
বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে কোন দল ফিফাকে টাকা খাওয়ায়না। এমন হলে এমেরিকা ইজরায়িল বা ইংল্যান্ডকে দেখতেন কাপ নিয়ে যাচ্ছে। সব দলই এখানে আসে ভাল খেলতে। কিন্তু শুধু ভাল খেললেই কি আর ভাল বিজনেস হবে?
আমাদের কাছে একটা ম্যাচ আবেগ হলেও ফিফার কাছে তা টাকা আয় করার সুযোগ। আধুনিক ফুটবল চলেই টাকার উপর।
এই আধুনিক ফিফা ও ক্যাপিটালিজমের যুগে ভিউয়ারশিপ, টিকেট, ব্র্যান্ড, টি আর পি, হাইপ এইসব কঠিন কিছু ফ্যাক্টস যা চাইলেও এড়ানো সম্ভব না। এইসব কিছু রাইট টাইমে ক্লিক করা লাগে। একটা টুর্নামেন্টকে যতটা সম্ভব পারা যায় ইন্টারেস্টিং বানানোর চেষ্টা করা হয় আপনি মানেন আর না মানেন এইটাই সত্যতা। আর তার জন্য রেফারি কি করতে পারে বা না পারে তা টুকটাক আমরা সবাই আলোচনা করেছি।
পুরো কাতার বিশ্বকাপেই রেফারিং নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে, খেলা শেষে বিপক্ষ দল বলেন আর দর্শক বলেন রেফারিং নিয়ে কিন্তু রাগ ক্ষোব দেখা গিয়েছে। কিন্তু কেউ চাইলেও এই বিষয়টা প্রমাণ করতে পারবেনা। এইটা শুধুমাত্রই কন্সপায়ারেসি থিওরি হিসেবে থেকে যাবে।
ফিফা একটা মানি মেকিং ইন্ডাস্ট্রি। কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েই কত কত সমালোচনা হলো। কাতার কিভাবে ফিফাকে ঘুষ দিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজক হলো সেই আলাপ সাইডে রাখলাম কিন্তু কাতার ২০০ বিলিয়ন ডলার খরচা করে বিশ্বকাপ আয়োজন করে খুব বেশি হলে ২০ বিলিয়ন ডলার আয় করবে তাহলে এই ম্যাসিভ এমাউন্ট একটা বিশ্বকাপের জন্য ঢেলে দেয়ার অর্থ কি হতে পারে!
কাতার চেয়েছে মার্কেটিং, ইকোনোমিকাল গ্রোথ, তেল বেচে দেশ চালানো থেকে বের হয়ে আসার জন্য পর্যটন শিল্পের একটা বীজ বপন। ওরা আগামী ২০-৫০ বছরের রূপরেখায় পা দিয়েছে। যে কোন শর্তেই তারা বিশ্বকাপ আয়োজক হতে চেয়েছে আর তাই এই বিশ্বকাপটা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড হিট খাওয়া তাদের জন্য কতটা জরুরি ছিল আপনি কল্পনা করুন। বিশ্বকাপ আয়োজনের পিছনে যদি এত এত লুকানো আলাপ থাকে তাহলে মাঠের খেলার বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আপনি তা লজিকালি ইগ্নোর করতে পারেননা। সত্য মিথ্যা প্রমাণের বিষয় কিন্তু প্রশ্নতো উঠবেই।
এত কিছুর ফাকে ফিফা চায় সর্বোচ্চ রেভ্যানিউ আর ফিফা স্পন্সররা চায় মার্কেটিং। মার্কেটীং আর রেভ্যানিউ আনতে একটা ফুটবল ম্যাচকে ওরা চাইলেই ইনফ্লুয়েন্স করতে পারে। তাদের হাতে এই ক্ষমতা আছে। এই কাজ করলে কারো সাধ্য নেই তা পরিবর্তন করার।
মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচা করে আপনি ফিফাকে স্পন্সর করলে আপনিইবা কি আশা করবেন তাদের কাছ থেকে?
বিশ্বকাপ আলাপ বাদ দিলাম, ফুটবলের একক পুরুষ্কারগুলাও যে ফেয়ার হয় তা না, ফেয়ার হলে রোবেন, স্নাইডাররাও একটা করে ব্যালন ডিওর পেতে পারতেন। ভাল খেলেও যোগ্য দাবিদার হওয়ার পরেও তারা সেরা খেলোয়াড় কেনো হতে পারেননি? ব্র্যান্ড এন্ডরস্মেন্ট মিডিয়া হাইপ হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর।
২০২০ এ লেওয়ানডস্কির জায়গাতে রোনালদো, মেসি বা এম্বাপ্পে থাকলে আপনার কি মনে হয় সেবার ব্যালন্ডিওর ক্যান্সেল হয়ে যেত? যদিও ব্যালন কতৃপক্ষ বলেছে করোনার কারনে ফুটবল বাধাগ্রস্থ হয়েছে তাই এবছর ব্যালন ক্যান্সেল। কিন্তু তারা যা বলেনি তা হচ্ছে It's easy to skip this year anyway.
ব্যালন ডিওর জিততে একজন প্লেয়ারের যা যা অর্জন করতে হয় সবই করেছেন লেওয়ানডস্কি কিন্তু তা হয়তো এই করোনার টাইমে নট এনাফ ফর গুড বিজনেস।
তাই এই ক্যাপিটালিজমের যুগে আপনার যদি মনে হয় ফুটবল সবসময় ফেয়ার, তাহলে আপনি অনেক সুখি একজন মানুষ এবং জীবন নিয়ে আপনার আর চাওয়া পাওয়া নেই।
আপনি যাস্ট ফুটবল উপভোগ করুন।
কিন্তু কোথাও, কোনভাবে যদি ফেয়ার-আনফেয়ার নিয়ে কথা হয়, কেউ যদি বলে অন্যায় হয়েছে তাহলে তা নিয়ে মজা করা হাসিতামাশা করা হবে হিপোক্রেসি।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১২
বিটপি বলেছেন: ফাইনালের খেলায় আমার মনে হয়েছে ইউরোপিয়ান রেফারি ফ্রান্সের পক্ষে কিছুটা হেলে ছিল, যার প্রমাণঃ
১। প্রথম পেনাল্টি কিভাবে পেল। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার তো কোন বাধা দেয়নি, ধাক্কাও দেয়নি। ফ্রান্সের প্লেয়ার ইচ্ছেকৃতভাবে পড়ে গিয়ে পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছে।
২। দ্বিতীয় গোলের রিপ্লাই দেখলে পরিষ্কার বুঝতে পারবেন মুয়ানি যখন পাস দেয়, এম্বাপ্পে তখন অফসাইড পজিশনে ছিল। কিন্তু গোল ঠিকই হয়েছে।
৩। দ্বিতীয় পেনাল্টির সময় হ্যান্ডবলের অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু হ্যান্ডবলের সময়ে আর্জেন্টিনার প্লেয়ার দাগের উপর ছিল। তাছাড়া সে ইচ্ছে করে হাতে লাগায়নি। কনুইতে লাগলে তা হ্যান্ডবল হয়না। তারপরেও রেফারি পেনাল্টি দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, হলুদ কার্ডও দেখিয়েছে আর এমবাপ্পেকে সুযোগ করে দিয়েছে গোল্ডেন বুট জেতার।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
আহাদ রায়হান বলেছেন: পুরো খেলায় আমার কখনো মনে হয়নি ফ্রান্সের পক্ষে রেফারী ছিল। ফ্রান্স যে দুইটা পেনাল্টি পেয়েছে তা যথার্থ। বরং ৮৭ মিনিটে একটা পেনাল্টী ফ্রান্স পেতে পারতো বলে সবাই বলছে, যদিও আমার মনে হয়নি তা পেনাল্টী দেয়ার মত। পুরো ম্যাচে রেফারি চেষ্টা করেছেন ভাল করার কিন্তু আর্জেন্টীনার ১ম পেনাল্টী, যা একটা সফট পেনাল্টি, দেয়ার পর খেলায় ফ্রান্স কিছুই করতে পারেনি আর। যদিও মোমেন্টাম শিফট হয়েছে পরে। আর্জেন্টিনার অন্যান্য পেনাল্টি নিয়েও বিতর্ক আছে।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
খেলা চলাকালে আমাদের আবেগ এত বেশি কাজ করে যে, কোনো আনফেয়ার অ্যাডভান্টেজ নিজের ফ্যাভারিট টিম পেয়ে গেলে, সেটা মনে করি ঐ টিমের প্রাপ্য ছিল, কিন্তু ডিসিশনটা বিপক্ষে গেলেই মনে হয় এটা আনফেয়ার ডিসিশন ছিল। এবং এ থেকেই সূত্রপাত হয়, এর পেছনে হয়ত ফিফার হাত ছিল।
রেফারিরাও পক্ষপাতিত্ব করেন, নিঃসন্দেহে। বর্ণ বৈষম্য, আঞ্চলিকতার টান, কিংবা এশিয়া বা আফ্রিকান টিমকে জেতানো যাবে না, এ ধরনের মানসিকতাও কাজ করে বলে আমার মনে হয়।
এ টুর্নামেন্টে কয়েকটা পেনাল্টি কীভাবে হয়ে গেল বোঝা গেল না, এর মধ্যে আর্জেন্টিনারও ছিল গোটা দুই। আর্জেন্টিনার সাপোর্টাররা বলবেন, ওগুলো জেনুইন ছিল, বিরোধীরা বলবেন ওগুলো দেয়া হয়েছে অ্যাডভান্টেজ দেয়ার জন্য। কোনটা সঠিক তা বের করার জন্য তদন্ত কমিটি ছাড়া গতি নাই।