নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে নিজেকে পৃথিবীতে সবচেয়ে নগন্য এবং একা মনে হয়। এর কিছুক্ষন পর মনে হয় এই পৃথিবীর প্রতিটি পিপড়া থেকে শুরু করে সাগরের নীল তিমি হয়ে আমার প্রিয় শত্রুর বাড়ির পেছনের আগাছা এবং প্রতিটি মানুষ এই পৃথিবীতে এসেছে আমাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য।

আহাদ রায়হান

সমুদ্রে করি বাস, শিশিরে কিসের ভয়

আহাদ রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের বেড়ে ওঠা কেনো লজ্জার নয় ?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫


একটা দেশে বিদ্যানন্দের ভুমিকা কেনো এত বেশি যে তাদের চ্যারিটি কাজের জন্য তাদেরকে একুশে পদক দেয়া হলো এই প্রশ্নটা কেউ করলোনা।

কেউ ভাবলোইনা যে এইটা বাংলাদেশ সরকারের খুব বাজেভাবে হেরে যাওয়া। বিদ্যানন্দের এই বেড়ে ওঠা খুব সহজে প্রমান করে দিচ্ছে যে দেশে এত এত গরীব যাদের জন্য গভার্মেন্ট আসলে কিছুই করতে পারেনি তাই বিদ্যানন্দের মত একটা ফাউন্ডেশান এসে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে গেল।

আমার মনে সবসময় একটাই প্রশ্ন যে কাপড় কিনে দেয়া, এক বেলা খাবার খাওয়ানোর মধ্যে কি এমন রোমান্টিকতার আছে যা হৈ চৈ করে ফেসবুকে প্রকাশ করতে হবে।

আমি জানি আমাকে এখন প্রশ্ন করবে, শেয়ার না করলে মানুষ টাকা দিবেনা।

তাহলে আমিও জানতে চাই চট্টগ্রামে বসে থাকা আমার অর্থ সহায়তায় কেনো কুড়িগ্রামের কোন এক মজিদ চাচাকে লুংগি কিনে দিতে হবে। কেনো চট্টগ্রাম থেকে পাঠানো আমার টাকায় ঢাকার কোন পথশিশু একবেলা ভাল খাবার খাবে।

আমার অর্থ সহায়তায় হওয়া উপকার আনন্দের হওয়া উচিত নাকি কুড়িগ্রামে থাকা মজিদ চাচার স্বচ্ছল কোন আত্নীয় বা বড়লোক প্রতিবেশীর জন্য লজ্জার হওয়া উচিত ?

আমার দানের টাকায় এক বেলা কোন পথ শিশু যদি ভাল খাবার খায় তাহলে সেই এলাকার মেয়র, কাউন্সিলরদের জবাবদিহিতা কোথায়? সমাজে তাদের আসল ভূমিকাটা কোথায় আমাকে জানাতে হবে।

সারা দেশে দান খয়রাত করা আমারই প্রতিবেশী আমারই আত্নীয় যদি কষ্টে জীবন যাপন করে, না খেয়ে থাকে তাহলে তার জন্য আমার লজ্জা হওয়া উচিত নাকি সারা দেশে দান খয়রাত করে বেড়াই সেই উছিলায় বেহেস্তের চিন্তা করা উচিত।

আমিকি লস এঞ্জেলেসে থাকি? মানে আমার এলাকাতে কি কোন মজিদ চাচা নাই? আমার এলাকাতে কি কোন পথশিশু নাই ? এইসব না দেখে কেনো ফেসবুকের দান খয়রাতের রোমান্টিক পোষ্ট দেখে কোন এক ফাউন্ডেশনকে আমার টাকা দিতে হবে?

শুধু বিদ্যানন্দ না, একই কথা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিয়েও থাকবে।

আপনি লন্ডনে থাকেন, আপনার প্রতিবেশী আপনার চাইতে বড়লোক, ১৪ গুষ্ঠিতে গরীব আত্নীয় নাই গরীব মানুষ দেখতে কেমন তা শুধু ইউটীউবে দেখছেন তাই ফাউন্ডেশনে দান খয়রাত করে আপনি গভীর এক স্যাটিস্ফেকশান নিয়া ঘুমাইতে যান যে আপনার টাকায় কারো উপকার হইতেছে। মানা যায়।

অথচ আপনি থাকেন বাংলাদেশে। আপনি জানেন আপনার আশেপাশে গরীবের অভাব নাই। কিন্তু আপনাকে চট্টগ্রামে বসে কুড়িগ্রামের মজিদ চাচাকে লুংগি কিনে দিতে হবে, বাহ বাহ বাহ। কি আনন্দের বিষয় এইটা।

বাজারে ফার্মেসি দোকান বেড়ে যাওয়া কোন অর্থনৈতিক উন্নতি না বরং বুঝা যায় সেই সমাজে মানুষের রোগ বালাই বেশি। অবস্থা ভালনা।

সেইভাবে জাতীয় পর্যায়ে চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের বড় হওয়ার মধ্যে বিন্দুমাত্র বাহাদুরি নাই। বরং এইটা লজ্জার। এইটা গোটা দেশের মানুষের জন্য লজ্জার। এইটা আপনার জন্য লজ্জার কারন আপনার প্রতিবেশী বা আপনার আত্নীয়কে কোন এক ফাউন্ডেশনের সহায়তা নিতে হচ্ছে।

ফাউন্ডেশান যদি থাকতেই হয় তাহলে তা হবে এলাকাভিত্তিক। ফাউন্ডেশন তৈরিই হবে এই চিন্তায় যে একদিন এই ফাউন্ডেশনের কোন প্রয়োজন হবেনা। একদিন আপনার হাত ধরে আপনার কোন গরীব আত্নীয় আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে পাবে। কোন মজিদ চাচা অন্য মজিদ চাচাকে লুংগি উপহার দিতে পারবে।

কিন্তু নাহ, আমাদেরকেতো চ্যারিটি ফাউন্ডেশন দিয়ে একুশে পদক পেতে হবে। প্রতি বছর মজিদ চাচাকে লুঙ্গি কিনে দিতে হবে। আমাদেরকেতো গরীব বাচিয়ে রাখতে হবে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চ্যারিটি ফাউন্ডেশন সব দেশেই আছে। এটা থাকা কোনো দোষের মনে করি না, যদি তাদের উদ্দেশ্য ও কাজগুলো মহৎ হয় এবং দুর্নীতিমুক্ত হয়। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে দান-খয়রাত করতে পারে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ও ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেও করা যেতে পারে।

তবে, আপনার কথাগুলো ভালো লেগেছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৫১

আহাদ রায়হান বলেছেন: আমার পাশের বাসায় গরীব প্রতিবেশী, আমার নিজের চাচার পরিবারে অর্থকষ্ট রেখে চ্যারিটি ফাউন্ডেশনে টাকা দেয়া লোক দেখানো ছাড়া কিছুইনা।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: সাহায্য সংস্থা অনেক দেশেই আছে। তারা নিজের দেশ কম বরং বিদেশেই বেশি সাহায্য করে। (less economically advanced দেশগুলোর সংঘ ব্যতিরেখে)

লেখকের কথাগুলোকে খারাপ বলার সুযোগ নাই। তবে দাতব্য সংস্থা শুধু দান করবে এটা নয় বরং ভারসাম্য রক্ষা করতে সহযোগীতা করে। অর্থনৈতিক কৃত্তিম সংকটে অনেক কিছু নাগালের বাহিরে চলে গেলে তাদের ক্ষেত্র বিশেষে ত্রাতার ভূমিকায় পাওয়া যায়। এটাকে সাধুবাদ দিতেই হয়। এটাকে সংকোচ হিসেবে না দেখলেও চলে।
এর থেকে ভাল যদি কিছু জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে বলব, প্রতিদিন একবেলার দান থেকে ক্রমাগত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার সুুযোগ হলে সবচেয়ে ভাল হত। এজন্যই যাকাত এভাবে দেওয়া উচিত যেন, যাকাত গ্রহনকারীর যাকাত দান করা সক্ষমতা হয়। ব্যাপারটা দানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যদিও ব্যতিক্রম পাওয়া যেতে পারে, যাদের অসহায়ত্ব এরকম পর্যায়ে যেখানে সক্ষমতা কখনোই সৃষ্টি সম্ভব নয়।

উপরের বক্তব্য শুধুই আলোচনা কেন্দ্রিক মন্তব্য। লেখতে থাকুন, সামুর সাথে আছি, থেকে যাব।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৫৫

আহাদ রায়হান বলেছেন: বাংলাদেশে চ্যারিটি ফাউন্ডেশনগুলো মাঝে মাঝে এমন কাজ করে যা করার কথা দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের। আমরা ট্যাক্স দেই, দূর্যোগ মোকাবেলায় বিশাল বাজেট হয়। সেই টাকা কোথায় যায়। কোথাও আগুন লাগলে যদি আমাকে ঘরে বসে টাকা দিতে হবে তাহলে এই সরকারের কাজ কি। আমাকে কেন আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের এক বেলা খাবারের ব্যাবস্থা করতে হবে। হ্যা আমি সাহায্য করবো যেটা আসলেই কাজে দিবে। আমি কোন আগুনে ক্ষতি হও্যা লোককে সাবলম্বী করে দিতে পারি। প্রাথমিক সব ব্যাবস্থা সব দেশে সরকার নেয়। চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের কাজ অনেক পরে আসে। আর আমাদের দেশের চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্যই থাকে আজকে চ্যারিটি দিয়ে বিশাল টাকা ফেসবুক থেকে তোলা।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৩

নিমো বলেছেন: এটা নিয়ে আপনার বক্তব্য কী ?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৪৯

আহাদ রায়হান বলেছেন: আমেরিকার এইসব চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের সাথে নিশ্চই আমাদের দেশের ফাউন্ডেশনের কোন মিল নেই। তা আমাকে আলাদা করে বলতে হবেনা। আমেরিকায় গরীব বলতে কেউ নেই। ওরা বলে হোমলেস পিপল, গৃহহীন। যারা কাজ পায়না, থাকার জায়গা পায়না। ওদের জন্যই এসব চ্যারিটি। বাকিরা কাজ করে খায়। ওখানে চ্যারিটির নামে নাম মাত্র খাবার বিতরন, কাপড় কিনে দেয়া এসব হয়না। আমেরিকাতে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন নন প্রফিট চ্যারিটি ফাউন্ডেশান আছে। আর এই চ্যারিটি যে শুধু আমেরিকার মানুষের জন্য তা কিন্তু না। এই চ্যারিটির টাকা আমাদের বাংলাদেশেও আসে। ২০২০ সালে গোটা আমেরিকা মিলে প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার চ্যারিটি করেছে। আমি আমেরিকার মত অর্থনৈতিক বিস্ট কোন দেশের কাঠামো নিয়ে আসলে ভাবতে চাইনা। ওরা চ্যারিটি ফাউন্ডেশনে দিতে পারে কারন ওরা গরীব খুযে পায়না সহজে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার পাশের বাসায় গরীব থাকতে তাকে না দেখে আমাকে কেনো কোন ফাউন্ডেশনেই টাকা দিতে হবে।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:১৪

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার পাশের বাসায় গরীব থাকতে তাকে না দেখে আমাকে কেনো কোন ফাউন্ডেশনেই টাকা দিতে হবে।
খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন। দেশের একটা বিশাল অংশ কর দেয় না কিন্তু অমুক তমুকের স্বচ্ছতা নিয়ে ফাটাফাটি করছে। দেশের মূল সমস্যা কর্মসংস্থান, মৌলিক চাহিদাগুলো সরকারকেই পূরণ করতে হবে, কোন চ্যারিটি ফ্যারিটির কাজ এগুলো নয়। যাকাত, দান-খয়রাত দিয়ে দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র বজায় রাখা ছাড়া কোন কাজ হবে না। খুবই যোক্তিক ভাষায় পোস্ট ও মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক অভিবাদন গ্রহন করুন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৫২

আহাদ রায়হান বলেছেন: আরেকটা কথা হচ্ছে, এমন না যে বিদ্যানন্দ নিজস্ব অর্থায়নে চলে। যেমন চলে বিল গেটসের ফাউন্ডেশান। বিদ্যানন্দ চলে মানুষের দেয়া ৫০-১০০ টাকায়। দেশের আনাচে কানাচের অনেক গরীব মানুষো দেখা যায় তাদের দান করে। এমনই যদি হয় তাহলে সরকারের আসল কাজটা কি। কোথাও আগুন লাগলে তার জন্য যদি দেশের অন্য প্রান্ত থেকে গরীব আরেকটা মানুষকে ৫০০ টাকা পাঠাতে হবে বিদ্যানন্দকে তাহলে দেশে সরকারের কাজ কি।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৪৬

বিটপি বলেছেন: গরীব মানুষকে খাওয়ানো কোনভাবেই একটা সরকারের কাজ হতে পারেনা। এটা ঐ গরীবের আত্মীয় বা প্রতিবেশীর দায়। সরকারের দায় হল তার দেশের মানুষের নিরাপত্তা এবং উন্নত জীবন যাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। আমাদের সরকার সেদিক থেকে অনেকটাই সফল। তবে হ্যাঁ, সুশসানের মাধ্যমে দারিদ্র্য অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু যে দেশ পাকিস্তানের পেট থেকে জন্ম নিয়েছে, তার জন্য সুশাসন নিশ্চিত করা অতটা সহজ নয়।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৮

আহাদ রায়হান বলেছেন: কাওকে খাওয়ানোই সরকারের কাজ না, সরকারের কাজ হলো সবাই যেন কাজ করে টাকা আয় করতে পারে সেই ব্যাবস্থা করে, ব্যাবসায়িক পরিবেশ তৈরি করা। রাস্তায় পথশিশু যদি থাকে নিশ্চই তা দেখার দায়িত্ব নগর পিতার। তারা কেন পথশিশু ? তারা কেনো এখানে থাকবে। সরকারের সমালোচনা এজন্যই কারন টিভি/পত্রিকাতে শুনি দেশ এগিয়ে গিয়েছে সেখানে বিদ্যানন্দের মত ফাউন্ডেশানো বলছে ওরা গরীব খাওয়াচ্ছে। এটাই সমস্যা।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৫৪

কিরকুট বলেছেন: চ্যারিটি ফাউন্ডেশান গড়ে ওঠা অবশ্যই লজ্জার কিছু নাই কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায় চ্যারিটি থাকলে মানব কুলের মধ্যে কাকের স্বভাব প্রাপ্ত কিছু জনগোষ্ঠি আছে তাদের বিকট সমস্যা কারন সাধারন মানুষের চ্যারেটি দিয়েই তাদের সংসার ও ষঢ়যন্ত্র চলে। উহা অন্য পাতে পরলে তাদের ক্ষুধা কি করে নিবারন হবে।

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১১

আমি সাজিদ বলেছেন: ভালো বলেছেন।

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে সমালোচনা বেশি করে।

যারা বিদ্যানন্দের কাজের জবাবদিহিতা চাচ্ছেন তাদের কতজন বিদ্যানন্দে দান করেছেন?

আরেকটা জিনিস ভালো বলেছেন যে বিদ্যান্দের মতন প্রতিস্ঠানকে পুরস্কার দেওয়াতে সরকারের লজ্জা পাওয়া উচিত। কারন বর্তমানে দেশে পথ শিশু থাকার কথা না, বৃদ্ধ মানুষের না খেয়ে থাকার কথা না। সেটার জন্য সরকারের সংস্থা আছে যারা এই সব মানুষের কাজ করার জন্যই বেতন নেয়।

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে কাউকে সাহায্য করাও বিপদ।

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: বিদ্যানন্দ সরকারের একটা প্রক্সি সংগঠন।
সময় মত তারা খোলস থেকে বের হয়ে আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.