![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে হয় এই ব্লগ এর অধিকাংশ ব্লগারই বাকস্বাধীনতার অর্থ ঠিকভাবে বোঝেন না। বিশেষ করে আসিফের স্টিকি পোস্ট এর যে ধরনের মন্তব্য দেখছি তাতে এটা স্পষ্ট। সবাইকে দেখি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দাবি করতে যে তারা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কিন্তু এই ব্লগের বিতর্কিত পোস্টগুলোতে যেসব মন্তব্য পড়ে তাতে মনে হয় এই টার্মটার আসল অর্থ খুব কম ব্লগারই সঠিকভাবে বোঝেন। আমার এমন মনে হবার কারনটা নিচে explain করছি। আমি নিজে কঠোরভাবে বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী হলেও আমি মনে করি, বাকস্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ না জেনে তা সমর্থন করার চেয়ে এর প্রকৃত অর্থ জেনে এর বিরোধিতা করাটা অনেক ভালো, কারণ এতে অন্তত আপনার অবস্থানটা অন্যের কাছে সঠিকভাবে পরিষ্কার থাকছে।
বাক এর অর্থ হচ্ছে কথা, এবং বাকস্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে কথা বলার স্বাধীনতা। সেটা কিছু নির্দিষ্ট কথা বলার স্বাধীনতা নয়, বরং যা খুশি ঝেভাবে খুশি বলার (কিনবা লেখার) স্বাধীনতা। সেই কথা কেউকে কোনভাবে আঘাত করলো কিনা বা করতে পারে কিনা, তার ওপর কিন্তু বাকস্বাধীনতা কোনরকম শর্ত আরোপ করে না।
বাকস্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এর অর্থ হচ্ছে, একজন মানুষ তার যাই মতামত থাকুক না কেন, তা বলে কিনবা লিখে প্রকাশ করার অধিকার রাখেন। এই মতামত আমার কিনবা আপনার মতে জঘন্য খারাপ হতে পারে কিন্তু তাতে কিছু এসে যায় না। স্বাধীনতা স্বাধীনতাই। যদি স্বীকার করে নেন যে আমার বাকস্বাধীনতা আছে, এর অর্থ হচ্ছে, আমি আমার মনের ভাব প্রকাশ করার অধিকার রাখি, সেটা আপনার যতই অপছন্দ হোক না কেন। যেমন ধরুন আমার যদি মনে হয় রেপ করা ভালো, আমি তা বলার বা লিখার অধিকার রাখি, এবং তা বলাতে আমি আইনত অপরাধী হব না যদি আইনত আমার বাকস্বাধীনতা থেকে থাকে। যেহেতু আপনারও বাকস্বাধীনতা রয়েছে, আমার কথা আপনার জঘন্য মনে হলে, আপত্তিকর মনে হলে আপনিও তা বলে বা লিখে প্রকাশ করার অধিকার রাখেন। কিন্তু আমার কথা শুনে আপনি আমাকে আক্রমন করতে পারেন না, কারণ সেটা বাকস্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না। একইভাবে আপনার যদি আমাকে বলতে ইচ্ছা করে যে আমি একটা শুওর, বা আরো খারাপ কিছু, আপনিও তা বলার আইনগত অধিকার রাখেন। তা শুনে আমি আহত কিনবা রাগান্নিত হতে পারি, আপনাকে ঘৃনা করতে পারি, এবং এইসব প্রকাশও করতে পারি কিন্তু আপনাকে মারতে যেতে পারি না বা মারার আইনগত অধিকার রাখিনা। যা ইচ্ছা, যা খুশি, কিনবা যাই মনে হোক, সেটা অন্যকে যতই আঘাত করুক সেটা প্রকাশ করার অধিকারকেই বাকস্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলা হয়। খেয়াল করুন, এই অধিকার প্রকাশ করা পর্যন্তই। যা খুশি বলা, আর যা খুশি করার মধ্যে যে পার্থক্য আছে তা আশা করি বুঝতে পারছেন। যেমন ধরুন, বাকস্বাধীনতার কারণে আমি "খুন করা খুব ভালো কাজ" এই কথা বলার অধিকার রাখি, কিন্তু খুন করার অধিকার রাখি না। ঠিক তেমনি, কথার মাধ্যমে আপনাকে আঘাত বা আহত করার অধিকার আমি রাখি কিন্তু কোনো কাজের মাধ্যমে নয়, যেমন ধরুন অস্ত্র বা হাতের মাধ্যমে। আশা করি পার্থক্যটা বোঝাতে পেরেছি।
মত প্রকাশ কেবল বলে বা লিখেই হতে পারে। অন্য কোনভাবে নয়। যেমন ধরুন, আসিফের স্টিকিতে একজন লিখছেন, আসিফ যেমন মত প্রকাশ করেছেন, হামলাকারিরাও ছুরি চাপাতির সাহায্যে মত প্রকাশ করেছে। আসিফ যে তার মতামত কারো প্রতি অস্ত্রের সাহায্যে করেনি তা বোধহয় বলা বাহুল্য। কলম আর ছুরির মাঝে যে পার্থক্য রয়েছে তা যদি বুঝতে পারেন, তাহলে বাকস্বাধীনতা এবং হামলা এর মাঝে পার্থক্যটাও ধরতে পারবেন। আসিফ কিন্তু কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করেনি, এবং একারণেই আসিফের ওপর যে হামলাটা হলো সেটা মানবতাবিরোধী কিন্তু আসিফের লেখাগুলো অন্তত বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী কারো কাছে মানবতাবিরোধী নয়।
এই ব্লগে বিভিন্ন নাস্তিক পোস্টগুলোতে দেখি প্রায়ই অনেকে মন্তব্য করেন "বাকস্বাধীনতার নামে ইসলাম/নবী এর অবমাননা করা হচ্ছে" বা এই জাতীয় কথা। যারা এমন কথা লেখেন, উনারা বাকস্বাধীনতার অর্থটা বোধহয় ঠিকমত জানেননা। কেউ যদি বলে X এর নামে Y করা হচ্ছে, তার অর্থ দাড়ায় X এবং Y দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন কাজ, এবং X করার কথা বলে Y করা হচ্ছে। যেমন ধরুন যদি বলা হয়, কলেজে ক্লাস করার নাম করে প্রেম করে বেড়ানো হচ্ছে, এর মানে হলো, কলেজে ক্লাস করা এবং প্রেম করা সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটো কাজ, এবং প্রেম করাটা কোনভাবেই কলেজে ক্লাস করার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না। কিন্তু বাকস্বাধীনতার মানে হলো, শুধু ইসলাম কিনবা নবীকে নয়, যাকে খুশি যেই ধর্মকে খুশি বা যেই রাজনৈতিক দলকে খুশি অবমাননা করা, সমালোচনা করা কিনবা বিদ্রুপ করার অধিকার। কাজেই আসিফ বাকস্বাধীনতার নামে ইসলাম/নবী এর অবমাননা করেনি, বরং ইসলাম/নবী এর অবমাননা করার মাধ্যমে নিজের বাকস্বাধীনতার চর্চা করেছে মাত্র এবং তাকে যারা অকথ্য গালিগালাজ করেছে তারাও তাদের বাকস্বাধীনতারই চর্চা করেছে কারণ তারা আসিফ সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। দুই পক্ষের কাউকেই আমি নৈতিকভাবে দোষী মনে করছিনা তবে যারা মুখে বলেন বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী কিন্তু আসিফকে কিনবা হুমায়ুন আজাদকে কপানোতে উচিত শিক্ষা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন, তাদেরকে হিপোক্রিট না ভেবে উপায় নেই, যদিও এসব মন্তব্য করার অধিকার ওনারা রাখেন, সেটাও বাকস্বাধীনতারই কারণে।
উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বাকস্বাধীনতা বিষয়টাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকারগুলোর একটি হিসেবে দেখা হয়। সেসব দেশে যেমন ধর্মপালনের স্বাধীনতা রয়েছে তেমনি রয়েছে ধর্মকে অবমাননা বা ধর্মের বিরোধিতা করার অধিকার। আমার মনে হয় জাতি হিসেবে উন্নতি করতে হলে নাগরিকদের এই মৌলিক অধিকারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এবং আজকের উন্নত দেশগুলো বাপারটা ভালকরে বোঝে, অথচ আমরা এই কনসেপ্টটাই এখনো বুঝি না। এইসব দেশে দেখা যায়, ফ্রিডম অফ রিলিজিওন যেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, অনুরূপ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ফ্রিডম অফ স্পিচ কে এবং যে যেই মতাদর্শেরই হোক না কেন, প্রত্যকেই অন্যের বাকস্বাধীনতাকে (এবং ধর্মীয় স্বাধীনতাকে) রেসপেক্ট করছে, কেননা তাদের নিজেদের বাকস্বাধীনতার মুল্য তাদের কাছে অনেক। এই কারণেই উন্নত দেশে চরমভাবে ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারছে। এসব দেশে দেখা যায় ধার্মিকেরা যেমন ধর্ম প্রচার করে যাচ্ছে, তেমনি ধর্মবিরোধীরা ধর্মের সমালোচনা, বিদ্রুপ, সবই করছে কিন্তু তাতে করে কেউ কারো শত্রু হয়ে যাচ্ছে না, কেউ কাউকে কোপাতে আসছেনা, কাউকে মনের ভাব প্রকাশের অপরাধে জেলে ভরা হচ্ছে না, কাউকে মুরতাদ ঘোষণা করা হচ্ছেনা কিনবা কাউকে দেশ থেকে নির্বাসন দেয়াও হচ্ছেনা। কারণ তারা এইটুকু বোঝার মত ক্ষমতা অর্জন করেছে যে তার মতে ধর্ম ভালো হলেও, অন্য কারো মতে ধর্ম খারাপ হতেই পারে। তার যেমন অধিকার আছে ধর্মের প্রচার করার এবং ধর্মের বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করার, ধর্মবিরোধীদেরও অধিকার রয়েছে ধর্মের বিষয়ে তাদের মত প্রকাশ করার। আমি মনে করি জাতি হিসেবে উন্নতি করতে হলে আমাদেরকেও এই পরমতসহিষ্ণুতা অর্জন করতে হবে। অন্তত অপরের কথাকে, সেটা যেই কথাই হোক না কেন সহ্য করার মানসিকতা তৈরী করা আমাদের খুবই দরকার।
কয়েকদিন আগে আমার এক বন্ধুর সাথে আড্ডা হচ্ছিল, এবং একপর্যায় কোন প্রসঙ্গে যেন আমি বলেছিলাম "free speech must prevail"। তখন সে বলেছিল free speech না বরঞ্চ responsible speech must prevail. এটা অনেকেই মনে করেন। কিন্তু সমস্যা হলো ইটা absolutely enforce করবার কোনো উপায় নেই। কারণ কোন কথাটা responsible আর কোনটা irresponsible সেটা তর্কসাপেক্ষ এবং মতনির্ভর। একেকজন একেকটাকে responsible বলবে, যেমন মুসলিমরা ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেই তা irresponsible দাবি করবে, আবার লীগাররা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেই তা irresponsible দাবি করবে। সেক্ষেত্রে যখন যারা ক্ষমতায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেই তারা বলবে কথাটা irresponsible। কাজেই responsible speech কথাটা শুনতে ভালো লাগলেও সেটা enforce করাটা বাস্তবসম্মত নয়।
পরিশেষে বলতে চাই, কোন এক বিখ্যাত মনীষী যেন বলেছিলেন :
I may not agree with what you say but I will fight for your right to say it.
বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী হিসেবে আমি কথাটাকে আরো এক ধাপ বাড়িয়ে বলতে চাই,
I may be hurt, insulted and/or angered by what you say and even dislike you for it, but I will still fight for your right to say it.
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
পালের গোদা বলেছেন: লিখে ফেললাম ভাই। এই বিষয়টা অনেকদিন ধরে খেয়াল করছি, এবং এ বিষয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু লিখার সময় পাচ্ছিলাম না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
শিক কাবাব বলেছেন: পড়লাম। প্রাণ ভরে মন ভরে মন দিয়ে পড়লাম। ভালোই লাগলো।
কিন্তু আপনি বাকস্বাধীনতার নামে সব কিছু ফ্রি করে দিলেন। কিছুই আর বাকি থাকলো না।
ব্যক্তিগত কাউকে আক্রমন করা কি বাকস্বাধীনতার মধ্যে পরে?
যেমন : আসিফ মহিউদ্দিন। আমি এই ব্লগে লিখলাম, আসিফের বাবা চোর ছিল। জেলও খেটেছে ৫ বছর। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এটা সত্য না মিথ্যা তা আসিফের গ্রামবাসী ভালো জানে। ব্লগের কেউই যেহেতু আসিফ সম্বন্ধে জানে না, তাই ৭০% ব্লগার আমার কথা বিশ্বাস করলো, যাহা আসিফের অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ালো।
এ জাতীয় বাকস্বাধীনতা কতটুকু বৈধ?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
পালের গোদা বলেছেন: আপনি যেই উদাহরনটা দিলেন সেটা তো সরাসরি অন্য কারো ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলা। জেনেশুনে মিথ্যা বলা আর মত দেয়া বা কটাক্য করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদিও মিথ্যা বলাটাও technically বাকস্বাধীনতার মধ্যেই পড়ে, সেটা প্রথমত একটি নৈতিক অপরাধ। দিতীয়ত সেটার জন্য অন্য আইন রয়েছে, যাকে বলা হয়, "defamation" বা মানহানি। আপনি চাইলে আমার বিষয়ে ১০জনকে মিথ্যা বলতে পারেন, সেটা আপনার বাকস্বাধীনতার মধ্যে পরে। কিন্তু আপনি বললেই তো আর সবাই বিশ্বাস করছে না তাইনা? কিন্তু যদি আপনার উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যার কারণে আমার কোনো বাস্তব (material) ক্ষতি হয়, আমি আপনার নামে মানহানির মামলা করতে পারি। কিন্তু এটা কেমন স্পষ্ট ও উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা রটনার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। মত কিনবা বিদ্রুপের মধ্যে তো আর সত্য মিথ্যা নাই তাইনা? আর যদি থাকেও তাতে কারো বাস্তব ক্ষতি হবার সুযোগ নেই। উল্লেখ্য যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পাওয়াটাকে কোনো বাস্তব (material) ক্ষতি হিসেবে ধরা হয়না।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪০
শিক কাবাব বলেছেন: যেমন : আমি বলছি পড়ালেখা করলে ভালো চাকরী পাওয়া যাবে, বড় বেতন পাওয়া যাবে। অন্য একজন বলছে, পড়ালেখা করে লাভ নাই। এখন থেকে যদি আমরা দিনমজুরের কাজ শুরু করি তাহলে আগামী ৫ বছরে আমরা প্রায় ১ লাখ টাকা জমা করে ফেলতে পারবো।
এতে ৭০% ছাত্র পড়ালেখা ছেড়ে মজুরী শুরু করে দিল। ফলে দেশের ক্ষতি হল।
এটা কিন্তু বাকস্বাধীনতার মধ্যে পড়ে। তার মনে হয়ে পড়ালেখা করে লাভ নাই। তার এই কথাটিতে কার কার এফেক্ট হয়েছে, সেটা নিশ্চয়ই তার দেখার কথা নয়। তার পড়ালেখা পছন্দ না, সেটা সে মত প্রকাশ করেছে মাত্র। যে রকম মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে।
কি বলবেন?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৬
পালের গোদা বলেছেন: এই উদাহরনটা অবশ্যই বাকস্বাধীনতার মধ্যে পড়বে। আমার জানামতে বাংলাদেশ সহ দুনিয়ার কোনো জায়গায় খারাপ উপদেশ দেয়াটাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ধরা হয়না। কারণ মানুষ দিনের শেষে নিজের কাজের জন্য নিজে দায়ী। আপনি উপদেশ দিলেই মানুষ শুনবে কেন? দুনিয়াতে প্রতিটি মানুষই অন্য মানুষ দ্বারা কমবেশি প্রভাবিত হয়ে থাকে। কে কাকে কখন কি পরামর্শ দিচ্ছে তাতো মনিটর বা এনফোর্স করা সম্ভব না।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৮
শিক কাবাব বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ উত্তর দেয়ার জন্য।
আপনার কথা হিসাবে, আমি যা ইচ্ছা তা-ই বলতে পারি। আপনার যদি আপত্তি থাকে, মানহানির মামলা করুন। কিন্তু শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার অধিকার নাই।
সেই হিসাবে, এই ব্লগে কেন, বাংলাদেশের আনাচে কানাচে কেউ-ই বাকস্বাধীনতা কি, তা জানে না।
মাইর দিতে আসে।
কিন্তু মাইর না দিয়ে মানহানির মামলা কর।
ঠিক না?
জোর যার মুল্লুক তার। আমার শক্তি আছে, আমি আপনাকে গালি দিবো। আপনি আমাকে গালি দিলে আপনার জন্য কোপা সামসু পাঠাবো। এটাইতো চলছে দুনিয়া ব্যাপি। বাকস্বাধীনতা অধিকারটা পদদলিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৮
শিক কাবাব বলেছেন: বিয়টা আমি অনেক দিন চিন্তা করছিলাম। আপনি এ বিষয়ে লেখাতে একটু বেশী আগ্রহ দেখাচ্ছি আরকি। একচ্যুয়ালী বাকস্বাধীনতা বলতে আমার যা ইচ্ছা তা বলবো হওয়া উচিৎ। আমি যদি কারো মা বোনকে গালি দেই, দিবো। যাকে গালি দিচ্ছি তার কি মুখ নাই? সেও আমাকে সমান সমান গালি দিক। সমান হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু আমরা কি তা মানি? মানি না। আমরা এখন বাকস্বাধীনতা বলতে যা বুঝি, আমি তাকে গালি দিবো, কিন্তু সে আমাকে দিতে পারবে না। বাকস্বাধীনতা কি, তা সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যাবে না যাবে না যাবে না। সমাজ মেনে নিবে না। সমাজ এটা মেনে নিবে : আমি গালি দিবো, কিন্তু আমাকে গালি দিতে পারবে না।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪১
পালের গোদা বলেছেন: আমি exactly এটাই বোঝাতে চেয়েছি। কথার বা লেখার উত্তর কথা বা লেখা দিয়েই হয়। হাত বা অস্ত্র দিয়ে নয়। জোর করে কারো মুখ বন্ধ করা মানে তার ঈশ্বরপ্রদত্য/প্রকৃতিপ্রদত্য অধিকারে হস্তক্ষেপ করা।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০
শিক কাবাব বলেছেন: আরো ২০০ বছর পরে আইসা যদি দেখতে পারতাম বাংলাদেশের অবস্থা....
আমার চিন্তার সাথে আপনার দেখি অনেক মিল।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৪
পালের গোদা বলেছেন:
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাক স্বাধীনতা তাই
যা আসে মনে
তাই প্রকাশ করি
আপনার টানে ।
ভাল বাক স্বাধীনতার রচনা
শুভকামনা
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৪
গোপাল ভাঁড়ের গল্প বলেছেন: সামুতে লেখার যে কতগুলা নীতিমালা আছে! ঐ গুলা ভাংলে আবার লেখা মুইছা দেয়, ব্যান কইরা দেয়। একটা চটি পোষ্ট করলেতো মডুরা মনে হয় মুইছা দেয়। আপনে মডু হইলে অবশ্য মুছতেন না, এটা পরিস্কার।
এই সামু বাক স্বাধীনতা নিয়া কত মিটিং মিছিল কইরা ফেল্ল। আপনের বাক স্বাধীনতা তত্ব অনুযায়ী সামু একটা হিপোক্রেট, তাই না?
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৭
পালের গোদা বলেছেন: হা হা ভালই বলেছেন। আসলে এই ব্যাপারটা আগেই ক্লিয়ার করা উচিত ছিল। আমার তত্ত্ব অনুযায়ী সামু অবশ্যই হিপোক্রিট নয়। কারণটা উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করছি। ধরুন এদেশে ব্যয়াম করাটা অবৈধ নয়। অর্থাত এদেশের নাগরিকদের ব্যয়াম করার স্বাধীনতা রয়েছে। কাজেই আমি নিজের বাসায় কিনবা ব্যয়ামাগারে ব্যয়াম করলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যদি আমি আপনার বাসায় বেড়াতে যাই তাহলে নিশ্চই সেখানে ইচ্ছা হলেই আমি ব্যয়াম শুরু করতে পারি না, যদিও স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আমার ব্যয়াম করার অধিকার রয়েছে। কারনটা হচ্ছে, আপনার বাসাটা আপনার প্রপার্টি এবং সেকারণে আপনার বাসায় আমি বেড়াতে গেলে সেখানে আপনার টার্মস, আপনার সুবিধা অসুবিধা, আপনার ইচ্ছা অনিচ্ছা আমাকে consider করতে হবে। এবং সেখানে আমার আচরণ আপনার ভালো না লাগলে আপনি আমাকে চলে যেতে বলার অধিকার রাখেন, সেই আচরণ আইনত অবৈধ হোক আর না হোক।
আরেকটি উদাহরণ দেই। আমি অস্ট্রেলিয়াতে থাকি এবং চাকরি করি। এদেশে বাকস্বাধীনতা বা ফ্রিডম অফ স্পিচ/ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন সবার জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে এবং যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। আপনি এখানে এসে যদি প্রকাশ্যে বলেন যে এদের প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড একটা শুওর (বা আরো খারাপ কিছু) কিনবা যদি প্রকাশ্যে বলেন এদের মেজরিটির ধর্ম অর্থাত খ্রীষ্টধর্ম একটা জঘন্য ধর্ম, ওদের নবী একটা ফালতু লোক ছিল, মানুষ বড়জোর আপনার প্রতি বিরক্ত হতে পারে। কিন্তু আপনাকে কেউ মারতে আসা তো দুরের কথা, এদেশের আইন অন্য সকল নাগরিকের মত আপনারও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কিন্তু ধরেন আমি যদি কাল আমার অফিসে গিয়ে আমার বসকে গালিগালাজ শুরু করি, তাহলে নিশ্চই আমার চাকরি থাকবে না, যদিও এদেশ আমার বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। তার কারণ হচ্ছে আমার অফিস আমার নিজের প্রপার্টি নয় বরং অন্য কারো প্রপার্টি এবং সেখানে কাজ করতে হলে মালিকের ইচ্ছা আমাকে বিবেচনায় রাখতে হবে, এবং সেখানে চাকরিতে জয়েন করার সময় আমি তাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশনস এ সাইন করেছি। ঠিক যেমন কাজ না করে বসে থাকার অধিকারও আমার আছে কিন্তু তারপরেও আমি অফিসে কাজ না করে বসে থাকলে আমার চাকরি থাকবে না।
ঠিক একইভাবে সামু আপনার বা আমার প্রপার্টি নয় বরং অন্য কারো প্রপার্টি এবং সেটা ব্যবহার করতে হলে আপনাকে সামুর মালিকের ইচ্ছা বিবেচনায় রাখতে হবে, এবং সামুতে রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনি তাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশনস এ এগ্রি করেছেন। কাজেই আপনার যেমন রয়েছে বাকস্বাধীনতার কারণে যা খুশি বলার বা লিখার অধিকার, ঠিক তেমনি, সামুর মালিক বা মালিকের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত মডারেটর দের অধিকার রয়েছে আপনাকে সামু থেকে ব্যান করার, কারণ এইটা তার প্রপার্টি। কিন্তু বাংলাদেশ কিন্তু কারো প্রপার্টি নয়। কাজেই পুরো দেশের ক্ষেত্রে স্বাধীন নাগরিকদের মধ্যে কেউ কারো ইচ্ছেমত কথা বলতে বা কথা বলা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবার কথা নয়, যদি এই দেশে বাকস্বাধীনতা একটি নাগরিক অধিকার হয়ে থাকে।
৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৬
মোনশেদ শুভ্র বলেছেন: +++++
১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩০
অতুল মিত্র বলেছেন:
আপনি দুইটা কারনে যুদ্ধ করতে পারেন। ১) নিজের নিরাপত্তার জন্য। ২) অমুককে ভাল লাগে না এর জন্য। শুধুমাত্র প্রথম কাড়নটার জন্য একটি যুদ্ধ বাহবা পেতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ এখন একটি ফালতু ধারনা হয়ে গেছে। আপনি যদি যুদ্ধ এড়াতে চান অবশ্যই বাক-স্বাধীনতা থাকতে হবে।
বাক স্বাধীনতার মানে হল কথার যুদ্ধে জয় পরাজয়। যখন তা অতিরিক্ত শক্তি প্রদর্শনের পর্যায়ে যাবে তখনই একটি জাতি পিছিয়ে পরবে। এতা বোঝার জন্য ১৮ বয়স হলেই চলবে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
পালের গোদা বলেছেন: আপনাকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫
বুইড়া বলেছেন: বাকস্বাধীনতার উপর একতা রচনা খুজতাছিলাম। কিন্তু ডরায়েন না, কপি - পেস্ট দিমু না। মানে এক্তু জানার লাইজ্ঞা। ধন্যবাদ দাদা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
পালের গোদা বলেছেন: আপনাকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০৩
wrongbaaz বলেছেন: যার যা ইচ্ছা তাই বলতে পারবে এই ধারনা শুধুমাত্র যৌক্তিক ও সত্য তথ্যের জন্যই সমর্থনযোগ্য।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০২
পালের গোদা বলেছেন: দেখুন কোনটা যৌক্তিক আর কোনটা সত্য সেটাও তো তর্কসাপেক্ষ বিষয়। কাজেই আপনি যেটা বললেন, সেটা প্রাক্টিকালি এনফোর্স করা সম্ভব নয়। যেমন ধরুন ধর্ম বিষয়ে আস্তিকেরা যেমন মনে করেন তাদের যুক্তি অকাট্য, নাস্তিকেরাও তাই। basically উপরে উল্লেখিত responsible speech টাকেই আপনি বাকস্বাধীনতা হিসেবে চালাবার চেষ্টা করছেন। এবং এটাই এই ব্লগে আমার দেখা খুব কমন misconception। responsible speech নিয়ে সমস্যা গুলো আমি উপরে আলোচনা করেছি পড়েছেন আশা করি। যাই হোক, বাকস্বাধীনতা বলতে আসলে সেটা বোঝায় না। এইটাই আমি এই পোস্ট এ তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি।
আরেকটা কথা, কারো মতামত এর মধ্যে তো যুক্তি বা সত্যের কোনো বিষয় নেই। ধরুন আমার মতে যদি নটরডাম কলেজ খুব বাজে কলেজ হয়ে থাকে, সেই মত প্রকাশ করতে হলে আমাকে যুক্তি দিতে হবে? আপনিও কিন্তু আপনার মত দিয়েছেন, এবং তা হলো "যার যা ইচ্ছা তাই বলতে পারবে এই ধারনা শুধুমাত্র যৌক্তিক ও সত্য তথ্যের জন্যই সমর্থনযোগ্য"। আপনার কথা অনুযায়ী তাহলে দাড়াচ্ছে আপনি বাকস্বাধীনতা বলতে যা বোঝায় তা সমর্থনযোগ্য মনে করেন না, অর্থাত আপনি বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী নন। আপনার এই মতের সাথে আমি একদমই একমত নই, তবে ফ্রিডম অফ স্পিচ আমাকে শেখায় "you are entitled to expressing your opinion"।
১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩০
তোমোদাচি বলেছেন: আপনার যুক্তি অনুযায়ী বাক স্বাধীনতা দিতে হলে উলটা পালটা কথা বলার জন্য থাপড়ানোর স্বাধীনতাও থাকতে হবে।
মানষিক আঘাত কোন অংশেই শারীরিক আঘাত হতে কম নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে বেশী
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
পালের গোদা বলেছেন: আপনি লিখেছেন "মানষিক আঘাত কোন অংশেই শারীরিক আঘাত হতে কম নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে বেশী"।
একটা সভ্য জাতি হিসেবে বেড়ে উঠতে হলে ঠিক এই মেন্টালিটি টা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাকে মানসিক আঘাত শুধুমাত্র তারাই দিতে সক্ষম যাদের সাথে আমার মানসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিনা এমন কেউ আমার ব্যাপারে, কিনবা আমার মতাদর্শের ব্যাপারে কি বলল তাতে আমার মানসিক আঘাত পাওয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়। আর যদি কিছুটা বিরক্ত হইও, সেই কথার উত্তর আমি কথার মাধ্যমে দেয়াটাই সভ্য মানুষের লক্ষণ মনে করি। আর তাছাড়া মানসিক ক্ষতি বিষয়টি একটি vague বিষয় যার কোনো পরিষ্কার সজ্ঞা নেই। যেমন, ধরুন আমি রাস্তা দিয়ে আমার দামী মোবাইল এ কথা বলতে বলতে হেটে যাচ্ছি। তা দেখে যার ওই মোবাইল কেনার সামর্থ নেই, সেই মানসিকভাবে আঘাত পেতে পারে। তাহলে আপনার যুক্তি অনুযায়ী রাস্তা দিয়ে দামী মোবাইল নিয়ে হেটে যাবার অধিকার কাউকে দিতে হলে, অন্যান্যদেরকেও অধিকার দিতে হবে সেটা ছিনতাই করতে, কারণ তা নাহলে তারা মানুষিকভাবে আঘাত পাবে বা পেতে পারে। আবার ধরুন আমি ছেলে হয়ে লম্বা চুল রেখে রাস্তায় হেটে যাচ্ছি, তা দেখে বয়স্ক কোনো ব্যক্তি (যিনি ওনার জমানায় এমন দেখে বড় হননি বা অভ্যস্ত নন) মানসিকভাবে আঘাত পেতে পারেন এই ভেবে যে আজকালের ছেলেরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং তারা বিকৃত রুচি লালন করে। তাহলে আমাদের কি উচিত হবে লম্বা চুল দেখলেই ধলে চুল কেটে দেবার অধিকার সবাইকে দিয়ে দেয়া? নাকি উচিত হবে অন্য কারো চেয়ে দামী মোবাইল নিয়ে রাস্তায় বেরুনো, কিনবা লম্বা চুল নিয়ে রাস্তায় বেরুনো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা (এটা অনেকটা ধর্ষণের পরে ভিকটিম এর পোশাককে দায়ী করারই নামান্তর)? তাহলে তো আমাদের কিছু করারই স্বাধীনতা থাকবে না, কারণ কোন কাজে আবার কে মানসিক আঘাত পায়। এর আসল সমাধান হলো সবার নিজেকে পরসহিষ্ণু হতে শিক্ষা দেয়া। একটি সমাজে অনেক মানুষ একসাথে থাকতে হলে প্রতিটি মানুষের কথা এবং কাজ অন্য প্রিতিটি মানুষের পছন্দ না হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে আমরা হয় প্রত্যেকে প্রত্যেকের জিম্মি হয়ে থাকতে পারি, অথবা আমরা সবাই পরস্পরকে স্বাধীন করে দিতে পারি এবং অন্যকে সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারি, যতক্ষণ না তারা অন্যকার বস্তগত (material) ক্ষতি করছে (উন্নত বিশ্বের মানুষ সেই মানসিকতা অর্জন করতে পেরেছে এবং আমি মনে করি সেটা তাদের উন্নতির অন্যতম কারণ)। কথার বা লিখার মাধ্যমে আক্রমন (যেমন গালি দেয়া, সমালোচনা করা, কটাক্য করা) এবং শারীরিক আক্রমন (যেমন থাপড়ানো কোপানো, ইত্যাদি) এর মধ্যে একটি fundamental পার্থক্য রয়েছে। তা হচ্ছে কেউ আমাকে কথা বা লেখা দিয়ে যতই আক্রমন করুক, আমার মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা এবং অপরের বাকস্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে আমি তা ignore করতে পারি, কিনবা প্রয়োজনে কথা বা লেখার মাধ্যমেই পাল্টা জবাব দিতে পারি। কিন্তু শারীরিক আক্রমন আমি ignore করতে পারি না, এবং আমার বস্তুগত ক্ষতি সাধিত হয় (আর পাল্টা আক্রমনের কথা যদি বলেন তাহলে তো দেশটা জোর যার মুল্লুক তার এ পরিনত হবে)। আমার মতে স্বাধীন দেশের প্রতিটি স্বাধীন মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা থাকা উচিত যা খুশি তাই করার, যতক্ষণ না তার কাজে অন্যের বস্তুগত ক্ষতি না হচ্ছে। এবং বাকস্বাধীনতাও এই ব্যক্তিস্বাধীনতারই একাংশ।
সর্বশেষ আরেকটি কথা, "মানষিক আঘাত কোন অংশেই শারীরিক আঘাত হতে কম নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে বেশী", কথাটা যদি সত্য বলে মনেই করেন, তাহলে কেউ আপনাকে কথার মাধ্যমে মানসিকভাবে আঘাত করলে তাকেও আপনি কথার মাধ্যমে মানসিক আঘাতই করুন না। সেটাই তো বেশি আঘাত তাইনা? শারীরিক আঘাত করে এনার্জি নষ্ট করার কি প্রয়োজন?
১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪
বাদল দিনের গান বলেছেন: অসাধারন++++++
১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
রাতুলবিডি২ বলেছেন: বাক স্বাধীনতার অর্থ একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে । প্রশ্ন হচ্ছে আসিফ যা বলে/বলেছে এগুলো বলার অধিকার বাক স্বাধীনতার মাঝে পরে কি না? সরাসরি জবাব দিবেন আশা করি।
১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০৩
দি সুফি বলেছেন: বাকস্বাধীনতার মানে আরেকজনকে মুখের কথা দিয়ে আঘাত করা?? বাকস্বাধীনতা মানে একটা ধর্মের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং অশালীন কথা-বার্তা বলা??
এইগুলার নাম যদি বাকস্বাধীনতা হয়, তাহলে সেই বাকস্বাধীনতাকে কমোডে নিয়া ফেললাম।
১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
গোপাল ভাঁড়ের গল্প বলেছেন: আমার মন্তব্যের জবাবে যেটা বল্লেন তাতে প্রমান হইলো না যে পোষ্টের বাক-স্বাধীনতা তত্ব অনুযায়ী সামু হিপোক্রেট না। যাইহোক, সামুর হিপোক্রেসি নিয়া আমার কোন আগ্রহ নাই।
তবে আপনে এখন নতুন যেটা সংযোজন করলেন তা হইলো, অন্যের জায়গায় চলাফেরা করতে হইলে, কথা-বার্তা বলতে হইলে একটু রইয়া সইয়া বলতে হয়, একটু রইয়া সইয়া কাজ করতে হয়, তাই না?
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
পালের গোদা বলেছেন: আপনি বলেছেন "অন্যের জায়গায় চলাফেরা করতে হইলে, কথা-বার্তা বলতে হইলে একটু রইয়া সইয়া বলতে হয়, একটু রইয়া সইয়া কাজ করতে হয়"। দেখুন কি করতে হয় আর কি করতে হয় না সেটাতো যার যার বিবেচনা। আমি তো কথা বলছি অধিকার নিয়ে, উচিত অনুচিত নিয়ে নয়। আর উচিত অনুচিতের কথা যদি বলেন, সেটাও subjective, এবং সেটা নির্ভত করবে আপনি কি result চাচ্ছেন তার উপর। যেমন ধরুন আমি আমার শরীরের যত্ন নেব কিনা সেটা আমার ব্যাপার। আমার নিজের শরীরের যত্ন ঠিকমত না নেয়ার অধিকার আমার আছে। কিন্তু তারমানে এই নয় যে এর কোনো consequence থাকতে পারবে না। বাকস্বাধীনতা আমাকে যা খুশি তাই বলার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু আমার এই অধিকারের পাশাপাশি অন্যান্যদেরও বিভিন্ন অধিকার রয়েছে। আমার বাকস্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্য কেউ তাদের আইনসম্মত অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেনা এমন তো কোনো কথা নেই। যেমন পূর্বের উদাহরণ ধরেই বলি, আমি যদি কাল অফিসে গিয়ে বস কে গালাগালি শুরু করি, সেই অধিকার আমার আছে, এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনের দৃষ্টিতে আমি অপরাধী হবনা, কিন্তু তাতে রেগে গিয়ে বস যদি আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন, তখন তিনি আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী হবেন এবং assault এর মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন, কারণ আমার শরীরে আঘাত করার অধিকার তার নেই (আত্মরক্ষার জন্য ব্যতিত)। তবে আমাকে চাকরিচ্যুত করে অফিস থেকে বের করে দেবার অধিকার তো তার থেকেই যাচ্ছে, কারণ দুটোই তার property এবং তিনি সেই অধিকার যখন খুশি প্রয়োগ করতে পারেন, আমি গালাগালি করি বা না করি। অধিকার থাকলেই যে সেটা প্রয়োগ করতেই হবে এমন তো নয়, এবং তা প্রয়োগের কোনো বাস্তব ফলাফল থাকতে পারবে না তাও নয়, বরং কখন কোন অধিকার প্রয়োগ করা হবে সেটা যার যার desired outcome বিবেচনা করেই নির্ধারিত হওয়া স্বাভাবিক। যেমন ধরুন আমরা যারা বিবাহিত তাদের সবারই অধিকার রয়েছে ডিভোর্স নেবার, কিন্তু আমরা তো তা করি না, আবার বিয়ের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাটাই যাদের desired outcome , তারা ঠিকই ডিভোর্স নেবার অধিকার প্রয়োগ করেন। তাতে তাদের স্ত্রী/স্বামী মানসিকভাবে আহত হলেও সেটা তাদের অধিকার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৮
পুংটা বলেছেন: ভাই... আপনি তো রচনা লিখেছেন।