![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুর্নীতিতে বাংলাদেশ যে পরপর ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এটা সবারই জানা। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স অনেকেই জানেননা। অনেকেই মনে করে বাংলাদেশ এখনো ঠিক আগের মতই দুর্নীতির আখড়া, বিশেষ করে অনেকে মনে করেন এ বিষয়ে আগের সরকার এবং বর্তমান সরকারের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। তাই সকলের জ্ঞাতার্থে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের গত ১২ বছরের টিআইবি র্যাংক তুলে ধরলাম।
সূত্র: Click This Link
২০০১: ১ম
২০০২: ১ম
২০০৩: ১ম
২০০৪: ১ম
২০০৫: ১ম
২০০৬: ৮ম
২০০৭: ১৮তম
২০০৮: ৩৪তম
২০০৯: ৪২তম
২০১০: ৪৫তম
২০১১: ৬৩তম
২০১২: ৩১তম
কিছু বুঝলেন ভাইয়েরা?
২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২০
পালের গোদা বলেছেন: আমারোতো একই প্রশ্ন।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমার এক ক্লাসমেট দেখি এই সিংগাপুরে, এই মালেশিয়ায়, এই থাইল্যান্ডে ভ্রমন করেই বেড়াচ্ছে।
কিছুদিন আগে আমাকে বললো- আমেরিকায় নাকি দুটো বাড়ি কিনলে গ্রীনকার্ড পাওয়া যায় , সত্যি কিনা?
আমি বললাম, এরকমতো শুনিনি। তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখতে পারি।
এরপর আমার কৌতূহল হলো- জিগ্গাসা করলাম।আচ্ছা তোর বর কি করে রে? নগদ টাকায় বাড়ি কিনতে চাচ্ছিস আমেরিকায়?
ও বললো- আমার বর ছাত্রদল করতো, এখন যুবদল করে।
আমি বললাম- বরের নাম বলতো । দেখি চিনি কিনা।
ও নাম বললো-।
এই নাম আমি জীবনেও শুনিনাই।
বললাম- তোর বরের নামতো কোনো দিন শুনি নাই। এতো টাকার মালিক মনে করেছিলাম, বিরাট কোনো নেতা হবে।
ও বললো না, তেমন বড় নেতা না। মাঝারি স্তরের নেতা।
এরপর বললাম, এখনতো বিএনপি ক্ষমতায় নাই। তাহলেও এতো টাকা? আমেরিকায় বাড়ি কিনবি?
ও খুব গর্বের সাথে বললো- বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ওর বর এতো বেশী আয় করেছে যা নিয়ে আরো ৫ বার যদি বিএনপি ক্ষমতায় না আসে তবুও ওরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে বিলাসবহুল জীবন কাটাতে পারবে।
সবচেয়ে মজার কথা হলো- ওর আবার খালাতো ভাই এই সরকারের আমলে ওর বর বিএনপির সময় যেভাবে আয় করেছে ঠিক সেভাবেই করছে।
দেশের আম জনতা -মাথা বিছিয়ে দাও, আর কাঁঠাল ভাঙগতে থাকুক।
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: প্রশ্ন হলো সাধারণ মাঝারি মাপের নেতার যদি এ অবস্থা হয় তবে যারা ক্ষমতার শীর্ষে তাদের অবস্থান কোথায়।
দূর্নীতিতে পর পর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন কি আর এমনি এমনি হয়েছে????
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪১
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সর্ব প্রথম ২০০১ এ যে প্রথম হয়েছিল সেটা কোন শাসন আমলের প্রভাবে?
উত্তর: ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী শাসন আমল । বাংলাদেশে স্বজন প্রীতি ও দলীয়করণ বলতে যা দেখছেন তার জনক হলো মখা আলমগীর নামের এক কুলাঙ্গার ১৯৯৬-২০০১ শাসন আমলে । সেই দূর্নীত ও স্বজন প্রীতির ধারা ধরে রাখে বি এন পি ।
২০০৬ থেকে যে ধস নামে সেটার কৃতিত্ত কার?
উত্তর: সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের, যার ভয়ে আজ আওয়ামীলীগ থরহরি কম্প । তারা ২০০৬-২০০৮ উন্নতির যে দৃষ্টান্ত দেখিয়ে গেছে, দুর্নীতিবাজ দের যে জেল/জরিমানা/শাস্তি দিয়েছে --তার প্রভাব ছিল বেশ কয়েক বছর । যদি বি এন পির পর পরেই আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসতো তারা ওই ১ নম্বর ধারা বজায় রাখত সন্দেহ নেই । বাংলাদেশের ইতিহাসের জঘন্যতম অর্থমন্ত্রী নিয়ে দুর্নীতির এ উন্নতি দেখা লাগতনা । দুর্নীতিকে পুজি করেই আবুল হোসেনের হাত দিয়েই পদ্মা সেতু হয়ে যেত, বিশ্বব্যাঙ্কের এই বাড়াবাড়ি না করলেও চলত ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
পালের গোদা বলেছেন: "যদি বি এন পির পর পরেই আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসতো তারা ওই ১ নম্বর ধারা বজায় রাখত সন্দেহ নেই"
কিন্তু ২০০৯ এ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরে কিন্তু ২০০৮ এর অবস্থান বজায় থাকতে দেখা যাচ্ছে না, বরং উন্নতি হতে দেখা যাচ্ছে। সেটার কি ব্যাখ্যা?
৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
আরহাসান বলেছেন: সুচক কি বলে আমি জানিনা, কিন্তু জানি এখনও পাসপোর্ট করতে ঘুষ দেয়া লাগে, এখনও দিনে দুপুরে ট্টাফিক সার্জেন্ট চোখের সামনে টাকা নেয়, গাড়ির কাগজ নবায়ন করতে সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয় ( এই সবই ব্যক্তিগত অভিগ্গতা ).. আপনি কোন দল করেন জানিনা, আমি সাধারন জনগন . এটা বুঝি আগেও ্যা ছিল এখনও তাই আছে ১৯ আর ২০ ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
পালের গোদা বলেছেন: দেখুন দেশ থেকে দুর্নীতি একেবারে উঠে গেছে তা কিন্তু কেউ বলছে না। তাইই যদি হতো তাহলে তো বাংলাদেশের অবস্থান এই লিস্টে লাস্ট আসত। সেটাত আর হয়নি। তবে ছিচকা চুরি আর পুকুর চুরির মধ্যে পার্থক্য আছে। ট্রাফিক পুলিশ বা ঐ জাতীয় ঘুষ দেখে সারা দেশের দুর্নীতির সঠিক চিত্র কি পাওয়া সম্ভব? হাওয়া ভবনের কোটি কোটি টাকার ঘুষ আর সার্জেন্ট বা পাসপোর্ট অফিসের ১০০০/২০০০ টাকার ঘুষ ২টাকে এক করলে আপনারা বিগ পিকচারটি মিস করবেন। আর এভাবে আপাত দষ্টিতে যা মনে হয় তা থেকেই যদি রিলায়েবল ইনফরমেশন পাওয়া যেত তাহলে ত আর এত টাকা খরচ করে জরিপ, গবেষনা বা ভোটাভোটির কোনো দরকার পড়তো না। নির্বাচন কমিশনের কেউ বলে দিত মানুষের সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে তারা এবার বিএনপি কে ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছে, কাজেই, বিএনপি নির্বাচনে জয়ী, তারা ক্ষমতায় আসুক। কিন্তু তা না করে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভোটাভুটি হচ্ছে এবং ভোট গননা হচ্ছে। কারন উই নিড নাম্বারস, এন্ড নাম্বারস ডোন্ট লাই, আপাত দষ্টিতে যাই মনে হোক না কেন।
৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
ঢাকাবাসী বলেছেন: কত নম্বরে তা জানার দেখার মনে করিনা, দুনিয়াতে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে এখনো চ্যাম্পিয়নের কাছেই। ঘুষ ছাড়া এদেশে কোন কাজ হয়না রিপিট কোন কাজ হয়না। এটাই সত্য।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
পালের গোদা বলেছেন: ৫ নং মন্তব্যের উত্তর দষ্টব্য।
৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
নিকষ বলেছেন: অমুক ব্যাঙ্কে ২০০০ কোটি, তমুক ব্যাঙ্কে ৪০০০ কোটি, শেয়ার বাজারে প্রায় লক্ষ কোটি টাকার লুটপাট করাও এই সরকার সততার অবতার। চলব।
৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
নাম জেনে কি হবে? বলেছেন: বুঝলাম দালালি আপনি ভালোই করেন
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
পালের গোদা বলেছেন: আমি যা লিখেছি তথ্য প্রমান সহ লিখেছি। যে কেউ যে কোনো কিছুর পখ্খে কোনো যুক্তি দিলেই তাকে দালাল বলে গালি দেয়াটা এখন একটি ফ্যশন হয়ে দাড়িয়েছে। আরে ভাই কোনো দল ভালো কিছু করলে সেটাকে আমরা যদি ভালো বলতে না শিখি, আর অন্য কেউ ভালো বললে তাকে দালাল বলে গালি দেই তাহলে মানুষ ভালো কাজ করার মটিভেশন কোথা থেকে পাবে? তারা তো চুরিই করতে থাকবে। সেটাই কি চান?
৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৩
পালের গোদা বলেছেন: আমি বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবি এর গবেষনায় প্রাপ্ত তথ্য কেবল তুলে ধরলাম। নিজের কোনো মতামত পর্যন্ত দিলাম না। তাতেই আমাকে দালাল গালি শুনতে হলো। এবং এটা এই ব্লগ এ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তারমানে এখন ব্যাপারটা এমন দাড়িয়ে গেছে যে কোনো দলের বিরুধ্যে যেতে পারে বা পক্ষে যেতে পারে এমন কোনো তথ্য, সেটা যত বড় ফ্যাক্টই হোক না কেন, যত credible source এবং reference ই থাকুক না কেন, যত পরিষ্কার সত্য তথ্যই হোক না কেন, সেটা প্রকাশ করা বা তুলে ধরা মাত্র আপনি দালাল হয়ে গেলেন। অর্থাত দালাল গালি থেকে বাচতে হলে আপনি কোনো দলের স্পষ্ট অন্যায়ের প্রমান পেলেও তা প্রকাশ করতে পারবেন না, কিনবা কোনো দলের স্পষ্ট কোনো ভালো কাজের প্রমান পেলেও তাদের প্রশংসা করতে পারবেন না। করলেই আপনি দালাল। এর ফলে শিক্ষিত ভদ্রলোকেরা, যারা নিজেদের সম্মান নিয়ে থাকতে চান, তারা তাদের মত প্রকাশে বিরত থাকতে উত্সাহী হচ্ছে। আর শিক্ষিত ভদ্রলোকেরা যদি তাদের মুখ বন্ধ রাখে তাহলে কি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। আমি তো বলি যারা নিজের পছন্দের দলের বিরুধ্যে যেতে পারে এমন কিছু শোনামাত্র সত্য মিথ্যা কোনো কিছু যাচাই না করেই, এবং কোনরকম যুক্তি উপস্থাপন না করেই দালাল বা এই জাতীয় শব্দ চালিয়ে দেয় তারাই আসল দালাল। কারণ আলোচনা বা তর্ক বা মতপ্রকাশ করার বিন্দুমাত্র আগ্রহ তাদের নেই। তাদের কাজই হচ্ছে তাদের পছন্দের দলের বিরুধ্যে যেতে পারে এমন যে কোনো তথ্য বা মতামত (সেটা সত্য হোক, মিথ্যা হোক, ন্যায় হোক, কিনবা অন্যায় হোক) গালিগালাজের মাধ্যমে দমন করা। সেটা যদি দালালি না হয় তাহলে কোনটা দালালি?
১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৬
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: কিন্তু ২০০৯ এ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরে কিন্তু ২০০৮ এর অবস্থান বজায় থাকতে দেখা যাচ্ছে না, বরং উন্নতি হতে দেখা যাচ্ছে। সেটার কি ব্যাখ্যা?
আবার কপি পেস্ট করলাম:
তারা ২০০৬-২০০৮ উন্নতির যে দৃষ্টান্ত দেখিয়ে গেছে, দুর্নীতিবাজ দের যে জেল/জরিমানা/শাস্তি দিয়েছে --তার প্রভাব ছিল বেশ কয়েক বছর ।
ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই:
বি এন পির আমলে পাসপোর্ট করা কি ভয়ংকর হয়রানি ছিল সবাই জানে ,এয়ার পোর্টে কি হয়রানি হতে হতো যাত্রীদের তাও জানা।
তত্বাবধায়ক সরকার এমন অনেক জায়গাকে নিয়মতান্ত্রিকতার মাঝে এনেছে। পাসপোর্টের দায়িত্ব আর্মিকে দেয়ার সুফল জনগণ পেয়েছে এবং আওয়ামীলীগ সরকার শুধু সেটা চালু রেখেছে।
আপনি বরং ২০০১ এ প্রথমবারের মত শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হবার পেছনে কারা দায়ী---সেটার জবাব দিন।
১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আওয়ামী লীগ মুসলিম লীগের মতো দুস্ট; বিএনপি লুটেরাদের দল।
১২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
আর্যভট্ট বলেছেন:
২০১৩ আর ২০১৪'র কথা বাদ দিলেন কেন? ২০১৩'তে ১৬তম আর ২০১৪'তে ১৪তম।
http://www.transparency.org/cpi2014/results
http://www.thedailystar.net/bangladesh-14th-most-corrupt-country-53165
১৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
জামাই বাবু বলেছেন: আপনার দেয়া তথ্য সঠিক নয়। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রথম হয়েছে দুর্নীতিতে। এরপর
২০০৬ : তৃতীয়, আপনি বলেছেন ৮ম
২০০৭ : সপ্তম, আপনি বলেছেন ১৮তম
২০০৮ : দশম, আপনি বলেছেন ৩৪তম
২০০৯ : ১৩তম, আপনি বলেছেন ৪২তম
২০১০ : ১২তম, আপনি বলেছেন ৪৫ তম
২০১১ : ১৩ তম, আপনি বলেছেন ৬৩ তম
২০১২ : ১৩ তম, আপনি বলেছেন ৩১ তম।
এসব আজগুবি তথ্য কবে কোথায় পেলেন। যে লিঙ্ক দিয়েছেন, তাতে একটু মনযোগ দেন।
নতুন তথ্য যোগ করি
২০১৩ : ১৬ তম আর
২০১৪ : ১৪ তম অবস্থান বাংলাদেশের। অবস্থান যাইহোক দুর্নীতি বাংলাদেশে কমেনি। অন্যরা বেশি দুর্নীতি করায় বাংলাদেশ অবস্থান হারিয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১১
খেয়া ঘাট বলেছেন: ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ততো ভালোই ছিলো.....২০১২ তে এসে আবার কি হলো?