![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোন মর্তের জীব, অন্যরে যত করিবে পীড়ন নিজে হবে তত ক্লীব।
এই শহর থেকে চরম অসম্মান করে বের করে দেওয়া হয়েছিলো তাঁকে। তখন তিনি জনবল হীন, এতিম। শহর থেকে পালিয়ে যেতেও অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। ধরতে পারলে মেরা ফেলা হবে। ধরে দিতে পারলে মিলবে পুরষ্কার।
আজ ঘটনা ভিন্ন। ধুলোয় মলিন সেই মুখ খানায় স্মিত হাসি জমেছে। এতিম মানুষটার পাশে দাঁড়িয়েছে সময়ের সাহসী সন্তানেরা। তারা ভালবাসেন প্রানের নেতাকে। তাঁর একটা সম্রাজ্য হয়েছে। খেজুর পাতার পাটিতে বসে তিনি রাজ্য পরিচালনা করেন। পাথরের টিবিই তাঁর সিংহাসন।
তাড়িয়ে দেওয়া শহরে তাঁর নেতৃতে আক্রমণ করা হয়েছে। মুখোধ্বনিতে ভেঙ্গে পড়েছে প্রতাপশালী শত্রু শিবির। কুকুরের মত পালিয়েছে সব।
সেনাপতি হেঁটে বেড়াচ্ছেন শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত প্রিয় শহরে।
এক বৃদ্ধা নিজের চেয়ে তিনগুন বড় পুটলি নিয়ে পড়েছে বিপদে। শরীর টেনেই পালানোর সমর্থ নেই তার। আত্মীয়রা নির্দয়ভাবে বৃদ্ধাকে ফেলে পালিয়েছে। এতদিনের কষ্টে উপার্জিত সম্পদ রেখে কি করে যায়? সমূদয় সম্পদের একটা পুটলি বাধলেন। এখন এটা টেনে নেওয়াও বিপদ।
ফর্সা, লম্বা গড়নের একজন মানুষ এলেন। মুখে তাঁর আন্তরিকতার হাসি
-বুড়িমা কোথায় যাবেন?
-বাবা আমি দুরের ঐ পাহাড়টার আড়ালে যাবো।
-পুটলিটা আমার মাথায় দেন।
বৃদ্ধা সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায়, মেরে দেবে না তো? তাকিয়ে দেখে এই চোখে মুখে নির্ভরতার ছাপ। এই দৃষ্টি কাওকে ঠকাতে পারেনা। আপন মনে হাটে বুড়ি। আগে আগে পুটলি কাঁধে অচেনা মানুষটি।
-বাবা তুমি কোথায় যাবে? নিরাপদে পৌঁছে জিজ্ঞেস করে বুড়ি।
-আমি এই শহরেই যাবো।
-না!! এ শহরে যেওনা। আব্দুল্লাহর ছেলে মুহাম্মাদ এসেছে। সে সবাইকে মেরে ফেলবে। আমরা তাঁকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আজ তার প্রতিশোধের পালা। পেলেই খতম। তুমি আমার সাথে লুকিয়ে থাকো।
লোকটি হাসেন।
কথা বাড়ায় বৃদ্ধা
-বাবা, আমার আত্মীয়রা সবাই পালিয়ে গেলো নিজেকে নিয়ে, তুমি নিজের চিন্তা না করে এত ভারি পুটলি এতদুর এগিয়ে দিলে বিনা পরিশ্রমে।ইচ্ছে করলে আমায় মেরে সম্পদগুলো নিয়ে পালিয়েও যেতে পারতে। এ যুগে এমন মানুষ হয়না বাবা। তা তোমার নাম কি? কোন শহরে জন্ম তোমার?
-বুড়িমা, এই শহরের ছেলে আমি। নাম মোহাম্মাদ, বাবার নাম আব্দুল্লাহ। যার ভয়ে আপনি নগর ছেঁড়ে পালাচ্ছেন।
'নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে নাম/ সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াস সাল্লাম...'
(হে বিশ্বনবী (সঃ)! আমাদের ক্ষমা করবেন, আপনার জীবনী পড়ে চোখের জল ফেলা লোকের অভাব নেই। শিক্ষা নেওয়া লোকের বড্ড অভাব।)
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২১
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু। আমরা বড়ই অভাগা। জন্ম নিতে চৌদ্দশ বছর দেরী করে ফেলেছি। তাঁর চরম শত্রুদেরও যে ভালোবাসা দিয়েছেন, বুকে টেনে নিয়েছেন। আমরা হলে কি করতাম ভাবতেই পারিনা।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৫
মহান অতন্দ্র বলেছেন: চমৎকার লেখা। ভাল লাগলো।
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার লেখা।
এ কাহিনীগুলো যত বার ততবারই ভাল লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে নাম/ সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াস সাল্লাম...
+++++++++++++
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার শেয়ার ।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৩
তিথীডোর বলেছেন: চমৎকার!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তোমার দিদার বিহনে গো
পার হইব কেমনে
দয়াল নবীজী তরাইও নিধানে ঐ
জানাই লক্ষ কোটি দরুদ ছালাম তাঁর রওজা মোবারকে ।
সুন্দর লেখনী +