![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লোপা পুরা নাম নাদিয়া জাহান লোপা , অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি ।
আমার চেহারা ইন্ডিয়ার এক নায়িকার সাথে অনেকটা মিলে যায় বলে কেউ কেউ আমাকে ওই নায়িকার নামেও ডাকে । ঘনিষ্ট বান্ধবীরা আমাকে ক্ষেপানোর জন্য লেপ বলে ডাকে। আমি বোরখা পরে কলেজে আসি কারণ যতটা না ধর্মীয় তারচেয়ে অন্য কারণ বেশি, যেমন অসম্ভব সুন্দরী বলে অনেকেই হা করে তাকিয়ে থাকতো বা প্রপোজ করতো এখন সে সমস্যা নেই, আর বোরখা পড়লে ভালো মেয়ে হিসাবে সবাই চিহ্নিত করে সেটাও একটা ফিল গুড ফ্যাক্টর ।
এইবার আসি মূল ঘটনায় ঘটনার নায়ক জাহিদ স্যার । আমাদের ইংরেজির শিক্ষক অবিবাহিত ভদ্র ও অসম্ভব ভালো কিন্তু প্রচন্ড রকমের অহংকারী । নিজেকে সবসময় গুটিয়ে রাখেন অথচ আমি কত ভাবেই উনাকে বুঝতে চেষ্টা করেছি যে উনাকে পছন্দ করি কিন্তু গুড়ে বালু উনি কিছু বুঝেন নাই এইভাবে ন্যাকা সেজে এড়িয়ে গেছেন। ব্যার্থতা আমার মধ্যে একধরণের অপমান বোধ এনে দিয়েছে সেই সাথে জিদ । কি নেই আমার সামাজিক পরিচয় থেকে চেহারা ফিগার তারপরেও কেন উনি এড়িয়ে যাচ্ছেন বুঝিনা। শেষমেশ বান্ধবী নিপার পরামর্শে অন্য বুদ্ধি করলাম দেখি স্যারের সাথে ঘনিষ্ট হয়ে কিছু পাওয়া যায় কিনা ।
জাহিদ সার কলেজের পরে বিকালে কলেজের পাশেই একটা রুম ভাড়া নিয়ে ব্যাচ করে টিউশনি পড়ান। আমি আর নিপা উনার কাছে যেয়ে বললাম
-স্যার আমাদের পড়াতে হবে
- স্যার বললেন দুজন তো আমি পড়াই না অন্তত পাঁচজনের ব্যাচ না হলে কেমন হয় ।
আমাদের পীড়াপিঁড়িতে শেষমেশ উনি রাজি হলেন। আজ পনেরদিন হলো স্যারের কাছে পড়ছি দুইবার লজ্জার মাথা খেয়ে খাতায় লিখেছি স্যার আমি আপনাকে পছন্দ করি কাজ তো হলোই না উল্টা উনি বললেন আগামী মাস থেকে উনি নাকি আমাদের আর পড়াবেন না । আমার জিদ জিঘাংসায় পরিণত হচ্ছে এই অপমান মানা যায় না ।
আজ নিপা আসেনি আমি একাই পড়ছি, বৈশাখ মাসের গরমের কারণে বোরখা খুলে পাশেই রেখে পড়তে বসেছি । স্যার শেক্সপিয়ারের রোমিও এন্ড জুলিয়ট পড়াচ্ছেন । হটাৎ আমার মাথায় বুদ্ধিটা খেলে গেলো সাথে সাথে আমি একটানে আমার ব্লাউজ টা ছিঁড়ে ফেললাম এখন আমার উর্ধাঙ্গে শুধু ব্রা ,
স্যার করো কি ! করো কি! বলে পাশথেকে আমার বোরখা নিয়ে আমার শরীর ঢাকতে চেষ্টা করলেন। আমি শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে চিৎকার করলাম বাঁচাও বাঁচাও স্যার হতভম্বের মত দাঁড়িয়ে আছেন হুড়মুড় করে বেশ কয়েকজন মানুষ রুমে ঢুকে পড়লো, সম্ভবত উনারা পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ,মেয়ে কণ্ঠের চিৎকার শুনে ছুঁটে এসেছেন । আমার অবস্থা দেখে তারা বিভ্রান্ত হয়ে মনে করলো ধর্ষণ প্রচেষ্টা ইদানিং এই জিনিস পেপার খুললেই দেখা যায় । এইধরণের ঘটনা প্রাইমারি স্কুল ,মাদ্রাসা ,কলেজে প্রতিদিন খবরের শিরোনাম হচ্ছে ।
কয়েকজন স্যারের উপর ঝাঁপিয়ে পরে মার্ শুরু করলো ।কয়েকজন আমাকে অভয় দেয়ার জন্য শান্তনা দিতে লাগলো । কেউ পুলিশ ডাকতে ফোন দিচ্ছ লোক বাড়ছে আর হইচই বাড়ছে । হটাৎ একজন বললো শালা অজ্ঞান হয়ে গেছে কেউ একজন বললো শালা ভঙ্গ ধরছে মার্ শালারে । মাটিতে পড়েথাকা স্যারের উপর লাত্থি চলতেই থাকলো ।
এরমধ্যে পুলিশ এসে সবাইকে মাটিতে পড়া স্যারের দেহ থেকে একটু দূরে সরিয়ে দিলো । দারোগা স্যারের মাটিতে পরে থাকার ভঙ্গি দেখে ভুরু কোঁচকালেন অভিজ্ঞ মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ নিয়ে স্যারের পড়েথাকা দেহের পাশে বসে এক হাতে কব্জির নার্ভ ও অন্যহাত নাকের পাশে রাখলেন । মিনিট খানেক নীরবতা এরপর দারোগা বললেন এ তো মরে গেছে আপনারা কে কে ঘটনার সাক্ষী হবেন? এক মিনিটের মধ্যে ঘর খালি ।মার্ডার কেস কেউ ঝামেলা চায় না । এখন রুমের মধ্যে পুলিশ আমি আর স্যারের মৃতদেহ ।স্যারের চোখ দুটো খোলা সেখানে অসহায় দৃষ্টিতে রাজ্যের বিস্ময়।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
বাংলার মেলা বলেছেন: ভালোই তো! নারী জাতিকে কোরবাণির গরু বানিয়ে দিলেন। আপনার লেখা পড়ে এক শ্রেণীর পন্ডিত নারী জাতির ছল চাতুরীর কাছে পুরুষ কত অসহায় - তা নিয়ে বিষ লেসনে লেগে যাবে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
আসামিহাজির বলেছেন: নারী কভু নাহি চায়
একা হতে কারো
ওরা দেবী, ওরা লোভী
যত পূজা পায়, তত চায় আরো
ইহাদের অতি লোভী মন
একজনে তৃপ্ত নয়
এক পেয়ে সুখী নয়
যাচে বহুজন!!!!!!!
_____কাজী নজরুল ইসলাম আমার এই গল্প লেখার আগে লিখেছেন আমাকে দশ দিয়ে লাভ কি বলুন
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বড্ড তাড়াহুড়ো.....
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মানুষ, তুমি বড্ড তাড়াহুড়ো........
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: ভালো সিনেমা