নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নামহীন যুবক

নিজে ভালো তো দুনিয়া ভালো

নামহীন যুবক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা লস্ট গস্পেল (The Lost Gospel) -২

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

এই পর্বটি পড়ার আগে দ্যা লস্ট গস্পেল (The Lost Gospel) -১ পড়ে নিন।



গত পর্বের পর থেকে, বারনাবাস অনুসারে হযরত ঈসা (আ) এর জীবনী-



যে জায়গায় হযরত ঈসার (আ) জন্ম হয়েছিল তার নাম ছিল হিব্রুতে বাইতে-লাহম এখন যাকে আমরা বেথেলহেম(Bethlehem) জেরুজালেমের পূর্বদিকে এর অবস্থান।





বেথেলহেমের মানচিত্র





নিচের ছবিতে দেখছেন প্রাচীন বাইতে-লাহাম (বেথলহেম) শহর





প্রাচীন বেথেলহেম শহর







ঈসার সাথে বারনাবাসের পরিচয় জেরুজালেমে। তাই পরিচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ঈসার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বারনাবাস নিশ্চয়ই লোকমুখেই শুনেছিলেন, তাই তাঁর নবুয়াত পাওয়ার আগ পর্যন্ত গস্পেলে বর্ণিত ঘটনাগুলো অনির্ভরযোগ্য বলে ধরে নিচ্ছি। নবুয়াত এর ঘটনা থেকে শুরু করছি।



কুরআনেই আছে হযরত দাউদ (আ) কে আল্লাহ্‌ এমন ক্ষমতা দিয়েছিলেন তিনি চাইলে লোহাকে মাটির মত যেমন খুশি আকৃতি দিতে পারতেন, তিনিই প্রথম লোহা দিয়ে বর্ম বানিয়েছিলেন পাশাপাশি তিনি বই লিখার কাজ করতেন।



" আমি দাউদের জন্য লোহাকে নরম করে দিয়েছি এবং তাকে বলেছি প্রশস্ত বর্ম তৈরী কর , কড়া সমূহ যথাযথভাবে সংযুক্ত কর । আর তোমরা নেক আমল করতে থাকো ...(সুরা সাবা-১০/১১)



আমাদের নবীও (স) মেষ চড়াতেন আর পরে ব্যবসা করতেন। মুসা (আ) মেষ চড়াতেন। হযরত ঈসা (আ) কী কাজ করতেন ? জন্মগতভাবে ইহুদি পরিবারে সন্তান হযরত ঈসা ছিলেন ইয়াহুদিয়া প্রদেশের নাসরাত গ্রামের একজন কাঠমিস্ত্রি।



একটা বিষয় অবশ্যই উল্লেখ্য, খ্রিস্টানরা জোসেফ নামের একজনকে মেরীর স্বামী আর যীশুর পালক বাবা বলে থাকে। তাদের মতে, যীশুর জন্মের সময় মরিয়মের (মেরী) জোসেফের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে ছিল। কিন্তু, কুরআনের কোথাও কোন সূত্রে জোসেফের নাম উল্লেখ নেই, কোথাও স্বীকারও করা হয়নি তাঁর সাথে মরিয়মের (মেরী) বিয়ের কথা। হত। তবে, তাফসিরে ইবনে-কাসিরে জোসেফের কথা বলা আছে!! মরিয়মের (মেরী) সাথে তাঁর কথা হত। তিনি ছিলেন খুবই নেক বান্দা। পরে কোন এক পর্বে জোসেফ আর মেরীর ঘটনা তাফসির থেকে বর্ণনা করব ইনশাল্লাহ।





আধুনিক বাইতে-লাহাম(বেথলহেম) শহর নিচের ছবিটা







আধুনিক বেথেলহেম শহর





আরেকটা ব্যাপার হল ঈসার জন্মের সময় মরিয়ম কুমারী থাকলেও তিনি আজীবন কুমারী তথা অবিবাহিত ছিলেন কিনা এই ব্যাপারেও কোথাও বলা হয়নি। তাই আমরা নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছি না।

কুমারী ছিলেন না বিবাহিতা ছিলেন এইসব বলার মুল কারণ হল তৎকালীন সময়ে ইহুদি সমাজে অবিবাহিত থাকাকে খারাপ চোখে দেখা হত। কিন্তু, কুরআন এটা আমাদের নিশ্চিত করেছে যে, ঈসার জন্মের সময় মরিয়ম মোটেও বিবাহিতা ছিলেন না, খ্রিস্টানরাও তাই ভাবে। কিন্তু আপনারা জানেন ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী সেই প্রাচীনকাল থেকেই, তাই মরিয়মকে তৎক্ষণাৎ অপবাদ দিতে তেমন কাউকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁর খালু হযরত জাকারিয়াকে (আ) দায়ী করে ঈসার জন্মের জন্য।



বর্তমান কালে ইহুদীরা বলে, “অসংখ্য ভণ্ড নবীদের মধ্যে ঈসা আর মুহাম্মাদ ছিল অন্যতম। ঈসা ছিল মরিয়মের জারজ সন্তান। রোমান সৈন্যরা ইয়াহুদা প্রদেশ রেইড করেছিল একবার, আর তখন রোমান বাহিনীর প্যানডোরা নামের এক সৈন্য মরিয়মকে ধর্ষণ করে আর তার ফসল ছিল ঈসা।” (নাউজুবিল্লাহ) এটা হল ইহুদিদের ধারনা।



ঈসার চারজন ভাইয়ের কথা অন্যান্য বাইবেলে পাওয়া যায়। বোনের কথাও। এর মানে কি মরিয়ম বিবাহ করেছিলেন? আমরা জানি না। খুব সম্ভবত, এ ভাই বোন বলতে ঈসার আত্মীয়র কথা বোঝানো হয়েছে, কোন বাইবেলেই ঈসার জন্মের পরে কিংবা ঈসা বড় হবার পরে একবারও মরিয়ম এর সম্পর্কে এমন কথা বলা হয়নি যে তিনি বিবাহিত, অথবা বিধবা !! আমার মনে হয় বিবাহিতা হলে কোথাও না কোথাও সেই তথ্য পাওয়া যেত। এত বড় একটা ঘটনা কুরআন বা বাইবেলে এড়িয়ে যাওয়া হবে মনে হয় না। এটা ইঙ্গিত করে যে তিনি বিবাহিত ছিলেন না। ইহুদি চক্রান্তকারীরাই এই অপবাদ দিয়েছে।

এছাড়া, বড় প্রমান মেরী অবিবাহিতা ছিলেন বলেইতো চার্চের নানরা মেরীকে অনুসরণ করেই অবিবাহিত থাকে। সিমিলারলি, ফাদাররাও অবিবাহিত কারণ যীশু ঈসা বিবাহিত ছিলেন না।



যাই হোক মাউন্ট অলিভের নাম হইত অনেকেই শুনে থাকবেন,যাদের জানা নেই তাদের জন্য বলছি- আরবিতে জাবালুজ জাইতুন (جبل الزيتون) আর হিব্রুতে হার হা-জাইতিম ( הר הזיתים )। অলিভ মানে জলপাই, আরবিতে জাইতুন হিব্রুতে জাইতিম ।



মনে করে দেখুন,সুরা তীন এর প্রথম আয়াত-



ওয়াত্তিনি ওয়াজ্জাইতুনি ওয়াতুরি সিনিনা ...

অর্থ- শপথ তীন (ডুমুর) ও জাইতুনের(জলপাই) । শপথ সিনাই ও তূর পর্বতের, এবং এই নিরাপদ নগরীর মক্কার ।”



কী ইঙ্গিত করা হয়েছে এখানে? এই তিনটি স্থান পবিত্র কেন ? কারণ, জাইতুন বা জলপাই এর নাম নিয়ে ইঙ্গিত করা হয়েছে জাইতুন পাহাড় বা মাউন্ট অলিভকে।

নিচের ছবিতে সেই মাউন্ট অলিভ দেখছেন যেখানে ঈসা(আ) এর উপর ইঞ্জিল তথা বাইবেল নাজিল হয়।





জইতুন পাহাড় বা mount অলিভে যেখানে ইঞ্জিল নাযিল হয়





সিনাই হল সেই পাহাড় যেখানে মুসা(আ) এর উপর তাওরাত নাজিল হয়। নিচের ছবিটি সিনাই পর্বতের







sinai পর্বত বা mount sinai যেখানে মুসা(আ) এর উপর তাওরাত নাযিল হয়







আর নিরাপদ মক্কা হল যেখানে সাওর পাহাড় যার হেরা গুহায় নাযিল হয় মহাগ্রন্থ আল-কুরআন



গত পর্বের পরে, নিচে continue করলাম...





অধ্যায় ১০

বারনাবাসের বলেন-

ঈসা আমাকে বলেছিলেন, যখন তাঁর বয়স ৩০ বছর, তখন একদিন তিনি তাঁর মায়ের সাথে Mount Olives-এ গেলেন জলপাই কুড়াতে। সেখানে দুপুরবেলা যখন তিনি নামাজ আদায় করছিলেন, (তখন নামাজের অন্য নিয়ম ছিল) তখন তাঁর কানে এলো “হে প্রভু, তুমি করুণাময়...”; তাঁর চারপাশে তখন উজ্জ্বল আলো আর আলো, এবং অসংখ্য ফেরেশতা যারা বলছে, “আলহামদুলিল্লাহ!!” তখন ফেরেশতা জিব্রাইল(gabriel) তাঁর চোখের সামনে একটি উজ্জ্বল আয়নার মতো বই তুলে ধরলেন। ঈসা সেটার দিকে তাকাতেই যেন তাঁর হৃদয় জ্ঞানে ভরে গেল, আল্লাহ যা করেছেন আর বলেছেন এবং যা চান সব যেন তাঁর হৃদয়ে গেঁথে গেল; পরে ঈসা আমাকে একবার বলেছিলেন, “বিশ্বাস করো, বারনাবাস, আমি আমার পূর্ববর্তী সব নবীর সব কিতাবের আয়াত জানি। এত বেশি জানি যে, আমার মনে হয় আমি যখন কথা বলছি তখন কথাগুলো অবিকল যেন সেই কিতাব(ইঞ্জিল) থেকেই আসে ”



নবুয়াত পাবার পরে ঈসা বুঝলেন যে তিনি বনী ইসরায়েল জাতির কাছে প্রেরিত এক নবী। তিনি তাঁর মা মরিয়মকে বললেন যে, তিনি নবী হয়েছেন। তাই তিনি আর আগের মতো মায়ের সেবা করতে পারবেন না, কারণ তাঁকে আল্লাহর বাণী প্রচারের কাজে নামতে হবে। একথা শুনে মরিয়ম উত্তর দিলেন, “বাবা, তোমার জন্মের পূর্বেই আমাকে বলা হয়েছিল তুমি আল্লাহ্‌র পয়গাম্বর হবে; যাই হোক, আলহামদুলিল্লাহ।” সেদিন থেকে নবী ঈসা মা’কে রেখে তার বানী প্রচারের কাজ শুরু করলেন।



অধ্যায় ১১



ঈসা মার থেকে বিদায় নিয়ে এলেন ইয়ার-উস সালামে আমরা যে শহরকে জেরুজালেম নামে চিনি। হিব্রুতে ইয়ার-উস-সালাম মানে শান্তির শহর; সেখানে তাঁর সাথে দেখা হল এক কুষ্ঠরোগীর, যাকে ঐশী উপায়ে জানানো হয়েছিল যে তিনি (ঈসা) নবী। তাই সে কেঁদে কেঁদে তাঁকে বলল, “ঈসা, দাউদের বংশধর, আমার প্রতি রহম করুন।” ঈসা বললেন, “ভাই, তুমি আমার কাছে কী চাও ?”



কুষ্ঠরোগী বলল, “প্রভু ,আমাকে ভাল করে দিন।”



ঈসা তাঁকে ধমক দিয়ে বললেন, “বোকা কোথাকার, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন সেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো, একমাত্র তিনিই তোমাকে ভাল করতে পারেন। আমি প্রভু নয় তোমার মতই সামান্য মানুষ।”



কুষ্ঠরোগী বলল, “জানি, কিন্তু আপনি আল্লাহর এক প্রিয় বান্দা, তাই আপনি তাঁর কাছে আমার জন্য দোয়া করুন যাতে আমার কুষ্ঠ ভাল হয়।”



দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঈসা তখন বললেন, “হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ! এ অসুস্থ রোগীকে ভাল করে দিন।” এই বলে তিনি রোগীটিকে হাত দিয়ে ছুঁয়ে বললেন, “ভাই, তুমি ভাল হয়ে যাও!” এ কথা বলার সাথে সাথেই কুষ্ঠরোগী ভাল হয়ে গেল, তাঁর চামড়া এত সুন্দর হয়ে গেল যেন সদ্যজাত শিশুর চামড়া। এ কাজ দেখে লোকটি উচ্চস্বরে চিৎকার করল, “হে ইসরায়েলবাসী !! এদিকে এস, আল্লাহর নতুন নবীকে এসেছেন,তাকে গ্রহণ করো!!” ঈসা বললেন, “ভাই চুপ কর, কিছু বোলো না।” কিন্তু সে বলেই চলল, “দেখে যাও নবীকে!! দেখে যাও আল্লাহর পবিত্র বান্দাকে !!” এ চিৎকার শুনে জেরুজালেম থেকে বেরিয়ে যাওয়া অনেকেই শহরে ফিরে এলো, কারণ কুষ্ঠরোগীর ঘটনা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ততক্ষণে।



অধ্যায় ১২



সারা শহরের লোক ঈসাকে দেখতে ছুটে এলো বাইতুল মুকাদ্দাসে, যেখানে ঈসা ছিলেন। নিচের ছবিতে দেখছেন বাইতুল মুকাদ্দাস, যেটি সোলাইমান(আ) জীনদের মাধ্যমে তৈরি করেছিলেন, মুসলিম, ইহুদি, খ্রিস্টান তিন জাতির জন্য পবিত্র স্থান। এখন তা ইসরায়েলি ইহুদিরা জোর করে দখল করে রেখেছে



বাইতুল মুকাদ্দাস। সামনের উঁচু দেওয়াল ইহুদিদের উপাসনার স্থান বা western wall





মসজিদের সামনে বড় যে খালি মাঠ দেখছেন যেখানে মানুষ হাটা হাটি করছে সেই স্থানটির নাম western wall,এইটাই মূলত ইহুদিদের প্রার্থনা করার স্থান। নিচের ছবিতে দেখুন এক ইহুদি রাব্বি Western Wall এর সামনে প্রার্থনা করছে।





ইহুদি রাব্বি প্রার্থনারত





ইহুদিরাও কিন্তু দাড়ি -টুপি পরে আমাদের মত দেখে ভুল করবেন না।







নিচে western wall এ প্রার্থনারত তাদের আরও কিছু ছবি। আমরা যেমন কাবা’ই যাই, তারা western wall এ আসে।









ইহুদিদের western wall এ প্রার্থনার দৃশ্য









কুষ্ঠ রোগীর কথা হচ্ছিল,

যখন কুষ্ঠ রোগী সবাইকে ডাকতে লাগল নবীকে দেখার জন্য,

তখন ইহুদি ইমামেরা ঈসাকে বলল, “এ লোকেরা আপনার কথা শুনতে চায়, আল্লাহর কসম, এদের কিছু শোনান।”



তখন ঈসা কথা বলার বেদীতে উঠে বসলেন। তিনি হাত উঁচু করলেন সবাইকে চুপ করতে, তারপর বলতে শুরু করলেন, “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি দয়া করে তাঁর বান্দাদের সৃষ্টি করেছেন, যেন তারা তাঁর সত্ত্বাকে জানতে পারে আর তাঁর প্রশংসা করতে পারে। সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি তাঁর পবিত্র বান্দা ও নবীদের রূহ সৃষ্টি করেছেন, যেন তাঁর বান্দারা রক্ষা পায়, যেমন তিনি তাঁর বান্দা দাউদকে বলেছিলেন, ‘ইবলিসের হাত থেকে বাঁচাতে আমি তোমাদের পাঠিয়েছি।’ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁকে সেবা করার জন্য ফেরেস্তাদের সৃষ্টি করেছেন। আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি শয়তানকে তার অবাধ্যতার শাস্তি দিয়েছিলেন, কারণ আল্লাহ যাকে সিজদা করতে বলেছিলেন সে তাঁকে সিজদা করেনি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি মানুষকে কাদা মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন আর দুনিয়াদারীতে পাঠিয়েছেন। সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি পবিত্র আদেশ অমান্যের অপরাধে বেহেশত থেকে নির্বাসিত করেন মানুষকে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি মানবজাতির আদি পিতামাতা আদম-হাওয়ার ক্রন্দনে ক্ষমাসুলভ আচরণ করেন। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি ধ্বংস করে দেন তিনটি দুষ্ট নগরীকে (সডম Sodom, গমোরা Gomorrah (লুত এর কওম) আর আ’দ জাতির নগরী); সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি মিসরকে শাস্তি দেন, ফিরাউনকে ডুবিয়ে মারেন লোহিত সাগরে (Red Sea), বিশৃঙ্খল করেন শত্রুদের, কাফিরদের ইমানদার বানান আর বিরোধীদের ধ্বংস করেন। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দাদের সৎ পথে ডাকতে পাঠান তাঁর পবিত্র নবীদের... সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দা মুসাকে তাওরাত দিয়েছেন যেখানে তিনি বলেছেন শয়তান আমাদের ধোঁকা দেবে... সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, তিনি বনী ইসরাইলকে সকল জাতির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন!

“কিন্তু, ভাইয়েরা, আজ আমরা আল্লাহর এত করুনার পরেও যে গুনাহের কাজ করছি এর জন্য কি আমাদের শাস্তি পেতে হবে না ?”



তখন ঈসা জনতাকে কড়া কথা শোনাতে লাগলেন কারণ তারা ভুলে গেছে আল্লাহকে, ভুলে গেছে তাঁর করুণাকে আর ডুবে আছে দুনিয়াদারীতে। তিনি ইহুদি রাব্বিদের( ইমামদের ইহুদিরা রাব্বি বলে) বিরুদ্ধে কড়া কথা বললেন কারণ তারা আল্লাহর কিতাবে রদ-বদল করত তাতে যা হারাম থাকত সেইসব নিজেদের স্বার্থে হালাল করত। আর ঈসা এমনভাবে বক্তৃতা দিলেন, তাঁর কণ্ঠে এত আবেগ ছিল যে উপস্থিত জনতা কাঁদতে লাগল, তাঁকে অনুরোধ করল আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দুয়া করতে। কিন্তু কুচক্রী ভণ্ড ইহুদি ইমাম আর রাব্বিরা ঈসার উপর ক্ষুব্ধ হতে শুরু করল কারণ, রাব্বিরা জনগনের দানের টাকা আত্মসাৎ করে, এমন সব গোপন কথা ফাঁশ করে দিচ্ছিলেন ,তারা বুঝতে পারল ঈসা থাকলে তাদের ক্ষমতা বেশীদিন টিকবে না , কিন্তু তারা কিছুই বলতে পারল না, কারণ লোকেরা ঈসাকে নবী হিসেবে মেনে নিয়েছে ততক্ষণে।



ঈসা হাত উঠিয়ে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন আর জনতা কাঁদতে কাঁদতে বলল, “আমেন, হে আল্লাহ, আমেন!!” ( আমেন হিব্রু শব্দ, মানে, কবুল করুন )।

দোয়া শেষ হলে তিনি বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে বেরিয়ে গেলেন। সেদিন থেকে জেরুজালেমে সবাই তাঁর কথা বলত, অনেকেই তাঁর অনুসরণ শুরু করল। কিন্তু ইহুদি ইমামেরা নিজেদের মধ্যে ঈসাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র বীজ বপন করতে শুরু করল ...



ইহুদি রাব্বি বা আলেমদের প্রতারক কেন বলা হয় তা হয়ত অনেকেই জানেন না, এর কারন আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে নাজিলকৃত কিতাবসমূহের ব্যাপারে তারা বেশ ভালই জানে, তারা যে শুধু মুসার উপরে অবতীর্ণ কিতাব তাওরাত এর উপর ভাল জ্ঞান রাখে তা নয়, ইসার উপর ইঞ্জিল(বাইবেল) এবং মুহাম্মদ(সঃ) এর উপর নাজিল হওয়া কুরআনেও তাদের জ্ঞান অসামান্য।

নিচে যার ছবি দেখছেন তার নাম উবাইদ- ইয়ুসেফ । ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি ইসরায়েলের চিফ রাব্বির ভুমিকাই আছেন টিক যেমন ইরানে সর্বচ্চ ধর্মীও নেতা আয়াতুল্লাহ-খোমেনী। গত কালই (7th octobor) উবাইদ- ইয়ুসেফ মারা যান। আল্লাহ্‌ তাদের জন্য জাহান্নামের কঠিন আজাব তৈরি করে রেখেছেন ,এখনই সে তা ভোগ করা শুরু করবে ইনশাআল্লাহ্‌।







উপরে গোল চিহ্নিত ব্যক্তি বামে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ডানে প্রধানমন্ত্রী। নিচের ( মানচিত্র হাতে ছবি) গোল চিহ্নিত এরিএল শেরন।







ছবিতে দেখুন তার এক পাশে ইসরায়েলের সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী বেন-ইয়ামিন নেতানিতাহু অন্য পাশে ইসরায়েলের সন্ত্রাসী প্রেসিডেন্ট সিমন-পেরেয, অন্য ছবিতে দেখুন মানচিত্র হাতে তিনি ইসরায়েলের প্রাক্তন সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী এরিএল-শেরন এর সাথে। হয়ত মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিমদের ভূমি দখল করার অংক কষছেন তারা ,আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন আমি কেন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্টের মত মানুষদের সন্ত্রাসী বলে যাচ্ছি !! এর কারন জেনে আপনারা অবাক হবেন যে ইসরায়েলের যত প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট হয়েছে তারা সবাই ,ইরগুন,হাগানা, স্ট্যার্ন গ্যাংয়ের মতো কট্টর ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনসমুহর লিডার ছিলেন। এই সন্ত্রাসী সংগঠনসমুহ তৈরি করেছিল মোসাদ, এই সংগঠনসমুহর কাজ ছিল নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের নির্যাতন ,হত্যা ও ভয় দেখানো। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন কোন মিডিয়াই এই সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে আমাদের কিছু জানিয়েছে ?? এই মিডিয়ার থেকে কিভাবে আমরা সত্য এবং মুসলিমদের পক্ষের সঠিক সংবাদ আশা করি ?? তারা শোনাবে না, নিজ দায়িত্বে জানতে হবে কি ঘটছে আমাদের সাথে !! আমি আপনাদের জানালাম বিস্তারিত গবেষণা করে নিজেদের শত্রুকে চিহ্নিত করা আপনাদের নিজেদের দায়িত্ব।



অধ্যায় ১৩



কিছু দিন পরে, ঈসা মাউন্ট অলিভ এ গেলেন নামায পড়তে, এরপর তিনি একনিষ্ঠভাবে দোয়া করলেন, “হে আল্লাহ, ইহুদি ইমাম আর রাব্বিরা তোমার এই বান্দাকে মারতে চায়... আমাকে রক্ষা করো তাদের জিঘাংসা থেকে। হে আল্লাহ, তুমি তো জানই, আমি কেবল তোমারই মুখাপেক্ষী, কারণ তুমিই আমার নাজাতদাতা। ”

সাথে সাথেই জিবরাঈল এলেন আর বললেন, “ভয় পেয়ো না, ঈসা। কারণ, হাজার হাজার ফেরেশতা তোমার পাহাড়ায় আছে, তোমার মৃত্যু হবে অনেক অনেক পরে, কিয়ামতের অনেক কাছাকাছি সময়ে তোমার মৃত্যু হবে।

অনেকগুলো ভবিষ্যৎবাণী পূরণ হবার পরে।”



ঈসা সিজদায় পড়ে গেলেন, আর বললেন, “হে আল্লাহ তুমি অশেষ মেহেরবান!!! আমি কীভাবে কৃতজ্ঞতা দেখাব?...”



জিবরাঈল বললেন, “উঠ, ঈসা, আর স্মরণ করো, ইব্রাহিমের কথা। তিনি তাঁর পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু আল্লাহ সেটা হতে দেননি ; তাঁর জায়গায় কুরবানি হল এক দুম্বা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে তুমিও কুরবানি করো, ঈসা।”



“নিশ্চয়ই, কিন্তু, ভেড়া পাব কোথায়? আমার তো টাকা নেই। আর চুরি করা তো পাপ।”



তখন জিবরাঈল তাঁকে একটি ভেড়া দেখালেন। সেটা কুরবানি করলেন ঈসা, আর প্রশংসা করলেন আল্লাহ তায়ালার, যিনি চির-মহান।



এর পরের পর্বে ঈসার ৪০ দিনের রোজা, ১২ সাহাবী নির্বাচন, তাদের নাম-পরিচয়, তাঁর বাণীপ্রচার ...



To be contined.........



দ্যা লস্ট গস্পেল (The Lost Gospel) -৩



রেফারেন্স : গসপেল অফ বারনাবাস

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আগের পর্ব পড়েছিলাম, এই পর্বও ভালো লাগল।

চলতে থাকুক সিরিজ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৮

নামহীন যুবক বলেছেন: আপনার ভালো লেগেচে জেনে ভালো লাগলো :)

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

নিকষ বলেছেন: +++

ফুটনোট হিসেবে, রেফারেন্সগুলি দিয়ে দিয়েন ভাইজান। চমৎকার বিরিয়ানী রান্না হচ্ছে; রেফারেন্সগুলি হবে ডেজার্ট।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২২

নামহীন যুবক বলেছেন: রেফারেনস : গস্পেল অফ বারনাবাস

ডাউনলোদ লিঙ্ক :

Click This Link

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২০

ড. জেকিল বলেছেন: দুই পর্বই পড়লাম, ভালো লাগছে খুব, চালিয়ে যান।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

নামহীন যুবক বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

সেফানুয়েল বলেছেন: আপনার বর্ণনাকৃত বিবরনের সাথে বাইবেলের বিবরনের কোন মিল নেই। হাস্যকর যুক্তি দিয়েছেন যীশুর জন্মের বিষয়ে। দেখুন বাইবেল এবিষয়ে কি বলে...

WordProject

প্রধান পাতা
বাংলাদেশের
অডিও
আয়াত
সমান্তরাল
সম্পদ
অনুসন্ধান
Download

প্রধান পাতা / বাংলাদেশের / বাংলা বাইবেল - Bengali /
-Reset+
লুক Luke

অধ্যায় : 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24

Hear Chapter 1 | Audio | এই অধ্যায়ের শুনতে বা ডাউনলোড করার জন্য "সংরক্ষণ করুন" ক্লিক করুন.

অধ্যায় 1

1 মাননীয় থিয়ফিল, আমাদের মধ্যে য়ে সব ঘটনা ঘটেছে সেগুলির বিবরণ লিপিবদ্ধ করার জন্য বহু ব্যক্তি চেষ্টা করেছেন৷
2 তাঁরা সেই একই বিষয় লিখেছেন, যা আমরা জেনেছি তাঁদের কাছ থেকে, যাঁরা প্রথম থেকে নিজেদের চোখে দেখেছেন এবং এই বার্তা ঘোষণা করেছেন৷
3 তাই আমার মনে হল য়ে যখন আমি সেই সব বিষয় প্রথম থেকে ভালভাবে খোঁজ খবর নিয়েছি তখন তা সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখি৷
4 যার ফলে আপনি জানবেন, য়ে বিষয়গুলি আপনাকে জানানো হয়েছে সেগুলি সত্য৷
5 যিহূদিযার রাজা হেরোদের সময়ে সখরিয় নামে একজন যাজক ছিলেন৷ ইনি ছিলেন অবিয়ের দলেরযাজকদের একজন৷ সখরিয়র স্ত্রী ইলীশাবেত্ ছিলেন হারোণের বংশধর৷
6 তাঁরা উভয়েই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ধার্মিক ছিলেন৷ প্রভুর সমস্ত আদেশ ও বিধি-ব্যবস্থা তাঁরা নিখুঁতভাবে পালন করতেন৷
7 ইলীশাবেত্ বন্ধ্যা হওযার দরুন তাঁদের কোন সন্তান হয় নি৷ তাঁদের উভয়েরই অনেক বয়স হয়ে গিয়েছিল৷
8 একবার তাঁর দলের যাজকদের ওপর দাযিত্বভার পড়েছিল, তখন সখরিয় যাজক হিসেবে মন্দিরে ঈশ্বরের সেবা করছিলেন৷
9 যাজকদের কার্য়প্রণালী অনুযাযী তাঁকে বেছে নেওযা হয়েছিল য়েন তিনি মন্দিরের মধ্যে গিয়ে প্রভুর সামনে ধূপ জ্বালাতে পারেন৷
10 ধূপ জ্বালাবার সময় বাইরে অনেক লোক জড় হয়ে প্রার্থনা করছিল৷
11 এমন সময় প্রভুর এক স্বর্গদূত সখরিয়র সামনে এসে উপস্থিত হয়ে ধূপবেদীর ডানদিকে দাঁড়ালেন৷
12 সখরিয় সেই স্বর্গদূতকে দেখে চমকে উঠলেন এবং খুব ভয় পেলেন৷
13 কিন্তু স্বর্গদূত তাঁকে বললেন, ‘সখরিয় ভয় পেও না, কারণ তুমি য়ে প্রার্থনা করেছ, ঈশ্বর তা শুনেছেন৷ তোমার স্ত্রী ইলীশাবেতের একটি পুত্র সন্তান হবে, তুমি তার নাম রাখবে য়োহন৷
14 সে তোমার জীবনে আনন্দ ও সুখের কারণ হবে, তার জন্মের দরুণ আরো অনেকে আনন্দিত হবে৷
15 কারণ প্রভুর দৃষ্টিতে য়োহন হবে এক মহান ব্যক্তি৷ সে অবশ্যই দ্রাক্ষারস বা নেশার পানীয় গ্রহণ করবে না৷ জন্মের সময় থেকেই য়োহন পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হবে৷
16 ইস্রায়েলীয়দের অনেক লোককেই সে তাদের প্রভু ঈশ্বরের পথে ফেরাবে৷
17 য়োহন এলীয়েরআত্মায় ও শক্তিতে প্রভুর আগে চলবে৷ সে পিতাদের মন তাদের সন্তানদের দিকে ফেরাবে, আর অধার্মিকদের মনের ভাব বদলে ধার্মিক লোকদের মনের ভাবের মতো করবে৷ প্রভুর জন্য সে এইভাবে লোকদের প্রস্তুত করবে৷’
18 তখন সখরিয় সেই স্বর্গদূতকে বললেন, ‘আমি কিভাবে জানব য়ে সত্যিই এসব হবে? কারণ আমি তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি, আর আমার স্ত্রীরও অনেক বয়স হয়ে গেছে৷’
19 এর উত্তরে স্বর্গদূত তাঁকে বললেন, ‘আমি গাব্রিয়েল, ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি; আর তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য ও তোমাকে এই সুখবর দেবার জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে৷
20 কিন্তু জেনে রেখো! এইসব ঘটনা ঘটা পর্যন্ত তুমি বোবা হয়ে থাকবে, কথা বলতে পারবে না, কারণ তুমি আমার কথা বিশ্বাস করলে না, কিন্তু আমার এইসব কথা নিরুপিত সময়েই পূর্ণ হবে৷’
21 এদিকে বাইরে লোকেরা সখরিয়র জন্য অপেক্ষা করছিল, তিনি এতক্ষণ পর্যন্ত মন্দিরের মধ্যে কি করছেন একথা ভেবে তারা অবাক হচ্ছিল৷
22 পরে তিনি যখন বেরিয়ে এলেন, তখন লোকদের সঙ্গে কথা বলতে পারলেন না, এতে লোকেরা বুঝতে পারল মন্দিরের মধ্যে তিনি নিশ্চয়ই কোন দর্শন পেয়েছেন৷ তিনি লোকদের ইশারায় তাঁর বক্তব্য বোঝাতে লাগলেন, কিন্তু কোনরকম কথা বলতে পারলেন না৷
23 এরপর দৈনিক সেবাকার্য়ের শেষে তিনি তাঁর বাড়ি ফিরে গেলেন৷
24 এর কিছুক্ষণ পরে তার স্ত্রী ইলীশাবেত্ গর্ভবতী হলেন; আর পাঁচ মাস পর্যন্ত লোক সাক্ষাতে বের হলেন না৷ তিনি বলতেন,
25 ‘এখন প্রভুই এইভাবে আমায় সাহায্য করেছেন! সমাজে আমার য়ে লজ্জা ছিল, কৃপা করে এখন এইভাবে তিনি তা দূর করে দিলেন৷’
26 ইলীশাবেত্ যখন ছমাসের গর্ভবতী, তখন ঈশ্বর গাব্রিয়েল, স্বর্গদূতকে গালীলে নাসরত্ নগরে এক কুমারীর কাছে পাঠালেন৷ এই কুমারী ছিলেন য়োষেফ নামে এক ব্যক্তির বাগদত্তা৷ য়োষেফ ছিলেন রাজা দাযূদের বংশধর, আর য়ে কুমারীর কাছে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল তাঁর নাম মরিয়ম৷
27
28 গাব্রিয়েল মরিয়মের কাছে এসে বললেন, ‘তোমার মঙ্গল হোক্! প্রভু তোমার প্রতি মুখ তুলে চেয়েছেন, তিনি তোমার সঙ্গে আছেন৷’
29 এই কথা শুনে মরিয়ম খুবই বিচলিত ও অবাক হয়ে ভাবতে লাগলেন, ‘এ কেমন শুভেচ্ছা?’
30 স্বর্গদূত তাঁকে বললেন, ‘মরিয়ম তুমি ভয় পেও না, কারণ ঈশ্বর তোমার ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন৷
31 শোন! তুমি গর্ভবতী হবে আর তোমার এক পুত্র সন্তান হবে৷ তুমি তাঁর নাম রাখবে যীশু৷
32 তিনি হবেন মহান, তাঁকে পরমেশ্বরের পুত্র বলা হবে, আর প্রভু ঈশ্বর তাঁর পিতৃপুরুষ রাজা দাযূদের সিংহাসন তাঁকে দেবেন৷
33 তিনি যাকোবের বংশের লোকদের ওপরে চিরকাল রাজত্ব করবেন, তাঁর রাজত্বের কখনও শেষ হবে না৷’
34 তখন মরিয়ম স্বর্গদূতকে বললেন, ‘এ কেমন করে সন্ভব? কারণ আমি তো কুমারী!’
35 এর উত্তরে স্বর্গদূত বললেন, ‘পবিত্র আত্মাতোমার ওপর অধিষ্ঠান করবেন আর পরমেশ্বরের শক্তি তোমাকে আবৃত করবে; তাই য়ে পবিত্র শিশুটি জন্মগ্রহণ করবে তাঁকে ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে৷
36 আর শোন, তোমার আত্মীযা ইলীশাবেত্ যদিও এখন অনেক বৃদ্ধা তবু সে গর্ভে পুত্রসন্তান ধারণ করছে৷ এই স্ত্রীলোকের বিষয়ে লোকে বলত য়ে তার কোন সন্তান হবে না, কিন্তু সে এখন ছমাসের গর্ভবতী৷
37 কারণ ঈশ্বরের পক্ষে কোন কিছুই অসাধ্য নয়!’

38 মরিয়ম বললেন, ‘আমি প্রভুর দাসী৷ আপনি যা বলেছেন আমার জীবনে তাই হোক্!’ এরপর স্বর্গদূত মরিয়মের কাছ থেকে চলে গেলেন৷
39 তখন মরিয়ম উঠে তাড়াতাড়ি করে যিহূদার পার্বত্য অঞ্চলের একটি নগরে গেলেন৷
40 সেখানে সখরিয়র বাড়িতে গিয়ে ইলীশাবেতকে অভিবাদন জানালেন৷
41 ইলীশাবেত্ যখন মরিয়মের সেই অভিবাদন শুনলেন, তখনই তাঁর গর্ভের সন্তানটি আনন্দে নেচে উঠল; আর ইলীশাবেত্ পবিত্র আত্মাতে পূর্ণ হলেন৷
42 এরপর তিনি খুব জোরে জোরে বলতে লাগলেন, ‘সমস্ত স্ত্রীলোকের মধ্যে তুমি ধন্যা, আর তোমার গর্ভে য়ে সন্তান আছেন তিনি ধন্য৷
43 কিন্তু আমার প্রভুর মা য়ে আমার কাছে এসেছেন, এমন সৌভাগ্য আমার কি করে হল?
44 কারণ য়ে মুহূর্তে তোমার কন্ঠস্বর আমি শুনলাম, আমার গর্ভের শিশুটি তখনই নড়ে উঠল৷
45 আর তুমি ধন্যা, কারণ তুমি বিশ্বাস করেছ য়ে প্রভু তোমায় যা বলেছেন তা পূর্ণ হবে৷’
46 তখন মরিয়ম বললেন,
47 ‘আমার আত্মা প্রভুর প্রশংসা করছে, আর আমার আত্মা আমার ত্রাণকর্তা ঈশ্বরকে পেয়ে আনন্দিত৷
48 কারণ তাঁর এই তুচ্ছ দাসীর দিকে তিনি মুখ তুলে চেয়েছেন৷ হ্যাঁ, এখন থেকে সকলেই আমাকে ধন্যা বলবে৷
49 কারণ সেই একমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমার জীবনে কত না মহত্ কাজ করেছেন৷ পবিত্র তাঁর নাম৷
50 আর যাঁরা বংশানুক্রমে তাঁর উপাসনা করে তিনি তাদের দযা করেন৷
51 তাঁর বাহুর য়ে পরাক্রম, তা তিনি দেখিয়েছেন৷ যাদের মন অহঙ্কার ও দন্ভপূর্ণ চিন্তায় ভরা, তাদের তিনি ছিন্নভিন্ন করে দেন৷
52 তিনিই শাসকদের সিংহাসনচ্যুত করেন, যাঁরা নতনম্র তাদের উন্নত করেন৷
53 ক্ষুধার্তকে তিনি উত্তম দ্রব্য দিয়ে তৃপ্ত করেন; আর বিত্তবানকে নিঃস্ব করে বিদায় করেন৷
54 তিনি তাঁর দাস ইস্রায়েলকে সাহায্য করতে এসেছেন৷
55 য়েমন তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি তেমনই করবেন৷ অব্রাহাম ও তাঁর বংশের লোকদের চিরকাল দযা করার কথা তিনি মনে রেখেছেন৷’
56 ইলীশাবেতের ঘরে মরিয়ম প্রায় তিনমাস থাকলেন৷ পরে তিনি তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেন৷
57 ইলীশাবেতের প্রসবের সময় হলে তিনি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করলেন৷
58 তাঁর প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনেরা যখন শুনল য়ে প্রভু তাঁর প্রতি কি মহা দযা করেছেন, তখন তারা তাঁর আনন্দে আনন্দিত হল৷
59 শিশুটি যখন আট দিনের, সেইসময় তাঁরা শিশুটিকে নিয়ে সুন্নত করাতে এলেন৷ সবাই শিশুটির বাবার নাম অনুসারে শিশুর নাম সখরিয় রাখার কথা চিন্তা করছিলেন৷
60 কিন্তু তার মা বলে উঠলেন, ‘না! ওর নাম হবে য়োহন৷’
61 তখন তাঁরা ইলীশাবেতকে বললেন, ‘আপনার আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে তো কারও ঐ নাম নেই!’
62 এরপর তারা ইশারা করে ছেলেটির বাবার কাছে জানতে চাইলেন তিনি কি নাম দিতে চান৷
63 সখরিয় ইশারা করে লেখার ফলক চেয়ে নিলেন ও তাতে লিখলেন, ‘ওর নাম য়োহন৷’ এতে তাঁরা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেলেন,
64 তখনই সখরিয়র জিভের জড়তা চলে গেল ও মুখ খুলে গেল, আর তিনি ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগলেন৷
65 আশপাশের সকলে এতে খুব ভয় পেয়ে গেল, যিহূদিযার পার্বত্য অঞ্চলের লোকরা সকলে এবিষয়ে বলাবলি করতে লাগল৷
66 যাঁরা এসব কথা শুনল তারা সকলেই আশ্চর্য হয়ে বলতে লাগল, ‘ভবিষ্যতে এই ছেলেটি কি হবে?’ কারণ প্রভুর শক্তি এর সঙ্গে আছে৷
67 পরে ছেলেটির বাবা সখরিয় পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে ভাববাণী বলতে লাগলেন:
68 ‘ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা হোক্, কারণ তিনি তাঁর নিজের লোকদের সাহায্য করতে ও তাদের মুক্ত করতে এসেছেন৷
69 আমাদের জন্য তিনি তাঁর দাস দাযূদের বংশে একজন মহাশক্তিসম্পন্ন ত্রাণকর্তাকে দিয়েছেন৷
70 এ বিষয়ে তাঁর পবিত্র ভাববাদীদেরমাধ্যমে তিনি বহুপূর্বেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷
71 শত্রুদের হাত থেকে ও যাঁরা আমাদের ঘৃণা করে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি৷
72 তিনি বলেছিলেন, আমাদের পিতৃপুরুষদের প্রতি দযা করবেন এবং তিনি সেই প্রতিশ্রুতি স্মরণ করেছেন৷
73 এ সেই প্রতিশ্রুতি যা তিনি আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহামের কাছে করেছিলেন৷
74 শত্রুদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি য়েন আমরা নির্ভয়ে তাঁর সেবা করতে পারি:
75 আর আমাদের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর দৃষ্টিতে পবিত্র ও ধার্মিক থেকে তাঁর সেবা করে য়েতে পারি৷
76 এখন হে বালক, তোমাকে বলা হবে পরমেশ্বরের ভাববাদী; কারণ তুমি প্রভুর পথ প্রস্তুত করবার জন্য তাঁর আগে আগে চলবে৷
77 তুমি তাঁর লোকদের বলবে, ঈশ্বরের দযায় তোমরা পাপের ক্ষমা দ্বারা উদ্ধার পাবে৷
78 কারণ আমাদের ঈশ্বরের দযা ও করুণার উর্দ্ধ থেকে এক নতুন দিনের ভোরের আলো আমাদের ওপর ঝরে পড়বে৷
79 যাঁরা অন্ধকার ও মৃত্যুর ছাযায় বসে আছে তাদের ওপর সেই আলো এসে পড়বে; আর তা আমাদের শান্তির পথে পরিচালিত করবে৷’
80 সেই শিশু য়োহন বড় হয়ে উঠতে লাগলেন, আর দিন দিন আত্মায় শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকলেন৷ ইস্রায়েলীয়দের কাছে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসার আগে পর্যন্ত তিনি নির্জন স্থানগুলিতে জীবনযাপন করছিলেন৷


৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

সেফানুয়েল বলেছেন: বিস্তারিত:http://www.wordproject.org/bibles/ben/42/1.htm

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

নামহীন যুবক বলেছেন: আপনি আমার পোস্ট টা শুরু থেকে পড়লে দেখতেন আমি আমার এ পোস্ট সিরিজ টা "গস্পেল অফ বারনাবাস' এর অনুবাদ এর ভিত্তিতে করা হয়েছে। আমার পোষ্টটাতে গস্পেল অফ বারনাবাস এর সাথে সাংঘর্ষিক কন কিছু পেলে জানাবেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

নামহীন যুবক বলেছেন: Click This Link

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

সেফানুয়েল বলেছেন: কুষ্ঠ রোগীদের বিষয়ে:
লুক ১৭ অধ্যায়
যীশু জেরুশালেমের দিকে যাচ্ছিলেন, যাবার পথে তিনি গালীল ও শমরীযার মাঝখান দিয়ে গেলেন৷
12 তাঁরা যখন একটি গ্রামে ঢুকছেন, এমন সময় দশ জন কুষ্ঠরোগী তাঁর সামনে পড়ল, তারা একটু দূরে দাঁড়াল,
13 ও চিত্‌কার করে বলল, ‘প্রভু যীশু! আমাদের দযা করুন!’
14 তাদের দেখে যীশু বললেন, ‘যাজকদের কাছে গিয়ে নিজেদের দেখাও৷’পথে য়েতে য়েতে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল;
15 কিন্তু তাদের মধ্যে একজন যখন দেখল য়ে সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছে তখন যীশুর কাছে ফিরে এসে খুব জোর গলায় ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগল৷
16 সে যীশুর সামনে উপুড় হয়ে পড়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানাল৷ এই লোকটি ছিল অইহুদী শমরীয়৷
17 এই দেখে যীশু তাকে বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে দশ জনই কি আরোগ্য লাভ করেনি? তবে বাকী নজন কোথায়?
18 ঈশ্বরের প্রশংসা করার জন্য এই ভিন্ন জাতের লোকটি ছাড়া আর কেউ কি ফিরে আসেনি?’
19 এরপর যীশু সেই লোকটিকে বললেন, ‘ওঠ, যাও, তোমার বিশ্বাসই তোমাকে সুস্থ করে তুলেছে৷’
20 একসময় ফরীশীরা যীশুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ঈশ্বরের রাজ্য কখন আসবে?’যীশু তাদের বললেন, ‘ঈশ্বরের রাজ্য এমনভাবে আসে, যা চোখে দেখা যায় না৷
21 লোকেরা বলবে না য়ে, ‘এই য়ে এখানে ঈশ্বরের রাজ্য’ বা ‘ওই য়ে ওখানে ঈশ্বরের রাজ্য৷’ কারণ ঈশ্বরের রাজ্য তো তোমাদের মাঝেই আছে৷’
22 কিন্তু অনুগামীদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, ‘সময় আসবে, যখন মানবপুত্রের রাজত্বের সময়ের একটা দিন তোমরা দেখতে চাইবে, কিন্তু তোমরা তা দেখতে পাবে না৷
23 লোকেরা তোমাদের বলবে, ‘দেখ, তা ওখানে! বা দেখ তা এখানে!’ তাদের কথা শুনে য়েও না, বা তাদের পেছনে দৌড়িও না৷
24 ‘কারণ বিদ্যুত্ চমকালে আকাশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত য়েমন আলো হয়ে যায়, মানবপুত্রের দিনে তিনি সেইরকম হবেন৷
25 কিন্তু প্রথমে তাঁকে অনেক দুঃখভোগ করতে হবে, তাছাড়া এই যুগের লোকেরা তাঁকে অগ্রাহ্য় করবে৷
26 নোহের সময়ে য়েমন হয়েছিল, মানবপুত্রের সময়েও তেমনি হবে৷
27 য়ে পর্যন্ত না নোহ জাহাজে উঠলেন আর বন্যা এসে লোকদের ধ্বংস করল, সেই সময় পর্যন্ত লোকেরা খাওযা দাওযা করছিল, বিয়ে করছিল ও বিয়ে দিচ্ছিল৷
28 লোটের সময়েও সেই একই রকম হয়েছিল৷ তারা খাওযা-দাওযা করছিল, কেনা-বেচা, চাষ-বাস, গৃহ নির্মাণ সবই করত৷
29 কিন্তু লোট য়ে দিন সদোম থেকে বেরিয়ে এলেন, তারপরেই আকাশ থেকে আগুন ও গন্ধক বর্ষিত হয়ে সেখানকার সব লোককে ধ্বংস করে দিল৷
30 য়ে দিন মানবপুত্র প্রকাশিত হবেন, সেদিন এই রকমই হবে৷
31 ‘সেই দিন কেউ যদি ছাদের উপর থাকে, আর তার জিনিস পত্র যদি ঘরের মধ্যে থাকে, তবে সে তা নেবার জন্য য়েন নীচে না নামে৷ তেমনি যদি কেউ ক্ষেতের কাজে থাকে, তবে সে কোন কিছু নিতে ফিরে না আসুক৷
32 লোটের স্ত্রীরকথা য়েন মনে থাকে৷
33 য়ে তার জীবন নিরাপদ রাখতে চায়, সে তা খোযাবে; আর য়ে তার জীবন হারায়, সেই তা বাঁচিয়ে রাখবে৷
34 আমি তোমাদের বলছি, সেই রাত্রে একই বিছানায় দুজন শুয়ে থাকবে, তাদের মধ্যে একজনকে তুলে নেওযা হবে অন্যজন পড়ে থাকবে৷
35 দুজন স্ত্রীলোক একসঙ্গে যাঁতাতে শস্য পিষবে, একজনকে তুলে নেওযা হবে আর অন্য জন পড়ে থাকবে৷’
36
37 তখন অনুগামীরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘প্রভু, কোথায় এমন হবে?’যীশু তাদের বললেন, ‘য়েখানে শব, সেখানেই শকুন এসে জড়ো হবে৷’

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২০

নামহীন যুবক বলেছেন: আপনি আমার পোস্ট টা শুরু থেকে পড়লে দেখতেন আমি আমার এ পোস্ট সিরিজ টা "গস্পেল অফ বারনাবাস' এর অনুবাদ এর ভিত্তিতে করা হয়েছে। আমার পোষ্টটাতে গস্পেল অফ বারনাবাস এর সাথে সাংঘর্ষিক কিছু পেলে জানাবেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

নামহীন যুবক বলেছেন: Click This Link

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১২

সেফানুয়েল বলেছেন: যীশুর মৃত্যুর বিষয়ে বাইবেল যা বলে:
লুক ২২:৩৯-৫৫
এরপর তিনি তাঁর নিয়ম অনুসারে জৈতুন পর্বতমালায় চলে গেলেন৷ শিষ্যরা তাঁর পেছন পেছনে চললেন৷ সেই জায়গায় পৌঁছে তিনি তাঁদের বললেন, ‘প্রার্থনা কর য়েন তোমরা প্রলোভনে না পড়৷’
40
41 পরে তিনি শিষ্যদের থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা করতে লাগলেন৷
42 তিনি বললেন, পিতা যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে এই পানপাত্র আমার কাছ থেকে সরিয়ে নাও৷ হ্যাঁ, তবুও আমার ইচ্ছা নয়, তোমার ইচ্ছাই পূর্ণ হোক্!’
43 এরপর স্বর্গ থেকে একজন স্বর্গদূত এসে তাঁকে শক্তি জোগালেন৷
44 নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণার সঙ্গে যীশু আরও আকুলভাবে প্রার্থনা করতে লাগলেন৷ সেই সময় তাঁর গা দিয়ে রক্তের বড় বড় ফোঁটার মতো ঘাম ঝরে পড়ছিল৷

45 প্রার্থনা থেকে উঠে তিনি শিষ্যদের কাছে এসে দেখলেন, মনের দুঃখে অবসন্ন হয়ে তারা সকলে ঘুমিয়ে পড়েছেন৷
46 তিনি তাঁদের বললেন, ‘তোমরা ঘুমাচ্ছ কেন? ওঠ, প্রার্থনা কর য়েন প্রলোভনে না পড়৷’
47 তিনি তখনও কথা বলছেন, সেই সময় যিহূদার নেতৃত্বে একদল লোক সেখানে এসে হাজির হল৷ যিহূদা চুমু দিয়ে অভিবাদন করার জন্য যীশুর দিকে এগিয়ে গেল৷
48 যীশু তাকে বললেন, ‘যিহূদা তুমি কি চুমু দিয়ে মানবপুত্রকে ধরিয়ে দেবে?’
49 যীশুর চারপাশে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা তখন বুঝতে পারলেন কি ঘটতে চলেছে৷ তাঁরা বললেন, ‘প্রভু, আমরা কি তলোযার নিয়ে ওদের আক্রমণ করব?’
50 তাঁদের মধ্যে একজন মহাযাজকের চাকরের ডান কান কেটে ফেললেন৷
51 এই দেখে যীশু বললেন, ‘থামো! খুব হয়েছে৷’ আর তিনি সেই চাকরের কান স্পর্শ করে তাকে সুস্থ করলেন৷
52 এরপর যীশু, যাঁরা তাঁকে ধরতে এসেছিল, সেই প্রধান যাজক, মন্দির রক্ষী বাহিনীর পদস্থ কর্মচারীদের ও ইহুদী সমাজপতিদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘ডাকাত ধরতে লোকে য়েমন বের হয় তোমরাও কি সেরকম ছোরা ও লাঠি নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছ?
53 প্রত্যেক দিনই তো আমি তোমাদের হাতে মন্দিরেই ছিলাম, তখন তো তোমরা আমায় স্পর্শ কর নি, কিন্তু এই তোমাদের সময়, অন্ধকারের রাজত্বের এই তো সময়৷’

54 তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করে মহাযাজকের বাড়িতে নিয়ে চলল৷ পিতর কিন্তু দূরত্ব বজায় রেখে তাদের পেছনে পেছনে চললেন৷

বিস্তারিত:এইখানে ক্লিক করুন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২০

নামহীন যুবক বলেছেন: আপনি আমার পোস্ট টা শুরু থেকে পড়লে দেখতেন আমি আমার এ পোস্ট সিরিজ টা "গস্পেল অফ বারনাবাস' এর অনুবাদ এর ভিত্তিতে করা হয়েছে। আমার পোষ্টটাতে গস্পেল অফ বারনাবাস এর সাথে সাংঘর্ষিক কিছু পেলে জানাবেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

নামহীন যুবক বলেছেন: Click This Link

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

তানজিব বলেছেন: চমৎকার

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

নামহীন যুবক বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

অথৈ সাগর বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম । চমৎকার লেখা।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৫

নামহীন যুবক বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: এই খ্রিস্টান ভদ্রলোক বারবার যস্পেল অফ লুক এর রেফারেন্স দিচ্ছেন। অথচ লেখক বর্ননা দিচ্ছেন গস্পেল অফ বারনাবাস থেকে। মাথায় কি বু্দ্ধিসুদ্ধি একেবারে বিলিন হয়ে গেল।

সাথে আছি ইনশাআল্লাহ সামনের পর্ব খুব তারাতারি পাব।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৬

নামহীন যুবক বলেছেন: দ্যা লস্ট গস্পেল (The Lost Gospel) -৩

Click This Link

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
চলুক

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৭

নামহীন যুবক বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সিরিজ চলতে থাকুক। তৃতীয় পর্বের অপক্ষায় থাকলাম :)

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৯

নামহীন যুবক বলেছেন: দ্যা লস্ট গস্পেল (The Lost Gospel) -৩

Click This Link

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৮

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: apne to chor....
arek joner lekha copy koira post ditasen.
eita mahmud vai er facebook note .

apne miya chor,churi koira nijer nam den

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২০

নামহীন যুবক বলেছেন: মাহমুদ ভাইয়ের ব্লগ এর কিছু কন্সেপ্ট নিয়ে লেখা হয়েছে,

ফর ইওর ইনফরমেশন মাহমুদ ভাই আমার ফ্রেন্ড :)

১৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৫২

প্রীতম ব্লগ বলেছেন: হযরত ঈসা আলাইইিস সালাম তিনি বিনা পিতায় জমিণের বুকে আগমণ করেছিলেন। এটা আল্লাহ পাক এর কুদরত। এর বিপরীত কিছু বলা হলে কঠিন লা'নত নাযিল হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.