নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।
তার সহস্র চিঠি-২ : যে এখন নেই
‘অসীম ,
তোমাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভেচ্ছা---এর কথায় এবং --- লেখায়ও। হাসিখুশিতে ভরে থাক তোমার পৃথিবী। চিরদিন। এই কামনায় এবং ঈদ মোবারক।
অসীম ,
আমি ভীষণ দুঃখিত। কারণ আমার জন্য সেদিন তোমাকে আম্মা অনেক কিছু বলেছেন। আসলে আমারই ভুল ছিল। শুক্রবার আমি প্রায়ই ঘুরতে বের হই। কিন্তু কোনদিনও এমন হয় না। বাসায় বকা শুনতে হয় ঠিকই , কিন্তু তারপরও বের হই। আমার আব্বা একটু অন্যরকম মানুষ। সাধারণ একটা ব্যাপারকেও খুব বড় করে দেখেন। আর একটা কথা , দয়া করে কিছু মনে করবে না। আম্মা তোমাকে মিথ্যে বলেছিল। আমার আব্বার আসলে সেদিন কিছুই হয়নি। হয়তো আমাকে ভয় দেখাবার জন্যই আম্মা এমন করেছেন। আমাকে ক্ষমা করে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
তোমার , শুধুই তোমার এবং একমাত্রই তোমার----।
১৯৯৮
কুমিল্ল¬া।
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তার সহস্র চিঠি-৩ : যে এখন নেই
অসীম ,
আমি সবকিছুর দায় নিজের কাঁধেই নেই। কাউকেই আমি কখনো দায়ি করি না। তাই আর তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে তোমাকে ছোট করবো না। যত কষ্ট দিতে পারি তোমাকে দিয়েই যাবো। এই আমার জন্মই হয়েছে সবাইকে কষ্ট দেয়ার জন্য। আমি এক অভিশপ্ত প্রাণি। এ পৃথিবীতে , এ সমাজে , আমার নেই আনন্দে হাসার কোনোই অধিকার , এমনকি কষ্টে কাঁদার অধিকার , আশা নিয়ে স্বপ্ন দেখার অধিকার কিংবা সুখ চাওয়ার অধিকার। এমনকি মরারও অধিকারটুকু আমার নেই। কেন না আমি শুধু এক অভিশপ্ত প্রাণিই কেবল নই , আমি এক গৃহপালিত পশুও। আমি একটা ‘নষ্ট’ মেয়ে। আমার রক্তে ‘নষ্টামী’র বীজ। তাই তো আজ তোমার জীবনটাকেও ধ্বংস করে দিতে বসেছি।
অসীম ,
যত পারো কষ্ট দাও। কিচ্ছুই বলবো না। আমার সহ্যক্ষমতা , বহনক্ষমতা কী রকম , সে সম্পর্কে তোমার কোন ধারনাই নেই। তুমি তোমার ভান্ডার থেকে যত শত কড়া কথা আছে , বলতে পারো। কোন অসুবিধাই নেই।
অসীম ,
কে তোমার প্রেমের বিষয়কে ‘লোভের লকলকে জিহবা’ মনে করে ? আমি তাকে দেখতে চাই। আমি জানি , ইদানিং বড় বেশি হতাশ তুমি। তাই নিজেকে আর সবার সাথে তুলনা করতে পারছো। ভাবো , যা ইচ্ছে নিজেকে ভাবো। যা করার করো। আর কিছুই বলবো না তোমাকে। কারণ সবকিছু মিলিয়ে আমি নিজেই এখন প্রচন্ড রকম হতাশ। আমি নিজেই ঠিক বুঝতে পারছি না , ঠিক কী করা প্রয়োজন এখন আমার। তবে স্বপ্ন না দেখাই ভালো। কী লাভ এমন স্বপ্ন দেখে , যে স্বপ্ন কখনো সফল হওয়ার নয়। তোমাকে আর কখনোই আমি বলবো না বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতে , সহ্য করার ক্ষমতা রাখতে , এটা করতে ওটা করতে। কী লাভ এসব বলে ? আমার কোনো কথার কোনো মূল্য যখন কারো কাছেই নেই , তখন তোমার কাছে কী আর থাকবে ? আমি এক ‘স্বার্থবাদী বিশ্বাসঘাতক’ মেয়ে , যার কাছ থেকে ভালোবাসা পাই , তার বুকেই লাথ্থি মারি । কী আর করবো , এ জীবনটাই তো কেটে গেল ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করে করে। তারপরও যে আমাকে ভালোবেসেছো , তার জন্য তোমার কাছে চিরকৃতজ্ঞ আমি। এবার আমার কথা শোনা না শোনা তোমার ব্যাপার। অনেক করেছো আমার জন্য। অনেক। তাই বড় বেশি ঋণী আজ আমি। কৃতজ্ঞও।
অসীম ,
আজ আর কিছুই লিখতে ইচ্ছে করছে না তোমাকে। অনেক বেশিই অনধিকার চর্চা করে ফেললাম আজ। তার জন্য ক্ষমা চাই।
এতকিছুর পরও তোমারই---।
নভেম্বর , ১৯৯৮
কুমিল্লা।
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
জসীম অসীম বলেছেন: সেলিম ভাই , তার সঙ্গে আমার দু’বছরের প্রেম এবং দু’বছরের সংসার ছিল । তারপর পথ-মত আলাদা। তার সহস্রাধিক চিঠি রয়েছে আমার কাছে। চিঠি লিখে আমরা ফ্রানৎ কাফকাকে হারাবো ভেবেছিলাম। সেই যুগ তো মোবাইলের ছিল না। তাই আবেগ ধরা পড়েছে। নিজেই ১২ বছর পর কম্পোজ ধরেছি। তার নাম বলা বারণ রয়েছে। তবে এখনো যোগাযোগ আছে।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২২
ডি মুন বলেছেন: বিষণ্ণ চিঠি।
যাহোক, আপনি ভালো থাকুন এটাই কামনা।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০
জসীম অসীম বলেছেন: ভাই , ধন্যবাদ। মতামত ভালো লেগেছে। আসলে ভাই অলস হয়ে গিয়েছি বলে লেখা যথাযথ যতœ দিয়ে পোস্ট করতে পারছি না। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +