নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৩০ বছর চাকরি করেছি; অবসর নিয়েছি কর্নেল পদবীতে ২০০৬ সালে। এরপর এযাবৎ প্রিন্সিপাল হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে; এখন অর্কিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-তে। ‘স্কুল সাইকোলোজি’ নিয়েও কাজ করছি।

আশরাফ আল দীন

কবি, শিক্ষাবিদ ও প্যারেন্টিং এক্সপার্ট

আশরাফ আল দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো কাজের ভুল ব্যাখ্যা

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

ভালো কাজের ভুল ব্যাখ্যা।। আশরাফ আল দীন

সেদিন আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে এলেন আমার অতি প্রিয় একজন মানুষ। আমি যতটুকু জানি প্রচুর পড়াশোনা করেন তিনি, গবেষণা ও অনুবাদের কাজ করেন। পড়াশোনা করেছেন আরবি লাইনে মুফতি পর্যন্ত। আরো পড়াশোনার ইচ্ছা আছে। তিনি অবশ্য নিজেকে মুফতি হিসেবে পরিচয় দিতে চান না; এটা তাঁর বিনয়।
মুফতি সাহেবকে হাতের কাছে পেয়ে আমি জানতে চাইলাম, "মন্দ কাজ মানে কি? অর্থাৎ মন্দ কাজ বা খারাপ কাজ বলতে আমরা কি বুঝি?" আমার প্রশ্নের ভেতর আমি কোনো ফাঁক রাখতে চাই নি; যদিও প্রশ্নটা অতি সাধারণ।
মুফতি সাহেব অতি সহজেই যেটা বলে গেলেন তা অনেকটা এরকমঃ মানুষের সাথে 'মোয়ামেলাতে'র মধ্যে মানুষের জন্য বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর কোন কিছু করা যেমন- মানুষকে কষ্ট দেয়া, তার অধিকার নষ্ট করা, অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করা, সামাজিকভাবে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা অথবা অপমানিত করা ইত্যাদি। ব্যক্তিগতভাবে মন্দ কাজ হলো, কোন ব্যক্তি এমন কিছু কাজ করা যেটা ঘৃণ্য ও ক্ষতিকর নিজের জন্য এবং অন্যের জন্য।
আমি বুঝে নিলামঃ সমাজ সম্পৃক্ত এবং ব্যক্তি সম্পৃক্ত অন্যায় ও ক্ষতিকর কাজগুলোই 'মন্দ কাজ' হিসেবে চিহ্নিত।
এবার আমার প্রশ্ন আরো সহজঃ "ভালো কাজ মানে কি? ভালো কাজ বলতে আমরা সাধারণত কি বুঝি?" মুফতি সাহেব অতি সহজেই আমার প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিলেনঃ "এই ধরুন ভালোভাবে চলা, নামাজ রোজা করা, অন্যের ক্ষতি না করা ইত্যাদিকে ভালো কাজ হিসেবে আমরা গণ্য করে থাকি।"
আমি অবলীলায় স্বীকার করলাম, আমিও এভাবেই জানি এবং এভাবেই আমাদের বিশ্বাস গড়ে উঠেছে। কিন্তু আমার মনে একটা চিন্তার উদয় হয়েছে ইদানিং। সে কথাটাই আপনাকে বলতে চাচ্ছি। তিনি বললেন, "যেমন?" আমি বললাম, "এই যে ভাল কাজ ও মন্দ কাজের সীমা পরিসীমা বা তালিকা, আলেম-ওলামাদের নিকট থেকে শুনতে শুনতে এবং নিজেদের মধ্যে আমরা তা বলতে বলতে ব্যাপারটা আমাদের মগজের ভিতরে এমনভাবে বসে গেছে যে এর বাইরে আমরা ভাবি না বা ভাবতে পারি না। ‌ এই ব্যাপারটাকে আমরা অন্য ভাবে দেখলে কেমন হয়? আসুন কথাটাকে ব্যাখ্যা করি।"
ভালো কাজ ও মন্দ কাজ অনেকটা বিপরীত ধর্মী শব্দমালার মতো। যেমনঃ আলোর বিপরীতে অন্ধকার, কালোর বিপরীতে সাদা, তেমনি যে কাজটা "মন্দ কাজ" তার বিপরীত কাজই "ভালো কাজ" হওয়ার কথা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়ঃ ঘুষ দেয়া-নেয়া খারাপ কাজ সুতরাং ভালো কাজ হলো ঘুষকে উচ্ছেদ করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করা। মাদকাসক্তি ও মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় খারাপ কাজ, সুতরাং ভালো কাজ হলো মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং একে নির্মূল করা ও সমাজকে এর ক্ষতি থেকে রক্ষা করা। অত্যন্ত খারাপ কাজ হলো 'ইভ টিজিং' এবং এর নির্মম পরিণতি হলো সমাজে ধর্ষণ বৃদ্ধি পাওয়া। আর, এর বিপরীতে ভালো কাজ হলো ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং ধর্ষণকে ও নারীর মানহানিকে সমাজ থেকে উচ্ছেদ করা। 'এসিড সন্ত্রাস' অত্যন্ত খারাপ কাজ এবং আরো গর্হিত কাজ হলো কোন নারীর মুখে এসিড নিক্ষেপ করা! এর বিপরীতে ভালো কাজ হলো এসিড সন্ত্রাস ও এসিড নিক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া খারাপ কাজ এবং আরো খারাপ কাজ হলো প্রতিবেশীর অথবা অন্য কারো সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করা। এর বিপরীতে ভালো কাজ হলো এ ধরনের কাজকে সমাজ থেকে নির্মূল করার ব্যাপারে ব্যক্তিগত ভাবে এবং দলবদ্ধ হয়ে কাজ করা, একাজে সরকার বা প্রশাসনকে সহযোগিতা করা।
এভাবে বিবেচনা করলে দেখা যাবে, সমাজ এবং ব্যক্তি সম্পৃক্ত খারাপ কাজগুলোর বিপরীত কাজই হলো নিঃসন্দেহে "ভালো কাজ"। কিন্তু সেই কথাটা আমরা বলছি না। আমরা খারাপ কাজকে "খারাপ কাজ" বলছি কিন্তু ভালো কাজ হিসেবে বলছি রোজা নামাজ করা, কোরআন শরীফ পড়া এবং ব্যক্তিগতভাবে ভালো হয়ে চলা। এতে যা ক্ষতি হয়েছে তা হলো উপরে বর্ণিত "ভালো কাজগুলো" উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে এবং এগুলোর প্রতি নজর দেয়া হচ্ছে না!
এখানেই আমার প্রশ্ন!
আমার প্রশ্ন হলোঃ কোরআনে বর্ণিত ভালো কাজ করার যে মূলনীতি এবং ভালো কাজ করার যে নির্দেশ তা কি আমরা উপরের ভালো কাজগুলো না করে শুধুমাত্র রোজা নামাজ করলে আদায় হবে? নাকি আল্লাহর কাছে আমরা দায়ী থেকে যাবো?
তাছাড়া, আমার মতো নির্ঝঞ্ঝাট নামাজী ভালোমানুষকে দিয়ে সমাজের তো কোন উপকারই তাহলে হচ্ছে না! আসলেই কি আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই আমার এই সমাজের প্রতি এবং আমার চতুর্পাশের মানুষগুলোর প্রতি? আমি তো আগেও কিছু করিনি সমাজের এবং মানুষের জন্য। (যাঁরা করেছেন বা করছেন তাঁদের আমি ভাগ্যবান মনে করি।) এখন বয়সের কারণে আমি মসজিদে আশ্রয় নিয়েছি এবং নিজেকে বেহেশতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি ব্যক্তিগত এবাদত বৃদ্ধির মাধ্যমে; কিন্তু সমাজের জন্য কিছু করছি না। অথচ এই সমাজের কাছ থেকে নানাভাবে আমি আজীবন কেবল গ্রহণই করেছি, কিন্তু আমার তরফ থেকে কিছুই দেইনি বা দিতে পারেনি। আর, একদিন এই সমাজই আমাকে আমার মৃত্যুর পর কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে দাফন করবে। এসব কথা ভাবলে নিজেকে অত্যন্ত স্বার্থপর মনে হয় এবং ভয় হয় আমার মত স্বার্থপর মানুষের জন্যই কি আল্লাহ বেহেশত তৈরি করেছেন?
ইসলামের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছেঃ "আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকার" অর্থাৎ ন্যায় বা ভাল কাজের প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায় বা মন্দ কাজের উচ্ছেদ সাধন। পবিত্র কোরআনে যে শব্দমালা ব্যবহার করা হয়েছে তা হচ্ছে 'আহসানু আমালু' বা ভালো কাজ। (যিনি মৃত্যু ও জন্ম সৃষ্টি করেছেন, তিনি যাতে করে তোমাদের যাচাই করে নিতে পারেন যে, কর্মক্ষেত্রে কে তোমাদের মধ্যে উত্তম। তিনি সর্বশক্তিমান, তিনি অসীম ক্ষমাশীল। ৬৭:২) এখানে তো নিশ্চয়ই নামাজ রোজার কথা বলা হয়নি, বলা হয়েছে কর্মক্ষেত্রে সমাজ সম্পৃক্ত কাজের কথা।‌
এখন অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক। যদি কেউ প্রশ্ন করেনঃ নামাজ পড়া, রোজা রাখা, কোরআন শরীফ পড়া ভাল কাজ কি না? কোনরকম দ্বিধা না করেই বলবো, "হ্যাঁ। অবশ্যই এর সবই ভালো কাজ এবং অত্যন্ত ভালো কাজ। কিন্তু তার বিপরীতে মন্দ কাজ কোনটা? এর বিপরীতে মন্দ কাজ গুলো হচ্ছে নামাজ না পড়া, রোজা না রাখা এবং কোরআন শরীফ না পড়া বা না বুঝা।
কিন্তু আমরা তো মন্দ কাজ বলতে প্রাধান্যে নিয়ে আসছি 'সমাজ সম্পৃক্ত খারাপ কাজগুলো'কে কিন্তু সেগুলোর প্রতিকার হিসেবে যেসব 'ভালো কাজ' গুরুত্ব ও নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করা উচিত তার দিকে আমরা নিজেরা অনুপ্রাণিত হচ্ছি না এবং অন্যকে অনুপ্রাণিত হতে বলছি না। আমরা, সমাজের ভালো মানুষগুলো, যদি এই কাজ সম্পাদন না করি তাহলে কে করবে এই কাজ? এই ভালো কাজগুলো করার জন্য আল্লাহ তো অবশ্যই ফেরেশতা পাঠাবেন না! মানুষকেই এই কাজ সম্পাদন করতে হবে সমাজের মধ্যে থেকেই!
এই ভ্রান্তি অথবা বিভ্রান্তিকে খুব ছোট মনে হতে পারে কিন্তু এর ক্ষতিটা অত্যন্ত মারাত্মক। কারণ, আমাদের মুসলমান সমাজে নামাজী সজ্জন ব্যক্তির অভাব নেই। অসংখ্য মানুষ এই ভালো কাজে সম্পৃক্ত আছেন কিন্তু তারা সমাজ সম্পৃক্ত এবং ব্যক্তি সম্পৃক্ত ভালো কাজগুলোতে অংশগ্রহণ না করেই আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন যে তারা ভালো কাজ করছেন, কারণ তারা নামাজ-রোজা করছেন!
এই ধারায় চিন্তা ভাবনা করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছেঃ আসলে ইসলামের দৃষ্টিতে যে সব কাজকর্মকে "ভালো কাজ" হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেইসব ভালো কাজ থেকে আমরা দূরেই থেকে যাচ্ছি। ফলে আমরা মসজিদে জামাত কায়েম করছি বটে, কিন্তু সমাজে কুলষিত লোকেরা সমাজের ভালো লোকদের পক্ষ থেকে কোনো রকম প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ ছাড়াই দুঃশাসন কায়েম করে চলেছে। অর্থাৎ, সমাজে ভালো মানুষের অভাব নেই কিন্তু এত অধিকসংখ্যক ভালো মানুষের উপস্থিতিতেও আমাদের দুর্ভাগা সমাজ কোনভাবেই উপকৃত হচ্ছে না।
ভালো কাজ ও মন্দ কাজের ব্যাখ্যায় অযথাই আমরা রোজা-নামাজকে টেনে এনেছি এবং একে এক ধরনের "আত্মতুষ্টির বিষয়" বানিয়েছি। এই ভুলের মারাত্মক ক্ষতিটা হলো, ভালো কাজ থেকে আমরা সম্পূর্ণরূপে বিমুখ হয়ে গেছি। হারু দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমাদের কেউ কেউ এইসব সমাজ এবং মানব সংশ্লিষ্ট ভালো কাজকে "দুনিয়াবী কাজ" আখ্যায়িত করে বর্জন করে চলেছেন!আমার মনে হয় এ এক চরম মূর্খতা ও গোমরাহী এবং ইসলামকে তার সঠিক অর্থে না বুঝার ফল। এইসবের প্রত্যক্ষ ফল স্বরূপ সমাজে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, এইসব সমাজ সম্পৃক্ত ভালো কাজগুলো করে চলেছে আস্তিকতা থেকে দূরে অবস্থানকারী কিছু সংখ্যক ব্যক্তি বা এনজিও। তাদের মাধ্যমেই সমাজ কিছু মাত্রায় হলেও উপকৃত হচ্ছে। যেমন ধরুন, এসিড নিক্ষেপের মতো একটি মন্দ কাজ নিয়ে মসজিদে নামাজ কায়েমকারীরা একটুও গর্জে ওঠে নি! যতটুকু প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা হলো বিভিন্ন এনজিও সংগঠন। আমি বুঝতে পারিনা এই ধরনের একটি ভালো কাজ থেকে মসজিদমুখি ভালো মানুষগুলো নিজেদেরকে দূরে রাখল কেন! তাই আমি বলতে চাই, আমাদের সমাজের বিশাল সংখ্যার ভালো মানুষগুলো, নামাজী মুসলমানগুলো সত্যিকার অর্থে ভালো কাজ থেকে বিমুখ হয়ে আছে। এই সুযোগে সমাজ দাবড়ে বেড়াচ্ছে কলুষিত মানসিকতার দুষ্কর্মকারীরা। আর সমগ্র সমাজ আর্তনাদ করছে অত্যাচারের শিকার হয়ে! কিন্তু সেই আর্তনাদ আমাদের কানে পৌঁছায় না। অবশ্যই, এই কাজের মধ্যে আরাম নেই, এই কাজের মধ্যে সংঘর্ষের বিপদ আছে, ঘাম ও রক্ত ঝরার আশঙ্কা আছে! এইসব ভালো কাজ করতে গেলেই অনিবার্যভাবে কিছু প্রতিপক্ষ তৈরি হয়ে যাবে। বিশেষতঃ যারা মন্দ কাজ গুলো করে চলেছে এবং তাদের আশ্রয়দাতারা। কিন্তু কোরআনের নির্দেশ মানতে হলে আমাদেরকে তো সেই ঝুঁকি কিছু মাত্রায় হলেও গ্রহণ করতেই হবে! এই কথাটা অনুধাবন থেকে অধিকাংশ মুসলমান দূরে বলেই আজ আমরা নিজেদের মধ্যে মজলুম হয়ে আছি! মুসলিম সমাজের এটাই অত্যন্ত বড় দুর্ভাগ্য!
আমি রাজনীতির কথা বলছি না। আমি বলছি, রাজনীতি-বিবর্জিত সামাজিক কল্যাণের কথা, মানুষের কল্যাণের কথা। আমি বলছি Non-political Social Activism-এর কথা।
উপরের কথাগুলোর মধ্যে গলদ আছে বলে মনে হলে পাঠক আমার চিন্তার সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারেন। আল্লাহ আমাকে এবং আমাদের সবাইকে সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতা দান করুন। আমিন।
রচনাকালঃ মিরপুর।। ঢাকা; ২৫.০২.২০১৯

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়াতে মন্দ লোক দিয়ে ভরা। তাই দুনিয়াতে মন্দ কাজই বেশি হয়।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮

আশরাফ আল দীন বলেছেন: দীর্ঘ লেখা পোস্ট করার একটাই অসুবিধা আর তা’ হলোঃ পুরো লেখা সময় নিয়ে পড়ার সময় প্রায় কারোরই থাকে না। কোন লেখা পুরোটা না পড়লে আসল কথা না বুঝে “ভুল বুঝা”র আশংকাই প্রকট হয়ে ওঠে। ফল হয়েছে এই যে, অধিকাংশ পাঠকই মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। যারা কষ্ট করে মন্তব্য করেন তারাও সঠিকতা থেকে দূরেই থাকেন।
ভালে-মন্দের দ্বান্দিকতা আমার বক্তব্য বিষয় নয়। আমি বরং “ভালো কাজ কোনগুলো” তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি।
যাহোক, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্কুলে যখন পড়তাম তখন ধর্ম শিক্ষক বলেছিলেন ' যে কোনও ভালো কাজ আল্লাহর নামে শুরু করলে সেটা এবাদত হিসাবে গণ্য হয়।'

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.