![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন গণমাধ্যমকর্মী।
জীবনের ধর্মই হলো অলিখিত জুয়া-র মতো..। মুশকিল-মুসিবত, কান্না-হাসি, কষ্ট-বেদনা এর এক একটি বাধ্য উপাদান। জটিলতা আসবেই-থাকবেই। পর-কে আপন করা মানব ধর্ম ঠিকই, কিন্তু সেটা ব্রতচারী-সন্নাসীরাই হয়তো পূর্ণ অনুসরণ করতে পারে। তবে, দীর্ঘ-স্বীকৃত আপনকে পর করে মোহনীয় পর-কে আপন করার উপদেশ কিংবা নজির কোন ধর্মে নেই বলেই আমার বিশ্বাস। অনটন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য দূর্ভিক্ষ। সকলেরই থাকে। এ যে শুধু বিনিময় মান-এরই হতে হবে, তা কিন্তু মোটেই নয়। এর নানা রুপ আছে, উপযোগও আছে স্বভাবতই। কেননা অনটন ছাড়াতো পূর্ণতা শুধুই একটি অক্ষর মাত্র।
আমার গ্রামের বাড়িতে রাস্তার এপার-ওপারে বিদ্যুতের দুটো লাইন বিদ্যমান। অনেক সময়ই দেখা যায়, আমাদের ঘরে বিদ্যুৎ নেই, কিন্তু আমাদের ঘরের ঠিক উল্টোপাশে রাস্তার ওপারের ঘরে ঠিকই বিদ্যুৎ আছে। ও ঘরে আলো আছে বলে আমি কখনোই নিজের ঘরকে ধিক্কার দেই না, কিংবা নিজের অন্ধকার ঘর ত্যাগ করে অন্যের ঘরের আলো উপভোগ করতে যাই না। কারণ প্রকৃতি সর্বদাই ভারসাম্য বজায় রাখে। যদিও এটুকু বোঝার মতো জ্ঞান আমার আছে যে, বিদ্যুতের আসা-যাওয়া প্রকৃতির মর্জি নয়। একটু ভাবলেই আমার বলার গভীরতা লব্ধ হবে।
সম্পর্ক নিতান্তই একটি আত্মিক অদৃশ্য সুতো, একটি আবেগপ্রবণ ধারণা মাত্র। আকষ্মিক অনাকাঙ্খিত অঘটন বাদ দিয়ে পিতৃবিয়োগ-মাতৃবিয়োগ কিংবা ভ্রাতা-ভগ্নি-পত্নীবিয়োগের অভিজ্ঞতা ক্রমে সকলেরই হয়-হবে। তাতে কি ঘটমান-বহমান জীবিতকাল থেমে থাকে..! তা তো নয় বৈকি। তাই বলে আমরা নিশ্চয়ই অবধারিত বিয়োগ গণনা করে আগেই আত্মিক সুতো ছিন্ন করি না..! অন্তত সাধারণ মনুষ্য-চর্চাকারীরাতো নয়ই।
স্বজন-বান্ধব, সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় ভ্রষ্ট-রুষ্ট মানবকূলের সামাজিকীকরণের অন্যতম পুরোনো অধ্যায়। ছোটবেলায় সমাজ পরিচিতি বইয়ের কোন এক পাঠ্যাধ্যায় এর প্রথম লাইনই ছিলো- মানুষ সামাজিক জীব, সে একা বাঁচতে পারে না; পড়েছিলাম, আজও মনে আছে। পক্ষান্তরে বিভিন্ন স্বাধীনতা ও তথাকথিত সামাজিকীকরণের মোড়কে বান্ধব পাতিয়ে অবাধ মেলামেশার যে অভিনব বেলেল্লাপনার উৎসবে মেতে আছে বৈশ্বিক জাতি, সভ্যতা ও সামাজিকীকরণের সর্বকনিষ্ঠ অর্বাচীন অধ্যায় সেটি। ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক সর্বসুখ স্তিমিত করে একটি নির্দিষ্ট স্বার্থান্বেষী মহলকে লাভবান করার এই আত্মবিদ্ধংসী নেষা ও প্রবণতা কতখানি যুক্তিযুক্ত- তা ভেবে দেখার এখনই উৎকৃষ্ট সময় নয় কি?
আমি, জীবিতকালের হয়তো ক্ষুদ্রই দেখেছি সবে। তবে কাল যদি মরে যাই, আজতো কথার-কথা বলতেই পারি যে “পুরো জীবনটাইতো দেখলাম” কিংবা “অনেকতো দেখলাম”..। তাই উপরোক্ত অনেক কিছু বলেও মনে হচ্ছে কিছুইতো বললাম না। বলবো নে..। আবার কখনো..। তবে যেটা বলতে চেয়েছি বিনা অভিযোগে সেটা কিন্তু ঠিকই বলে দিয়েছি।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৯
আশরাফ আনন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো পয়েন্ট। সম্ভ্যাব্য কারণ হতে পারে দুটো।
হয় আমি ডেশ (-) এর ব্যাবহার সম্পর্কে অজ্ঞ। আর নয়তো, ডেশ (-) আমার প্রিয়।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০১
অখ্যাত নবাব বলেছেন: অন্ধকার আছে বলেই আলোর এতো মূল্য!
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪১
আশরাফ আনন্দ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। তবে আলো সম্ভবত নিজেকে একমাত্র অপ্রতিদ্বন্দী একক মনে করে। হাস্যকর না..!
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৭
এম ডি মুসা বলেছেন: ঘরের বাতি জলার দিন এখন খুব লক্ষ্য করা কম যায় , বেদনা দায়ক
খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৫
আশরাফ আনন্দ বলেছেন: জ্বী ভাই। পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। জীবনের বেদনাদায়ক সত্যগুলো যদি কোন জাদুমন্ত্রবলে আনন্দদায়ক হয়ে যেতো..! কতই না ভালো হতো।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৯
এম ডি মুসা বলেছেন: সবার ঘরে জ্বলুক বাতি আসুক আলো ।।
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রামে কিন্তু বিদ্যুতের অবস্থা ভালো না।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৭
আশরাফ আনন্দ বলেছেন: জ্বী ভাই। তবে এখন আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো। ধন্যবাদ রাজীব ভাই সময় নিয়ে পড়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেখানে সেখানে ডেশ (-) লাগাচ্ছেন কেন?