নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://fb.com/ashraf.mahmud

আশরাফ মাহমুদ

http://ashrafovi.blogspot.com © আশরাফ মাহমুদ

আশরাফ মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোনোর চাপীয় সূত্র এবং খানিকটা নাস্তিকতা

১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:০৮

বিজ্ঞানী রোনোর চাপীয় সূত্রটা হলো এরকম -- স্থির আয়তনে কোন নিদিষ্ট ভরের গ্যাসের চাপ শূন্য হতে প্রতি ডিগ্রী তাপমাত্রা পরিবতনের জন্য শূন্য ডিগ্রী চাপের একটি নিদিষ্ট ভগ্নাংশ 1/273 অংশ পরিবতিত হয় ।

আবার চালসের সূত্র মতে স্থির চাপে যদি শূন্য ডিগ্রী তাপমাত্রায় নিদিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন Vo এবং 12 ( মনে করুন ) ডিগ্রী তাপমাত্রায় তার আয়তন V হয়, তবে



V = Vo + ( 1 + 12/273 )



এখন - 273 C তাপমাত্রায় নিদিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন হবে,

V -273 = Vo ( 1 - 273/273 )

= 0




মানে, স্থির চাপে গ্যাসকে ঠাণ্ডা করে তাপমাত্রা

- 273 C করলে আয়তন শুন্য হবে। তাপমাত্রা আরও কমালে গ্যাসের আয়তন ঋণাত্বক হবে, যা অসম্ভব। সুতারাং শুধু পৃথিবীতে নয়, মহাবিশ্বের কোথাও - 273 C এর নিচে তাপমাত্রা হবে না, এবং তা অস্ভব।



আমি যখন সূত্রগুলো প্রথম পড়ি তখন আমার চিন্তা হয়েছিল, দোযখেও এর নিচে তাপমাত্রা হবে না। জানি এরূপ ভাবা খানিকটা নাস্তিকতা। তবে এটা সত্য। যদি - 273 C ডিগ্রী তাপমাত্রার নিচে তাপমাত্রা হয় তবে বলা যায় ঈশ্বর বিজ্ঞান মানেন না।



মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:১০

কেমিকেল আলী বলেছেন: এইটা ত্বাত্তিক, প্র্যাকটিকেল না।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:১৮

ত্রিভুজ বলেছেন: ইন্টারেষ্টিং চিন্তা ভাবনা.. তবে একটু সমস্যা আছে...


আপনি বলেছেন-
"আমি যখন সূত্রগুলো প্রথম পড়ি তখন আমার চিন্তা হয়েছিল, দোযখেও এর নিচে তাপমাত্রা হবে না। জানি এরূপ ভাবা খানিকটা নাস্তিকতা। তবে এটা সত্য। যদি - 273 ঈ ডিগ্রী তাপমাত্রার নিচে তাপমাত্রা হয় তবে বলা যায় ঈশ্বর বিজ্ঞান মানেন না।"




আপনার জন্য কোরানের একটা আয়াত-
"এই মহা বিশ্ব সৃষ্টি করার পর আমি এর জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মকানুনগুলো সৃষ্টি করেছি"

কোন সূরা কোন আয়াত মনে পরছে না... তবে আয়াতটার মিনিং ঠিক এরকমই। (কনফিউজড হয়ে গেলে খুঁজে দেব মূল আয়াতটা.. জানাবেন)



এখন আপনাকে বুঝতে হবে এই মহাবিশ্বের নিয়ম কানুন দিয়ে স্রষ্টার নিয়মকানুনগুলোকে বিচার করাটা কতটা যৌক্তিক। আর দোযখে ঠিক আগুন দিয়েই শাস্তি দেয়া হবে এবং সেটা পৃথিবীর আগুনের মতই হবে, এটা স্থুল চিন্তা। ব্যাপারটা মোটাফোরিক। অল্প কথায় বললে ভুল বোঝার আশংকা রয়েছে। তাই বাদ দিলাম।



তবে অল্প জেনে কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন না করাই ভাল। আরেকটু জানুন। বেটার হয় যদি কোরানের একটা ভাল অনুবাদ পড়ে ফেলেন। তাহলে অনকে কিছুই আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।


এই ওয়েবে দেখতে পারেন...
http://www.quraanshareef.org

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:১৯

প্রকৃতি প্রেমিক বলেছেন: কেমিকেলের কথা ঠিক হলে তো ঠিক আছে। নাহলে ভাবনার বিষয়। অবশ্য জাগতিক সূত্র আর শ্রস্টার সূত্রে পার্থক্য থাকাই (আমার মনে হয়) স্বাভাবিক।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:২২

ত্রিভুজ বলেছেন: মোটাফোরিক = মেটাফোরিক

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:২৪

প্রকৃতি প্রেমিক বলেছেন: এই পোস্টটা এভাবেই (সুন্দরভাবে) চলুক। তাহলে জ্ঞানের সন্ধান এবং চিন্তার খোরাক যোগাতে এটি সহায়ক হবে। আশরাফ, ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:২৫

কেমিকেল আলী বলেছেন: আমি না জেনে কথা বলিনি,
আমি যা বলেছি জেনেই বলেছি।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:২৯

প্রকৃতি প্রেমিক বলেছেন: আমার প্রথম পোস্টের ভাষায় প্রকৃত ভাব প্রকাশ পায়নি। "নাহলে ভাবনার বিষয়" বলতে আমি বুঝিয়েছি "তাত্তিক ব্যাপারটা যদি বাস্তবে রূপ পায়"। @ কেমিকেল।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:৩০

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: আমি আসলে দোজখে শাস্তি নিয়ে বলছি না। আমি সূত্রটা অনুসারে দোজখের অবস্থা কি হবে তা ভাবছি।
আর cite address টা আমি জানি, তবও ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:৩৫

ত্রিভুজ বলেছেন: দু:খিত, শেষ মন্তব্যটা অন্য একটা ব্লগে যাবে.. ভুলক্রমে এখানে চলে এসেছে.... মুছে দিবেন দয়া করে (শেষ মন্তব্য ও এটা)

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:৩৭

ত্রিভুজ বলেছেন: @ আশবাফ
"আমি আসলে দোজখে শাস্তি নিয়ে বলছি না। আমি সূত্রটা অনুসারে দোজখের অবস্থা কি হবে তা ভাবছি। "


'আমি সূত্রটা অনুসারে দোজখের অবস্থা কি হবে তা ভাবছি। ' - এর জবাব দিয়েছি আপনাকে আমার প্রথম মন্তব্যে।

১১| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:৩৯

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: ত্রিভুজ কোন লেখা সময়োপযোগী লেখা না অন্য কিছু তা সময়ই বলে দিবে। আর আমি ইসলামের কিছুই করছি না। আমি মুসলিম আর বিশ্বাস করি কোরআনে অনেক ভাল কিছু আছে।

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:৪২

ত্রিভুজ বলেছেন: আশবাফ,
ঐ মন্তব্যটা আপনার জন্য নয়.. মুছে দিলে খুশি হবো.. মন্তব্যটা যেখানে করেছিলাম !@@!1158693 !@@!1158694 !@@!1158695


(আগের সেই মন্তব্য, এই মন্তব্য এবং আপনার আগের মন্তব্যটা মুছে দিতে পারেন... )

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:৪৩

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: একথা ঠিক যখন খারাপ কিছু ঘটে তখনই আমরা কোরআন খুলি, তার আগে না। কোরআনে কি আছে তা প্রকাশ করুন।

১৪| ১৬ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:৫৫

ত্রিভুজ বলেছেন: ব্রাদার... পুরো ডিসকাশনটাই এলোমেলো হয়ে গিয়েছে... আপনি কি দয়া করে যে যে মন্তব্যগুলো মুছতে বলেছি সেগুলো মুছবেন?



যখনই খারাপ কিছু ঘটে তখন যারা কোরান খুলে, তাদের ঈমানে সমস্যা আছে।
স্পেসিফিক কি প্রকাশ করতে বলেছেন জানান।

১৫| ২১ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:০৫

তানভীর রাতুল বলেছেন: আশরাফ আপনার এই ধরনের প্রশ্নগুলো ভাল লাগছে, ২০০০ সালের দিকে আমরা একটা পত্রিকা করতাম, নাম ছিল 'মাত্রিক', তো লোকের তোয়াক্কা করার দরকার নেই, এন্টি নলেজ ডির্সকোর্স গুলো এরকমই নির্ভীক হয়

২১ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:০৮

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: হায়!
প্রাগৈতিহাসিক পোস্টে মন্তব্য!
ভালো লাগল। পত্রিকাটা কি বন্ধ হয়ে গেছে?

১৬| ২১ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:১৫

তানভীর রাতুল বলেছেন: একরকম বন্ধই, তবে হয়তো আবার হতেও পারে...

২১ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:১৭

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: শুভকামনা রইল।

১৭| ২১ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৪৭

ম্যাভেরিক বলেছেন: শূন্য ডিগ্রী সেলসিয়াসের একটি নিদিষ্ট ভগ্নাংশ 1/273 অংশ পরিবতিত হয় । তাই পরম শূন্য তাপমাত্রা হচ্ছে -273C.

পরিবর্তনটি 1/300 হলে পরম শূন্য তাপমাত্রা হবে -300C. এটি তাত্ত্বিক ব্যাপার। গণিতে সমস্যা নেই।

কিন্তু দোযখকে মহাশূন্যের ভেতর নির্দিষ্ট কোনো বস্তুতান্ত্রিক এলাকা ভাবা যথার্থ নাও হতে পারে। দোযখ কোনো location না হয়ে একটা perceptionও হতে পারে।

একটা উদাহরণ দেই। ধরুন আপনার বন্ধু আপনার সামনে বসা। আপনি তার দিকে তাকিয়ে আছেন। আপনি কিন্তু আপনার বন্ধুর বস্তু চেহারা সরাসরি দেখছেন না, আপনি আসলে তার ইমেইজ দেখছেন, যা প্রথমে অপটিক্যাল সিগন্যাল, পরে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে আপনার ব্রেনের এমন অংশে যেখানে কোনো আলো পৌঁছায় না।

আমরা আমাদের চারপাশে যা দেখি, তা আসলে ইমেইজ আকারে দেখি। এমনকি আপনি যে নিজেকে দেখছেন, তা "বস্তু আপনি" নন, "ইমেইজ আপনি"।

এখন আপনার ব্রেনের সেই জায়গায় যদি কোনোভাবে একটি পাহাড়ের ইমেইজ গঠন করা যায়, তাহলে পাহাড়টির পার্থিব বাস্তব অস্তিত্ম না থাকলেও, সেটি আপনি দেখতে পাবেন।

এমনিভাবে আপনার হাত কেটে গেলে, হাতে নয়, আপনি আসলে ব্রেনে ব্যথা পান। কোনোমতে যদি ব্যথার অনুভূতি ব্রেনে যাওয়া থেকে বিরত রাখা যায়, শত কাটলেও আপনি ব্যথা পাবেন না।

সুতরাং আমরা যা দেখি, তা কি একটা বড় perception! এটি এক মৌলিক প্রশ্ন, যা বিজ্ঞান জন্ম দিচ্ছে। এটি আজ আর দার্শনিক প্রশ্ন নয়।

আপনার পোস্ট ভালো লাগল। বেশ চিন্তার খোরাক জোগাল।

ভালো থাকবেন।

২১ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৫৮

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বিনয়ার্থে, আপনার উল্লেখিত বিষয় ও তথ্য আমি জানি। বস্তুবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে আমার জিজ্ঞাসা ছিল পোস্টে। এটা বছর দুয়েক আগের পোস্ট, ডায়রী থেকে তুলে দেয়া (সেখানে লেখা হয়েছিল কবে জানি না)। তখন জ্ঞান-ও কম ছিল।
হতে পারে আমরা সম্পূর্ণ ঈশ্বরের (আমি সংশয়বাদী) বিমূর্তকল্পনা (perception)। মনে করুন, ঈশ্বর মস্তিস্কের নিউরনে কল্পনা করছেন (আমরা যেমন কতকিছু কল্পনা করি- যেমন- আমি কিউবার সমুদ্রসৈকতে!)। সেক্ষেত্রে, আমাদের যন্ত্রণাটুকু-ও ঈশ্বর অনুভব করছেন!
এখানে আমরা বলতে পারি আমরা সময়কুয়ার ব্যাঙ। সেই ক্ষুদ্রবিন্দু (বিগব্যাং) পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত আমরা আবদ্ধ। নয় কি? আমরা ভবিষ্যৎ কল্পনা বা ভবিষ্যৎবাণী করতে পারি, কিন্তু সত্যতা নিরূপণ করতে পারি না। কারণ, আলো নেই। ভবিষ্যৎ থেকে আলো আসে না (হয়তো মাত্রা বিষয়ক আলোচনা আসতে পারে)। আলোই হল মৌলিক জ্ঞানচাবি।

আপনাকে শুভেচ্ছা।

১৮| ১০ ই মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:৫৯

রাজসোহান বলেছেন: নোবেল টোবেল কিছু পাইছিলা নি?? 8-| 8-| 8-| 8-|

১০ ই মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:০২

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: সামনে পাইতে পারি- তোর মতো লোকজন সুপারিশ করলে। B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.