![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় নি ......
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি, প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আমদানি ব্যয় হ্রাস ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ায় রিজার্ভ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর আতিউর রহমান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০১১ সালের ১২ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার মজুদ সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল।
আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকায় এরপর এক পর্যায়ে তা ৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রেমিটেন্স প্রবাহ ভাল থাকায় এবং আমদানি ব্যয় কমে আসায় রিজার্ভ প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা বেশি বেশি টাকা পাঠানোর কারণেই রিজার্ভ বেড়েছে। এছাড়া দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরাও ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার জন্য রপ্তানি বিল ক্যাশ করায় রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ১২০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে, যা একক মাস হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স। এর আগে জানুয়ারি মাসে ১২২ কোটি ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছিল।
চলতি আগস্ট মাসের ২৪ দিনে (২৪ অগাস্ট পর্যন্ত) ৮৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। ২০১১-১২ অর্থবছরে আমদানি ব্যয় বেড়েছে মাত্র ৫ দশমিক ২ শতাংশ। অথচ আগের বছরে (২০১০-১১) এই ব্যয় বেড়েছিল প্রায় ৪২ শতাংশ।
চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত কমেছে ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর আগে ২০১১-১২ অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
গত এক বছরে রিজার্ভের গতি প্রকৃতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১১ সালের ২৮ অগাস্ট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের ৩০ জুন ছিল ১০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। ৩১ জুলাই ছিল ১০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।
পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বাতিলের পর প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে বলেন, এতে যে বিদেশি মুদ্রা প্রয়োজন হবে তা রিজার্ভ থেকে জোগান দেওয়া হবে। এরপর রিজার্ভ বাড়াতে রেমিটেন্স ও বন্ড বিক্রি বাড়াতে বিভিন্ন দেশে রোড-শো এবং বিনিয়োগ মেলা আয়োজনেরও উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রথম পর্যায়ে সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রতিনিধিদলের সফরের মধ্য দিয়ে এ রোড শোর কার্যক্রম শুরু হবে। পরে অন্যান্য দেশেও রোড শোর কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০১
নিতাই চন্দ্র বলেছেন: হলমার্কের মত যেন না হয়। ১ বিলিয়ন ডলার সরায়া না ফেললেই হয়।