নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশ, ফটো-সাংবাদিক কেনো মারা যাচ্ছে? কিসের জন্য এই মৃত্যু? সমাধান ভাবনা!!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

পুলিশ, ফটো-সাংবাদিক কেনো মারা যাচ্ছে? কিসের জন্য এই মৃত্যু? সমাধান ভাবনা!!!

গতকাল রাতে রাজধাণী ঢাকার বাংলামটর এলাকায় একটি পুলিশের রিকুইজেশন গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে ১ জন পুলিশ কে মারা হয়েছে।



মৃত পুলিশ সদস্যর দিকে একবার ভালো ভাবে খেয়াল করে দেখো? পুলিশের পোশাকটা খুলে ফেলে অন্য পোষাক পরিয়ে দেখুন তো কাকে দেখা যাচ্ছে? একজন মানুষ। আপনার আমার মতো বাংলাদেশের কোনো একটি পরিবারের সন্তান মারা গেছে। যিনি পুলিশ এ চাকুরী করতেন। চাকুরীতে কর্তব্য রত অবস্থায় মানুষটি মারা গেছে।



পুলিশ একটি সেবার নাম। পুলিশ একটি পেশার নাম। পুলিশ একটি সরকারী চাকুরীর নাম। পুলিশ একটি কর্তব্যের নাম। অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করার পর ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে পুলিশ সদস্য হতে হয়। তারপর পুলিশ এ চাকুরী করে সংসার চালাতে হয়। মা, বাবা, সহধর্মিনী, ভাই, রোন, সন্তান, আত্নিয় স্বজন নিয়ে একজন পুলিশের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। চাকুরী করতে হয় পেট সংসারের প্রয়োজনের তাগিদ মিটাতে বা রুজি রোজগার নিশ্চিত করতে।



মায়ের মনকে কি পুলিশ মারা গেছে বলে সান্তনা দেয়া যায়? পুলিশ সদস্যর মায়ের পেটে ১০মাস ১০দিন গর্বধারনের পরই তো সন্তানটি জন্ম হয়েছিলো। শিশু হয়ে জন্মেছেন পুলিশ হয়ে নয়। সন্তান তার পুলিশ বাবার জন্য কাঁদবে না জন্মদাতা বাবার জন্য কাঁদবে? পুলিশের সন্তান হোক আর সাধারণ মানুষের সন্তানই হোক না কেনো তাকে তো চিরদিন এতিম রূপে সমাজের দ্বারে দ্বারে ঠোক্কর খেয়ে বড় হবে। হয়তো চেষ্টা করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে, টাকা পয়সা কামাতে পারবে, কিন্তু বাবাকে কামাবে কি করে? কোনোদিন কি সন্তানের কাছে ঐ বাবা ফিরবে? না বন্ধু ফিরবে না?



পুলিশ একটি আইন শৃংখলা রক্ষাকারী আধা-সামরিক সরকারী বাহিনী। পুলিশের কাজ হচ্ছে সমাজের সৃংখলা রক্ষা করা। এক জন মানুষ যেনো অন্য কোনো মানুষের জন্য হুমকি রূপে প্রকাশিত না হতে পারে তার বিধিবিধান করা একজন পুলিশ এর কর্তব্য। যারা মানুষ মানুষকে ক্ষতি সাধন বা হত্যা করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যাবে। তারপর ঐ ক্ষতি সাধন করার ইচ্ছা পোষনকারী মানুষটি যখন নিজেকে শোধরাতে পারবে ঠিক তখন আবার সমাজে সবার সাথে বাস করতে পারবেন।



মনে করুন একজনের মধ্যে অপরাধ প্রবনতা আছে। মনে করুন একজন মানুষ সবাইকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। অহরহ অন্য মানুষের কাছে নিজেকে বিরক্তিকর রূপে প্রকাশ করে যাচ্ছে। তখন যারা স্বাভাবিক মানুষ তারা আধা-সামরিক বাহিনীকে বিষয়টি জানাবে কিংবা আধা সামরিক বাহিনী নিজে থেকে অবলোকন বা উপলব্দি করে বিরক্তিকর মানুষটিকে ধরে নিয়ে যাবে।



ধরে নেবার পর প্রথমে তাকে সতর্ক করা হবে যে যাতে এই বিরক্তিকর কাজ কারবার গুলো না করে। আর এই সতর্ক করার পরও যদি করার চেষ্টা করে তাহলে তাকে বন্দি করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া যাবে। এই সাজা দেয়ার ব্যবস্থাটি এমন ভাবে সম্পন্ন হতে হবে যাতে করে সে তার বিরক্তিকর আচরনগুলোকে নিজ থেকে উপলব্ধি করে সমাজে ফিরে আসবে। সাজা শেষে প্রথমে মাথা নিচু করে সমাজে হাঁটবে। কারণ সে মন থেকে উপলব্ধি করে এসেছেন তিনি যেভাবে চিন্তা করতেন বা চিন্তার প্রকাশ ঘটাতেন তা এক ভুল ধারনা বা নীতির নাম। সাজা পাওয়ার পরও তার বিবেক তাকে কুড়ে কড়ে খাবে যাতে তিনি নিজ থেকেই যাদের কাছে অন্যায় করেছিলো বিবেকের তাড়নায় তাদের কাছে আবারও দৌড়ে গিয়ে মাফ চাইবে।



মাফ চাওয়ার পর ঐ ব্যাক্তি বা পরিবার তাকে ঘরে ঢুকতে দিয়ে আপ্যায়ন করাতে করাতে বলবে “মানুষ ভুল করে আবার মানুষই সেই ভুলের মাসুল দেয়”। “তুমি মাফ চেয়ে আমাদের আবার অপরাধী করে ফেলো না?”





হায়রে সমাজ!!! হায়রে ৩০লক্ষ রক্তের মূল্যে স্বাধীনতা অর্জন করা বাংলাদেশ। হায়রে বর্তমান বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা! হায়রে অধঃপতনের পথে আজ মানুষ মানুষকে হত্যা করছে কার আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করা জন্য? সেই আদর্শের ভিত্তি কি? কেনো করছে এসব? যে সন্ত্রাসী রূপী খারাপ মনের মানুষটি পুলিশ সদস্য হিসেবে চাকুরী করা মানুষটিকে মেরে ফেললো তা কি স্বার্থ প্রতিষ্ঠিত করার আশায়? ঐ পুলিশ মানুষটি কি সন্ত্রাসী মানুষটির কাছের কোনো মানুষকে হত্যা করছিলো? কোনো সম্পদ কি কেড়ে নিয়েছিলো? পুলিশ কি সন্ত্রাসীর ঘরবাড়ী দখল করে নিজের বলে দাবি করেছিলো? পুলিশ কি ঐ সন্ত্রাসীর উপর অত্যাচার করেছিলো? – এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর যদি “না” হয় তাহলে আর একটি প্রশ্নের জন্ম নেয় আর তা হলো, কি অপরাধে মারা হলো?



এই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়ে দিচ্ছি। মন দিয়ে শুনুন। যখন কোনো রাষ্ট্রি শাসন ব্যবস্থার নাম দোহাই দিয়ে অল্প কিছু মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য সমাজের প্রায় সকল মানুষের অধীকার কেড়ে নেয়া হয় তখন সেখানে বিভিন্ন প্রকার সমস্যার দেখা দেবেই।

কেউ পুলিশ বা খুনি হয়ে জন্ম নেয় না। সামাজিক অসাম্য ভেদজ্ঞান, দুরদৃষ্টিতার অভাব, দূর্ণীতির কারনে এই সব পরিস্থিতির জন্য দেয়। আমি মনে করি একজন রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর চেয়েও একজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু বেশী চিন্তার কারণ। কারণ একদম সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে সব ধরনের মানুষের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করা ও সমাজ থেকে অন্যায়, অপরাধ কে বিলীন করে দেবার জন্যই মানুষের মনে আধা সামরিক বাহিনী গড়ার আইডিয়া এসেছিলো। একজন প্রধানমন্ত্রী একজন মানুষের সরাসরি নিরাপত্তা দিতে পারেন না। একজন স্বশস্ত্র পুলিশ সদস্য একাধিক মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে।



একজন সরকার প্রধানকে একটি সঠিক গাইড লাইন দেয়ার মতো মেধা থাকতে হবে। রাস্ট্রপ্রধান এমন ভাবে তার অনুগত বাহিণীকে পরিচালিত করবেন যাতে করে দেশের প্রতিটি মানুষের আলাদ আলাদা ভাবে প্রটেকশন নিশ্চিত করা যায়। এমন এক ব্যাক্তিত্ব, দুরদর্শিতা, পলিসি, উপলব্ধিবোধ, মেধা ও সহোসের অধীকারী হতে হবে যাতে করে রাষ্ট্রপ্রধান রাস্ট্রের একদম একজন সাধারণ তুচ্ছ পাগলের চাওয়াকেউ উপলব্ধি পূর্বক প্রয়োজণীয় ব্যবস্থার গাইড লাইন দিতে পারে। এই গুন গুলো সব মানুষের থাকে না। পৃথিবীতে খুব অল্প সংখক মানুষ আছে যাদের মধ্য ঐ মানের মেধা আছে। সেই মেধাকে বিকাশিত হতে দেয়া ও প্রটেকশন দেয়া একটি পুরো জাতির নৈতিক দায়িত্ব বোধের মধ্যে পরে।



একজন রাস্ট্রপ্রধান কখনও নির্দিষ্ট কোনো দলের স্বার্থ রক্ষার জন্য হতে পারেন না। যদি নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক মানুষের সার্থরক্ষার জন্য কোনো সরকার ব্যবস্থা গড়ে ওঠে সেই সমাজে কোনো দিনও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।





একটি দল একটি নির্দিষ্ট মত প্রকাশ করার অধীকার রাখে। তাতে যদি একশ কোটি আলাদা আলাদা দল থাকে আর একশ কোটি আলাদা আলাদা মত থাকে তাতেও কোনো অসুবিধার লক্ষন নেই। কিন্তু মানবতা রক্ষার প্রয়োজনে, শান্তি রক্ষার প্রয়োজনে, সত্যকে মুক্ত রূপে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজনে যে ঐ একশ কোটি মত একত্রিত হয়ে একটি মতে পরিনত হবে। এটা যে রাষ্ট্রিয় স্বার্থের ব্যাপার। দলিয় স্বার্থকে জাতির স্বার্থের কাছে জলাঞ্চলী দেয়ার নামই হল স্বাধীন ও সত্যিকারের গনগনের কল্যানের সরকার ব্যবস্থা। যে মানুষ অন্য মানুষকে হত্যা করতে পারে বা হত্যা করার জন্য অবিরত চেষ্টা করে যাচ্ছে তাকে সব মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বন্দি করে রাখা হবে এটা স্বাভাবিক। কারণ তার দ্বারা অশান্তি ও মৃত্যু ঘটানোর সম্ভাবনা ও আশংঙ্কা থেকে যায়।









যে সমাজে নিয়মিত হত্যা, ও মানব অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে দলের “মত” বিশর্জন দিয়ে এই অস্বাভাবিক হত্যা ও নিষ্ঠুরতা রোধে এক মত হওয়া সম্ভব হয় না। সেই দেশে, সেই সমাজব্যবস্থায় কিভাবে শান্তি আসবে বলুন?



যাই হোক, আর একজন মানুষ আজ মারা গেলেন তিনি ছিলেন মিডিয়ার একজন ফটো সাংবাদিক। আমি আগেও বলেছি একজন ফটো সাংবাদিক বা টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান হলেন সমাজের চোখ। তাদের মেরে ফেলা অন্যায়। সবার ফটো সাংবাদিকের মতো কঠিন দায়িত্ব করার মতো মন মানুষিকতা থাকে না। একটি গোলাগুলির মধ্যে আপনাকে অনেক টাকা বেতন দিয়েও ছবি তুলতে বলা হলে আপনি পারবেন না। মৃত্যু আতঙ্ক সব সময় ফটো সাংবাদিকদের থাকে। তারা তো আর সরকার দলিয় লোক বা বিরোধী দলীয় লোক না যে তারা ভবিষ্যতে মন্ত্রী মিনিষ্টার হতে পারবেন। তারা তো বেতন ভূক্ত অকুতভয় বাংলার মানুষের কাছে দায়বদ্ধ ছবি তোলার যোদ্ধা। জাতির চোখ। জাতির চোখকে ধুলু দিতে পারেন সম্পাদক বা মিডিয়ার মালিক কিন্তু ফটোসাংবাদিক না।



একজন ফটোসাংবাদিকে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্র প্রধানের চেয়েও বেশী মনোবল ও রিস্ক নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়। তার কাজ রাস্তায়।

একজন মিডিয়ার মালিক বা সম্পাদকের রুম চমৎকার ইন্টারিয়রে ডিজাইনে ভরা। পর পর চা কফি খাবার ব্যবস্থা আছে। সম্পাদক হলে ভি.আই.পি. নামের কিছু কুলংঙ্গারের সাথে সারাদিন চলাফেরা করা যায় বা চামচামি করা যায়। মন্ত্রী মিনিষ্টারদের পার্টিতে অংশগ্রহন করা যায়। একজন মিডিয়ার মালিক কিংবা সম্পাদক যে ভালো মানের জীবন যাপন করেন তা স্বাভাবিক ব্যাপার।



তাদের চাকর হয়ে একজন ফটোসাংবাদিক কাজ করেন। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন এই ফটোসাংবাদিগের প্রতিদিন পেশাগত কারনে রিস্ক নিয়ে ছবি তুলতে হয়। সম্পাদকের ছবি তুলতে হয় না। ছবি বাছাই করে কোন ছবি জনগনের সামনে তুলে ধরবেন সে সিদ্ধান্ত সম্পাদককে নিতে হয়। অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিতে হলে ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে ফটো সাংবাদিকের কাছ থেকে শুনে ও পরামর্শ নিয়ে সত্য উপলব্ধীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সত্য সংবাদ প্রকাশ করা উচিৎ। কিন্তু একজন ফটোসাংবাদিকের সাথে সম্পাদক সাহেব কথা বলারও প্রয়োজন বোধ করেন না।





একজন ফটোসাংবাদিক অভিজ্ঞাতার মাধ্যমে ফটো তোলা এবং একই সাথে রিপোর্টার হয়ে অবদান রাখতে পারেন। তারপর তিনি বিভাগীয় সম্পাদক হওয়ার যোগ্যতা রাখতে পারেন। আস্তে ধীরে তিনি উপ-সম্পাদক বা সহ-সম্পাদক হয়ে অবদান রাখতে পারেন। তারপর তিনি একজন ভালো মানের সম্পাদক ও হতে পারেন। তারপর তিনি একজন মিডিয়ার মালিক হয়ে দেশের জন্য অবদান রাখতে পারেন। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

লেখাপড়া, সার্টিফিকেট, বংশ পরিচয়, টাকা পয়সার চেয়েও যে অভিজ্ঞতা অনেক বেশী দামী। এই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পেশাগত উন্নতি সাধন তখনই সম্ভব যখন গণ মাধ্যম স্বাধীন হবে। স্বাধীন গনমাধ্যমের নাম করে কিছু ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দলের স্বার্থের জন্য মিডিয়া ব্যবহার করা হলে, সে দেশে কিভাবে অভিজ্ঞাতার মাধ্যমে সফলতা সম্ভব?



যাই হোক, আজ যারা বাংলাদেশের ইলেট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মালিক তারা কারা? আজ যারা সম্পাদক বা প্রধান নির্বাহী হিসেবে মিডিয়ায় কর্মরত তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কি? একজন রিপোটারকে অসৎ করে গড়ে তুলতে সাহায্য করে কারা?





মনে রাখবেন, আমার দেশের সাধারণ মানুষ কাজ করতে জানে। পরিশ্রম করতে জানে। খাবার হালাল করে খেতে জানে। সত্য ভাবতে জানে। কিন্তু সত্য প্রকাশ করতে মাঝে মাঝে দিধাবোধ করে।





বাংলাদেশের মিডিয়ায় যারা চাকুরী করেন তাদের বেশীর ভাগ মানুষই ভালো। তারা সারাজীবন ধরে শুধু পরিশ্রমই করে যাচ্ছেন। শুধু মাত্র হাতে গোনা কিছু মালিক, সম্পাদক ও তাদের চামচারা এই মহান পেশাটিকে চীরদিনের জন্য কলংঙ্কিত করে চলছেন।

একজন মিডিয়ার মালিক রাজনৈতিক দলের কাছে বা রাজনৈতিক নামের খেলোয়ারদের খেলার পুতুল রূপে পরিগনিত হচ্ছে। তিনি ইচ্ছে করলেই স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারছেন না। কারণ তার যে লাইসেন্স নামের কাগজটি না থাকলে ইনভেস্ট গোল্লায় যাবে। আর ঐ লাইসেন্সটি যে রাজনৈতিক কর্তাব্যাক্তিদের হাতে জিম্মি। হায়রে করাপটেট হায়ার সোসাইটি? তোদের পশু বললেও যে পশুরা ঘেউ ঘেউ করে প্রতিবাদ জানাবে!!!





একজন সাধারণ পুলিশ অফিসার ঘুষখোর না। বেশীর ভাগ পুলিশ অফিসারই ভালো। সাধারন পুলিশরা তাদের কাজের ব্যাপারে অনেক বেশী সিনসিয়ার। তারা তাদের পেশাগত দায়িত্ব আরো ভালো ভাবে পালন করতে ইচ্ছুক। যত প্রকার ট্রেনিং দিয়ে তাদের দক্ষ হতে বলেন তারা দক্ষ হতে বাধ্য। কিন্তু একজন পুলিশ কর্মকর্তা যদি তার অধীনস্থ কর্মকর্তাকে ঘুষ খাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ ভাবে মেনে নিয়ে, ঘুষ খেতে বাধ্য করে ফেলেন তাহলে দোষী কারা? পুলিশের উর্দ্ধতন একজন কর্মকর্তা যদি তার অধিনস্ত এসপি কে ঘুষের টার্গেট দিয়ে দেয়। অনেকটা ঔষধ কোম্পানীর মার্কেটিং এর মতো তাহলে দোষ কার বলুন?





সহজে বলছি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট হলো স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয় এর অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। একজন স্বরাষ্ট্র সচিব বা একজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যদি দূর্ণীতির ঊর্ধে নিজেকে রাখতে না পারেন তাহলে পুরো সিস্টেমটাই যে ঘুষের অবাধ রাজ্যে পরিনত হবে।

একজন আইজি বা পুলিশ প্রধান যিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে বন্দি। একজন মিডিয়ার মালিক যিনি একজন মন্ত্রীর কাছে বন্দি। তারা তাদের নিজ পদ রক্ষার জন্য হলেও বা অহেতুক হয়রাণী ঠেকাতে এসব দূর্ণীতিবাজদের হাতে বন্দি। সব মন্ত্রীর প্রধান হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি যদি সবার আগে দূর্ণীতি মুক্ত হয়ে একটি দূর্ণীতিমুক্ত মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেন তাহলে তো অবশ্যই একটি সুন্দর সরকার ব্যবস্থা গঠন করা সম্ভব। তখন দূর্ণীতি দমন কমিশন থাকার দরকার হবে না। বরং আজ যারা দূর্ণীতিতে যুক্ত আছেন তারাও ভালো হয়ে যেতে বাধ্য হবেন।



ব্যাবসায়ীরাও ভালো থাকবেন। তাদের রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিতে হবে না। পন্য পরিবহন, আমদানী বা অন্যান্য কাজে প্রশাসনকে চাঁদা দিতে হবে না। প্রোডাক্ট খরচ কম পরবে। র-মেটিরিয়ালস কস্ট কম পড়বে। ভোক্ত অল্পদামে পণ্য দ্রব্য কিনতে পারবে। দেশ হবে দূর্ণীতিমুক্ত।



এখন আমি আমার প্রিয় দেশবাসী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সকল মেধাবীদের কাছে কিছু আইডিয়া শেয়ার করতে চাচ্ছি।



আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, জয়, তারেক রহমান, হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জামাত ইসলাম দলের আমীর সহ বাংলাদেশে যে কয়টি রাজনৈতিক দলের প্রধান আছেন তাদের মধ্যে কি এমন একজনকে দেখাতে পারবেন যিনি ব্যক্তিস্বার্থ ও দলীয় স্বার্থের উদ্ধে উঠে রাস্ট্র পরিচালনায় সক্ষম? যার ব্যাক্তি জীবনের ইতিহাস ত্যাগের? যার মধ্যে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের জন্য মায়া আছে? যার কাছে বাংলাদেশের চেতনা বোধ কে জাগ্রত করা প্রধান কর্তব্য বলে মনে হয়?



বাংলাদেশের দলীয় রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে যে সব মুষ্টিমেয় মানুষ তথা মন্ত্রী বা রাজনৈতিক নেতা বলে সমাজে অবস্থানকারী গড-ফাদার তাদের কি নিজের ব্যাক্তি স্বার্থকে জলঞ্জলী দিয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার মতো দুরদর্শিতা কিংবা মন মানসিকতা আদৌ আছে?



যদি এই প্রশ্ন দুটির উত্তর “না” সূচক হয়। তাহলে এই কয়েকশ সুবিধা ভোগী মানুষকে যদি একদিনের মধ্যে কঠিন কোনো শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা যায় তাহলে অসুবিধা কিসের?



সাধারন মানুষ মিডিয়ার কল্যানে যাদের শ্রদ্ধা ও সম্মানের আসনে বসিয়েছিলো। তারা হয়তো কিছুদিনের জন্য কিছুটা ক্ষ্রিপ্ত হতে পারে। তাতে যে খুব একটা অসুবিধা নেই। কারণ বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষই শান্তিপ্রিয়।



কয়েকজন নষ্ট মানুষকে হারিয়ে যদি কোটি মানুষের উপকার করা যায়। কিংবা অনেক অধীকার বঞ্চিত মানুষদের অধীকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে কিছু সংখ্যক লোভি ও সুবিধা ভোগী মানুষকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হয় তাহলে অসুবিধা কিসের? এ যুদ্ধ যে ন্যায্য? এ যে আমাদের বাঙালী চেতনা ধরে রাখার জন্য লড়াই। এ যে আমাদের অনাগত ভবিষ্যতকে মুক্ত করার লড়াই।



একজন একজন করে সব সমমনের মানুষগুলো মিলিত হলে ভালো কিছু করা সম্ভব। কিন্তু তা হতে হবে দেশের বৃহত্তর ও দীর্ঘদিনের কল্যানের ও আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।



বাংলাদেশের সরকারী কর্মকর্তাদের, সামরীক ও বেসামরীক বাহিনী সহ সকল চাকুরীজিবির বেতন ভাতার কাঠামো সময়ের সাথে সংগতিপূর্ণ করা হয় না কেনো? শুধু মাত্র নিচু শ্রেণীটার পেটে টান রেখে কাজ সব কাজ করিয়ে নেয়া যায় বলে? বাংলাদেশের সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী করতে কতো টাকা লাগে? তারচেয়ে বহুগুন যে ব্লাক মানি মন্ত্রি মিনিষ্টারদের হয়ে যায়।



পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে অনেক নিন্মমানের একটি দেশ। তারা আমাদের নিয়ে কি বললো আবার তা নিয়ে কে কি মন্তব্য করল বা পাকিস্থানী পণ্য বর্জন করার চেয়েও বড় ইস্যু হলো একজন নির্দোশ পুলিশ ও একজন ফটোসাংবাদিক সহ শত শত নিরিহ মানুষের প্রাণ কেনো যাবে?



“বাংলাদেশের মানুষকে আর কতো রক্ত দিতে হবে?” এমন শিরোনাম লেখার কে আছে বলুন? এমন করে বাংলাদেশকে ভালো না বাসতে পারলে বাংলাদেশ থাকবে কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তি যে শান্তি ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনার বাংলাদেশ যে হারিয়ে যাবে!!!

বাংলাদেশে শান্তি আসার পর পাকিস্তান বা বিশ্ব নিয়ে অনেক মাথা ঘামানো যাবে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার মতো অনেক সময় সামনে পড়ে আছে। এখন ভালো করে প্রতিবাদ করার সময় এসেছে যে হরতাল, অবরোধ, লংমার্চ সহ মানুষ মারার ফন্দিকে কিভাবে চীরতরে উৎখাত করা যায়। এই অসাম্য ও অনেকদিনের জঞ্জাল দুর করে বাংলাদেশকে মুক্তি করা একদম জরুরী।



হত্যার মধ্য দিয়েই হত্যার জন্ম হয়। আজকে যার বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে। সেই বাবার অভাগা ছেলেটার মধ্যে যে প্রতিশোধের স্পৃহা তৈরি হয়েছে। সন্তান হত্যার প্রতিশোধের জন্য মায়ের মনে যেমন করে কষ্ট হচ্ছে। ঠিক ঐ কষ্টটিকে কিছুক্ষণ সময়ের জন্য নিজের মনে অনুধাবন করে কাজের কাজ করতে পারলেই বাংলাদেশকে একদম সুন্দর করে গড়ে তোলা সম্ভব। স্যুট করে মেরে ফেলুন ঐ শয়তান ও কুলঙ্গারদের।



ঢাকার শাসক গিয়াস উদ্দীন আজম শাহ দেশের প্রজাদের স্থায়ী শান্তি দেবার জন্য তার ৭টি সৎভাইকে মেরে তাদের মাথা একইথালায় করে তার সৎ মায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তারপরও ইতিহাসে গিয়াস উদ্দীন আজম শাহ একজন সুশাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তার জীবনী পড়লে অবাক হয়ে যাবেন। প্রথম জীবনে তিনি শুধু বইয়ের মধ্যেই ডুবে থাকতেন। প্রচন্ড রকম ডিফেন্সিভ মাইন্ডের ছিলেন। কিন্তু দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে যায় তখনই যে বৃহত্তর স্বার্থ ছোট স্বার্থকে জলাঞ্চলী দিতে হয়।

বাদশা আলমগীর (আওরঙ্গজেব) যাকে মানুষ “জিন্দপির” ডাকেন তিনি তার ভাইদের কে মারতে বাধ্য হয়। বাবা শাহজাহান ও বোন জাহানারা কে বন্দি করতে বাধ্য হয়। কিসের জন্য? প্রজাদের শান্তির জন্য।



সম্রাট অশোক। যার কারণে আজ বৈদ্ধদের সংখ্যা এতো বেশী। তিনি তার ভাইদের না মারতে পারলে যে আজ অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর দেশ আমাদের চোখে পড়তো না। তিনি যে কতখানী দুরদর্শী ছিলেন তা আজকের চায়নাকে দেখলেই বোঝা যায়।

আসুন বন্ধু আমরা সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিজেকে তৈরি করে নেই।



বন্ধু!!! বাংলাদেশী মানুষ ছোট মনের না। বাংলাদেশের জনগনের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে কি করতে পারে তা আজ আইউব খান বা জুলফিককার আলী ভুট্ট থাকলে বলতে পারতেন। বাংলাদেশের মুক্তির চেতনা যে বিশ্বের সবচেয়ে শক্ত চেতনা। আওয়ামীলীগ, বিএনপি বা কমিউনিস্টরা বাংলাদেশ স্বাধীন করে নি। বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন সাধারণ জনগন। বাংলার কৃষক কৃষিকাজ ফেলে দিয়ে কোনো ট্রেনিং ছাড়াই গেরীলা যুদ্ধ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো। এরা কি বিরশ্রেষ্ঠ না? না, বিরশ্রেষ্ঠ হবার লক্ষ্যে



বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করে নি বরং বাংলাদেশকে নিজ শক্তিতে বলিয়ান করার জন্য স্বাধীন করেছে। খাঁচায় বন্দি পাখিকে খাঁচা থেকে বেড় করে এনেছে। কিন্তু সেই স্বাধীনতা পাখির পায়ে যে অনেকদিন ধরে বেড়ি পাড়ানো। এখন এই বেড়িও আর আগের মতো টেকশই না। আমরা যখন পাখির পায়ের ঐ বেড়ী দেখতে পেয়েছি। তখন তা ছিড়ে বাংলাদেশকে চিরশান্তির দেশ রূপে প্রতিষ্ঠিত করে ছাড়বো। ইনশাআল্লাহ্!!!



স্বাধীন বাংলাদেশের মিডিয়া আজ থেকে তোমরা নিজেদের স্বাধীন মনে করে এগিয়ে চলো দেখবে যে মিডিয়া সত্যিকার অর্থে বাংলার চোখ হয়ে ধরা দেবে।

বাংলাদেশের মিডিয়া কর্মিদের প্রতি আদেশ করছি ভিআইপি নামের পশুদের মিডিয়া কভারেজ দেয়া বন্ধ করে প্রতিবাদ গড়ে তুলুন।

পুলিশ প্রশাসনকে আদেশ করছি আপনারা যখন নিজেদের বাঁচাতে পারছেন না তখোন ঐ পশুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত থাকুন।

সেনাবাহিনীকে আদেশ করছি আপনারা ঐ সব পশুদের মেরে ফেলুন। যাতে এই দেশে আর কোনোদিন কোনো প্রকার দূর্ণীতির বাস্তবায়ন না হতে পারে।



আজ প্রকাশ করে দাও “ডঃ কামাল হোসেন এর সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক কি? বঙ্গবন্ধু তাকে কেনো বাংলাদেশের পররষ্ট্র মন্ত্রী বানাতে বাধ্য হয়েছিলেন।”

বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন করা হয় কেনো জানো? যাতে ঘরে ঘরে এলাকায় এলাকায় ভাই ভাই জায়গা জমি নিয়ে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত থাকতে পারে। এ কেমন কথা?

যে সমস্যা একদিনের তার জন্য এতো এতো দিন তারিখ। সেই মান্ধাতার আমালের বৃটিশ আইনে স্বাধীন বাংলাদেশ চলতে পারে না। সংবিধান রাষ্ট্র বা জনগন সৃষ্টি করে নাই। বরং জনগন সংবিধান তৈরি করে সবার সমান অধীকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।



ব্লগ সংক্রান্ত কিছু কথাবার্তা ও বড় দিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।



বাংলাদেশের রাস্ট্র প্রধানের একটি স্পষ্ট রূপরেখার খসরা প্রস্তাব:: প্রিয় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত!!!



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০

হাসিব০৭ বলেছেন: পুলিশ যখন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তখন কোথায় থাকেন? কিছুদিন আগে আমাদের বাসার সামনে বসে আমরা চা খাচ্ছিলাম এবং সেসময় ৪ জন পুলিশ আসল এবং আমাদের চেক আপ করে ২ টি মোবাইল এবং ৫০০০ টাকা নিল। যখন প্রতিবাদ করলাম তখণ আমার এক বন্ধুকে লাঠি দিয়ে আঘাত করল এবং হুমকি দিল জামায়াত শিবির বইলা কেস দিবে এবং অস্ত্র আইনে মামলা দিবে। তখন কিভাবে এই পুলিশদের সাপোর্ট করব একটু বলুন তো?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: উত্তর দিতে দেরি হল বলে দুঃখিত। পোস্টটিতে কিছু বানান ভুল ছিলো। যতটুকু সম্ভব ঠিক করে দিয়েছি। আর একবার পড়ে দেখুন আপনার প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টের মধ্যেই লুকিয়ে ছিলো।

যাই হোক, বাংলাদেশের দূর্ণীতি একদম গোড়ায়। আপনার ৫০০০টাকা থেকে হয়তোবা ঐ ভদ্রলোকের বস কে ভাগ দিতে হয়েছে। দূর্ণীতিও একটা চেইন অব স্ট্রাকচারে গ্রো করানো হয়েছে। বাংলাদেশের কিছু খারাপ মানুষরা এই সব শয়তানীর মূল হোতা। বাংলাদেশের পুলিশ যতটা না খারাপ তার থেকে তাদের বেশী খারাপ করে সবসময় তুলে ধরা হয়েছে।

আমার পরিচিত এক পুলিশের ঊর্ধতন অফিসার আছেন। যার ধ্যান জ্ঞান কম্পিউটার নিয়ে। তিনি একটি লস প্রজেক্টের ওয়েব সাইট চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না যে পুলিশ খারাপ হতে পারে।
নিজ থেকে অন্যায় করা এক জিনিস আর অন্যয়ের পরিবেশে বড় হয়ে অন্যায় করা ভিন্ন জিনিস।
তারচেয়েও খারাপ হলো একজন সৎ মানুষকে যখন বাস্তবতার জাতাকলে ও চাকুরী টিকিয়ে রাখতে অসৎ হতে হয়।
আপনিই বলুন, পুলিশ বা অন্য কোনো সাধারণ সরকারী পেশাজিবির বেতন ভাতা কি একটি সংসার নির্বাহ করার জন্য যথেষ্ট?
একটি বিষ বৃক্ষের আগা কাঁটলে আবার গজাবে। কিন্তু কষ্ট করে হলেও বিষ বৃক্ষটিকে যদি মাটি থেকে তুলে নিয়ে একদম সমুদ্রে ফেলে দেয়া যায় তাহলেই যে সত্যিকার অর্থে বিষ মুক্ত হবে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: উত্তর দিতে দেরি হল বলে দুঃখিত। পোস্টটিতে কিছু বানান ভুল ছিলো। যতটুকু সম্ভব ঠিক করে দিয়েছি। আর একবার পড়ে দেখুন আপনার প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টের মধ্যেই লুকিয়ে ছিলো।

যাই হোক, বাংলাদেশের দূর্ণীতি একদম গোড়ায়। আপনার ৫০০০টাকা থেকে হয়তোবা ঐ ভদ্রলোকের বস কে ভাগ দিতে হয়েছে। দূর্ণীতিও একটা চেইন অব স্ট্রাকচারে গ্রো করানো হয়েছে। বাংলাদেশের কিছু খারাপ মানুষরা এই সব শয়তানীর মূল হোতা। বাংলাদেশের পুলিশ যতটা না খারাপ তার থেকে তাদের বেশী খারাপ করে সবসময় তুলে ধরা হয়েছে।

আমার পরিচিত এক পুলিশের ঊর্ধতন অফিসার আছেন। যার ধ্যান জ্ঞান কম্পিউটার নিয়ে। তিনি একটি লস প্রজেক্টের ওয়েব সাইট চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না যে পুলিশ খারাপ হতে পারে।
নিজ থেকে অন্যায় করা এক জিনিস আর অন্যয়ের পরিবেশে বড় হয়ে অন্যায় করা ভিন্ন জিনিস।
তারচেয়েও খারাপ হলো একজন সৎ মানুষকে যখন বাস্তবতার জাতাকলে ও চাকুরী টিকিয়ে রাখতে অসৎ হতে হয়।
আপনিই বলুন, পুলিশ বা অন্য কোনো সাধারণ সরকারী পেশাজিবির বেতন ভাতা কি একটি সংসার নির্বাহ করার জন্য যথেষ্ট?
একটি বিষ বৃক্ষের আগা কাঁটলে আবার গজাবে। কিন্তু কষ্ট করে হলেও বিষ বৃক্ষটিকে যদি মাটি থেকে তুলে নিয়ে একদম সমুদ্রে ফেলে দেয়া যায় তাহলেই যে সত্যিকার অর্থে বিষ মুক্ত হবে।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

মুনেম আহমেদ বলেছেন: আপনার করা দুটি প্রশ্ন ছিল
পুলিশ কি ঐ সন্ত্রাসীর উপর অত্যাচার করেছিলো? ঐ পুলিশ মানুষটি কি সন্ত্রাসী মানুষটির কাছের কোনো মানুষকে হত্যা করছিলো?


পুলিশ এ পর্যন্ত কত জন মানুষকে মিছিলে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে তার হিসেব আশা করি আপনাকে দেয়ার দরকার নেই। এক মাস ও হয়নি চাঁদপুরে আমার পরিচিত ছোটভাই এবার জে এস সি পরীক্ষার্থী সিয়াম নিহত হয়েছে ওদের গুলিতে।

আর আটমাস হবে BUTEX এ পড়ুয়া আমার এক বড়ভাই মারের চোটে যখন অচেতন হয়ে পড়ে আছে এসময় তাকে গুলি করেছে পুলিশ।

দুজনেরই অপরাধ ছিলো বিরোধীদলের কর্মসূচীতে যাওয়া আমি বেশি কিছু বলতে চাইনা শুধু বলবো ওদের প্রতি ক্ষোভ ছাড়া আমার আর কিছুই নেই

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: সব পেশাজীবীর মধ্যেই খারাপ ভালো মানুষ থাকবেই।
অফিসের বস যদি তার অধীনস্ত কর্মচারীকে অফিসেরই কম্পিউটার ভেঙে ফেলতে বলে তখন তো তার চাকুরীর খাতিরে কম্পিউটারটি ভেঙে ফেলা ছাড়া উপায় নেই।

আগে বুঝতে হবে পুলিশ কোনো একক ব্যাক্তি নয়। এটি একটি পেশা। আর এই পেশার লোকজনকে বসের উপর যে বস থাকে অর্থাৎ বিগবস নামের দালাল তারা খারাপ বানিয়েছে।
বিগবসদের সমূলে উৎখাত করলে প্রশাসন ভালো হতে বাধ্য।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: যাদের লোভ ও লালসার আগুনে পুড়ছে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল , তাদের প্রত্যাখান করার জন্য না ভোটের পূণঃ প্রচলন চাই ।
Click This Link

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২০

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার ভিতরে জ্বলে ওঠা আগুনের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি। হ্যা বা না ভৌট হয় একটি আই ওয়াশ এর জন্য।

কোনো ভোটের দরকার নেই সব দলের নেতা নামের কলংক গুলোকে একবারে উচিৎ শিক্ষা দিলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষই ভালো। তারা শান্তি চায়। এই শান্তি প্রতিষ্ঠার এখনই সময় ও সুযোগ।

ওদের আর কোনো সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৯

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: ওদের আর কোনো সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না।ঠিকই বলেছেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: একটি গাড়ী ভালো ভাবে ড্রাইভ করার জন্য ভালো চালক দরকার।
ড্রাইভিং জানেন না কিন্তু গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছে আর অন্যান্য কিছু লোক ড্রাইভারকে সরিয়ে নিজেরা ড্রাইভার বলে নিজেদের দাবি করছে। তখন কি করা উচিৎ?
তখন ঐ সবগুলো কে এক সাথে গাড়ীর জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে। যাত্রিদের মধ্যে যাদের ঐ যোগ্যতা আছে তাদের একজনকে হাল ধরতে হয়।
বৃহত্তর স্বার্থে কিছু বাজে মানুষকে মেরে ফেললে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নাই বরং এর মধ্যে স্থায়ী সমাধান সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.