![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
সকল দেশের সকল রাস্ট্রিয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইন বিষয়ে আপনাদের সাথে কিছু আলোচনা করতে চাই। কেউ যদি আমার বাণী ও কথা দ্বার কষ্ট অনুভব করে থাকেন, দয়া করে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন। যদি কখনও আপনার মনের দেবতা জেগে আপনাকে বুঝিয়ে দেয় যে আমার বাণীই ঠিক আছে। অহেতুক আপনি নিজগুনে কষ্ট পেয়ে আমাকে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন সেই পরিস্থিতিতে আমার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে না সৃষ্টিকর্তার সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা করার মিনতী রইলো।
আইন আর নিয়ম একই ব্যপার। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে শ্রষ্টার আইনে বিশ্বাসী। পরমঈশ্বরের আদালতে কোনো জাত-বিজাত, উচু-নিচু নেই সবাই যে তারই সৃষ্টি। তাওহিদে বিশ্বাস আমার ধর্ম। আমি মানুষ তাই শুধু মানুষ কেন কোনো সত্য সৃষ্টিরই আমি ধ্বংস ও অমঙ্গল কামনা করতে পারি না। ঐ তাকিয়ে দেখুন প্রকৃতির দিকে। কোনো তুচ্ছ প্রাণীও অনাহারে থাকে না। কিন্তু মানুষ থাকে। মানুষের অস্বীকার, মিথ্যা বলা ও বিকৃত করবার ক্ষমতা আছে। তাই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হয়েও মিথ্যে বিষয়-বাসনা, টেনশন ও অনাহারে ভোগে।
মূল আলোচনায় যাবার আগে আস্তিক-নাস্তিক বিষয়ে কয়েকটি কথা বলে নেই। দেখুন ডানপন্থি, বামপন্থি, আস্তিক, নাস্তিক এই শব্দ গুলো আমার পছন্দের না। কারন এসব শব্দের অপব্যাখ্যা করে লক্ষ লক্ষ নীরিহ মায়ের সন্তান বলী হতে হয়েছে। এগুলো রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করে কিছু ব্যাক্তি ও গোষ্টি বরাবরই তাদের সুবিধা হাসিল করার চেষ্টা করেছেন মাত্র। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম স্বঘোষিত নাস্তিক আমাদের বরিশালের বীর সন্তান “আরজ আলী মাতব্বর” সাহেব। আমি কৈশরে আরজ আলী মাতব্বর সাহেবের সকল রচনা ঠোটস্ত করেছিলাম। অবাক ব্যাপার কি জানেন তাকে আমার নাস্তিক বলে মনে হয় নি তার চেয়ে ঢেড় বেশী মানুষ বলে মনে হয়েছে। তিনি খুব সাধারণ পরিবারের দুঃখি একজন মানুষ হয়েও কতো সুন্দর করে মিথ্যে ও ভন্ডামির বিরুদ্ধে স্পষ্ট কথা বলেছেন। আরজ আলী মাতব্বর কেনো পুরো বিশ্বের মানুষও যদি এক আল্লাহ্ উপস্যর বিরুদ্ধ চারন করার দুঃসাহস দেখায় তাহলে মানুষেরই অসুবিধা আল্লাহ্ কিংবা শান্তির ধর্মের অসুবিধা না। তাওহিদের সুর বিহীন বিশ্বে কোনো প্রধান ধর্ম নেই। ধর্মকে হেফাজাত আল্লাহ্ নিজেই করেন। তাই ধর্ম প্রচারের জন্য মানবকুল কে এতোবেশী দ্বায়িত্বশীল না হলেও চলবে। কেন বলছি জানেন? ধর্ম প্রচার করার নামে হায় হুতাশ করে সময় নষ্ট করলে নিজের ইমানী শক্তিই পিছনের জানলা দিয়ে পালিয়ে যেতে পারে।
এই বিশ্বে কোনো মানুষেরই নাস্তিক এবং অসামাজিক হবার যোগ্যতা নেই। এই যোগ্যতা যদি কারও থেকে থাকে তাহলে সেই যোগ্যই হলেন ঈশ্বর। কারন ভগবানের কোনো ইলাহা নেই। তিনি কাউকে জন্ম দেন নি এবং কারও দ্বরা জন্মও নেন নি। তাই তিনি সমাজ ও ধর্মের ঊর্ধে অবস্থান করে সকল মানুষকেই নেয়ামত দেন। সকল মাখলুকাতের প্রতিই নারায়ন সমান ভাবে দয়াশীল।
বর্তমান পৃথিবীতে যে-সকল রাষ্ট্রিয় আইনি ব্যবস্থা আছে তার কোনোটাই একদম দুধে দোয়া তুলসী পাতা নয়। আল্লাহ্’র আইন দ্বারা মানুষের মানবজীবনের সব সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়। আর তার বড় প্রমান পবিত্র কোরআন শরীফ। পবিত্র কোরআন শরীফ সর্বকালের সকল সমস্যার সমাধান- তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহের অবকাশ নেই। অনেকে হয়তো বলেন কোরআন আল্লাহ্ বানী না। কোরআন হলো মোহাম্মদের সৃষ্টি গ্রহ্থ। সাথে সাথে ঐ ভদ্রলোককে নাস্তিক, মুরতাত বলে গালি দিয়ে তাকে ঘৃনার চোখে দেখা হয়। এ কেমন কথা? ঐ বেচারা নাস্তিক হলো কি করে? সে তো অন্তুত এটুকু অস্বীকার করছে না যে হজরত মুহাম্মদ (সঃ) কর্তৃক কোরআনের পদধুলি পৃথিবীতে পড়েছে। শুধু মাত্র আল্লাহ্’র বানী এই কথাটা তার মন বিশ্বাস করতে পারছে না। তাতে তিনি কাফের হতে পারেন নাস্তিক না। কারণ তিনি যে কোরআন বা আরও জ্ঞান অর্জন করে আল্লাহ্’কে যে স্বীকার করবে না তার যুক্তি কি আছে বলুন। এইসব ফালতু কাজ কারবার করে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করাই হলো অসাম্য। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পুরো বিশ্বে যদি একই সাথে তাওহিদের প্রতি বিশ্বাস রেখে সাম্যবাদ দ্বারা আইনি ব্যবস্থা পরিচালিত করা না যায় তাহলে কোনোদিনও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না।
এবার মূল আলোচনায় আসি। দেখুন রাস্ট্রিয় ব্যবস্থায় একটি নির্দিষ্ট ভুখন্ডে বসবাস রত মানুষকে সুখে শান্তিতে রেখে প্রতিটি আত্নার সত্যজ্ঞানের স্বাধীনতা রক্ষা করার নামই হলো রাস্ট্রিয় আইন বা সংবিধান। যেহেতু সময় ও সভ্যতা পরিবর্তন হয় তাই আইনও সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল- এটাই স্বাভাবিক। আলাদা আলাদা মনের স্বাধীনতা রক্ষার কথা না ভাবলে প্রকৃত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রিয় আইনে সীমাবদ্ধতা থাকবেই। এবং এই সীমাবদ্ধতা ধরা পরার সাথে সাথে তা সংশোধন করাই প্রকৃত বুদ্ধিমানের কর্তব্য। আর আমি ঠিক আছি বলে অহেতুক প্যাচাপেচিতে আইনের শাসনেরও মৃত্যু হয় সেই সাথে অশান্তিও উঠে পড়ে লেগে বসে।
আমি আইনের বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করছি তাই বলে ভাববেন না আমি বার বার সংবিধানে এত এর “ক’খ’গ’ঘ......ঞ” বলে ধারা, উপধারা, বাগধারার উদাহরন টানবো কিংবা বার বার বলে উঠবো বৃটেনে কিন্তু এসব নাই মার্কা ডায়ালোগ- এমন কোনো কথা নেই।
আমি বিশ্বাস করি আইনের উর্ধে কোনো মানুষই নয়। আমাদের পাঠ্য বই থেকে আমরা রাষ্ট্র কাকে বলে? রাষ্ট্রে কোন কোন উপাদান থাকতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি মুখস্ত করে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছি। কিন্তু দেখুন আজ ইউ.এস.এ এর ৫২টি স্টেট এর দিকে তাকিয়ে। সবাই কি সমান অধীকার পাচ্ছে? সব স্টেটের মধ্যে কি সম্পদের সুসম বন্টন হচ্ছে? ইউ.এস.এ. যে নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হবার কথা ছিলো সেই ণীতি আজ ইঁদুরে চেটে চেটে খাচ্ছে। যে ইউ.এস.এ. নিজের অভ্যন্তরিন পরিবেশই সুষম ভাবে গড়ে তুলতে পারে না তারা বিশ্বশান্তি রক্ষা করবে কিভাবে বলুন আমাকে?
বিশ্ব শান্তি পুরক্ষারের কল্যানে লিনসন ম্যান্ডেলা-আং সাং সুচি- দালাইলামা- জন কেরী- ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস কে পাশাপাশি নিয়ে আসা যায় ঠিকই। কিন্তু একটি শান্তি পুরষ্কার কি ফিরিয়ে দিতে পারবে সত্য বলা লিনসন ম্যান্ডেলার নির্বাসীত বন্দি কারাগারে নষ্ট হয়ে যাওয়া জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়। ডঃ ইউনুস-দালাইলামার মতো দালাল নোবেল পুরষ্কার পেলে সেই নোবেল পুরষ্কারও কলঙ্কময় হয়ে যায়। আমি আলফ্রেড নোবেলের আত্নাকে শ্রদ্ধা করি বলেই বলছি নোবেল সাহেব যদি জানতেন এরকম অপাত্রে ও বিশ্ব ট্রেড দেখিয়ে নোবেল পুরষ্কার বিক্রি হয় তাহলে তিনি নিশ্চিত ভাবে সব উইল সুটকেসে ভরে ভারাকান্ত হৃদয়ে নতুন কিছু ভাবতেন।
নরওয়ে সরকার তাদের ব্যবসায়ীক স্বার্থের জন্য নোবেল পুরষ্কার দেয় বিশ্বশান্তির জন্য না। আজ যদি গ্রামীণ ফোনের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশ থেকে গুটিয়ে নিতে বলা হয়। গ্রামীণ ফোনের লাইসেন্স বাতিল করা হয় তারপর নরওয়ে ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হস্তক্ষেপে আলোচনায় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে প্রস্তাব যায় যে আপনাদের ব্যবসা করতে দেয়া হবে, লাইসেন্স নবায়ন করা হবে, শুধু প্রধানমন্ত্রীকে শান্তি পুরষ্কার দিবেন। সাথে সাথে নরওয়ের সরকার বাহাদুর মারহাবা বলে উঠবেন। আমি এখনও কিন্তু গ্রামীণ ফোন বাংলাদেশে ব্যবসা করার বিপক্ষে। আমার প্রিয়া ইফফাত জামান মুনকে দিয়ে এ্যাড দিলে যে আমার দিল গলবে এমন কোনো কথা নেই। সবার আগে দেশের স্বার্থ। গ্রামীণ গ্রুপে যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে তার সবগুলোকে সরকারের আওতায় নিয়ে আসুন। এগুলো বাংলাদেশের সাধারণ জনগনের সম্পত্তি। আজও কি আপনাদের বুঝতে বাকি আছে ব্র্যাকের শাখা কেনো আফগনিস্থানে থাকে। ফজলে হাসান আবেদ সাহেব কেমন করে স্যার/নাইট উপাধী পান। আফগানীস্থানে ব্র্যাক যে জঙ্গী সংগঠন তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই। প্রয়োজনে ব্র্যাক ও বাংলাদেশ সরকারের আন্ডারে পরিচালিত হবে। তবুও দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। শেখ হাসিনাকে আমি স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, আজ পর্যন্ত যত গুলো মানুষ নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেয়েছে তাদের মধ্যে একজনও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সন্তান না। এরকম ট্রেডমার্ক মার্কা শান্তি পুরষ্কার পাওয়ার চেয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা হওয়া অনেক বেশী ভাগ্যের। বঙ্গবন্ধু সাক্ষাত দেবতা।
বঙ্গবন্ধু ও তাজ উদ্দিন আহমেদ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যে আইন প্রবর্তন করতে চেয়ে ছিলেন তা কিন্তু বাকশাল না। ঐ সংবিধান অনেকটা চায়নার সংবিধানের আদলে তৈরি করার কথা ছিলো। পরবর্তীতে ডক্টর কামাল হোসেন পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসে বৃটিশ ও পাকিস্থানীদের স্বার্থ রক্ষার্থে যে সংবিধান প্রনয়ন করেছিলেন তা ছিলো ভুলে ভরা। বঙ্গবন্ধুর কিছু করার ছিলো না। তিনি সরল বিশ্বাসে সবাই কে বিশ্বাস করতেন। বঙ্গবন্ধুর আত্না বেহেশত থেকে এই বাংলায় এসে আবার তা বেহেশতে চলে গেছে।
একটি ঘর যখন খুব বেশী নরবরে হয়ে যায় তখন সেই ঘর ভেঙে আবার নতুন ঘর তোলাই ভালো। অহেতুক বার বার জোড়া তালি দিলে খরচও বেশী আবার বাজে কাজে সময় নষ্ট। তাই আমি বর্তমান বাংলাদেশের সংবিধানের কোনো আইন নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। শুধু মাত্র আইনের কিছু মৌলিক দিক ও উদ্দেশ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
১। রাস্ট্রিয় আইন হতে হবে সহজ, সরল ও প্রঞ্জল ভাষায়। যাতে করে সাধারণ শিক্ষিত মানুষও সংবিধান নামক গাইড লাইনের মর্মকথা রপ্ত করতে পারে। যেখানে উকিল সাহেব জিজ্ঞেস করবে না যে “আপনার সন্তানের আঘাত টা যদি সামনে না লেগে পিছনে লাগতো তাহলে ২৬শে ফেলে ব্যাটাকে দেখিয়ে দিতাম”। আরে ভাই আইনের কাজ সামনে পিছনে আঘাত না। আইনের প্রধান কাজ মানুষের অধীকার, স্বাধীনতা রক্ষাকরে সুসাসন নিশ্চিত করা। আইনের প্রধান কাজ অপরাধীকে সাস্তি দেয়া না বরং অপরান প্রবানতা নির্মুলের বিধান করার অভিযানে দিবানিশি যাত্রা করা।
২। রাস্ট্রিয় আইনের শাসনের খুব বড় বড় সমস্যা বিদ্যমান। যেমন ধরুন আমরা একটু কিছু হলেই পুলিশ কে দোষারূপ করতে ভুলি না। ভাই পুলিশ একটি আধা-সামরিক বাহিনী। তারা এমনিতেই শান্তি শৃংখলা রক্ষায় রাস্তায় থাকবে। এটা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যর মধ্যে পরে। পুলিশ বাহিনীকে যদি বেতন বাড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে তাদের ঘুসের প্রবনতা কমবে তবে তার আগে আইনের অন্যান্য বিষয়গুলোকে অনুধাবন করতে হবে। যেমন ধরুন উকিল-ব্যারিস্টার-জজ-বিচারপতি সাহেব যদি ঘুস খেয়ে হুস হারিয়ে কোনো নিরিহ মানুষকে মিথ্যে সাজা দেয়। সেই দোষ কি পুলিশের? অবশ্যই না।
এক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, সবার আগে জজ সাহেবদের সুন্দর করে গোলাপ-চন্দন মাখা জলে ডুবিয়ে গোসল করিয়ে প্রতিজ্ঞা করাতে হবে জীবনে আর কোনোদিন ঘুস খাবেন না। জজ সাহেবদের থাকতে হবে নিট এন্ড ক্লিন। শুধুমাত্র উকিল-ব্যারিষ্টারকেই বাকপটু হলে হবে না। জজ সাহেবের ন্যায্য ও ন্যায় রায় দেয়ার জন্য যথেষ্ট কথার ছল জানতে হবে। একজন জজের কলম যদি কোনো কারনে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভুল পথে চলে তাহলেও একজন নিরিহ মানুষের যৌবন বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় জেলে পুরে নষ্ট হয়ে যেতে হবে। জজ পেষা হলো পুলসিরাত পারানোর মতো- একটু সামান্য ভুল অন্যকে অনেক বেশী অশান্তিতে নিক্ষেপ করতে পারে। তাই অন্তত এই সব পেষায় এমন সব মানুষ নিয়ে আসুন যারা নিতান্তই ভালো মানুষ। প্রয়োজনে শিক্ষগত যোগ্যতা ও বয়স একটু শিথিল করলেন।
একটি অন্যায়ের বিচার হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিচার করতে গিয়ে যদি অবিচার হয়ে যায় তাহলে তো আইন অমান্যকারীর সংখ্যা বাড়বে ছাড়া কমবে না। আমি অনেক মানুষ দেখেছি যাদের ইন্টার পারসোনাল পারসোনালিটি খুব সুন্দর। যারা মিষ্টি মায়ায় কথা বলে সার কথা বের করে তারপর তুলা দন্ডের ন্যায় বিচার করতে সক্ষম। এই টাইপের লোকদের জজের আসনে বসালে আইনের প্রতি মানুষ অনেক বেশী আস্থা রাখতে পারবে।
৩। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশেই আইন সংক্রান্ত বইপত্র ইংরেজীতে বেশী দেখা যায়। এ কেমন কথা? আমাদের এতো সুন্দর বাংলাভাষা থাকতে রায় কেনো ইংরেজীতে লেখা লাগবে? বাংলার প্রাঞ্জল ভাষায় রায় রচিত হলে সাধারণ মানুষ তা সুন্দর করে পড়ে অন্যকেও শুনাতে পারবে। আন্তর্জাতিক আদালতে গেলে তা সুন্দর করে অনুবাদ করে দিলেই কাজ সাড়া। আমরা ইচ্ছে করে সহজ কে কেনো কঠিন করে তুলি? ঐ দেখুন না কি গরমের মধ্যেও উকিল ব্যারিষ্টারদের গায়ে কোট পরতে হয়। এ কেমন কথা? এটা তো বাংলাদেশ লন্ডন নয়। বাংলাদেশের আসামীরাই বাংলাদেশের আদালতে আসেন। তাই এই কোট-গাউনের বাধ্যবাধকতার কোনো মানে হয় না। বিচার বুদ্ধি থাকে মাথায় বাবু মার্কা কোট প্যান্ট আর গাউনের মধ্যে নয়। তাই বসন্ত কালে চারিদিকে কৃষ্ণচুরা ফুলধরা গাছের ধ্যারে সাদা কোর্ট-কাচারীর বিল্ডিং এ আসার পথে যদি জজ সাহেব লাল রঙের ফতুয়া আর জিন্সের প্যান্ড পরেও আসেন তাতে অসুবিধা কিসের। জজ সাহেব ফুরফুরে মেজাজে সুন্দর ভাবে তার মগজ ঠান্ডা করে দ্রুত ও ন্যায় বিচার কার্য সম্পন্ন করতে পারবেন।
৪। সব মানুষ সমাজে বাস করে। একসাথে থাকতে গেলে একটু-আধটু ঝামেলা হবে এটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে যখন সমাজে কোনো অন্যায় হয় শুধুমাত্র তখনই আইনের প্রয়োজন পরে। আর সেই অন্যায় কে মানুষের বিবেকের আদালতে সত্যজ্ঞানে বিচার বিশ্লেষন করে যে ফলাফল পাওয়া যায় তা হলো “অন্যায়” শব্দটি থেকে শুধু “অ” কথাটি বাদ দিলেই হলো। ব্যাস হয়ে গেলো ন্যায় বিচার। মানুষ ইচ্ছে করলে সব পারে। ভালো মানুষকে ভালো মানুষ বলতে পারার নামই মানুষত্য। উকিল ভাইদের কাছে অনুরোধ আজীবন আপনারা মিথ্যে নিয়ে খেলেছেন। এবার সত্য জ্ঞানে নিজেকে মানব কল্যানে সপে দিন দেখবেন আপনিও তৃপ্তি পাবেন, মানুষও আপনাকে প্যাচ মনে করে শুধু কেস থেকে মুক্তি লাভের আশায় না বরং লক্ষী পূজার নারু নিয়েও আপনার কাছে বেড়াতে আসবে। উকিল-ব্যারিস্টার ভাইয়েরা নিজেকে আইনের ব্যবসায়ী ভেবে নিজেদের পেশার স্থানে লাগিয়ে রেখেছেন “আইন ব্যবসায়ী”। এ কেমন অলুক্ষনে কথা গো? আইন নিয়ে আবার ব্যাবসা করা জায় নাকি। আইনের কি কোনো মান-ইজ্জত নাই। এতো দেখি আদালত অবমাননা কিংবা মানহানির মামলা করতে পারেন, চোখে পরে না যে সয়ং ব্যারিষ্ট্রার সাহেবই যে আইন নিয়ে ব্যাবসা করছেন! আইন কি কোনো গেইম বা পন্য যে ব্যবসা করা যায়। আইন হলো একটি সেবা। উকিল-ব্যারিষ্টার ভাইদের প্রতি অনুরোধ দয়া করে আপনারা অন্যায় কে ন্যায় করার জন্য লড়া বন্ধ করুন দেখবেন এই সমাজ অনেক সুন্দর হবে। আপনাদের একটু আন্তরিকতা আমাদের অনেক ভালো পথে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
আমাদের দেশের যারা সরকার পক্ষের উকিল বা পিপি তাদের প্রায় সবাই যে দল ক্ষমতায় থাকে ঐ দলের বিশাল বড় কোনো পদাধীকারী। জেলা ...... পার্টির সভাপতি/আহব্বায়ক/সেক্রেটারী ইত্যাদি ইত্যাদি। সরকার পক্ষের উকিলদের অবশ্যই ন্যায় পরায়ন ও নিউট্রাল হতে হবে। যা কোনো ভাবেই দলীয় নির্জাসে থেকে বা পোস্ট পজিশনে থেকে সম্ভব না। সরকার পক্ষের আইনজীবীরা সরকারের জান মাল রক্ষার্থে আইনি লড়াই করেন। আমার মনে হয় সরকার পক্ষের আইনজীবি কোনো নির্দিষ্ট দলের না হয়ে বরং পি.এস.সি কর্তৃক নিয়োগ দিয়ে সরকারী উকিল পদ সৃষ্টি করলে ভালো হয়। তাতে কোনো অসুবিধা বা স্বজনপ্রীতি পাওয়া গেলে প্রয়োজনে ট্রান্সফার করেও অনটেস্ট চালানো যাবে।
৫। আমাদের বিচার ব্যবস্থায় কাজের থেকে কথা হয় বেশী। ঝামেলামুক্ত হতে গিয়ে নিত্য নতুন নতুন ঝামেলার উদ্ভব ঘটে। যা সাংঘাতিক রকম বিরক্তি কর। এই তারিখ নয় তো ঐ তারিখ। গ্রামের একদল মানুষের প্রাপ্তবয়স্ক কাল থেকে একদম বৃদ্ধ কাল পর্যন্ত কোট কাচারির রাস্তায় যেতেই সময় পাড় হয়ে যায়। তারা উকিল-মহরির হাতে ঘুসের টাকা দিতে ভুল করেন না। সব বোঝেন ও জানেন তারপরও তাদের কেসের কোনো কুল কিনারা নাই। শুধু শুধু সময় নষ্ট। এমন বিচার ব্যবস্থা আমরা চাই না। এভাবে থাকার চেয়ে কোট কাচারী না থাকাই বরং ভালো। তাতে করে অন্তত কোর্টের বাবুকে সাধারণ মানুষের দেয়া ঘুস টাকাটা বেচে যাবে যা দিয়ে বেশ কয়েক বেলার বাজার অন্তত হবে। এখন তো বাংলাদেশী জাতি অন্য কারও মুখপক্ষি নই যে আমরা স্বাধীন ডিসিসন নিতে পারবো না। আমি সরকারকে স্পষ্ট ভাবে বলছি আপনারা যে ভাবে ভালো মনে করেন সেই ভাবে দেশ চালান কিন্তু ন্যায়ের সাথে কখনও আপোষ করবেন না। ন্যায় কে ন্যায় সত্য কে সত্য জ্ঞানে সামনে এগিয়ে যেতে কার্পন্য করবেন না। বহিঃবিশ্বের কোনো সমস্যা হলে আমি তার ভিতরে হস্তক্ষেপ করে সমাধান দিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ্। তারপরও আমাদের বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
৬। বৃটিশরা যখন এই নিরীহ জাতটাকে জমির ব্যবসা ধরিয়ে দিলো তখন থেকেই জমিজমা নিয়ে ভিষন রকম গল্ডগোল তালগোল পেকে আছে। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের জমিজমা সক্রান্ত ঝামেলা লেগেই আছে। সামান্য কতটুকু সিমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে মানুষ মার্ডার পর্যন্ত হয়। আর জমিজামা আছে কিন্তু জমিজামা সংক্রান্ত ঝামেলা নাই এমন পরিবারের কথা বাংলাদেশে কল্পনাও করা যায় না। জমি আছে তো সিমানা বা অন্য কোনো কিছু নিয়ে ঝামেলা আছেই। তাতে করে কে লাভবান হয়? কার কার টেনশন লাঘব হয়? কারও না। তাই বলছি যাদের যাদের জমিজামা নিয়ে সমস্যা আছে তারা স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করে ফেলুন। তার আগে স্থানীয় সরকারের কিছু কিছু এক্সিকিউশন পাওয়ার বাড়ানো যেতে পারে। আর খেয়াল রাখতে হবে নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য গম চুরি করা না হয়ে জনসেবা হতে হবে। নম্র, ভদ্র, বিচক্ষন, উপস্থিত বুদ্ধির অধীকারী, ভালোবক্তা ও সৎ মানুষ একজন ভালো মানের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা পরিচালনা করার যোগ্যতা রাখেন। যাদের জমি দখল বা সীমানা নিয়ে গন্ডগোল তারা স্থানীয় সরকারের সাহায্য নিয়ে জমিজমা ভাগ বাটারা করে ফেলুন। ভাই সবকিছুই কম্প্রোমাইজের ব্যাপার। আপনি আগে ঠকতে শিখুন দেখবেন আল্লাহ্ দরবার থেকে আপনার অজান্তেই কত শত নেয়ামত আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছে। দুনিয়ার ত্যাগের ফল দুনিয়ায়ই পাওয়া সম্ভব।
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
অনেক বড় লেখা
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ধর্য্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: বরিশাল এয়াপোর্ট থানায় ফোন দিয়ে আসতে বলেছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশাকরি সুবিচার পাবো।