![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
আগে মানুষ, তারপর ভাষা শিক্ষা, তারপর এই ভাষার লেখ্যরূপ আমাদের শিক্ষা জগতে প্রবেশ করায়। আপনারা আজও বুঝছেন না যে বাংলাভাষার ঠ্যালা কি পরিমান ট্রং।
বাংলা ব্যকারনে আমি গুরু গম্ভির আলোচনা করতে শিখেছি। গুরু ও পেলাম আর গম্ভির ও পেলাম। গৌতম গম্ভির সাথেব ভারতের মাঠে কৃকেট নামের মিথ্যে খেলায় মগ্ন আছেন। তাই সেখান থেকে গৌতম কে নিয়ে এসে মাহাবিশ্বের মাহাজ্ঞানের অধীকারী গৌতম বুদ্ধ কে পেলাম চায়না নামের আমাদের বাংলার বড় ভাইয়ের কাছে।
এখন কথা হল গুরু গম্ভীর কি?
কাউকে যদি মুখ ফসকে বলেই ফেলী, গুরু গম্ভীর কি?
হয়তো কোনো উঠতি মেয়ে আমাকে বলবেন, “দাদাবাবু আমার একটু কাজ আছে!”
দাদাবাবু নামের যারা বুড়া-পঁচাভেবে আমরা যে সব গর্বীত বাংলা মায়ের বাঙালী সন্তান দের ঝুড়িতে ভরে একদম নর্দমায় না ডাস্টবিনে ফেলে দেবো দেবো অবস্থা। ঠিক ফেলে দেবার আগেই উইলিয়াম কেরি না কোন ছাগল এসে ম্যা ম্যা করে বললেন। ওস্তাদ আপনাদের ব্যকারন তো আমি লিখেছিলাম।
আমাদের ব্যাকারন বই খুলে দেখুন। কি পাবেন তাতে। কৃকেট আর ভাষা কি ব্যাকারন মেনে শিখতে হয় নাকি?
আমি আজ আপনাদের সাথে যে ভাষায় কথা বলছি। তা আমি আমার মায়ের পেট থেকে শিখে আসিনি। আবার যেটা লিখছি তাও আমি বাংলা ব্যাকারন বই থেকে শিখতে পারি নি। স্কুল জীবনে পুরো বাংলা ব্যাকারন বই পড়ে দেখলাম। নষ্ট, বাজে, দুর্গন্ধে ভরা একটি বই। তাই অবজেকটিভ এ যে টা পারতাম সেটা ইচ্ছে করেই ভুল দিয়েছি। তাতে আমি যদি মূর্খ হই মূর্খই থাকলাম। কোনো অসুবিধা নেই।
আপানারা যদি একটু খেয়াল করে দেখেন যে আমাদের ব্যাকারন বইটি প্রায় ইংরেজী ব্যকারনের ডুপ্লিকেট করে ঝাউ গাছের মতো ছেটে ছেটে কেটে কুটো একটু সাইজ করে আমাদের বোকার স্বর্গে না বরং জাহান্নামের আগুনে পুরিয়ে মারছে।
আমার নাম আসিফ
এখানে “আমার” “নাম” “আসিফ” । এই তিনটিই হল নাম। “নাম” কে যদি নাম ধরেই ডাকি তাতে অসুবিধা কোথায়? নাম তো আর বড় ভাই না যে ভাইজান বা দাদা বলে ডাকবো। এইটুকু সামান্য জ্ঞাণও আমাদের কেড়ে নিয়ে, বোকা বানিয়ে অধম করে রাখা হয়েছিলো।
আল্লাহ্, ভগবান, ঈশ্বর, আলু, পটল, কচু সবকিছুই নাউন। কাজ কে কাজ বললে দোষ কোথায়? এতো ছোট বেলাই যদি ক্রীড়া অনুষ্ঠানের ক্রীয়া নিয়ে আসেন তাহলে তো হাপ পা ভেঙে পোলাপান পঙ্গু ও মগজ হীন না হয়ে বিবেকান্দর মতো বিবেক আর আনন্দ পাবে কি করে?
ইংরেজী একখানা অসুম্পুর্ণ ভাষা। তা দিয়ে আবার যা কল্পনা করে গ্রামার করেছে না? ইংরেজী গ্রামার বই ও অনেক ভুলে ভরা মিশ্রতো। তাই তো ওরা মদ খেয়ে মাতাল হয়ে রাজা সাজতে চাইছিলো চিরকাল। আমাদেরও কিছু কিছু লেখক যারা সম্ভাবনাময় ছিলেন। এক সময় তাদের দাওয়াত টাওয়াত দিয়ে বিলেতে হায়! হ্যালো! বলিয়ে এখন মদখোর বানিয়ে হাসির পাত্র বানিয়ে রাখা হয়েছে। তাই আগের মতো আর লেখা বের হয় না। নিজের দেশপ্রেম ঈমান/আত্মবিশ্বাসের অংশ। যে মেধায় শয়তান ঢোকে সেখান থেকে গঙ্গা মায়ের সুন্দর প্রবাহ আশা করেন কিভাবে। তাহলে তো এই দ্বীন-দুনিয়া সব মিথ্যে হয়ে যেতো। যিনি সৃজিতে জানেন তিনি যতন করতেও জানেন। আর যতনে রতন মেলে এ প্রবাদ আমাদের মা, মাসি, খালু, দাদাঠাকুর, নানীরাও জানেন। কিন্তু যারা আজ শিক্ষিত বলে নিজেদের কুকুরের দলে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা যদি ঠিক মতো “ঘেউ, ঘেউ, ঘেউয়া, কুয়ুয়ুয়ু” বলে ডাকটিও ঠিক মতো দিতে জানতেন তাহলে কোটি তরুন একট অন্তত ভয়ের ছলে খারা হয়ে দাঁড়াতে পারতেন, মিথ্যের পিছনে দৌড়াতেন না। এগুলো কখন হয় জানেন?
যখন বুড়াদের মন বুড়া করে ফেলে। নিজেকে নিজে ভুলে গেলে এই দশা হয়। চিরকালই হবে। এটাই স্রষ্টার বিধান।
ইংরেজী আর্টিক্যালের বদলে বাংলায় দেয়া হয়েছে পদাশ্রিত নির্দেশক।
পোলাপান বই খুলে বলে। পদাশ্রিত নির্দেশক! এটা আবার কিটা গো?
আমি পড়েছিলাম এই ভাবে,
“নদী, সাগর, দ্বিপ পুঞ্জ,
জাহাজাদি, গিরিপুজ্ঞ।
জাতি, ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থ,
কোট, সিনেট ও সংবাদপত্র।।
(এই কবিতাটি আমার ঝালকাঠী উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এর মরহুম প্রধান শিক্ষক, আব্দুর ওয়াহেদ স্যারের রচনা করা)
এই সবের আগে নাকি দি আর দ্যা, যাই বলি না কেনো, দি, দ্যা বসাতে হয়। এটা ইংরেজী ভাষার লিমিটেশন। আর বাংলাভাষায় পদাশ্রিত নির্দেশ এসে হয়ে গেছে ইমিটিশন। তাই তো আজ আমরা একজন আর একজনকে দেখলে চিনেও চিনি না।
দেখুন আমি যদি সংবাদ পত্রের আগে দি না বসাই তাহলেও ইংরেজী ভাষা গোল্লায় যাবে না। এ আ এন এই পার্থক্য করতে গিয়েই ওদের পেটে নারী-ভুমি মাথায় উঠে শুধু প্যাচই শিখেছে।
আমরা যদি আজও বাংলা প্রশ্নপত্রের উপর লিখি যে, [বিঃ দ্রঃ সাধু ও চলতি মিশ্রন দুষনীয়] একথাটি নিজেই দোষী হয়ে পালাতে পারলে বাঁচে। দেখুন আমাদের বাংলা ভাষার অস্তিত্ব রক্ষার কথা যারা ভাবেন আমি ও তাদের মতো রক্ষনশীল বাঙালীই। কিন্তু তাদের মতো না। আমরা যদি পুরো পুরি চলতি ভাষা জানি তাহলে সাধুরূপ একটু সামান্য পড়লেই পেরে যাবো। অল্প সংখ্যক শব্দে সমস্যা হবে কিন্তু হারিয়ে যাবে না। সাধু আর চলতি আমাদের ভাষাকে দুটো ভাগ করে নি বরং জোড়া দিয়েছেন। এটাই তো বাংলাভাষার বড় জাদু। এজন্যই তো গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ কথায় কথায় যা বলেছেন তা দেখেই বিশ্ব হতবাগ হয়েছে। আর যখন নজরুল ইসলাম এলেন তখন তো পশ্চিমারা হার্ডষ্টোক করার মতো অবস্থা। তাই তো আমাদের এই আনন্দময়ী নজরুল কে কৌশলে ওরকম করে রাখা হয়েছিলো। তিনি চাইলে আপনাদের মুক্ত করতে পারতেন। কিন্তু অনেক বেশী রক্তপাত হয়ে হয়তো আমাদের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যেতো। আমার কথা বিশ্বানা হলে আমাকে আপনারা এমন প্রমাণ দেখান যে নজরুল ইসলাম এর কি এমন রোগ হয়েছিলো যে তিনি স্বাভাবিক থেকেও অস্বাভাবিক হয়ে গেলেন। একদম হঠাৎ! মুখ বন্ধ হবার আগেই সব কলা কৌশল তিনিই বলে দিয়েছেন। যদি পড়েন দেখতে পাবেন। মানুষিক ভারসম্য হারালে মানুষ অমন হয় না। অন্যরকম হয়। তার যে ব্যাধির কথা বলা হয় তা মিথ্যে কথা। ইংরেজরা যদি আজ সত্যি কথা বলে খুশি হবো।
আমি শ্রদ্ধাভরে আশা করবো, আমি জাদের হাসির পাত্র (মদখোর) বলেছি সেই সব লেখকরাই আজ বাংলা ব্যাকরন সংস্কারে হাত দিবেন। অনেক মনের দুঃখে হাসির পাত্র বলেছি কিছু মনে নিবেন না। বাঙালী এমন এক জাতি একটু নাড়া না দিলে জাগে না। তাই হয়তো কিছু ভুল-ভাল বকি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমাদের বাংলার সন্তানেরা এমন ভাষার রত্ন বুকে ধারন করে বেড়ায় যে, হাজার জনম মদ খাওয়াবেন কোনো কাজ হবে না। শুধু মনের রতনে যে কালো বা নীলচে শয়তানী দাগ পড়েছে। তা যদি পরম যত্নে কেউ সুন্দর রুমাল দিয়ে মুছে দেয়। আমি আশা করবো আমাদের যে সব চির তরুন বাংলা (এপার আর ওপার বাদ দিয়ে দিন। গঙ্গার দুইপাড় থাকলেও একই ধায়ায় প্রবাহমান। বাংলাকে সাময়িক হয়তো একটু পর্দা দেয়া হয়েছে। সত্যের টানে এ বাঁধন ভাঙবেই) ভাষার সন্তান যারা নিজেদের সাহিত্যক-কবি-লেখক-সাংবাদিক আরও কতো শতো বাহারি নামের ধারা উপধারা ব্যবহারকারী পোস্ট পদবিওয়ালা মানুষ মনের বাঙালী আজও আমাদের মাথার মুকুট হয় আছেন তারা এসে এই ব্যাকারন সংস্কার নয় বরং সৃষ্টি করবেন। এবং তার বাস্তবায়ন করতে হবে দ্রুত। তাতে ভাষা আপন নদীগতি পথ ঠিক পাবে। ফারাক্কার বাঁধ দেখা যায় মনের বাঁধ দেখানো যায় না। তাইতো যখন বাঁধ ধরা পরে সাথে সাথেই ভেঙে দিতে হয়। মনে বাধা পুষে রাখতে নেই। আমরা আমাদের ভুলে যাবো কোথায় বলুন?
যতই বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলি। ততই পশ্চিম বাংলা ও আমাদের সমভাষাভাষী মানুষের কথা বলে কিছু একটা বলতে গিয়েও পারি না। এই বোধ শুধু আমার একার মনে জাগে তা কিন্তু ভেবে নিবেন না। এটা বাংলার সন্তানদের প্রাণের কথা।
বাঙালী বলেই এতো লজ্জা। বাঙালী যতই খারপ হোক তা প্রকাশ করতে চায় না। এই লজ্জাবোধ আজ হাজার খারপের মধ্যেও ভাল হয়ে বেঁচে আছে। কি যেনো, কোন খানের এক লজ্জ্বা লজ্ঝ্বা ভাব এসে আমাদের মনের কথাকে মুখে ফুটি ফুটি বলে ফুটে ওঠে না। তাইতো আমাদের প্রেম নিবেদন রীতি খুব সুন্দর করে স্রষ্টা আজও স্বর্গীও রূপেই রেখে দিয়েছেন। এখনও কিন্ত আমরা অবলিলায় মুখ ফুটে বলতে পারি না, আই লাভ ইউ। এমন কি যারা সিনেমায় অভিনয়ে বলেন বাস্তবে আসলে ভ্যাবাছ্যাকা খেয়ে কেমন যেনো ছাগল ছাগল হয়ে যায়। এই রীতি ভারতের সৌন্দর্যই মনে করবেন। মনের সুন্দর্য্যই বড় সৌন্দর্য্য। তা আমাদের আছে। শুধু ফুল হয়ে ফুটতে বাকি আছে। ফুল যখন দেখেই ফেলেছেন তখন তা মালি পাহারা দিয়ে হলেও ফোটা পর্যন্ত ওয়েট করবেন।
বাংলাদেশ নামটি নজরুলের দেয়া। আর আমাদের বাঙালীকে এক করার জন্য যদি কোনো দেবোতা বেশী চেষ্টা করে কষ্ট সয়েছেন তিনি আমাদেরই প্রানের মহাদেব কাজী নজরুল ইসলাম।
আমাদের দেবোতা গুলো দেখেছেন? একেকজন একেক রকমের। গনেশের পেট ভারী, কৃষ্ণ কালো, মা শংকরী কালো, কার্ত্তীকের চুল কোকরা এগুলো দেখলেই হবে। তাহলেই বুঝতে পারবেন আমরা কারা। আমাদের মতোই আমরা। সব বাঙালীর মনেই দেবতা থাকেন শুধু তাকে জাগালেই হলো। আমাদের ভাষা দিয়ে সব কিছু করে দেখানো যায়। সে পথ আমি আপনাদের বলে দেবো। চিন্তা করবেন না শুধু খোদার উপর বিশ্বাস হারাবেন না। আত্নবিশ্বাস এর আরবী শব্দ হলো ঈমান। তাই আমাদের ঈমান শব্দটিকে পর পর মনে হয়। আরে বন্ধু পরের সন্তান যতই কাছে আসুক না কেনো পর পরই ঠেকে। এরকম করেই আমাদের মা’রা আমাদের বড় করেন। আর আত্নবিশ্বাস কে এতো ছ্যাবলা ছ্যাবলা মনে হয় জেনো জেগেই আছে। তাই না?
ঠিক তাই! বাংলার মুসলিমরা লক্ষ্য করে শুনুন ভাইজান, ভাইসব, মোহাদ্দেছ, হজরত, মোহতারাম আর বড়মিয়া যাই হোন না কেনো।
আমরা মুসলিমরা যে বলি হে আল্লাহ্ ও-কে ঈমান দাও। এখানে আমাদের বুঝতে হবে ঈমান দেয়ার জিনিস না। আল্লাহ্ আমাদের জন্মের সময় রেডিমেট করে পাঠান না। রেডিমেট করে পাঠালে আমাদের নেংটা পাঠাতেন না। বুঝহীন করে পাঠান। কিন্তু বিবেক দিয়েই পাঠান। সেই বুঝ আর বিবেক দিয়ে নিজের ঈমান/আম্তবিশ্বাস কে ধীরে ধীরে খারাপ বাজে চিন্তা দুর করে দিয়ে মানব কল্যানের দিকে নিয়ে যেতে হয়। এভাবে ঈমান মজবুত হতে হতে ঈমান আসে।
আত্মবিশ্বাস শব্দটা সুন্দর। এর মধে আত্ম+বিশ্বাস আছে। আত্মা মধ্যে যখন পরিপূর্ণ তাওহিদের বিশ্বাস আসে তখনই শুধু মুমিন মুসলমান বা ইমানদার হিন্দু হয়ে ওঠে। আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না। যদি বোঝেন তাতেও অসুবিধা নেই। আমি বরং অবাকই হবো আপনাদের ধর্য্য দেখে। সারাজীবন ভুল বুঝতে বুঝতে কতো ভুল এই নিরিহ মানব সমাজ বুঝতে পারে তা দেখে দেবতা ঠাকুরাও অবাক হয়ে যায়।
আমাদের এই বঙ্গ অঞ্চল থেকেই প্রথম বড় একটা জিনিস আসে যা আজও এই বিজ্ঞানের বড় হাতিয়ার। তা হলো শুন্য (০) স্যংখাটি।
একটু বুঝিয়ে বলি। আমি মানি আল্লাহ বা ভগবান বা ইশ্বর যে নামেই ডাকি না কেনো স্রষ্টা ১ জন। এখন আমি সারাবিশ্বে তার অস্তিত আছে তা প্রমাণ করতে গিয়ে বললাম যে, পুরো পৃথিবি ভরে যদি দেখেন দেখবেন আল্লাহ্ ১।
পুরো বিশ্ব জাহানে যদি ১ ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকে তাহলে কি আল্লাহ ১ হয় নাকি অনেক হয়। কতগুলো ১ আপনি যোগ করতে পারবেন? আর যদি যোগ করে যে ফল পাবেন তা কি এক হবে না একাধিক হবে? তাহলে আল্লাহ্ ১ হয় কিভাবে?
রোমান রা যখন এইখানে আটকে গেছে তারও আগে ভারতীয় তৎকালীন বঙ্গ তে শুন্য (০) বা জিরো এসেছিলো। সাধনা ও সত্য জ্ঞানে চির শান্তির ধর্ম দ্বারাই এই শুন্য (০) বা জিরো এসেছিলো। তাই আল্লাহ্ র কোনো প্রতিক আপনারা বসাতে চান তা হল শুন্য (০) বা জিরো। এখন পুরো বিশ্ব জাহানে শুন্য (০) বা জিরো বসিয়ে দেখুন মান কতো হবে?
কোনো প্রকার “মান” আসবে না। কারন আমার আল্লাহ্ মানহীন। মান হলো অহংকার। এজন্যই আল্লাহ্ সর্বস্থানে অধরা ভাবে বিরাজমান থেকেই আমাদের সাহায্য ও রক্ষা করেন। তাইতো তাওহীদের কথা সব ধর্মের মর্মবাণী। এখন যদি আপনি ১ এর মান নিয়ে পাশে ০ বসিয়ে দেন। দেখুন কি হবে?
১০ দশ। যখন আল্লাহ্ কোনো বস্তুতে তে তার শক্তি প্রকাশ করতে চান তখন সেই বস্তুর মান বেড়ে যাবে। তা আপনি যতো উপরের দিকেই যেতে চান না কেনো।
আমাদের কাছ থেকে যখন এই তাওহিদের বানী পৃথিবীর সবখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। তখন পৃথিবীর মানুষ আনন্দ ভরে তা মেনে নিয়ে নতুন ভাবে বাঁচতে শিখেছিলো।
যখন সমাজ ব্যাবস্থা ও সভ্যতা চরম হুমকির মুখে তখন পিথাগোরাস এর গোত্র ভুক্তরা বা তার অনুগত শিশ্যরা শংখা পূজা করে তাদের মধ্যেই বহু বছর ছিলো।
হযরত মোহাম্মদ (স) ও এসেছিলেন একই বাণী নিয়ে। তা তখন আরবের মধ্য থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায়। হজরত মোহাম্মদ (স) স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পেরেছিলেন বা আল্লাহ্ তার দ্বারা করিয়েছেন বলে তিনি পরিপূর্ণ জীবন বিধান দিয়ে যেতে পেরেছেন। যার বাণী ছিল আল্লাহ্ প্রেরীত। আপনার যদি কোরআন একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখেন দেখবেন ঐ সময়কার অন্যান্য আরবী লেখা আর কোরআনের ভাষার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে।
আরবী এখনও অসম্পুর্ণ একটি ভাষা। বাংলা ভাষার সাথে মিলালে আপনি দেখতে পাবেন যে সেখানে “প” সহ অনেক ভাবের কোনো উচ্চারনের ব্যবস্থাই নাই।
কিন্তু কোরআন শরীফ এ যে ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে তা পরিপূর্ন একটি ভাষা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে আরবী যদি অসুম্পূর্ণ হয় তাহলে কোরআনের ভাষা পরিপূর্ণ কিভাবে হলো? আপনারা খেয়াল করলেই দেখবেন কোরআনে বহুরকম সিম্বল আঁকা আছে। যা বিভিন্ন বক্ররেখা বা বিভিন্নরকম ভাবে পাওয়া যায়। এবং এখনও তা অবিকৃত আছে। মজার ব্যাপার হলো আজও যারা কোরআন পড়ান বিশেষ করে মুসলিম বল দাবী করা প্রায় সবাই। তারা ঐ রেখা গুলোর কোনো অর্থ না করে বরং পড়ার আওয়াজ বা সুর ভেবে টান দিয়ে দেখান মাত্র। আল্লাহ্ কথার বরখেলাপ করেন না তিনি তা হযরত মোহাম্ম (সঃ)
এর মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন। এবং আজও তা অক্ষতই আছে। আরব’রা আজও সভ্য হতে শেখে নি তাই তো আল্লাহ ওদের ভাষাকে অসুম্পর্ণ করে রেখেই এখন আপানাদের বুঝাতে আমার সুবিধা হয়েছে। এখন আপনারাই আপনাদের অন্তর থেকে বিচার করুন যে, একটি ভুল সময়ে, ভুল ভাষা দিয়ে যে হাদিস রচিত হয় তাতে কি ভুল না হয়ে সব শুদ্ধই হবে?
কোরআন কেনো আপনি যে, ধর্মের ই অনুসারি হন না কেনো সব ধর্মেই কোনো না কোনো ভাবে রুপান্তর বাদ বা জন্মান্তর বাদ আছে। এই রূপান্তর বাদ বা জন্মান্তর বাদই হলো আমাদের আসল গন্তব্য। এজন্যই ইন্তেকাল মানে মারা যাওয়া নয় বরং স্থান পরিবর্তন। পরিবর্তন আর রূপান্তরের মধ্যে পার্থক্য কি? এই শব্দ থেকেই তো আসল সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
ইসলাম ধর্মে যদি কোরআন এর কোনো ধর্ম গ্রন্থ সত্য ও সাবলীল হয় সেটা হলো মাওলা আলী রচিত নাহাজুল বালাগা। যা বাংলাদেশে তেমন পাওয়াই যায় না কিন্তু ইরানে চর্চা হচ্ছে।
আপনারা যদি বাংলাভাষায় কোরআনের সঠিক অনুবাদ পড়তে চান তা সদর উদ্দীন আহম্মদ চিশতীর কোরআন এর অনুবাদ গ্রন্থে পাবেন। কোরআন ব্যাতিত সদর উদ্দীন আহম্মদ কর্তৃক রচিত অন্য সব বইগুলোর বিষয়ে আমি পুরোপুরি একমত না। তিনি বাকি বই ইচ্ছে করেই কিছু ভুল রেখে গেছেন। দয়া করে তাকে দোষ দিবেন না। তিনি পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছিলেন। এই সমাজ ব্যবস্থায় ভিন্নমত নামক জঞ্জাল কাঁটা দাঁরা বিদ্ধ হবা কি জ্বালা আপনারা তা বোঝেন। যে মহামানবই শান্তির কথা শুনিয়েছেন তাকে কোনো না কোনো ভাবে শয়তানের প্রতারনা ও আঘাতের স্বীকার হতে হয়েছে। মহামানবরা সব সময় আপনাদের কল্যানের জন্যই আসে। যখন আঘাত প্রাপ্ত হয় বা মানুষ বোঝেনা তখন এই মানব শরীরে তারা আবদ্ধ থাকেন না। আপনারা ধ্যান, জ্ঞান, সাধনা ও সত্য দাড়া নিজেকে মহামানব করে তোলার যোগ্যতা রাখেন। মনে রাখবেন একজন মুক্ত আত্মা যে কোনো সময় নিজ ইচ্ছায় জন্ম নেন। আল্লাহ্ র হুকুম বুঝতে হবে। আল্লাহ্ কখনও তার প্রকৃতির নীয়ম ভঙ্গ করেন না। যখন মানুষ তার ঈমান দূর্বল থেকে দূর্বল করে বিলীন করে ফেলে ঠিক তখনই আল্লাহ্ আপনাদের মধ্য থেকেই একজন পথ প্রদর্শক পাঠান।
{সত্যকে কখনও মিথ্যার সাথে মিশ্রন করবেন না বা বিকৃত করবেন না। আল্লাহ্ পাক তার প্রেরীতো কোরআনে এই কথা বলেছেন}
আজকের যে এই কম্পিউটারে বসে আমি লিখছি সেই কম্পিউটারের প্রধান ভিত্ত্বি ছিলো ধর্ম দারা আবির্ভুত বিজ্ঞান। বাইনারী ডিজিট এ শুধু (০,১) থাকে।
মনে রাখবেন ধর্ম আল্লাহ্ বা সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রেরীত বিভিন্ন মাধ্যমে মূলত একই তৌহিদের বাণী আর বিজ্ঞান হলো মানুষের বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান ও চর্চা দ্বারা মানবের ব্যবহারের জন্য কোন বস্তুই মাত্র।
আমার জন্য দোয়া করবেন। বানান ভুল থাকলে ঠিক নিজ দায়িত্বে ঠিক করে নিবেন।
©somewhere in net ltd.