![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
এই তো এই মাত্র। তোমায় নিয়ে গান লিখতে চেয়েছিলাম। লিখিনি। সবাই না হয় প্রিয়কে দুরে রেখে গান লিখে বেড়ায়। আমি লিখবো তোমাকে সাথে নিয়ে। তোমার বিরহ বেলার অভিজ্ঞতা আর তুমি ছাড়া আমার এই রুদ্ধ্র কঠিন সময়কে একসাথে গেঁথে ফেলবো। উভচরের মতো গান হয়ে যাবে, না বিরহের, না মিলননের মিলেমিশে চির প্রেম উম্মদনার গান হয়ে উঠবে। মনে পড়ছে নিশ্চই, আমি বলেছিলাম সংসার জীবন এলে, তোমাকে গিটার কিনে দেবো, তুমি তোমার হাতে গিটার বাজাবে। হোক না তা হৃদম, নোড, তাল-লয় বিহীন তাতে কি? প্রেমের পরশে পাথরেও সুর হয়। সেই সুর সেধে সেধে হয় না। সেধে সেধে যা হয় তাতো দুঃখ গাঁথা। ঐ সব সুর বোঝেন দেবতারা। দেবী আর দেবতার তাল লয় না থাকলেও হয়। দেখে নিও আমাদের প্রেম ভরে চাওয়া অপূর্ণ থাকবে না। ঠিক সময়ে, ঠিক ভাবেই, সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। তখন শুধু তোমায় দেখবো। আর তুমি বলবে আমি শুনবো। এটুকু আশার বিজ আজও তা ফসলে ভরে ওঠে নি। আমিও দিনে দিনে কেমন যেনো হয়ে যাচ্ছি।
তোমার প্রেমেরও ঊর্ধোলোকে উঠে বসে থাকি। জানো সেই ঊর্ধোলোকে বসে সবাইকে দেখা যায়। তুমি শুনে মজা পাবে, আমাদের মতো কোটি কোটি মানুষ আমি দেখি। যাদেরও দু’জন দু’জন করে একমন একমন করে জীবন কাটাতে চেয়েছিলো। পারে নি। হয়ে ওঠে নি। তাই তো এই পৃথিবীটা ওদের কাছে বিস্বাদ হয়ে উঠেছে। ওরা বোঝে না। আবার খুব করে বোঝে কিন্তু বলে না। তোমার প্রেমিকের মতো করে অনেকে তার প্রিয়তমাকে সবার সামনে নিয়ে আসে না। তাইতো এতো ওদের ভয়। আর আমার এতো দুঃসাহস।
আমি সয়ং স্রষ্ট্রার কাছ থেকে সব প্রেম নিয়ে এসে তোমার আর আমার গলায় পড়িয়ে রাখবো। দেখো, দেখো ঐ নজরুলকে! বেচারা, নিজের রূপক বুলবুল বুলবুল বলে চিৎকার চেচামেটি করলেন আর নার্গিস রয়ে গেলো মনে মনে। এত লাজুক হতে হয় না। তুমি কি জানো, পৃথিবীর বেশীরভাগ সুরস্রষ্টা, কবি, অভিমানী, বিখ্যাত, স্টার ইত্যাদি খেতাবওয়ালারা নিজের মুখে নিজের প্রিয় মানুষটির নাম নিতেও সংকোচবোধ করতেন। কি পেয়েছেন তারা এই সংকোচ করে? আমি যাকে ভালোবাসি তার নাম ডেকে, যদি আকাশ, পাতাল, মহাকাশ, ভূমন্ডল ও সেই সাথে লোকজন-জনগন-মানুষজনকে কাঁপিয়ে না দিতে পারি- তাহলে কিসের জন্য প্রেম করেছি? এগুলো বুঝতে হয়। তোমার আমার যেদিন আনুষ্ঠানিক বিয়ে হবে আমি সেদিন জোড়ে জোড়ে কবুল বলবো, আর তুমিও। আর আমরা এভাবেই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম বিশেষ করে তুমি।
তুমি এলে তোমাকে আমার স্বপ্নলোকের বাস্তবে নিয়ে যাবো। আমার দেবালয় তোমাকে ঘুড়িয়ে দেখাবো। দেখবে কতশত মনিষি তোমাকে আমাকে কতো কতো আনন্দবার্তা দিচ্ছেন। সেই আনন্দবার্তা আমরা এই পৃথিবীতে রেখে যাবো। আমাকে বলেছিলে তুমি নাকি মানবসেবা করবে। আর আজ দেখো মানবসেবা করার ব্রত নিয়ে আমি কেমন মানুষজন, প্রিয়, আত্মিয় হারা তো হয়েছিই সেই সাথে তোমার শ্বাসুরীর ঝাটা নিয়ে তেড়ে আসার দৃশ্যও প্রতিদিনকার ডেইলি সুপের মতো হয়ে উঠেছে। এখানেই প্রেমের মজা। আমি দেখাতে চাই। আমি দেখিয়ে দেখিয়ে ঘুমন্ত মানুষদের জাগাতে বিশ্বাসী। নইলে সবাই বুঝবে কি করে?
সব মানুষ যদি চুপ করে থাকে তখন একজনকে অন্তত জাগতে হয়। আমি না হয় একটু কম ঘুমিয়ে জেগে উঠেছি যাতে অনাগতদের দুঃখ দুরকরতে আরও অনেকে জেগে ওঠেন। এভাবেই মানুষ সচেতন হয়। এই প্রকৃতি আমার মিতা হয়ে উঠেছে। সব কিছু আপন তালে নেচে নেচে তোমাকে ভুলিয়ে দিতে চাইছে। বলে, তুমি থাকো ঐ উর্ধের রাজ্যে রাজা হয়ে। আমি তারপরও মর্তে নেমে আসি শুধু তোমার জন্যই। তোমাকে রক্ষা তো করবোই সেই সাথে আরো যাদের প্রেম আমার মতো অন্য কোথাও পড়ে আছে তাদের প্রেম ফিরে পাবার রাস্তাও দিয়ে যাবো। সেই রাস্তায় অনেক অনেক মানুষ চলে যাবে। তখন আর আমার এই পথকে অন্যকারো অচেনা মনে হবে না। চেনা পথে মানুষ আলো লাগিয়ে দেয়। লাইটপোস্ট বসায়। রাস্তায় আলপোনা এঁকে নেয়। আরো কতো কি করে। আজ না হয় অচেনা তাই বুঝতে পারছে না। আমিও সেই পথের যাত্রীদের সবসময় পথ একেঁ দিয়ে যাবো। তা সে যতোই গুটিয়ে থাকুক না কেনো। আমার পথ হলো আমার বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাসের তাল মিলানো। আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। সেই বিশ্বাস থেকেই প্রকৃতির মধ্যে থেকেই আমি তাদের পথকে সোঁজা করে দেবো। তাদের কল্পনায় আমি স্থায়ী হতে আসি নি আমি এসেছি তাদের বাস্তবতার পথে থেকেই কল্পনার চাইতেও বড় কিছু পাইয়ে দিতে।
আমার এখন খুব লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে। অনেক কথা। নগর উন্নয়নের জন্য বিশাল এক ভাবনা মাথায় রেখে দিয়েছিলাম। সেই ভাবনাকে মেলে ধরতে ইচ্ছে করছে। তুমি যখন পাশে থাকবে তখন আমরা দু’জন কমিটমেন্ট অনুযায়ী মানুষের জন্য নিজেদের মেধা শ্রমকে ঢেলে দিয়ে যাবো। দেখবে মুসকিল আসান হয়ে যাবে। দু’জনের এই প্রেম একসাথে কত শক্তিশালি তা মানুষ দেখবে। দেখে দেখে শিখবে। আর কেউ তোমার মতো বা অন্য কারও মতো ভুল করবে না। তার আপন মানুষটিকে ও নিজের প্রেমকে এই নিষ্ঠুর, পাসন্ড সমাজ ব্যবস্থার দুর্বলতার কাছে ছোট ভেবে বসবে না। ওরা আজও জানে না, আমি যে কতো বেশি শক্তি নিয়ে আবিভূর্ত হয়ে আছি। এবং আমার শক্তির কোনোদিন কোনপ্রকার বিনাশ নাই।
দিনের পরে দিন যাচ্ছে। আমি তো জানি তোমার জন্য আমার কাছে থাকা কতো বেশি জরুরি। তোমার এই দিন গুলো অকাজে যাচ্ছে। এই বর্তমান এতো বেশি পিছিয়ে পড়েছে যে, কবে সজোড়ে টান দিয়ে সোজা করতে পারবো কে জানে? মানুষ মানুষকে শুধু সন্দেহ করে। সবাই নিজে নিজের হতে গিয়ে পথহারা হয়ে গেছে। আর আমাকে দেখো পরম একাকি হয়েও সবাইকে কেমন প্রেমের টান দিয়ে কাছে নিয়ে এসেছি। মানুষকে বাঁচতে হয় মানুষ নিয়ে। একারনেই এত এত সাবজেক্ট উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সাবজেক্ট না বুঝলে কি কেউ অবজেক্ট বুঝতে পারে? তারপরও একঘেয়ামীর বাইড়ে যেতে ভয় পায়? আসলে ওদের দোষ দেবো কি বলো, এতো দিনের এতো বাহারি রকম মিথ্যে শিকল যে, এক ঝাটকায় ভাঙা যায়- এ বিশ্বাসও মনে নেই।
আমি এই পৃথিবীর রূপরসের সত্যিকারের সাধ সবাইকে দেখাবোই। আমি ছলনা জানি না। মিথ্যে পথে যাই না। অপূরণীয় স্বপ্ন বলতে যে কিছু আছে –তা আমার জানা নাই। আমি যখন যেভাবে চাই, ঠিক সেভাবেই সবকিছু গড়ে দেই। যখন একবার গড়ে উঠবে তখনও আবার নতুন হাজার কোটি চাওয়া আসবে। সেই চাওয়া আরো তাড়াতাড়ি দিয়ে দেবো। ওরা যতো চাইবে আমি ততোই ওদের দিয়ে দেবো। কিন্তু চাইতে জানাটা যে ওদের ভিতরে শিকল পড়ে ছিলো। আজও আছে। কিন্তু থাকবে না। তখন সবাই বুকের ছাতি উচু করে আর মাতা আকাশে তুলে সকল অন্তর ভরে শুধু চাইবে আর সেই চাওয়া পূর্ণ হয়ে যাবে ওদের মাধ্যমেই। এখানেই আমার প্রতিজ্ঞা আর ওদের প্রতিজ্ঞা একে একে একাকার হয়ে যাবে। বুঝবে কে এসেছিলো? কেনো এসেছিলো? কার জন্য এসেছিলো? সব বাঁধ ভেঙে যাবেই। বাঁধ ভেঙে যাওয়াই আমার সিস্টেম। এই সিস্টেমের বাইড়ে আমি কাউকে রাখি না। আমার সিস্টেম চলবে আমার মতো। এতে অন্যরা যদি না জড়াতে চায় তারপরও জড়াতে হবে। ওদের সবাইকে এবং সবকিছুকে নিয়ে সর্বখানে আমার সিস্টেম পাতা আছে। আমি কখনও ওদের প্রতি অন্যায় করিনি আর কখনও করবোও না। কিভাবে করবো বলো? আমার সিস্টেমে যে আমি কখনও অন্যায়কে স্থায়ী করে রাখি না। ন্যায় ও সুন্দরকে স্থায়ী করে রেখে দেই। আমি সেই- যার প্রয়োজন সবার হবে- কারন সবার প্রয়োজনই আমার কাছে আসে। আমি আজ যেমন ঠিক তেমনই ছিলাম আবার এমনই থাকবো।
১৯-০৪-২০১৪
©somewhere in net ltd.