নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমিক রাখালের রূপকথা

১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

এক রঙীন সুন্দর দেশে এক রাখাল ছিলো। রাখালের আশেপাশের পরিবেশে শুধু রঙ আর আনন্দ খেলা করতো। রাখাল ছেলেটি এক অপরূপ সুন্দর রাজকুমারীকে ভালোবাসতো। অনেক ভারি কিছু দুঃখ সাথে নিয়ে গিয়ে রাজকুমারী রাখালের কাছ থেকে অনেক দুরে চলে গেরেন । তারপর কিছু দুষ্ট মানুষের সাথে রাজকুমারী বসবাস করতে লাগলেন। রাজকুমারী চলে যাবার পর থেকে রাখাল কেমন জানি দিশেহারা হয়ে যায়। রাজকুমারী চলে যাবার পর থেকে রাখাল বালক নাওয়া-খাওয়া-ঘুম ফেলে শুধু বাঁশী বাজায়।





যেমন সুন্দর বাঁশি তেমন সুন্দর তার সুর। রাখালের বাঁশির সুরে সবুজ পরিবেশ অবুঝের মতো আনন্দ করতে থাকে। রাখালের বাঁশির সুরে চাঁদ সুরুজ একসাথে আকাশ থেকে ডাগর নয়নের মতো তাকিয়ে থাকে। রাখালের বাঁশির সুরে আকাশের তারা গন্ধময় ফুলের মতো ঝরে ঝরে পড়তো। রাখালের যখন খুব বেশি দুঃখ হতো তখন এমন করুন সুর তুলতেন, যে সুরে আকাশ কেঁদে উঠে বৃষ্টিধারা নামিয়ে দিতো। কিন্তু এই বাঁশির সুর সব মানুষ শুনতে পেতো না। বাঁশির মধু মাখা সুরধ্বনি শুধু মাত্র সেই সব প্রাণীরাই শুনতো যারা মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে জানতো।



রাখালের দুঃখে পাখিরা গান বন্ধ করে কাঁদতো। নদীর জোয়ার ভাটা বন্ধ হয়ে গিয়ে পানি স্থির হয়ে যেতো। গাছেরা মাথা নুইয়ে য়ুম্ য়ুম্ করে কাঁদতে থাকতো। আকাশের মেঘ দাঁড়িয়ে থেকে রাখালের দুঃখের সাথে নিজেকে ম্লান করে দিতো।



এমনি এক ক্ষনে, রাখাল বালকের দেশে অনেক বড় দুর্গতির আঘমন ঘন্টা বেঁজে উঠলো। কি কুৎসিত সেই দুর্গতির রূপ। রাখাল বালক তাঁর বাশি রেখে বড় একটি বাঁশের চুঙ্গা মুখে নিয়ে সবাইকে সাবধান করতে লাগলেন।



কিছু মানুষ এই দুর্গতি আগমন বুঝতে পেরে খুব বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। সেই সব লোক সকল বুঝতে পারছিলো না কি করবে। তারপর রাখালের ডাক শুনে তারা নিজেরা নিজেরা বলে কি! আমরা না হয় ঐ গরিব প্রিয়হারা রাখালের একটু সামান্য কথা বুঝে দেখি তো কি হয়। আসলে দুর্যোগের সময় মানুষ অনেক বিবেধ ভুলে গিয়ে একে অন্যের কথা শুনতে চায়। দুর্যোগের সময় ভালোমানুষ আর মন্দ মানুষ আলাদা আলাদা হয়ে যায়। ভালোমানুষগুলো এক হয়ে সবমানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করে আর মন্দ মানুষগুলো এক হয়ে ভালোকে শেষ করে দিতে চায়। ভালোর কি আর শেষ আছে যে চাইলেই শেষ করে দেয়া যাবে?



রাখালের পথ রুখে দিলো বনের অনেকগুলো মস্ত বড় হাতি। হাতি ঐ সব ভালোমানুষদের ভৎসনা করতে লাগলো এবং ভালো মানুষদের পায়ে পিষে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। রাখাল হাতিকে বলে,



“দেখো ভাই হাতি! তোমার কান কুলোর মতো তা কি তুমি জানতে? জানতে না। কিন্তু মানুষ তোমার কানকে ঠিকই সম্মান করে কুলোর মতো করে দিয়েছে। তোমার জন্য কতো হাজার হাজার কলাগাছ মানুষ লাগিয়ে রাখে আর তুমি সেই কলাগাছ আনন্দভরে খেয়ে তৃপ্তি পাও। তুমি যে এত্ত বড় প্রানী তা কিন্তু তোমার আগেই মানুষ বুঝতে পারে। এখন তুমি কি তোমার বন্ধু মানুষদের মারবে নাকি বাঁচিয়ে রাখবে?”



বিশাল বড় বড় হাতিগুলোর ভোতা বুদ্ধিতে ধারালো দীপ্তি চলে আসে। হাতি মনে মনে উপলব্ধি করে “ঠিকই তো, যে মানুষ এতো ভালো তারা আমাদের শত্রু হয় কি করে?”। অবশেষে হাতি ঐ সব আলোর পথের যাত্রীদের তোয়াজ করে সুরের সাথে মাথাও ধুলির মাটিতে ঠেকিয়ে সম্মানের সাথে বলে,



আজ থেকে কোনো মানুষই আমার পর না। আমি মানুষের ক্ষতি করতে পারবো না।



এভাবে একে একে সিংহ ঘোরা বাঘ জলহস্তি, কুমির, হায়না সহ আরও কতো শত নাম না জানা হিংস্র প্রাণীকে রাখাল পথ খুলে দেয়। পশু প্রাণীরাও রাখালের প্রতি কৃতজ্ঞতার আবেশ অনুভব করতে পারে। তাইতো রাখাল সবার বন্ধু হয়ে যায়।



দুর্যোগের আগমন ঘন্টা আরো তিব্র হতে থাকে আর রাখাল সবাইকে এক হয়ে ধর্য্য ধরে থাকতে বলে। রাখাল কতক্ষন তাঁর বাঁশের চুঙ্গায় কথা বলে কিছুক্ষন বাঁশিতে সুর তোলে। তারপরও রাখাল বালক ক্লান্ত হয় না। দুর্গতির আগমন ঠেকাতে রাখাল বালক কত কত গল্প মানুষগুলোকে শুনাতে লাগলো যে সবাই থমকে গিয়ে দুঃখ ভুলে সুন্দরের পথকে চিনে নিতে চাইলো। রাখালও নিঃসংকোচে সব কিছু বলে দিতে লাগলো। রাখাল কথা, সুর ও গল্পের ছলে এই মাঠের আগের রাখালদের কথা স্মরন করিয়ে দিতে ভুললো না। আগের সেই ত্যাগি সৎসুন্দর রাখালদের জন্য এই রাখালের সে-কি মায়া। যেনো মনে হতে থাকলো সব মানুষের অনুভুতি-চাওয়া-পাওয়া এক। সব মানুষের অন্তর কোমল থেকে কোমলতর হতে থাকলো। সবাই যেনো সবার হয়ে গেলো। আহা! সে কি সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হতে লাগলো যা শুধু সেই সময়কার সেই লোকগুলোই বুঝতে পারলো। এই দুর্গতির আগমনের চরম দুঃসময়ও রাখাল সেই রাজকুমারীকে বুকের মাঝে ধারন করে রাখলো।



রাখাল কোনো লোকের কাছ থেকে কিছু চাইলো না। রাখালের নিজের জন্য চাওয়া শুধু একটাই আর তা হলো রাজকুমারীকে নিজের কাছে রেখে বাঁশির সুর শুনানো। রাখাল সবাইকে বললো, “আপনারা আমার গল্প অন্যদের শুনাবেন কিন্তু!”



সেই মায়া ভরা গোধুলি ক্ষনে, সব মানুষ দুঃখ ভোলানিয়া রাখালকে আদর-ভালোবাসা-প্রেম-মায়া দিতে চাইলো। রাখাল বালক সবাইকে চমকে দিয়ে দুর্গতিকে মেলাদুরে পাঠিয়ে দিয়ে সুগতিকে আপন করে মানুষের অন্তরে দিয়ে দিলেন। সবাই তো মহাখুশি। আর খুশি হবেই বা না কেনো! দুর্গতির এই ধরাশায়ী দেখে ছোট বাচ্চারাও হা-হা, হি-হি, হু-হু, ফিক-ফিক করে খিল-খিল করে হেসে উঠলো। যখন বাচ্চারা হাসে তখন কিন্তু বড়রা না হেসে পারে না। শিশু হাসলে মা, বাবাকেও হাসতে হয় নইলে কেমন দেখায় বলুন!



যখন দুর্গতি অনেক দুরে যেতে বাধ্য হলো তখন ঐ লোক গুলো প্রায় সবাই তাঁদের নিজ নিজ কাজে ব্যাস্ত হয়ে গেলো। মানুষ যখন ভালোকাজে হোক আর মন্দ কাজেই হোক ব্যস্ত হয়ে যায় তখন কি আর অন্যকে সহযে মনে পড়ে। রাখালের কথা তাঁরা মনে রাখলো কিনা রাখাল তা জানে না।



এদিকে হলো কি! রাখাল এই সুন্দরের পথের ভালো লোকগুলোর বিশাল বড় বড় প্রাচুর্যের দিকে ছুটে চলতে চাইলো আর তাতেই শুরু হলো ব্যাথা। রাখাল পা পিছলে কিংবা কারও ঠেলা খেয়ে গভির এক কুয়োর ভিতর পড়ে গেলো। কুয়োর ভিতর এক নড়বড়ে গাছে রাখাল বালক আটকে আছে এবং এখনও বাঁশি বাজিয়ে চলছে। রাখাল শুধু নিজের কাছে নিজের সুরে জানতে চায় “রাজকুমারী কবে এই মোহন বাঁশির সুরে ছুটে আমার কাছে চলে আসবে? সেই সুন্দর পবিত্র ক্ষনের আর কতক্ষন বাকি আছে?”। কেউ যদি পারেন সেই রাখালকে খুঁজে বেড় করে তার কাছে রাজকুমারীর খবর পৌছে দিবেন। রাখাল অনেক অসহায় বলেই আপনাদের জন্য বাঁশিতে সুর তুলে নিজের জন্য কোনো সুর রাখতে জানে না। আপনি কি সেই বাঁশির সুর শুনবেন?







[বন্ধু! আপনারা হয়তো ভাবছেন “এরপর কি হলো?”। আমি এই রূপকথাটি অসম্পুর্ণ রেখে দিলাম। যরা ধর্য্য ধরে রূপকথার এতোখানি পড়ে ফেলতে পারে তারা রূপকথা শেষ করারও যোগ্যতা রাখে। পৃথিবীর সব রূপকথাই সুন্দর ভাবে সমাপ্ত তার মধ্যে একটি না হয় অসমাপ্ত থাকলো! আর এই অভাগা তো রূপকথার বাকিটুকু নিজের মন মতো তৈরি করে নিতে আপনাদের মনের উপর জোড় করছে না! বন্ধু আমি জানি, যারা একবার রূপকথার রূপক বুঝে যায় তারা কোনোদিনও নিজের মানুষটিকে দুঃখ দিতে পারে না। এই বিশ্বাসই আমাকে এই প্রতিকুল পরিবেশে বাঁচিয়ে রাখে।]



https://www.facebook.com/asif.ud

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.