![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
তোমাকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছে করছে মৃত্যু! “মিস্টার মৃত্যু মহোদয়” আমি তোমাকে বন্ধুর মতোই ভেবেছিলাম। এখন যদি তোমাকে কাছে পেতাম তাহলো কোলে তুলে নিতাম। শরীর থেকে আলাদা হয়ে নিজের দেশে নিজে চলে যেতাম। দুঃসময়ে কোনো বন্ধুই কাছে এসে মজা পায় না। মৃত্যু এমনই এক স্বার্থপর বন্ধু- বিশেষ করে আমার সাথে। যখন মরে যেতে ইচ্ছে হয় – তখন মৃত্যু নিজে নিজে আসে না। আর যখন কেউ প্রবল হাসি উদ্দম সংসার সামন্ত নিয়ে বাঁচতে চায়- তখন বলা নেই, কওয়া নেই, এসে হুটহাট করে দ্বায়িত্ব পালন করে চলে যায়। এই দুঃসময়ে মৃত্যুকে আমার খুব বেশি প্রয়োজন। প্রয়োজনে বন্ধুর পরিচয়। মৃত্যুকে যতই বন্ধু ভাবি মৃত্যু ততই আমার থেকে দুরে চলে যায়। বুঝিয়ে দিতে চায় “উনি” দায়িত্বপালনকারি কর্মচারী! এমনও হতে পারে আমি মৃত্যুকে সবসময় তেড়িয়ে বেড়িয়ে উপহাস করি বলে, আমার উপর অভিমান করে বসে আছে। আরে ভাই মৃত্যু! আমি তো তোমার ক্ষমতাকে কখনও ছোট করে দেখি না। বোঝ না কেনো? আমি তো তোমাকে চিনি-জানি-বুঝি। আমি তোমার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করছি না।
আমি মানুব জাতকে বোঝাতে চেয়েছিলাম যে, “এই মৃত্যুর ক্ষমতা দেখে আপনাদের বসে থাকলে চলবে না। আপনারা আপনাদের ক্ষমতাকে বুঝে শুনে উপলব্ধি করে কাজে লাগান, দেখবেন মৃত্যুও আপনাকে ভয় পাবে। ফাও ফাও আপনারা মৃত্যুকে ভয় পেয়ে দুমরে মুচরে ঘরের কোনে পালিয়ে বেড়ান কেনো? তারচেয়ে সবাই মিলে একতা বদ্ধ হয়ে মৃত্যুকে বলে দিন “দুর হ! দুর হ! কাছে আসলে লাথি মারবো! ঘুসি দেবো! সবাই মিলে তোকে এমন মার মারবো যে তোর বিধাতাকে তোর পোস্ট পজিশন নিয়ে পুনরায় চিন্তা ভাবনা করতে হবে।”
এতে আমি যে মানুষগুলোকে আহব্বান করি তারাও আমাকে ভুল বুঝে আর মৃত্যুও আসে না। আমি কোথায় যাবো? মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে যদি যমদূত বা আজরাঈলকে গনপিটুনি দিয়ে বিদায় করে আর সেই নালিস যদি নারায়নের কানে যায়, নারায়ন তাতে আনন্দিতই হবেন। তিনি আমাদের স্রষ্ট্রা। স্রষ্ট্রার কাছে আমরা অনেক আদর আল্হাদের পাত্র। আমাদের একতাবদ্ধ কোনো বিরত্বের কাজকে আমাদের পরমপিতা গর্বের সাথেই দেখবেন- এ আমার তাওহিদের আত্মবিশ্বাস।
আমি তো দেখি!, একজন ডাক্তার যখন অবহেলা করে রোগিকে মানুষ মনে না করে শুধু রোগের বাক্সই মনে করে ছুড়ে ফেলে দেয়, কৈ মৃত্যু তো সেই রোগা-দুর্বল মানুষকে ছুড়ে ফেলে দেয় না? মানুষ মানুষকে অবহেলা করে- মৃত্যু মানুষকে অবহেলা করে না। ঠিকমতো ডিউটি পালন করে যাচ্ছে। সেই কবে থেকে বিরামহিন ডিউটি। শরীর থেকে আত্মা আলাদা করে দিয়ে দেয়। যার আমানতের দান আত্মা সেই আমানতদাতার কাছে চলে যায়। আর শরীর পড়ে থাকে এই ধুলির ধরায়। তারপরও শান্তি কোথায়? গোরস্থান-শশ্মান-মঠের জমির কাগজ পত্র ও ভালো জায়গা নিয়ে যে গোলমাল- তাঁর দোষ তো আর মৃত্যু অথবা মৃত্যুদাতাকে দেয়া যাবে না। এ দ্বায় মানুষের। আমি যতো বলি মানুষ প্রজাতির একতা ও সংহতির কথা আর আমার উপরই আসে ততো বেশি অবহেলা। মানুষ আমাকে লাথি মারে, মানুষ আমাকে খাবার নিয়ে খোটা দেয়, মানুষ আমার মাথার রক্ত ঝড়িয়ে আনন্দ পায়, মানুষ আমাকে বিরহ দেয়। কোথায় মৃত্যু তো আমাকে কখনও আঘাত দেয় না! আমাকে অসম্মান করে না। আমাকে দুঃখ দেয় না।
আমার জীবনে যে কতোবার মানুষের মুখ থেকে উচ্চারিত হতে দেখেছি, “আল্লাহ্ ঐ ব্যাটাকে তুমি নিয়ে যাও” । তারপরও তো আল্লাহ্ এই সব ফালতু কথায় কর্নপাত করার প্রয়োজন বোধ করেন না। তিনি ন্যায়বিচারক।
বন্ধু! আমার আজ সত্যি সত্যি মারা যেতে মন চাইছে। ইচ্ছে করে এই দেহ থেকে বেড় হয়ে আমার তাওহিদের ভাব নিয়ে অনন্ত পথে স্থায়ী ঠিকানায় চলে যাই। যেখানে এই সব অন্যায় অত্যাচার নাই। এতো বেশি মোনাফেকি, কপটতা, ভন্ডামি, হানাহানি, অহংকার নাই।
দেখুন কতোবড় আত্মা নিয়ে কতো ছোট কচ্ছপ গতির একটি ট্রামের নিচে জীবনানন্দ জীবন দিয়েও অন্যদের জীবনের জীবন আনন্দ রস হয়ে বেঁচে আছেন। অনেক ভাববাদি বলেন তুমি কি নিয়ে এসেছিলে আর কি সংগে করে নিয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বলি, মানুষ যেটুকু আপন কর্ম বিলিয়ে দেয় অন্যের সেবার জন্য, সেটুকু তো রেখেই যায় আর নিয়ে যায় তার থেকে অনেকগুন বেশি। তাইতো অনেক মানুষ জীবনে অনাদর পেয়েও মৃত্যুর পর আদরের জীবন নিয়ে অন্যকে রাঙিয়ে তোলে। যে রঙের দোলায় পুরো বিশ্ব ভুবন রঙ্গিন হয়ে যায়। একটু জালানি তেল জলের উপর পরলেও জলকে রঙ্গিন আভায় অয়েল পেইন্টিং করে দেখায়। আমরা বুঝিনা বলেই এরকম কামড়া-কামড়ি করে নিজেদের ভুত বানানোর চেষ্টা চালাই।
মানুষ কে বিচার করতে জানতে হয়। সেই বিচার হয় মন দেখে। মানুষ তার বিশাল মনটিকে অন্যদের মাঝে উজাড় করে দিয়ে যেতে পারে। এখানেই মানুষের পরিচয়। আসুন আমরা একতাবদ্ধ হয়ে নিজ নিজ আত্মাদের পরম আত্মার সাথে চিরস্থায়ী ভাবে গেঁথে রাখতে অন্যের মঙ্গলের জন্য ব্রতি হয়ে উঠি।
মৃত্যুর সাথে হ্যান্ডশেক করে আমি দেহহিন হয়ে গেলেও আপনাদের প্রেমের মাঝেই আমি থেকে যাবো। আপনারা আমাকে হাজার দুঃখ দিলে দিন, আমি তো আপনাদের সাথে নিজের সব প্রেম উজাড় করে দিতে কার্পন্য করি নি। এই সুন্দর পৃথিবীকে আর কুৎসিত করে রাখবেন না। নিজের মনের কুৎসিত কে যিনি তাড়াতে না পারেন তিনি কখনও আসল সৌন্দর্য্যের স্বাদ পায় না। আর পাবার প্রশ্নও আসে না।
০৭-০৫-২০১৪
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১১
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: মৃত্যুকে দেখতে চাই কিন্তু মৃত্যুর ঠিকানা জানি না।
২| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১৩
হাফিজ হিমালয় বলেছেন: মরণ যেদিন আসবে, সেদিন আর ঠিকানা কাউকেই জানাতে পারবেননা। সেটা হবে একান্ত আপনার
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
হাফিজ হিমালয় বলেছেন: ভালই লিখেছেন ভাই। অনেক ভেবেছেন ম্রিত্যু নিয়ে।